বিএনপির সঙ্গে মিত্রদের বৈঠক

নির্বাচনের জন্য সরকারে চাপ সৃষ্টির কর্মসূচিতে ঐকমত্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নির্বাচনের জন্য সরকারে চাপ সৃষ্টির কর্মসূচিতে ঐকমত্য

দ্রুত সংস্কার শেষে জাতীয় নির্বাচন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ দেশের চলমান পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে রাজপথে কর্মসূচি করার বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেছে ১২ দলীয় জোট ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে বিএনপি। ১২ দলীয় জোটের বৈঠকে বিএনপির পক্ষে ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।

সম্প্রতি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্বাচন ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সমমনা রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথে কর্মসূচি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। সে অনুযায়ী, সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে দলটি। 

উভয় বৈঠক সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনসহ জনসম্পৃক্ত ইস্যুতে সমাবেশ, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের ভুলগুলো ধরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করে তারা।

কী কী করলে দেশ ও জনগণের জন্য ভালো হবে, সে বিষয়ে পরামর্শও দেওয়া হবে। 

বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অনেক বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। যেকোনো দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তি মানুষের কল্যাণের জন্য যেসব কাজ করা উচিত, সেসব কাজে তাদের কোন দ্বিমতের কারণ নেই।

আমরা যুগপৎ আন্দোলন করেছিলাম, সেই আন্দোলন সব সময় সরকারের বিরোধী হবে এমন কথাও নেই। যেকোনো আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আমরা যুগপৎ আন্দোলন একসঙ্গে করতে পারি।

তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ফ্যাসিবাদের পতন চেয়েছি। ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে, কিন্তু এখনো গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে পারিনি। দেশের জনগণের অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভোটের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।

এ রকম একটা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যা কিছু সংস্কার প্রয়োজন, সেগুলো করেই নির্বাচন হবে। তার জন্য মিনিমাম যে টাইম, সেটা তো লাগবে। কিন্তু মনে করি না সেই সংস্কার করে নির্বাচন করতে বেশি সময় লাগার কথা।

১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জোটপ্রধান জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।

পৃথক আরেকটি বৈঠকে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক, সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, মাওলানা জুনায়েদ আল-হাবীব, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বকেয়া মজুরি প্রদানসহ কয়েকটি দাবিতে সাভারে সড়ক অবরোধ শ্রমিকদের

    গাজীপুরে গুজব ছড়িয়ে ভাঙচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর ও সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর ও সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
বকেয়া মজুরি প্রদানসহ কয়েকটি দাবিতে সাভারে সড়ক অবরোধ শ্রমিকদের
বকেয়া মজুরি প্রদান, মজুরি বৃদ্ধি, ঈদ বোনাসসহ বিভিন্ন দাবিতে গতকাল সাভারের উলাইল এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। ছবি : কালের কণ্ঠ

সাভারে রমজান মাসে কর্মঘণ্টা কমানো, বকেয়া মজুরি প্রদান, মজুরি বৃদ্ধিসহ বেশ কিছু দাবিতে এবং ১৩ শ্রমিককে চাকরিচ্যুতির প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন ডায়নামিক সোয়েটার কারখানার শ্রমিকরা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাভারের উলাইল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এ সময় পার্শ্ববর্তী আনলিমা গার্মেন্টস, আল মুসলিম গার্মেন্টসের শ্রমিকদেরও রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান আন্দোলনকারীরা।

তাতে সাড়া না পেয়ে তাঁরা আনলিমা গার্মেন্টস লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন।

খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ, শিল্পাঞ্চল পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে শ্রমিকরা মহাসড়কের মূল লেন ছেড়ে ঢাকামুখী সার্ভিস লেনে অবস্থান নেন।

বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, গত ডিসেম্বর মাসে মজুরি ও ওভারটাইম বৃদ্ধির আন্দোলন করলে মালিকপক্ষ আশ্বাস দিয়েছিলেন, কিন্তু কথা রাখেননি।

এ নিয়ে রবিবার শ্রমিকরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে গেলে তারা আলোচনা করতে অস্বীকার করেন। তারপর গতকাল কারখানা অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেন। এর প্রতিবাদেই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।

শ্রমিকদের দাবিবেতন ৯ শতাংশ হারে বাড়ানো, হাজিরা বোনাস এক হাজার টাকা করা, ইফতারির বিল বাড়ানো এবং বন্ধের দিন কাজ করালে ওভারটাইমের হারে বিল দিতে হবে।

এ ছাড়া বেতনের সমহারে ঈদ বোনাস, বার্ষিক ছুটির টাকা প্রদান, ওভারটাইমের বকেয়া প্রদান ও রমজান মাসে কর্মঘণ্টা কমানোর দাবিও রয়েছে।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুল কবির জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।

যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে।

গাজীপুরে গুজব ছড়িয়ে ভাঙচুর

গাজীপুর মহানগরীর ভোগড়া বাইপাস এলাকায় এক নারী শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কারখানা ভাঙচুর, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ গার্মেন্ট শ্রমিকরা। স্থানীয় প্যানারোমা অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিক লাবনীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

এ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহত আফছানা আক্তার লাবনী (৩০) ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার পাররুখী গ্রামের আফসার আলীর মেয়ে। তিনি স্বামী হৃদয় হোসেনের (৩৫) সঙ্গে গাজীপুর সদর থানার হাড়িনাল এলাকায় ভাড়া থাকতেন।

পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে এক নারী শ্রমিক ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। পরের দিন (গতকাল) সকালে কর্তৃপক্ষের অবহেলায় মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ তুলে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

একপর্যায়ে তাঁরা মহাসড়কে টায়ার ও আগুন ধরিয়ে দেন এবং কারখানায় ভাঙচুর চালান। কারখানার সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও একটি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা। এতে ওই এলাকার অন্য কারখানাগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভোগড়া বাইপাস, চান্দনা চৌরাস্তা, বোর্ডবাজার, নাওজোর, ছয়দানা মালেকের বাড়ি এলাকার অন্তত ২০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ধাওয়া দিয়ে ওই মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে সকাল ১০টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

লাবনীর মৃত্যু নিয়ে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া গেছে। শ্রমিকদের দাবি, রবিবার কারখানায় কাজ করার সময় লাবনী অসুস্থ হয়ে পড়লে ছুটি চান। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ছুটি না দিলে তিনি আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

অপরদিকে কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, লাবনী কারখানা ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। ছাদে ওঠা এবং লাফ দিয়ে পড়ার ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে।

লাবনীর মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বজনরা কারখানায় এসে ঘটনার জন্য স্বামী হৃদয়কে দায়ী করেন। চাকরি করা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া ও মনোমালিন্য চলছিল।

বাসন থানার ওসি কায়সার আহমেদ জানান, লাবনীর স্বজনদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী হৃদয়কে রবিবার বিকেলেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার পরও গুজব ছড়িয়ে শ্রমিকদের একটি মহল সড়ক অবরোধ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

মন্তব্য

বরিশালে যুবদল নেতাসহ চট্টগ্রাম-মোহনগঞ্জে তিন খুন

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
বরিশালে যুবদল নেতাসহ চট্টগ্রাম-মোহনগঞ্জে তিন খুন

বরিশালে জমি বিক্রি নিয়ে বিরোধের জেরে এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে আগুন দিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে যুবকের বিরুদ্ধে। চট্টগ্রাম ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ছুরিকাঘাতে দুজনকে খুন করা হয়েছে।

এ ছাড়া কুষ্টিয়ার কুমারখালী ও রাজশাহীর পবা উপজেলায় দুই মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

বরিশাল : বরিশালে জমি বিক্রি নিয়ে বিরোধের জেরে সুরুজ গাজী (৩৫) নামের এক যুবদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহীন হাওলাদারের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। গত রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর কাউনিয়া শের-ই-বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে এ ঘটনা ঘটে।

সুরুজ গাজী ওই এলাকার কাঞ্চন গাজীর ছেলে এবং সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এ ছাড়া আহত নয়ন গাজী একই এলাকার তসলিম গাজীর ছেলে এবং ওই ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। শাহীনও একই ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শাহীন হাওলাদার ও সুরুজ গাজী অন্যের জমি বিক্রির কাজের সঙ্গে জড়িত।

এ নিয়ে দুজনের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিল। বিষয়টি নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে শাহীন হাওলাদারের নেতৃত্বে তাঁর ছেলে ইমনসহ কয়েকজন গিয়ে সুরুজ গাজীকে কুপিয়ে জখম করে। সুরুজকে রক্ষায় এগিয়ে গেলে নয়নকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। স্থানীয় লোকজন দুজনকে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুরুজকে মৃত ঘোষণা করেন।
নয়ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে শাহীনের বাড়িতে আগুন দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

জানতে চাইলে কাউনিয়া থানার ওসি নাজমুল নিশাত বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে কুপিয়েছে। এতে একজন নিহত এবং একজন আহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ মাঠে রয়েছে।

চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে। গত রবিবার মধ্যরাতে নগরীর কোতোয়ালি থানার জেল রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শাহেদ হোসেন নামের হামলাকারীকে ধরে পুলিশে দিয়েছে পথচারীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ছুরি নিয়ে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে জেল রোডের মুখে দাঁড়িয়ে ছিলেন শাহেদ হোসেন। এ সময় আমানত শাহ মাজার সংলগ্ন এলাকায় ভবঘুরে যুবকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি শুরু হয় তাঁর। এক পর্যায়ে শাহেদ ওই ভবঘুরে যুবককে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথচারীরা তাঁকে ধরে পুলিশে দেয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া : কসবায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। গত রবিবার গভীর রাতে উপজেলার ধজনগর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গতকাল সোমবার সকালে পুলিশ দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন ধজনগর গ্রামের রওশন আলীর মেয়ে যুঁথী আক্তার (২২) ও তাঁর বোন স্মৃতি আক্তার (১৪)। যুঁথী ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। বছর দেড়েক আগে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে আমীর হোসেনের সঙ্গে যুঁথীর বিয়ে হয়। স্মৃতি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। তাদের বাবা বেঁচে নেই। একটি মামলায় মা জেলহাজতে আছেন। বড় এক ভাই প্রবাসে থাকেন।

যুঁথী ও স্মৃতির মামাতো ভাই মো. মহসীন বলেন, বিকেলে আমাকে জানানো হয়, তাদের ঘরে ইফতার করার মতো কিছু নেই। আমি ইফতার কিনে দিই। আমাকে ইফতার করার জন্য বলা হলেও আমি আসতে পারিনি। আজ (সোমবার) সকালে দুই বোনের লাশ খাটে পড়ে থাকার খবর পাই।

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ ছিল উল্লেখ করে মহসীন বলেন, রবিবার রাতে যুঁথীর স্বামী আমীর হোসেন এ বাড়িতেই (শ্বশুরবাড়ি) ছিলেন। শ্যালক জাহিদকে তাঁর সঙ্গে থাকতে বলেন। রাতে জাহিদ উঠে তার বোনরা রোজা রাখবে কি না জানার জন্য ডাকতে যেতে চাইলে আমীর বাধা দেন। এক পর্যায়ে তিনি ঘর থেকে সটকে পড়েন।

কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, দুজনকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার কারণ জানা যায়নি।

নেত্রকোনা : মোহনগঞ্জ উপজেলার টেংগাপাড়ায় গত রবিবার রাতে রাব্বি (২২) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। রাব্বি টেংগাপাড়ার মাছ ব্যবসায়ী আনিছ মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে। তাঁরা হলেন টেংগাপাড়া এলাকার রাফি মিয়া ও নওহাল এলাকার সুজন মিয়া। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাব্বি তাঁর বাবার সঙ্গে মাছের ব্যবসা করতেন। গত রবিবার রাত ৮টার দিকে তাঁকে ওই এলাকার রেলস্টেশন পুকুরপারে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

কুষ্টিয়া : নিখোঁজের পাঁচ দিন পর কুমারখালী উপজেলায় বালুভর্তি বস্তার নিচ থেকে শিহাব (১০) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার চর ঘোষপুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিহাব ঘোষপুর এলাকার রতন শেখের ছেলে। বাবা নিরুদ্দেশ হওয়ার পর শিহাব তার মা তাসলিমা খাতুনের সঙ্গে সরকারি আবাসন প্রকল্প গুচ্ছগ্রামে থাকত। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ হয় সে।

রাজশাহী : নদীর ধার থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সকালে পবা উপজেলার বারনই নদীর ধার বাকসারা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মৃত আলতাফ হোসেন (৪৫) পেশায় ভ্যানচালক। তিনি উপজেলার বাকসারা নওদাপাড়ার মনসুর আলীর ছেলে।

মন্তব্য
জামায়াত আমির

অমর্ত্য সেন স্বৈরাচারের পক্ষে ওকালতি করছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
অমর্ত্য সেন স্বৈরাচারের পক্ষে ওকালতি করছেন

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন যে বক্তব্য দিয়েছেন, তীব্র ভাষায় তার সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। গতকাল সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ টানা সাড়ে ১৫ বছর সেক্যুলারিজমের নামে চরম ভণ্ডামি প্রত্যক্ষ করেছে। তিনি পতিত স্বৈরাচারের পক্ষে খোলামেলা ওকালতি করছেন, যা বিস্ময়কর, অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেন বাংলাদেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন।

ফেসবুক পোস্টে শফিকুর রহমান বলেন, ভারতের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন সম্প্রতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অনাকাঙ্ক্ষিত নাক গলানোর মতো কথা বলেছেন। জানি না তাঁর বিবেক কোথায়। বাংলাদেশকে সহনশীলতার সবক দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। তিনি যে দেশে এবং সমাজে বসবাস করেন, সেই সমাজের আয়নায় নিজেকে দেখার চেষ্টা করুন।

