যুদ্ধকালীন আইনে অভিবাসী ফেরতের অনুমতি ট্রাম্পকে

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
যুদ্ধকালীন আইনে অভিবাসী ফেরতের অনুমতি ট্রাম্পকে

অবৈধ ভেনিজুয়েলীয় অভিবাসীদের যুদ্ধকালীন আইনে ফেরত পাঠাতে আদালতের অনুমতি পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিম্ন আদালতের নিষেধাজ্ঞা খারিজ করে গত সোমবার এই রায় দেন সুপ্রিম কোর্ট। এই রায়কে ট্রাম্পের জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তবে সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, ১৭৯৮ সালের বহিঃশত্রু আইনের (এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট) আওতায় যেসব অভিবাসী  নির্বাসনের আওতায় আছেন, তাঁদের আইনি লড়াইয়ের সুযোগ দিতে হবে।

সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে আপাতত ট্রাম্প প্রশাসন নির্বাসনপ্রক্রিয়া পুনরায় শুরুর অনুমতি পাবে।

অভিযুক্ত ভেনিজুয়েলার গ্যাং সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং তাঁদের এল সালভাদরের একটি কুখ্যাত কারাগারে নির্বাসিত করতে এই আইন ব্যবহার করেন ট্রাম্প। এই আইন ১৮১২ সালের যুদ্ধ, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সর্বশেষ ব্যবহৃত হয়েছিল।

নির্বাসিত ভেনিজুয়েলীয় বেশ কয়েকজন অভিবাসীর আইনজীবীরা বলেছেন, তাঁদের মক্কেলরা ভেনিজুয়েলার গ্যাং ত্রেন দে আরাগুয়ার সদস্য নন।

তাঁরা কোনো অপরাধ করেননি। শুধু ট্যাটুর ভিত্তিতে তাঁদের লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারণার সময় লাখো অবৈধ অভিবাসীকে নির্বাসিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লিখেছেন, একজন প্রেসিডেন্ট, তিনি যে-ই হোন না কেন, তাঁকে আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত করতে এবং আমাদের পরিবার ও দেশকে সুরক্ষিত করার অনুমতি দিয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনের শাসনকে সমুন্নত রেখেছেন।

একই সঙ্গে এই রায়কে আমেরিকায় ন্যায়বিচারের একটি মহান দিন আখ্যা দেন এই রিপাবলিকান নেতা।

সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে বহিঃশত্রু আইনের আওতায় যাঁরা নির্বাসনের আওতায় আছেন, যথাযথ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার অধিকার তাঁদের আছে। তাঁরা যে বহিঃশত্রু আইনের আওতায় নির্বাসনের যোগ্য, এই আদেশ জারির পর তাঁদের অবশ্যই নোটিশ দিতে হবে।

সুপ্রিম কোর্ট আরো বলেন, বহিঃশত্রু আইনের আওতায় আটক ব্যক্তিরা নোটিশ এবং অপসারণের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ বা আইনি লড়াইয়ের সুযোগ পাওয়ার অধিকারী। তবে কোন আদালত এই চ্যালেঞ্জ সমাধান করবে, এটাই একমাত্র প্রশ্ন।

নির্বাসনের বিরুদ্ধে মামলা করা আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের (এসিএলইউ) আইনজীবী লি গেলার্ন্ট বলেন, নির্বাসনের আওতায় থাকা ব্যক্তিরা যথাযথ প্রক্রিয়ার অধিকারী বলে যে রায় সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছেন, তা একটি বড় জয়। সূত্র : এএফপি

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

গাজায় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছুটে পালাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা

শেয়ার
গাজায় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছুটে পালাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা
ইসরায়েলের হামলার মুখে গাজায় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ছুটে পালাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। ছবি : এএফপি
মন্তব্য

বাংলাদেশি নারীর জন্য প্লেনের জরুরি ল্যান্ডিং

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশি নারীর জন্য প্লেনের জরুরি ল্যান্ডিং

গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় বাংলাদেশি এক নারী যাত্রী ঢাকাগামী ফ্লাই দুবাইয়ের একটি বিমান পাকিস্তানের করাচি বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে। শুক্রবার মাঝরাতে বিমানটি মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ওই নারী। এরপর জরুরিভাবে ঢাকার আগে এটি করাচিতে অবতরণ করে। তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

