ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ইইউতে আশ্রয় আবেদন বেড়েছে বাংলাদেশিদের

ইনফোমাইগ্রেন্টস
ইনফোমাইগ্রেন্টস
শেয়ার
ইইউতে আশ্রয় আবেদন বেড়েছে বাংলাদেশিদের
২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে মোট ১০ লাখ ১৪ হাজার আশ্রয় আবেদন জমা হয়েছে। ফাইল ছবি : এএফপি

২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে আশ্রয় চেয়ে করা আবেদনের সংখ্যা তার আগের বছরের তুলনায় অন্তত ১১ শতাংশ কমেছে। সম্প্রতি বার্ষিক আশ্রয়বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইইউর আশ্রয় সংস্থা (ইইউএএ)।

সোমবার প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে মোট ১০ লাখ ১৪ হাজার আশ্রয় আবেদন জমা হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় সংখ্যাটি ১১ শতাংশ কম।

ইইউর কড়াকড়ি অভিবাসননীতি, সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়ানো ও বৈশ্বিক অভিবাসন প্রবাহে পরিবর্তনকেই আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা কমার কারণ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২৪ সালে ইইউতে সিরিয়া, আফগানিস্তান, ভেনিজুয়েলা, তুরস্ক, কলম্বিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, রাশিয়া ও ইরান থেকে সর্বাধিকসংখ্যক আশ্রয় আবেদন জমা পড়েছে। সিরিয়ার এক লাখ ৫১ হাজার নাগরিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। তারাই আশ্রয় আবেদনে শীর্ষে রয়েছেন।

আফগানিস্তানের নাগরিকরা জমা করেছেন ৮৭ হাজার আবেদন। আগের বছরের তুলনায় ২৪ শতাংশ কমেছে আফগানদের সংখ্যা।

আরো পড়ুন
অনিয়মিত অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে কঠোর আইন করছে ইউরোপীয় কমিশন

অনিয়মিত অভিবাসীদের ফেরত পাঠাতে কঠোর আইন করছে ইউরোপীয় কমিশন

 

এ ছাড়া অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তুরস্ক থেকে ৫৮ হাজার, কলম্বিয়া থেকে ৫৩ হাজার ও ভেনিজুয়েলা থেকে ৬০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে।

প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতের আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা সুনির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি, তবে দেশটি থেকেও অভিবাসনের ধারা অব্যাহত রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশিদের আশ্রয় আবেদন
এদিকে বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে আশ্রয় নেওয়ার হার ২০২৪ সালেও উল্লেখযোগ্য ছিল। বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রধান গন্তব্য দেশ ইতালি। ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে অনিয়মিত উপায়ে ইউরোপে প্রবেশের হারও বেড়েছে। ইতালি ছাড়াও বংলাদেশিরা ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ডে বিপুলসংখ্যক আশ্রয় আবেদন জমা দিয়েছেন।

আরো পড়ুন
যুক্তরাজ্যে আরো কঠোর হচ্ছে অভিবাসনবিধি

যুক্তরাজ্যে আরো কঠোর হচ্ছে অভিবাসনবিধি

 

২০২৪ সালে মোট ৪৩ হাজার ২৩৬ জন আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশ থেকে ইইউতে আশ্রয় আবেদন করেছেন, যাদের মধ্যে ৪১ হাজার ৩২৫ জন ব্যক্তি প্রথমবারের মতো ইইউতে আশ্রয় চেয়েছেন।

তবে মোট সংখ্যার মধ্যে মাত্র ৪ে শতাংশ আশ্রয়প্রার্থী ২০২৪ সালে রিফিউজি স্ট্যাটাস বা শরণার্থী মর্যাদা পেয়েছেন। 

এ ছাড়া গত বছর বাংলাদেশিদের আবেদনের মধ্যে ২৬ হাজার ৩৭৩টি আবেদন নিষ্পত্তি করে সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইইউ দেশগুলো। সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে ৪৭ হাজার ৭৭৮টি আশ্রয় আবেদন। এগুলোর মধ্যে ২০২৪ সাল ছাড়াও আগের আবেদনও রয়েছে। 

গত বছর তিন হাজার ১১৭ জন বাংলাদেশি আশ্রয়প্রার্থী তাদের আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন বলে ইইউএএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন লিবিয়া, তুরস্ক ও অন্যান্য ট্রানজিট দেশের সঙ্গে অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। এর ফলে ব্লকে আশ্রয় আবেদনকারীদের সংখ্যা সামগ্রিকভাবে কমেছে। তবে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নাগরিকরা এখনো ইউরোপে নতুন সুযোগের সন্ধানে রয়েছেন।

