<p>প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল হাকিম বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে জড়িত সব কর্মকর্তা ও শিক্ষক-শিক্ষিকার সন্তানদের অবশ্যই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া নিশ্চিত করতে হবে। কারো সন্তান কিন্ডারগার্টেন বা অন্য কোনো বিদ্যালয়ে পড়ার প্রমাণ পেলে তাকে দূরে কোথাও বদলি করা হবে।</p> <p>শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ‘শতভাগ জন্মনিবন্ধন, মা/অভিভাবকের এনআইডি তৈরি এবং স্বীয় এনআইডি দিয়ে নিবন্ধিত মোবাইল সীম ও এমএফএস অ্যাকাউন্ট নম্বর খোলা নিশ্চিতকরণে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সমন্বয়ে সামাজিক উদ্বুদ্ধকরণ’ উপবৃত্তি বিষয়ক এক দিনের এই কর্মশালার আয়োজক প্রাথমিক শিক্ষা, খুলনা বিভাগ।</p> <p>কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (উপবৃত্তি) ড. নাছিমা বেগম এবং স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষার বিভাগীয় উপপরিচালক মো. মোসলেম উদ্দিন।</p> <p>কর্মশালায় জানানো হয়েছে, শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের আরা আন্তরিক হতে হবে। এ ছাড়া যেসব শিক্ষার্থীর ইতোমধ্যেই ৪৫ দিনের বেশি বয়স হয়েছে বিশেষ করে তৃতীয়, চতুর্থ এমনকি পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ছে তাদের জন্ম নিবন্ধন সহজীকরণের ওপর জোর দিতে হবে। এ সময় শিক্ষার্থীর নিজ নামের জন্ম নিবন্ধনের পাশাপাশি বৈধ অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে মোবাইল রেজিস্ট্রেশন করা এবং তাতে নগদ অ্যাকাউন্ট থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা ছাড়াও নগদ অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর সংরক্ষণসহ বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়। </p> <p>এই কর্মশালায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলা থেকে আগত প্রাথমিক শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।</p>