জয় পেতে হলে ২৯৯ রানের বড় লক্ষ্য পেরোতে হতো পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে। কিন্তু তা পারেনি দলটি। উল্টো প্রিমিয়ার লিগে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের কাছে ৭৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা।
লক্ষ্য বড় হওয়ায় ওপেনারদের ভিতটা গড়ে দিতে হতো।
পারটেক্সের দুই ওপেনার জয়রাজ শেখ ও জসিম উদ্দিন তা পারেননি। উল্টো দলীয় ১৩ রানে দুজনই বিদায় নিয়ে দলকে বিপদে ফেলে। সেই শুরু এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২২১ রানে অলআউট হয় পারটেক্স। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেছেন জাওয়াদ রোয়েন। শাইনপুকুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন আল ফরহাদ-রফিকুজ্জামান রাফি।
এর আগে শাইপুকুরকে বড় লক্ষ্য এনে দিতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক রায়ান রাফসান রহমান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৭ রান করেছেন তিনি। তিনে নেমে ৭৭ রান করা অনিক সরকারের অবদানও অবশ্য কম নয়।
৪ উইকেটের জয়ে শুরু ধানমণ্ডির
রান তাড়ার শুরুটা ভালো হলে জয় পাওয়া সহজ হয়। আজ মিরপুরে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবকে শুরুটা তেমনি এনে দেন দুই ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি ও হাবিবুর রহমান। ২৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনিংয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা। ১২ রানের ব্যবধানে দুজনই বিদায় নিলেও ৪ উইকেটে জয় এনে দেন জোড়া ফিফটি করা ফজলে মাহমুদ রাব্বি ও নুরুল হাসান সোহান।
৫৫ রান করা রাব্বি না পারলেও জয় নিয়ে হাসিমুখেই মাঠ ছেড়েছেন সোহান।
দলটির অধিনায়ক ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তার আগে অবশ্য ৪১ রানের ইনিংস খেলে ৮ বল হাতে রেখে ধানমন্ডির জয়ে অবদান রাখেন ইয়াসির আলি চৌধুরিও।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত শুরু পেয়েছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড। ওপেনিংয়ে জুটিতে ৯৯ রান তোলেন মাহফুজুল ইসলাম রবিন ও ইমতিয়াজ হোসেন। কিন্তু জুটিটা গড়েন খুব ধীরগতিতে। ৫০ রান করে যখন ইমতিয়াজ আউট হন তখন ইনিংসের ২৫ ওভার চলে। বাকি অর্ধেক ওভারে দ্রুত রান তুলতেও তাই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি। আরেক ওপেনার রবিন করেন সর্বোচ্চ ৮৪ রান। তিনে নেমে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়া মিজানুর রহমান করেন ৭৩ রান।
গাজী গ্রুপকে বিধ্বস্ত করেছে রূপগঞ্জ
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে উড়িয়ে দিয়েছে লিজেন্ড অব রূপগঞ্জ। ৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ উইকেটের বিশাল জয় পায় রূপগঞ্জ। বল বাকি থাকে ২১৭।
রূপগঞ্জের বোলারদের তোপে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় ৪ রানে ৬ উইকেট হারায় গাজী গ্রুপ। পরে তোফায়েল আহমেদ-ওয়াসি সিদ্দিকি- আব্দুল গাফফার সাকলাইনের কল্যাণে কোনো রকমে এক শ ছুঁই ছুঁই স্কোর করে। সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। রান তাড়া করতে নেমে অবিচ্ছেদ ৯৭ রানের জুটি গড়ে জয় এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (৬৫) ও সাইফ হাসান (২৭)।