ঢাকা, মঙ্গলবার ০৪ মার্চ ২০২৫
১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৩ রমজান ১৪৪৬

দমকল বাহিনী

  • সপ্তম শ্রেণির ডিজিটাল প্রযুক্তি বইয়ের ষষ্ঠ অধ্যায়ে তোমরা দমকল বাহিনী সম্পর্কে জেনেছ। এই বাহিনীর বিষয়ে আরো যা জানতে পারো—
শেয়ার
দমকল বাহিনী
আগুন নেভানোর কাজে ব্যস্ত দমকল বাহিনীর সদস্যরা।ছবি : কালের কণ্ঠ

ব্রিটিশ আমলে কলকাতায় আগুন নেভানোর কাজ করত পুলিশ। তবে কোথায় আগুন লেগেছে সেই খবর পৌঁছতে লেগে যেত অনেক সময়। সে জন্য আগুন লাগলে সতর্ক করার একটি ব্যবস্থা চালু করেছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানি। উঁচু বাঁশের মাচায় তারা একজন করে লোক বসিয়ে রাখত, তার দায়িত্ব ছিল চারদিকে নজর রাখা।

ধোঁয়া দেখা গেলেই সেই লোক শিঙা ফুঁকে জানান দিত। এই ব্যবস্থা বেশ কিছুদিন চলার পর একটু আধুনিক পদ্ধতি চালু করে ব্রিটিশরা। বিভিন্ন রাস্তায় ফায়ার ব্রিগেডকে সতর্ক করার যন্ত্র স্থাপন করে তারা। যন্ত্রটি তৈরির পেছনের কারিগর ছিলেন ব্রিটিশ অফিসার ক্যাপ্টেন বার্নাড অ্যানসন ওয়েস্টব্রুক।
লাল রঙের লোহার বাক্সে থাকত সেটি। কাচে ঢাকা একটা খোপে থাকত হাতল ঘুরিয়ে দম দেওয়া এই যন্ত্র। ওই হাতল ঘোরালেই খবর চলে যেত কাছের দমকল দপ্তরে যে ওই এলাকায় আগুন লেগেছে। মূলত হাতল ঘোরালে মাটির নিচে পাতা তারের মাধ্যমে ফায়ার ব্রিগেডের কাছে খবর পৌঁছত।
এ দম দেওয়া যন্ত্র থেকেই আগুন নেভানোর বাহিনীর নাম এসেছে দমকল বাহিনী। অথচ ইংরেজিতে ফায়ার ব্রিগেড অথবা ফায়ার সার্ভিসের বাংলা করলে দাঁড়ায় অগ্নিনির্বাপক বাহিনী। অবশ্য শুরুতে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়িতে পানির যে পাম্পগুলো থাকত সেগুলো চালাতে হতো হাতল ঘুরিয়ে, অর্থাৎ দম দিয়ে। এ থেকেও ফায়ার ব্রিগেডের বাংলা নাম দমকল হওয়ার সম্ভাবনা আছে। দমকল শব্দটি আমরা বাংলা ভাষায় প্রথম পাই ১৭৮২ সালে অগুস্তাঁ ওসাঁর শব্দকোষ থেকে।

বাংলাদেশে ১৯৮১ সালে দমকল বাহিনী গঠন করা হয়। দেশের অভ্যন্তরের গুরুত্বপূর্ণ জরুরি সেবাদানকারী সংস্থা এটি। অগ্নিকাণ্ড, দুর্ঘটনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় কাজ করে বাহিনীটি। তবে আধুনিক সমাজে দমকল বাহিনীর কাজ শুধু আগুন নেভানোতে সীমাবদ্ধ নয়; তারা উদ্ধার কার্যক্রম, চিকিৎসাসেবা, বহুতল বাণিজ্যিক ভবনের ছাড়পত্র প্রদান, অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণে পরামর্শ ও মহড়া পরিচালনা, বেসামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। বিভিন্ন বিপর্যয় মোকাবেলার ক্ষেত্রেও সমান ভূমিকা পালন করে। দমকল বাহিনীর সদস্যরা বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। বাংলাদেশে দমকল বাহিনী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নামে পরিচিত। এই সংস্থা শহর ও গ্রামাঞ্চলে সেবা প্রদান করে। বিশেষত, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অগ্নিকাণ্ড বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তাদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দমকল বাহিনী আগুন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে।

আল সানি

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

    অনামিকা মণ্ডল, সহকারী শিক্ষক, পাজরাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নাজিরপুর, পিরোজপুর
শেয়ার
পঞ্চম শ্রেণি : বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

পঞ্চম অধ্যায়

জনসংখ্যা

সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

১। বাংলাদেশ কী ধরনের দেশ?

