লোডশেডিং হলেও গ্রামে নয়, প্রথমে ঢাকায় : ফাওজুল কবির

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
লোডশেডিং হলেও গ্রামে নয়, প্রথমে ঢাকায় : ফাওজুল কবির
ছবি: কালের কণ্ঠ

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‌‌‘রমজানে লোডশেডিং ছিল না। তবে কোথাও কোথাও বিভিন্ন সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ ছিল না। নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা চলছে।’

তিনি বলেন, ‘আশা করছি, এবার গরমে অসহনীয় লোডশেডিং হবে না।

এবার লোডশেডিং শুধু গ্রামে হবে না, যদি লোডশেডিং করা হয়, তাহলে প্রথমে ঢাকায় করা হবে।’

শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে আয়োজিত মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার পাশাপাশি ট্রেন, বিদুৎসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাব দেন ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, ‘কোচ ও ইঞ্জিন সংকটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করছে।

কোচ ও ইঞ্জিন বাড়লে চট্টগ্রাম-চুয়েটসহ বিভিন্ন স্বল্প দূরত্বের জায়গায় কমিউটার ট্রেন সার্ভিস ব্যবস্থা করা হবে। ট্রেনের সার্ভিস বাড়াতে ইঞ্জিন ও কোচের সংখ্যা বাড়াতে হয়। এজন্য আমরা চেষ্টা করছি। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমিও চীনে গিয়েছিলাম।
সেখানে চীনের ট্রান্সপোর্ট মিনিস্টারের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে এবং আমরা আলোচনা করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ২০০ কোচের জন্য একটি অর্ডার দেওয়া আছে। একটি দল এ মাসে যাবে। যাতে এ কোচগুলো আসা শুরু হয়। লোকোমোটিভ কেনার জন্য উদ্যোগ নিয়েছি।

এত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা কমিউটার ট্রেন চালু করেছি। একটি জয়দেবপুর-ঢাকা, আরেকটি ভৈরব-ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা।’

জলাবদ্ধতার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজের কিছু অগ্রগতি হয়েছে। তবে যেসব খাল পরিষ্কার করা হয়েছে সেগুলোতে আবার ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়েছে। এটা থেকে বুঝা যাচ্ছে আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পারিনি। বিভাগীয় কমিশনার মতবিনিময়সভা করবে এলাকায় এলাকায়। আমরা চেষ্টা করছি, ৩০ হাজার ডাস্টবিন দেওয়ার জন্য। চট্টগ্রামের সিটি করপোরেশন বিনগুলো বসাবে।’

উপদেষ্টা আরো বলেন, ‘মতবিনিময়সভায় উদ্বুদ্ধ এবং বিন দেওয়ার পরও যদি ময়লা যত্রতত্র ফেলে তাহলে মোবাইল কোর্ট করা হবে। জলাবদ্ধতা যে এবার হবে না, তা নয়; বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করবে।’

সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক মো. সুবক্তগীন প্রমুখ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সম্পত্তি বেচতে ক্রেতা খুঁজছেন নসরুল হামিদ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সম্পত্তি বেচতে ক্রেতা খুঁজছেন নসরুল হামিদ

রাজধানীর গুলশান ক্লাবের উল্টো পাশে এক বিঘার বড় একটি প্লট রয়েছে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের। অনেকটা বাগানবাড়ির আদলে জায়গাটি গড়ে তুলেছেন তিনি। ক্ষমতায় থাকাবস্থায় পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সেখানে আড্ডা দিতেন তিনি। সেসময় প্লটটি ছিল তার ‘সুখের রাজ্য’।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান নসরুল হামিদ। কিছুদিন কোনো খোঁজ-খবর না থাকলেও গত দুই মাস ধরে জায়গাটি বিক্রির জন্য ক্রেতা খুঁজছেন তিনি। বর্তমানে তার এই জায়গার বাজারমূল্য ২০০ কোটি টাকা। 

আরো পড়ুন
বৈশাখের অনুষ্ঠানে যাননি অসুস্থ বিএনপি নেতা, শোকজ পাঠাল দল!

বৈশাখের অনুষ্ঠানে যাননি অসুস্থ বিএনপি নেতা, শোকজ পাঠাল দল!