আরো পড়ুন
২০২৪ সালে ইংলিশ চ্যানেলে রেকর্ডসংখ্যক শিশুর প্রাণহানি : জাতিসংঘ

২০২৪ সালে ইংলিশ চ্যানেলে রেকর্ডসংখ্যক শিশুর প্রাণহানি : জাতিসংঘ

 
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
সংগৃহীত ছবি

আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্য নিয়ে সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার ঐকমত্য কমিশনের দুই সদস্যের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এই তাগিদ দেন। বিকালে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এতে অংশ নেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর আলী রীয়াজ এবং সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার।

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য গঠন) মনির হায়দার এ সময় উপস্থিত ছিলেন। 

আরো পড়ুন
আন্দোলনের নামে সহিংসতা-ভাঙচুর হলে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কায় পড়বে : ড. ফাহমিদা

আন্দোলনের নামে সহিংসতা-ভাঙচুর হলে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কায় পড়বে : ড. ফাহমিদা

 

বৈঠকে প্রফেসর আলী রীয়াজ ও ড. বদিউল আলম মজুমদার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে কমিশনের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। তারা জানান, বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পৃথক পৃথকভাবে আলোচনা চলমান রয়েছে। শনিবার পর্যন্ত মোট ৮টি দলের সঙ্গে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে।

আগামী বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির সঙ্গে আলোচনার সময়সূচি নির্ধারণ করা আছে। 

তাঁরা আরো জানান, সংস্কার কার্যক্রমের বিষয়ে জনমত যাচাই এবং সে বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। 

এ সময় কমিশনের সভাপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ডিসেম্বর মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্য নিয়ে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা তথা সামগ্রিক সংস্কার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেন।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

আন্দোলনের নামে সহিংসতা-ভাঙচুর হলে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কায় পড়বে : ড. ফাহমিদা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আন্দোলনের নামে সহিংসতা-ভাঙচুর হলে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কায় পড়বে : ড. ফাহমিদা
সংগৃহীত ছবি

দেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি অনুকূল না থাকলে বৈদেশিক বিনিয়োগ ব্যাহত হবে উল্লেখ্য করে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও ভাঙচুর হলে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কায় পড়বে।

তিনি বলেন, বর্তমানে যে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, তা বাস্তবায়িত হলে ক্ষমতার পালা বদলেও রাষ্ট্রীয় নীতিমালার পরিবর্তন হবে না। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা হলে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

শনিবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর এফডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ফাহমিদা খাতুন।

অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশের ওপর ৩৭ শতাংশ কর আরোপের প্রক্রিয়া ত্রুটিপূর্ণ। তবে ট্রাম্পের উচ্চ শুল্কনীতি আমাদের জন্য ওয়েকআপ কল। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর আমরা বেশি সময় কর সুবিধা পাবো না।

তাই আমাদের বাণিজ্যিক সক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তুতি খুবই জরুরি।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অতিরিক্ত শুল্ক গ্রহণে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ বাংলাদেশের জন্য কিছুটা স্বস্তির। এই সময়ে সম্ভাব্য ঝুঁকি নিরসনে বাণিজ্য কূটনীতি জোরদার ও অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি বলেন, মার্কিন প্রশাসন শুল্কহার বৃদ্ধিতে কোন নিয়ম কানুনের ধার ধারেনি।

ফলে সারা বিশ্বে এখন শুল্ক ঝড় বইছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে শুল্ক আরোপ নিয়ে পরস্পর বিরোধী অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশও এই চ্যালেঞ্জের বাইরে নয়।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে ঘোষিত নতুন শুল্ক আরোপ তিন মাসের জন্য স্থগিত করায় বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও অনিশ্চয়তা কাটেনি। তবে এই স্থগিতাদেশের পর বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা বন্ধ হওয়া ক্রয়াদেশ ফিরে পাওয়া শুরু করছে।

অন্যদিকে চীনা পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের কারণে তাদের ক্রয়াদেশ স্থগিত হচ্ছে। চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের এই অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ বাংলাদেশের রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ তৈরি করবে। এ ছাড়াও চীনা বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখাবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের এই কঠিন অবস্থার মধ্যে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়ে বাংলাদেশ জিএসপি সুবিধা ফিরে পেলে আমাদের রপ্তানি খাত আরো বেশি প্রসারিত হবে, বলে জানান তিনি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঢাকার রাস্তায় দেখা মিলল ফিলিস্তিনের আহত শিশুদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ঢাকার রাস্তায় দেখা মিলল ফিলিস্তিনের আহত শিশুদের
সংগৃহীত ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে অনুষ্ঠিত হয় একটি ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ প্রদর্শনী। গাজায় চলমান ইসরায়েলি হামলা, এতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা এবং আরববিশ্বের নীরবতা তুলে ধরতেই এই সৃজনশীল ও প্রতীকী আয়োজন করা হয়।

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ হয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের দিকে যাওয়া এক মিছিলেই এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