    উত্তর : বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ।

২। জনসংখ্যার তুলনায় এ দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা কেমন?

    উত্তর : জনসংখ্যার তুলনায় এ দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা অনেক কম।

৩। মানুষের কর্মদক্ষতা কিভাবে বৃদ্ধি পাবে?

    উত্তর : রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন টিকা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকারি সহায়তা বাড়ানো হলে মানুষের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পাবে।

৪। বাণিজ্যিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য বাংলাদেশকে কী করতে হবে?

    উত্তর : বাণিজ্যিক ভারসাম্য রক্ষার জন্য বাংলাদেশকে আমদানির তুলনায় রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।

৫। অনেক মা-বাবা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারেন না। এর প্রধান কারণ কী?

    উত্তর : অনেক মা-বাবা তাঁদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারেন না। এর প্রধান কারণ দারিদ্র্য।

৬। অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য বসতি স্থাপনের কারণে কিসের পরিমাণ কমে যাচ্ছে?

    উত্তর : অতিরিক্ত জনসংখ্যার জন্য বসতি স্থাপনের কারণে কৃষিজমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে।

৭। শহরে আসা ছিন্নমূল মানুষ কেমন অবস্থায় বসবাস করছে?

    উত্তর : শহরে আসা ছিন্নমূল মানুষ মানবেতর অবস্থায় বসবাস করছে।

৮।

মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম কোনটি?

    উত্তর : মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরিধেয় বস্ত্র।

৯। কী কারণে বিভিন্ন চাহিদা পূরণে পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়?

    উত্তর : অধিক জনসংখ্যার ফলে বিভিন্ন চাহিদা পূরণে পরিবারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়।

১০। অনেক শিশু লেখাপড়া শেষ না করে ঝরে পড়ে কেন?

    উত্তর : পরিবারকে সাহায্য করতে গিয়ে অনেক শিশু লেখাপড়া শেষ না করে ঝরে পড়ে।

১১। অনেক শিশু বিদ্যালয়ে আসতে চায় না কেন?

    উত্তর : উপযুক্ত পোশাক না থাকায় অনেক শিশু বিদ্যালয়ে আসতে চায় না।

মন্তব্য

টিউটরিয়াল : স্পোকেন ইংলিশ

    মো. মশিউর রহমান খান, প্রভাষক (ইংরেজি), জয়পুরহাট বিএড কলেজ, জয়পুরহাট সদর, জয়পুরহাট
শেয়ার
টিউটরিয়াল : স্পোকেন ইংলিশ

পর্ব-৪০

          Must

    অবশ্যই কোনো কাজ করতে হবেএমন কথা প্রকাশ করতে তোমরা নিচের Structure-টি ব্যবহার করো। 

          Structure

Subject + mus t + verb1 + obj + ext. 

Practice

1.       I mus t forbid him.

আমি তাকে অবশ্যই নিষেধ করব।

2.       He/She mus t forgive us.

সে আমাদের অবশ্যই ক্ষমা করবে।

3.       They mus t dance the s tage.

তারা অবশ্যই মঞ্চে নাচবে।

4.       You mus t close the door.

তুমি অবশ্যই দরজা বন্ধ করবে।

5.       We mus t go to market.

আমরা অবশ্যই বাজারে যাব।

 

 Mus t be

    অবশ্যই কোনো কাজ করতে হচ্ছেএমন কথা প্রকাশ করতে তোমরা নিচের Structure-টি ব্যবহার করো। 

          Structure

Subject + mus t be + verb + ing + obj + ext.

