<p>যারা সড়কপথে ভ্রমণ করেন তারা অনেকে জিপিএস (গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম) প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যাতে তারা নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন। এবার সেই জিপিএস ব্যবহার করে আর নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি তিন ব্যক্তি।</p> <p>একটি ক্ষতিগ্রস্ত সেতুতে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন চালক, তারপর তারা গিয়ে পড়েন নদীতে। এ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে গাড়িতে থাকা দুই ভাই এবং আরো এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশে। স্থানীয় সময় রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।</p> <p>গাড়িতে করে বরেলী থেকে বাদায়ুন জেলার ডাটাগঞ্জে যাচ্ছিলেন তিন আরোহী। জিপিএস দেখে খালপুর-ডাটাগঞ্জ সড়ক ধরে চলছিলেন তারা। পথেই ছিল একটি ক্ষতিগ্রস্ত সেতু। পুলিশ জানিয়েছে, সেতুর ভাঙা অংশ দিয়ে গাড়িটি সেতু থেকে ৫০ ফুট নিচে প্রবাহিত রামগঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়ে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ব্রাজিলে যাত্রীবাহী বাস পড়ল গিরিখাদে, নিহত ১৭" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/25/1732509676-d82319912041449cd31bdb7e7569d171.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ব্রাজিলে যাত্রীবাহী বাস পড়ল গিরিখাদে, নিহত ১৭</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/11/25/1450392" target="_blank"> </a></div> </div> <p>গ্রামবাসীরা দেখতে পেয়ে উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রামবাসীরা যাত্রীদের উদ্ধার করতে গেলেও গাড়িতে থাকা দুই ভাইসহ তিনজনের ততক্ষণে মৃত্যু হয়। এরপর গ্রামবাসীরা দুর্ঘটনার খবর পুলিশকে জানায়।</p> <p>সার্কেল পুলিশ অফিসার আশুতোষ শিভাম বলেন, চলতি বছর বন্যায় ওই সেতুটির একাংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়, কিন্তু জিপিএস রুটটি আপডেন না করায় গাড়িচালক বুঝতে পারেননি যে পথটি তাদের জন্য নিরাপদ নয়। সেতুটি ভেঙে পড়লেও সেখানে কোনো ব্যারিকেড ছিল না, এর জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন নিহতদের পরিবার। এ জন্য জেলা প্রশাসককে এ ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করেছেন।</p> <p>সূত্র : এনডিটিভি</p>