প্রদর্শনীতে দেখা যায়, গাজায় আহত হওয়া শিশুদের মতো করে কয়েকজন শিশু মাথায় ব্যান্ডেজ করে, সেখানে লাল রং লাগিয়ে এবং ফিলিস্তিনের পতাকা নিয়ে হাঁটছেন।

মূলত গাঁজার আহত শিশুদের প্রতি সংহতি জানাতেই এমন আয়োজন।

আরো পড়ুন
‘মহাকাশ প্রযুক্তিতে সহযোগিতা বাংলাদেশ ও তুরস্কের জন্য লাভজনক হবে’

‘মহাকাশ প্রযুক্তিতে সহযোগিতা বাংলাদেশ ও তুরস্কের জন্য লাভজনক হবে’

 

অন্য প্রদর্শনীতে দেখা যায়, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর মুখোশ পরা একজন ব্যক্তি প্রতীকী রক্তে ভরা বাটি হাতে নিয়ে হাঁটছেন, যার শরীরজুড়ে রক্তের ছোপ (প্রতীকীভাবে ফিলিস্তিনিদের রক্ত)। তার পাশেই ট্রাম্পের মুখোশধারী একজন আছেন, যিনি নেতানিয়াহুকে সহায়তা করছেন এবং তার দেহেও রয়েছে প্রতীকী রক্তের দাগ।

প্রদর্শনীর আরেকটি অংশে আরববিশ্বের নেতাদের আদলে পোশাক পরা কয়েকজনকে দেখা যায়—তারা নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের আশপাশে ঘোরাফেরা করছেন, তাদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করছেন এবং কৃতজ্ঞতাসূচক চুম্বন করছেন।

সবচেয়ে হৃদয়বিদারক অংশ ছিল কাফনে মোড়ানো অসংখ্য প্রতীকী লাশের মিছিল, যা নেতানিয়াহু, ট্রাম্প এবং আরব নেতাদের চরিত্রে অংশগ্রহণকারীরা টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এই অংশটিই গণহত্যার বাস্তবতা ও বিশ্ব রাজনীতির নিষ্ক্রিয়তাকে জোরালোভাবে তুলে ধরে।

এই ব্যতিক্রমী আয়োজনের সঙ্গে থাকা একজন প্রতিবাদকারী বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনীর দখলদারি ও গণহত্যায় ট্রাম্প প্রশাসনের সরাসরি সহযোগিতা রয়েছে, আর আরববিশ্বের নেতারা নির্লিপ্ত দর্শক। আমরা এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে সেই নীরবতা ও সহযোগিতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রদর্শনীটি দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তোলে এবং ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘বৈসাবি’ শব্দটি যেভাবে এসেছে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘বৈসাবি’ শব্দটি যেভাবে এসেছে
ছবি : কালের কণ্ঠ

পার্বত্য চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বৈসাবি উৎসব। আজ শনিবার রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এ উৎসব শুরু হয়। এটি পাহাড়ে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্যতম বৃহত্তম ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব।

বৈসাবি উৎসব ঘিরে পাহাড়জুড়ে বইছে আনন্দের বন্যা।

সকালে রাজবনবিহার, গর্জনতলী ত্রিপুরা এলাকা, কেরানী পাহাড়সহ জেলা-উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় ফুল ভাসানোসহ চলছে বৈসাবির বর্ণাঢ্য আয়োজন।

বৈসাবিকে চাকমা ভাষায় ‘বিজু’, ত্রিপুরাদের ভাষায় ‘বৈসুক’, মারমাদের ভাষায় ‘সাংগ্রাই’, তংচঙ্গ্যাদের ভাষায় ‘বিজুু’ এবং অহমিয়াদের ভাষায় ‘বিহু’ নামে আখ্যায়িত করা হয়।

গত শতকের নব্বই দশক থেকে বিভিন্ন নামের একই উৎসব অভিন্ন নামে ‘বৈসাবি’ হিসেবে উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গঠিত হয় বৈসাবি উদযাপন কমিটি।

অনেকের মনে করেন, পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐক্যের প্রয়োজনেই বৈসাবি শব্দটি এসেছে।

জানা গেছে, পাহাড়ের বর্ষবিদায় ও বরণ উপলক্ষে ১৯৮৭ সালে রাঙামাটি কলেজে একটি দেয়ালিকা প্রকাশিত হয়। পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর উৎসবের নামের আদ্যক্ষর দিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয় দেয়ালিকাটির। ওই নামটি পরে পাহাড়ি বিভিন্ন সংগঠনের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

সামরিক শাসনের সেই সময়ে কোনো সংগঠনের নামে উৎসব, শোভাযাত্রা করা সম্ভব ছিল না। এ জন্য পাহাড়ের সব জাতিগোষ্ঠীকে একই সাংস্কৃতিক সংহতির গাঁথুনিতে নিয়ে আসার জন্য ‘বৈসাবি’ নামে প্ল্যাটফরম করা হয়েছিল।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