তিনি পোস্টে আরো লেখেন, জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে যা বলেছেন তার বদ্ধমূল ধারণা থেকে বলতে চেয়েছেন। বাস্তবতা পুরোটাই উল্টো। সংখ্যালঘু বলে তিনি যাদের চিহ্নিত করেছেন, সেই সব ভাই-বোনের ওপর নির্যাতনকারী দানবের নাম হচ্ছে আওয়ামী লীগ। সাহস থাকলে তা বলে দিন।

পারবেন না। কারণ আপনারা সীমাবদ্ধ সুশীল।

শফিকুর রহমান লেখেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সময়-অসময়ে নাক গলানো দেশপ্রেমিক জনগণ একেবারেই পছন্দ করেন না।

শহীদের রক্ত নিয়ে জামায়াত রাজনীতি করে না : ঢাকার লেডিস ক্লাব মিলনায়তনে গতকাল এক অনুষ্ঠানে শফিকুর রহমান বলেন, শহীদের রক্ত নিয়ে যারা রাজনীতি করে করুক, জামায়াতে ইসলামী শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ববরণকারীদের নিয়ে রাজনীতি করবে না। জামায়াত শহীদ ও আহত-পঙ্গুত্ববরণকারীদের জাতীয় সম্পদ হিসেবেই মূল্যায়ন করে এবং করবে।

আহত, পঙ্গু, শহীদ পরিবারের সদস্য ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মডেল রাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজন আদর্শবাদী লোক : গোলাম পরওয়ার

খুলনা অফিস জানায়, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বাংলাদেশকে একটি মডেল রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে আদর্শবাদী ও চরিত্রবান লোক তৈরি করতে হবে। এ জন্য জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের উপযুক্ত হয়ে গড়ে উঠতে হবে। তিনি গতকাল খুলনা নগরের তারের পুকুরে দলের খুলনা মহানগরীর অফিস উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।

জামায়াতের মহানগর আমির মাহফুজুর রহমান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

 

 

 

মন্তব্য
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা

আপিলেও খালাস খালেদা জিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
আপিলেও খালাস খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জোনরেল অনীক রুশদ হক।

দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসিফ হাসান। আর খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী বদরুদ্দোজা বাদল, মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী মো. আমিনুল ইসলাম, জাকির হোসেন ভূঁইয়া।

আদেশের পর আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন গণমাধ্যমকে বলেন, সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার জন্য দুদককে ব্যবহার করে মামলা দিয়েছিল।

আর আদালতকে ব্যবহার করে খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছিল। বিচারিক আদালত সাজা দিলেও হাইকোর্টের পর আপিল বিভাগ খালেদা জিয়াকে খালাস দিয়েছেন।

দুদকের আইনজীবী আসিফ হাসান সাংবাদিকদের বলেন, মামলাটিতে অভিযোগ ছিল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। কিন্তু মামলার বাদী, তদন্তকারী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সব সাক্ষী এককথায় স্বীকার করেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার স্বাক্ষর কোথাও ছিল না।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে বিদেশ থেকে আসা প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ চার আসামির বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর এ মামলার রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে সবাইকে সাত বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

শুধু তা-ই নয়, ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলের ৪২ কাঠা জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেছিলেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আখতারুজ্জামান। ওই বছর ১৪ নভেম্বর রায়ের অনুলিপি হাতে পাওয়ার চার দিন পর ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার আপিলের সঙ্গে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনও করা হয়েছিল।

বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড বাতিল ও খালাস চাওয়া হয় আপিলে। পরে ২০১৯ সালের ৩০ এপ্রিল এই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। এরপর গত ছয় বছর এই মামলার কোনো অগ্রগতি ছিল না।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট পতন ঘটে শেখ হাসিনা সরকারের। পতনের পরদিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেন রাষ্ট্রপতি। দণ্ড মওকুফের পরও জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা আইনিভাবে মোকাবেলার সিদ্ধান্ত নেন বিএনপির চেয়ারপারসন। এ কারণে গত বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে দুটি আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। দুটি আবেদনের একটি ছিল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আপিলের পেপারবুক তৈরির অনুমতি চেয়ে আবেদন। গত বছর ৩ নভেম্বর অনুমতি পাওয়ার পর আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক তৈরি করা হয়। সে ধারাবাহিকতায় শুনানির পর ২৭ নভেম্বর রায় দেন উচ্চ আদালত। বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে বিএনপির চেয়ারপারসনের আপিল মঞ্জুর করে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়। হাইকোর্টের এই খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে প্রথম আপিল করার অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করে রাষ্ট্রপক্ষ। দুদকও পরে আবেদন করে। দুটি আবেদনে শুনানির পর তা খারিজ করে দিলেন সর্বোচ্চ আদালত। ফলে হাইকোর্টের খালাসের রায়ই বহাল থাকল।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