<p style="text-align:justify">সোহরাওয়ার্দী ও কবি নজরুল কলেজে মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে আজ উত্তপ্ত পুরান ঢাকা। পূর্বঘোষিত ‘মেগা মানডে’ কর্মসূচিতে সকাল থেকে কবি নজরুল সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে দুই কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।</p> <p style="text-align:justify">সকাল ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি দল যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা অতিক্রম করেন বলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কালের কণ্ঠের প্রতিনিধি জানিয়েছেন। সড়ে ১২টার দিকে স্টাফ কোয়ার্টার এলাকা অতিক্রম করছিল। এ সময় তাদের বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন। তারা বলছেন, 'সাত কলেজ আসছে, রাজপথ কাঁপছে; ডিএমআরসির চামড়া, তুলে নেব আমরা;' অনেকের হাতে লাঠিসোঁটাও দেখতে পাওয়া গেছে। যদিও শিক্ষার্থীরা বলছেন, তারা শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করবেন। তাদের ক্যাম্পাসে হামলা চালানোর প্রতিবাদে আজ তারা লংমার্চ করবেন। </p> <p style="text-align:justify">এর আগে চিকিৎসকের অবহেলায় মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদারের মৃত্যুর অভিযোগে গতকাল পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুর চালান শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা পাশের সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজেও হামলা ও ভাঙচুর চালান। এতে রাজধানীর ১৫টিরও বেশি কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন বলে অভিযোগ উঠেছে।</p> <p style="text-align:justify">তারও আগে গত ১৮ নভেম্বর ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪-এর শিক্ষার্থী অভিজিৎ হালদার মারা যান। এর এক দিন আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত অভিজিতের প্লাটিলেট কমে গেলে তার পরিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিতে চায়, তবে বাধা দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে অভিজিতের মৃত্যুর পর টাকা দাবি করে লাশ আটকে রাখে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত ২০ নভেম্বর ডিএমআরসি কলেজের শিক্ষার্থীরা লাশ নিতে এলেও কোনো সমাধান হয়নি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। সন্ধ্যার পর পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়।</p> <p style="text-align:justify">পরদিন ২১ নভেম্বর ডিএমআরসির শিক্ষার্থীরা আবার ন্যাশনাল মেডিক্যালে এলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এদিন বিকেলে ফের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ার গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।</p>