তবে বাংলাদেশি নারীকে নামানোর পর ফ্লাই দুবাইয়ের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ফলে ওই বিমানের ১৫০ জনেরও বেশি যাত্রী করাচিতে আটকা পড়েন। ১০ ঘণ্টা অবস্থানের পর তাঁরা ফের ঢাকার দিকে রওনা দেন। পাকিস্তান বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের (পিএএ) এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ফ্লাই দুবাইয়ের এফজেড ৫০১ ফ্লাইটটি দুবাই থেকে ঢাকার দিকে আসছিল।
কিন্তু বাংলাদেশি নারীর জন্য এটি রাত ৩টা ২০ মিনিটের সময় করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরিভাবে অবতরণ করে।  এরপর দুবাই থেকে একটি রিপ্লেসমেন্ট ককপিট ক্রু ও টেকনিক্যাল দল বিমানটির ত্রুটি সারানোর জন্য আসে। উড়ার জন্য  সংকেত পাওয়ার পর করাচি সময় ১টা ২১ মিনিটে বিমানটি আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। সূত্র : দ্য ডন

মন্তব্য
সংক্ষিপ্ত

আফগানিস্তান ও ক্যামেরুনের অভিবাসীদের সুরক্ষা সুবিধা বাতিল করলেন ট্রাম্প

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
আফগানিস্তান ও ক্যামেরুনের অভিবাসীদের সুরক্ষা সুবিধা বাতিল করলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত আফগান ও ক্যামেরুনিয়ানদের সুরক্ষা সুবিধা বাতিল করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির এক মুখপাত্র গত শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছেন। অভিবাসীদের বিরুদ্ধে চলমান কঠোর মার্কিন নীতিমালার আওতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তের ফলে সাময়িক সুরক্ষা মর্যাদা হারাবেন ১৪ হাজার ৬০০ আফগান।

সামনের মাসে তাঁদের সুবিধা বাতিল করা হবে। এ ছাড়া সাত হাজার ৯০০ ক্যামেরুনিয়ান অভিবাসীর মর্যাদা বাতিল হবে জুন মাসে। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের রেকর্ডসংখ্যায় বিতাড়িত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন ট্রাম্প। সেই প্রতিশ্রুতি রাখতেই তিনি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অভিবাসীদের সাময়িক আইনি সুরক্ষার সুযোগ সংকুচিত করেছেন।
এতে বিতাড়িত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে অভিযোগের শেষ নেই ট্রাম্পের। সুযোগ পেলে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে একহাত দেখে নিতেও ছাড়েন না। ট্রাম্পের অভিযোগ, জো বাইডেনের আমলে অবৈধ অভিবাসী গ্রহণের মাত্রা আইনি সীমা অতিক্রম করেছিল।
টিপিএস কর্মসূচির আওতায় একজন অভিবাসী ছয় থেকে ১৮ মাস যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করতে পারেন। এই মেয়াদ আবার নবায়ন করতে পারে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। টিপিএসের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশকারীরা বিতাড়নের ঝুঁকি থেকে মুক্ত থাকেন এবং কাজ করার অনুমতি পান। সূত্র : এএফপি

মন্তব্য

কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাসহ নিহত ৪

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাসহ নিহত ৪

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দেশটির এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় তিন সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদীও নিহত হয়েছে। গতকাল শনিবার ভারতের সামরিক বাহিনী এই তথ্য জানিয়েছে।

ভারতের সেনাবাহিনী বলেছে, বিতর্কিত ভূখণ্ডের দক্ষিণের কিশতোয়ারের প্রত্যন্ত জঙ্গলে গত বুধবার বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষের সূত্রপাত।

এ সময় ভারতীয় সেনারা গুলি চালিয়ে তিন বিচ্ছিন্নতাবাদীকে হত্যা করে।

দেশটির সেনাবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জে বি এস রাঠি বলেন, বন্দুকযুদ্ধে তিন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছে।

এক্সে দেওয়া বার্তায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর হোয়াইট নাইট কোর বলেছে, সংঘর্ষস্থল থেকে অস্ত্র এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে গত শুক্রবার গভীর রাতে কার্যত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) সংলগ্ন কাশ্মীরের সুন্দরবানি জেলায় পৃথক সংঘর্ষে দেশটির এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন।

হোয়াইট নাইট কোর বলেছে, ভারতীয় সেনারা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা নস্যাৎ করে দিয়েছে। গত মাসে ওই অঞ্চলে সন্দেহভাজন বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে দেশটির চার পুলিশ সদস্য নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন আরো কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা। সূত্র : এএফপি

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