<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজার সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকছে না। নিত্যপণ্যের দাম একেবারে আকাশছোঁয়া। তেলের দাম বেড়েছে। আমদানির কোনো প্রভাব পড়েনি পেঁয়াজের দামে। মাছ-মাংসের দাম তো অনেক বেশি। গরিবের পুষ্টি ডিমও এখন গরিবের আয়ত্তের বাইরে। কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। বাজার একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বর্তমান সময়ে মানুষের যেসব দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। নিম্ন আয়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ আয় ও ব্যয়ের সামঞ্জস্য হারিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালের কণ্ঠে গতকাল বাজার নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়েছে, স্বস্তি ফেরেনি নিত্যপণ্যের বাজারে, বরং গত দুই সপ্তাহে বাজারে দামের বড় উল্লম্ফন ঘটেছে। নিত্যপণ্যের এই বাড়তি দামের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিলেও এখনো বাজার অস্থির। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য বাজার করা এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ডিম, ভোজ্য তেল ও চিনির শুল্ক-কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ চেইন তদারক ও পর্যালোচনার জন্য দেশের সব জেলায় বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। নিয়মিত বিভিন্ন বাজার, বৃহৎ আড়ত, গোডাউন বা কোল্ড স্টোরেজ ও সাপ্লাই চেইনের অন্য স্থানগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করবে টাস্কফোর্স। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার বিষয়টি তদারক করবে তারা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের অভিযান চালানোর প্রয়োজন আছে। একই সঙ্গে প্রয়োজন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও তা মেনে চলতে বাধ্য করা। সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বাজারে চাহিদা ও সরবরাহের সামঞ্জস্য নিশ্চিত করা। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের বাজার অস্থির হয় মূলত ব্যবসায়ীদের নানা ধরনের সিন্ডিকেট ও মজুদদারির কারণে। তাঁদের অতিমাত্রায় লোভের বলি হয় সাধারণ ভোক্তারা। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই মনে করে, অনাবশ্যক হাতবদল কমিয়ে যৌক্তিক মূল্যে পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে। কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত একটি খবরে বলা হয়েছে, এক কেজি চিকন চাল উৎপাদকের কাছ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে দাম বাড়ছে ৪০৪ শতাংশ। একইভাবে মোটা চালের দামও খুচরা পর্যায়ে এসে বেড়ে দাঁড়ায় ২৬০ শতাংশে। উৎপাদনকারী, দুই ধাপের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার হাত ঘুরে চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি বাজারের সমস্যা, বাজারকে ব্যবহার করেই এর সমাধান বের করতে হবে। সব ধরনের বাজারে সফলভাবে কাজ করতে হলে উৎপাদন, বিতরণ, সংরক্ষণ, পরিবহন কার্যক্রমে পূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে হবে। বাজারের সঙ্গে যুক্ত অনেকের অভিযোগ, বিভিন্ন পর্যায়ে তারা চাঁদাবাজির শিকার হয়, যা শেষ পর্যন্ত সেই ব্যয় পণ্যের ওপর বর্তায় এবং ভোক্তাকে বেশি দাম দিতে হয়। চাঁদাবাজি কমালে বহু পণ্যের দাম কমে আসবে। মূল্যস্ফীতি কমে আসবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারকে সাধারণ মানুষের সাধ্যের মধ্যে রাখার কোনো বিকল্প নেই। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে আইনের আওতায় এনে বাজারে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা এবং সরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি করা গেলে বাজার পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে আসবে বলে আমরা মনে করি।</span></span></span></span></p>