 

Practice

1.       I mus t be singing a song.

আমি অবশ্যই গান গাচ্ছি।

2.       He/she mus t be opening the door.

সে অবশ্যই দরজাটি খুলছে।

3.       They mus t be joining us.

তারা অবশ্যই আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে।

4.       We mus t be playing chess.

আমরা অবশ্যই দাবা খেলছি।

মন্তব্য

এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র

    এস এম জিহাদ, প্রভাষক, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ, শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর, ঢাকা
শেয়ার
এইচএসসির প্রস্তুতি : হিসাববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র
অঙ্কন : শেখ মানিক

চতুর্থ অধ্যায়

যৌথ মূলধনী কম্পানির মূলধন

বহু নির্বাচনী প্রশ্ন

৭।  শেয়ারের অভিহিত মূল্য ও বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যকে বলা হয়

          i. শেয়ার অধিহার

          ii. শেয়ার অবহার

          iii. শেয়ার ইস্যু খরচ

    নিচের কোনটি সঠিক?

    ক. i ii

    খ. i iii

    গ. ii iii

    ঘ. i, ii iii

৮।  রাইট শেয়ার কাদের মধ্যে ইস্যু করা হয়?

    ক. নতুন শেয়ার আবেদনকারীদের

    খ. ঋণপত্রের মালিকদের

    গ. বিদ্যমান সাধারণ শেয়ার মালিকদের

    ঘ. বিদ্যমান অগ্রাধিকার শেয়ার মালিকদের

৯।  যৌথ মূলধনী কম্পানির মূলধনকাঠামোর উপাদান

          i. শেয়ার মূলধন

          ii. ঋণপত্র

          iii. সংরক্ষিত আয়

    নিচের কোনটি সঠিক?

    ক. i ii

    খ. i iii

    গ. ii iii

    ঘ. i, ii iii

১০।

কম্পানির শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয়ের দায়িত্ব গ্রহণকারীদের কী বলে?

    ক. শেয়ারবাজার  খ. শেয়ার দালাল

    গ. কমিশন এজেন্ট ঘ. অবলেখক

১১। কোন ধরনের শেয়ারের মূল্য নির্দিষ্ট সময় শেষে ফেরতযোগ্য?

    ক. বোনাস শেয়ার খ. রাইট শেয়ার

    গ. সাধারণ শেয়ার ঘ. অগ্রাধিকার শেয়ার

    নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১২ ও ১৩ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

    লিলি লিমিটেডের অনুমোদিত মূলধন প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারে বিভক্ত মোট ২০,০০,০০০ টাকা। কম্পানি এর তিন-পঞ্চমাংশ শেয়ার অধিহারে পূর্ণ পরিশোধিত হারে বিক্রয় করে ১৩,২০,০০০ টাকা সংগ্রহ করে।

১২।

লিলি লিমিটেড মোট কত শেয়ার বিক্রয় করে?

    ক. ১,২০,০০০  খ. ৩,৫০,০০০

    গ. ৪,০০০ ঘ. ৪৫,০০০

১৩। লিলি লিমিটেডের শেয়ারপ্রতি অধিহার কত টাকা?

    ক. ৩.০০ টাকা  খ. ৪.০০ টাকা

    গ. ১.০০ টাকা  ঘ. ৭.০০ টাকা

১৪। কম্পানির সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা

          i. নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পায়

          ii. লভ্যাংশ পরে পায়

          iii. ভোটাধিকার পায়

    নিচের কোনটি সঠিক?

    ক. i ii

    খ. i iii

    গ. ii iii

    ঘ. i, ii iii

১৫. গ্রিন কম্পানির অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ৫০,০০০ শেয়ারে বিভক্ত। ইস্যুকৃত মূলধনের পরিমাণ অনুমোদিত মূলধনের ৮০% এবং বিলি করা মূলধনের পরিমাণ ইস্যুকৃত মূলধনের ৯০% হলে ওই কম্পানির বিলি করা মূলধনের পরিমাণ কত টাকা?

    ক. ৩,০০,০০০ টাকা   খ. ৪,৫০,০০০ টাকা

    গ. ৩,৬০,০০০ টাকা   ঘ. ৭,৫০,০০০ টাকা

১৬।

অগ্রাধিকারযুক্ত শেয়ারহোল্ডাররা অগ্রাধিকার পায়

          i. লভ্যাংশ প্রাপ্তিতে

          ii. মূলধন প্রত্যর্পণে

          iii. পরিচালক নির্বাচনে

    নিচের কোনটি সঠিক?