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই প্লটটি বিক্রি করতে বড় বড় ব্যবসায়ীদের ধরছেন নসরুল হামিদ।

তবে এত বড় জায়গায় মোট অংকের টাকা দিয়ে কেনার মতো কোনো ক্রেতা না পাওয়ায় ছোট প্লট আকারে বিক্রির তৎপরতা চালাচ্ছে নসরুল হামিদের কম্পানি হামিদ রিয়েল এস্টেট। শুধু এই জায়গাই নয়, রাজধানীর মাদানী এভিনিউর ১০০ ফুট রাস্তার পাশেও নসরুল হামিদের পাঁচ বিঘা জমি রয়েছে। এই জমিও বিক্রি জন্য ক্রেতা খুঁজছেন তিনি। 

সূত্র জানায়, বড় আয়তনের এই দুইটি জায়গা এখন পর্যন্ত বিক্রি করতে না পারলেও গুলশান, বনানী ও নিকেতন এলাকার একাধিক ছোট প্লট ও বাড়ি এরই মধ্যে বিক্রি করে দিয়েছেন নসরুল হামিদ।

সম্পত্তি বিক্রির ওই টাকার বড় অংশই তিনি হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে নিয়ে গেছেন। বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন তিনি। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, নসরুল হামিদ আমাকে বলেছেন, তার বেশির ভাগ সম্পত্তিই বিক্রি করে দেবেন। সেজন্য ক্রেতা খুঁজছেন তিনি। আমাকে অনুরোধ করেছেন যেন তার গুশলান ও মাদানী এভিনিউর জায়গা কিনি।

এ ছাড়া তাকে যেন তাকে ক্রেতা খুঁজে দেই। তার জমি কেনার মতো আমার কাছে এত টাকা নেই। আমি অপারগতা প্রকাশ করেছি। 

নসরুল হামিদের পৈত্রিক ব্যবসা ছিল জমি বেচাকেনা তথা রিয়েল এস্টেটের। তাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হামিদ গ্রুপ। এ গ্রুপের অধীনে হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, হামিদ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড, ডেলকো বিজনেস অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড, হামিদ ইকোনমিক জোন, হামিদ ফ্যাশন লিমিটেড অ্যান্ড হামিদ সোয়েটার লিমিটেড ও হামিদ এগ্রো লিমিটেডের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। হামিদ গ্রুপের রিয়েল এস্টেট ব্যবসার ব্র্যান্ড হলো ‘প্রিয়প্রাঙ্গণ’। গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) পদে রয়েছেন নসরুল হামিদ বিপুর ভাই ইন্তেখাবুল হামিদ অপু। বিপুর মতো তিনিও বর্তমানে পলাতক। 

আরো পড়ুন
বৈশাখের অনুষ্ঠানে যাননি অসুস্থ বিএনপি নেতা, শোকজ পাঠাল দল!

বৈশাখের অনুষ্ঠানে যাননি অসুস্থ বিএনপি নেতা, শোকজ পাঠাল দল!

 

সম্পত্তি বিক্রি বিষয়ে ব্ক্তব্য জানতে নসরুল হামিদ ও তার ভাই ইন্তেখাবুল হামিদের সঙ্গে একাধিক মাধ্যমে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নসরুল হামিদ বিপু ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের পরিমাণ অন্তত ৮ হাজার কোটি টাকা। গত বছরের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত কম্পানিগুলোর ব্যবসা সচল ছিল। কিন্তু এর পর থেকেই পরিস্থিতি ক্রমাগত খারাপ হয়েছে। বেশকিছু কর্মীকে এরই মধ্যে ছাঁটাই কিংবা ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। কম্পানির রিয়েল এস্টেট ব্যবসার অবস্থা খুবই খারাপ। বেশকিছু জমি এরই মধ্যে বেদখল হয়ে গেছে।’

হামিদ রিয়েল এস্টেট কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের আওতায় রাজধানীর কেরানীগঞ্জে প্রিয়প্রাঙ্গণ-১ ও প্রিয়প্রাঙ্গণ-২ আবাসিক এলাকা গড়ে তোলা হয়। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে আবাসিক এলাকাটিতে নগদ ও কিস্তিতে প্লট বিক্রি করছে হামিদ গ্রুপ। আবাসিক এলাকাটির প্রতিষ্ঠাকালীন জোরপূর্বক জমি কিনে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। আবার বাজারমূল্যের চেয়ে কমেও জমি বিক্রিতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন কেউ কেউ।

গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর তার এমপি-মন্ত্রীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তাদের বেশিরভাগ ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। এর মধ্যে কেউ কেউ সম্পত্তি বিক্রি করে সেই টাকা দেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে গেছেন। 

আরো পড়ুন
গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন: নেতানিয়াহুকে ম্যাখোঁ

গাজার মানুষের দুর্দশা বন্ধ করুন: নেতানিয়াহুকে ম্যাখোঁ

 

নসরুল হামিদ ২০১৪ সাল থেকে এক দশকের বেশি সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বিগত দেড় দশকে সরকারের সবচেয়ে বেশি অর্থের অপচয় ও লুটপাট হয়েছে এ মন্ত্রণালয় ঘিরে। নিজের ব্যবসা ও ঘুস-দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত অর্থে নসরুল হামিদ বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। রাজধানীর বাইরে দেশের বিভিন্ন স্থানেও তার সম্পত্তি ও ব্যবসা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত দেড় দশকে দেশের বিদ্যুৎ খাতে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ হয়। বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী (প্রতি ডলার ১২২ টাকা দরে) এ বিনিয়োগের পরিমাণ ৩ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে কেবল ২০০৯-১০ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত এক যুগে বিদ্যুৎ খাতে ২৮ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার (৩ লাখ ৪৬ হাজার কোটি টাকা) বিনিয়োগ হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের এ তথ্য নসরুল হামিদ নিজেই ২০২২ সালে জাতীয় সংসদে জানিয়েছিলেন।

দেশে গত দেড় দশকে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে গণহারে কয়েক ডজন প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এসব প্রকল্প দেওয়া হয়েছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিশেষ আইনের অধীনে। এ আইনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কোনো ধরনের দরপত্র ছাড়াই দরকষাকষির মাধ্যমে প্রকল্প অনুমোদনের সুযোগ রাখা হয়েছিল। শেখ হাসিনা নিজেই এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকায় নসরুল হামিদ একাই পুরো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সর্বেসর্বা ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনের ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েই তিনি বিভিন্ন প্রকল্প ও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন দিতেন।

আরো পড়ুন
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বালুভর্তি ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বালুভর্তি ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২

 

বিদ্যুৎ খাতের একাধিক ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, গত এক দশকে দেশে যতগুলো বিদ্যুৎ কেন্দ্র অনুমোদন পেয়েছে, তার প্রত্যেকটির বিনিময়ে নসরুল হামিদকে শতাংশের হিসাবে ঘুস দিতে হয়েছে। এ খাত থেকে তার প্রাপ্ত ঘুসের পরিমাণই হবে হাজার কোটি টাকার বেশি।

বিদ্যুৎ খাতের পাশাপাশি এলপিজি ও এলএনজি আমদানিতেও বিভিন্নভাবে ভাগ বসিয়েছিলেন নসরুল হামিদ। ২০২১ সালে দেশে এলপিজি আমদানিতে বৃহৎ একটি টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল সরকার। বিপুল বিনিয়োগের এ প্রকল্পটি বাগিয়ে নিতে সিঙ্গাপুরে নিজের মামার নামে নসরুল হামিদ একটি শেল কম্পানি খুলেছিলেন। ওই কম্পানিসহ আরো দুই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইজারল্যান্ডভিত্তিক ভিটল ও জাপানের মারুবেনি করপোরেশনকে ৩০৫ মিলিয়ন ডলারের এলপিজি টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তির জন্য নির্বাচিত করতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন তিনি। গুরুতর এ দুর্নীতির বিষয়টি ওই সময় প্রকাশ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নসরুল হামিদকে পিছিয়ে আসতে হয়।

আরো পড়ুন
গরমে সুস্থ থাকতে পাকা পেঁপে

গরমে সুস্থ থাকতে পাকা পেঁপে

 

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৯৮টি ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৮১ কোটি টাকা অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে এরই মধ্যে নসরুল হামিদ বিপুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিপু ছাড়াও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার স্ত্রী সীমা হামিদ ও ছেলে জারিফ হামিদের নামেও পৃথক মামলা করেছে সংস্থাটি। গত ডিসেম্বরে দায়েরকৃত এসব মামলায় তাকেও আসামি করা হয়েছে।

নসরুল হামিদের বিরুদ্ধে গত বছরের ২২ আগস্ট দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। ওইদিন তার প্রতিষ্ঠান হামিদ গ্রুপে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এ সময় ‘প্রিয়প্রাঙ্গণ’ নামে ভবনের ভেতর থেকে বেশ কয়েকটি ভল্টে থাকা নগদ অর্থ, বৈদেশিক মুদ্রা এবং অস্ত্র-গুলিসহ অন্যান্য সামগ্রী জব্দ করা হয়।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

অটোরিকশায় অশোভন অঙ্গভঙ্গি করা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অটোরিকশায় অশোভন অঙ্গভঙ্গি করা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার

অটোরিকশায় নারী শিক্ষার্থীর প্রতি অশোভন অঙ্গভঙ্গি করা সেই বয়স্ক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। বুধবার এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। 

এতে বলা হয়েছে, গত ১৪ এপ্রিল সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের শিক্ষার্থী অটোরিকশায় করে ডেমরার স্টাফ কোয়ার্টার থেকে বড়ভাঙা যাচ্ছিলেন।

এ সময় তার মুখোমুখি বসা বয়স্ক এক ব্যক্তি বারবার অশোভন অঙ্গভঙ্গি করছে। অটোরিকশা থেকে নামার পর ওই ব্যক্তিকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি তা অস্বীকার করেন। 

পুলিশ আরো জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে উক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুপুরের মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা

দেশের চার অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ জন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

বুধবার ভোর সাড়ে ৫ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন
টিউটরিয়াল : স্পোকেন ইংলিশ

টিউটরিয়াল : স্পোকেন ইংলিশ

 

এতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

এ জন্য এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য

একনজরে আজকের কালের কণ্ঠ (১৬ এপ্রিল)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার

সর্বশেষ সংবাদ