    ক. i ii

    খ. i iii

    গ. ii iii

    ঘ.i, ii iii

১৭। নিচের কোনটিকে কম্পানির গঠনতন্ত্র বলা হয়?

    ক. বিবরণপত্র    খ. নিবন্ধনপত্র

    গ. পরিমেল নিয়মাবলি  ঘ. স্মারকলিপি

১৮। বাংলাদেশের কম্পানি আইনে কয় ধরনের কম্পানির উল্লেখ আছে?

    ক. ২ খ. ৫

    গ. ৬ ঘ. ১

১৯। নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ পায়

    ক. অগ্রাধিকার শেয়ারহোল্ডাররা

    খ. সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা

    গ. উদ্যোক্তা শেয়ারহোল্ডাররা

    ঘ. বন্ডহোল্ডাররা

২০। মূলধনের অসম মূল্যের অংশকে কী বলা হয়?

    ক. অগ্রাধিকার শেয়ার   খ. স্টক

    গ. বন্ড        ঘ. সাধারণ শেয়ার

২১।

ঋণপত্রের মালিকদের অর্জন কী?

    ক. লভ্যাংশ খ. সুদ

    গ. সম্মানী  ঘ. ভাতা

২২। সর্বোচ্চ শতকরা কত হারে একটি কম্পানি অবহারে শেয়ার ইস্যু করতে পারে?

    ক. ১০%   খ. ২৯%

    গ. ১৫%   ঘ. ৩০%

২৩। ১০০ টাকা মূল্যের শেয়ার ৯০ টাকায় ইস্যু করা হলে শেয়ার মূলধনের কত টাকা করে হিসাবভুক্ত হবে?

    ক. ১০ টাকা    খ. ১০০ টাকা

    গ. ১৯০ টাকা   ঘ. ১১০ টাকা

    নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৪ ও ২৫ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :

    গামা কম্পানির অনুমোদিত মূলধন প্রতি ১০ টাকা মূল্যের ১,০০,০০০ শেয়ারে বিভক্ত। প্রথম বছর কম্পানি ১ টাকা অধিহারে ৬০,০০০ শেয়ার ইস্যু করে। ৮০,০০০ শেয়ারের আবেদন পাওয়া গেল।

২৪। শেয়ার অধিহারের পরিমাণ কত টাকা?

    ক. ৩,০০,০০০ টাকা       খ. ৫০,০০০ টাকা

    গ. ৬০,০০০ টাকা     ঘ. ৭,৫০,০০০ টাকা

২৫। শেয়ার আবেদনে কত টাকা পাওয়া গেল?

    ক. ৩,০০,০০০ টাকা       খ. ৪,৫০,০০০ টাকা

    গ. ৮,৮০,০০০ টাকা       ঘ. ৭,৫০,০০০ টাকা

২৬। কোনটিকে কম্পানির সনদ বলা হয়?

    ক. নিবন্ধনপত্র        খ. পরিমেল বন্ধ

    গ. পরিমেল নিয়মাবলি  ঘ. ঘোষণাপত্র

২৭। একটি যৌথ মূলধনী কম্পানি

          i. চিরন্তন অস্তিত্বসম্পন্ন

          ii. নিবন্ধিত

          iii. সীমাহীন দায়বিশিষ্ট

    নিচের কোনটি সঠিক?

    ক. i ii

    খ. i iii

    গ. iiiii

    ঘ. i, ii iii

২৮। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত কম্পানি আইন কত সালে প্রবর্তন করা হয়?

    ক. ১৯৩২  খ. ১৯৯৪

    গ. ১৯৯৯  ঘ. ১৯৯৫

    নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ২৯ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :

    সুরমা লিমিটেড প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ১,০০,০০০ শেয়ারে নিবন্ধিত। কম্পানি ৩০,০০০ শেয়ার ৩,৮০,০০০ টাকায় এবং ৫০,০০০ শেয়ার ৬,৪০,০০০ টাকায় বিলি করল।

২৯। কম্পানির মোট অধিহারের পরিমাণ কত?

    ক. ৩,০০,০০০ টাকা       খ. ৪,৫০,০০০ টাকা

    গ. ২,২০,০০০ টাকা       ঘ. ৭,৫০,০০০ টাকা

 

    উত্তর : ৭. ক ৮. গ ৯. ঘ ১০. ঘ ১১. ঘ ১২. ক ১৩. গ ১৪. গ ১৫. গ ১৬. ক ১৭. ঘ ১৮. ক ১৯. ক ২০. খ ২১. খ ২২. ক ২৩. খ ২৪. গ ২৫. গ ২৬. খ ২৭. ক ২৮. গ ২৯. গ।

মন্তব্য

মালাই

    অষ্টম শ্রেণির শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে তোমরা মালাই সম্পর্কে জেনেছ। গরম দুধ ঠাণ্ডা হতে থাকলে তার ওপরে জমে ওঠা মোটা সরই হলো মালাই। এই সম্পর্কে আরো যা জানতে পারো—
শেয়ার
মালাই
দুধের মালাই চপ মিষ্টি।ছবি : সংগৃহীত

বাংলার মিষ্টান্নর ঐতিহ্যের কথা বললে মালাইয়ের নাম প্রথম সারিতেই থাকবে। একটা সময়ে নবাবি দরবার থেকে শুরু করে প্রতিটি ঘরে মালাইয়ের উপস্থিতি ছিল অপরিহার্য। শীতের সকালে বাবার সঙ্গে হাটে গিয়ে কাঁচা দুধের হাঁড়ি থেকে আলতো করে তুলে আনা মালাইয়ের স্বাদ আজও জিভে লেগে আছে গত শতকে জন্ম নেওয়া অনেকেরই। তবে মালাইয়ের উৎপত্তির সঠিক কাল নির্ধারণ করা কঠিন।

ধারণা করা হয়, ভারতবর্ষে দুগ্ধজাত খাবারের প্রচলন হাজার বছর আগে থেকেই। মোগল আমলে নানা রকম মিষ্টান্ন তৈরিতে ব্যবহৃত হতো মালাই, বিশেষ করে লখনউ ও দিল্লির অভিজাত পরিবারগুলোতে মালাইয়ের কদর ছিল বেশ। পরবর্তী সময়ে এপার-ওপার দুই বাংলায় মালাইয়ের কদর বাড়ে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মালাই দিয়ে তৈরি হয় ভিন্নধর্মী সব খাবার।

বর্ধমানের মিহিদানা, নাটোরের কাঁচা গোল্লা কিংবা রাজশাহীর ক্ষীরমোহনের মতো বিখ্যাত মিষ্টির অন্যতম উপাদান মালাই। ঢাকাইয়াদের মালাই চা, পুরান ঢাকার মালাই টোস্ট কিংবা পায়েসেও মালাইয়ের ছোঁয়া অমোঘ। শুধু মিষ্টান্ন নয়, বিয়েসহ বিভিন্ন উৎসবে মালাই কোপ্তা কিংবা মালাই কারি নোনতা পদগুলোও বেশ জনপ্রিয়। 

মালাই আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে নানাভাবে মিশে আছে।

ঢাকার ক্যাফেগুলোতে মালাই চা এখন ফ্যাশন। ইউরোপের পেস্ট্রিতে মালাইয়ের ঘনত্ব অনুসরণ করে বানানো হয় ক্রিমভিত্তিক ডেজার্ট। এমনকি পাশের দেশ ভারতে মালাই কুলফি কিংবা মালাই বরফির জনপ্রিয়তা এখনো অটুট।

বর্তমানে আমাদের দেশে খাঁটি গরুর দুধ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। ফলে বাজারে মালাই নামে বিক্রি হচ্ছে নানা রকম প্রক্রিয়াজাত ক্রিম।

অনেকে সর, মালাই ও মাখনকে একই জিনিস ভাবে। কিন্তু তিনটি আলাদা বস্তু। দুধের ওপরে ঘনীভূত চর্বি আর প্রোটিনের পরত হলো সর। সরসহ ঘন দুধের মিশ্রণকে বলা হয় মালাই। অন্যদিকে কাঁচা দুধকে সেন্ট্রিফিউজ করে যে ঘন পদার্থ পাওয়া যায়, সেটিই মাখন।

আল সানি

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