মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে ভাবনা

  • যুবায়ের আহমাদ
notdefined
notdefined
শেয়ার
মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা নিয়ে ভাবনা

ব্রিটিশদের হাতে আমাদের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার আগ পর্যন্ত মাদ্রাসাই ছিল ভারতীয় উপমহাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা। শহীদ তিতুমীর, হাজী শরীয়তুল্লাহ, মওলানা ভাসানী, মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশের মতো সূর্যসন্তান তৈরি হয়েছিলেন মাদ্রাসা থেকেই। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। বাবা মৌলভি মো. ইয়াসিন খান সাহেবের কাছে গ্রহণ করা দ্বীনি শিক্ষাই ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের বুনিয়াদ।

ব্রিটিশরা ভারতে এসে প্রথম যে পদক্ষেপগুলো নিয়েছিল, সেগুলোর অন্যতম ছিল মাদ্রাসা বন্ধ করা। মাদ্রাসা বন্ধ হয়নি, কিন্তু ব্রিটিশদের এ অঞ্চল থেকে বিতাড়িত হতে হয়েছে।

বাংলাদেশে কওমি ও আলিয়া—এ দুই ধরনের মাদ্রাসা চালু আছে। কওমি মাদ্রাসায় শিক্ষিত আদর্শ ও মেধাবী জনশক্তিকে গণমানুষের কল্যাণে আরো কাজে লাগাতে ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল ১৭ সদস্যবিশিষ্ট ‘কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন’ গঠন করে সরকার।

সম্প্রতি আলেমদের এক সমাবেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতির জন্য ‘ন্যূনতম কারিকুলাম’ দাঁড় করানোর কথা বলেন। এটা স্বীকৃতির ব্যাপারে তাঁর আন্তরিকতারই প্রকাশ। কওমি মাদ্রাসার ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা বজায় রেখে স্বীকৃতি দিলে দেশ ও জাতি ব্যাপক উপকৃত হবে। কওমি মাদ্রাসাগুলো জনসাধারণের অর্থে গড়ে উঠলেও আলিয়া মাদ্রাসা সরকারি ব্যবস্থায়ই প্রতিষ্ঠা ও নিয়ন্ত্রিত হয়।
বর্তমান সরকারের হাত ধরে ২০১০ সালে দেশের ৩১টি মাদ্রাসায় পাঁচটি বিষয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুষ্টিয়া) অধীনে অনার্স কোর্স চালু এবং ২০১৩ সালে সংসদে আইন পাস করে ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে মাদ্রাসায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়। মাদ্রাসার ছাত্ররা একদিকে যেমন জঙ্গিবাদ, মাদকসহ বিভিন্ন সমাজ ও দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থেকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠছে, তেমনি তারা দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে মেধার সর্বোচ্চ স্বাক্ষর রেখে দক্ষ জনশক্তি হিসেবেও নিজেদের পরিচিত করতে সক্ষম হচ্ছে।

হতাশার বিষয় হলো, আদর্শ, দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তি তৈরির এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। উচ্চশিক্ষায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সাফল্য অনস্বীকার্য। বিগত ১০ বছরের ঢাবির ভর্তিযুদ্ধের মেধাতালিকার দিকে তাকালে দেখা যাবে, অধিকাংশ বছরই মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রথম স্থানসহ অনেক শীর্ষস্থানই দখল করে রেখেছে।

২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ‘খ’ ইউনিটে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন মাদ্রাসা ছাত্র আ. খালেক। সে বছর মেধাতালিকায় থাকা প্রথম ১০ জনের চারজনই ছিলেন মাদ্রাসা ছাত্র। ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষে ‘খ’ ইউনিটে প্রথম হন মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুল আলীম। দ্বিতীয় হন মাদ্রাসা ছাত্র সেলিমুল কাদের। তৃতীয়, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, দশম, ১৭তম ও ১৮তমও হন মাদ্রাসার ছাত্র। অন্যদিকে একই বছর ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটে প্রথম হন মাদ্রাসা ছাত্র এলিছ জাহান। দ্বিতীয় হন মাদ্রাসা ছাত্র মু. মিজানুল হক। চতুর্থ ও ১১তম হন মাদ্রাসার ছাত্র। ২০১০-২০১১ শিক্ষাবর্ষে ‘খ’ ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করেন মাদ্রাসা ছাত্র মাসরুর বিন আনসারী। একই বছর ‘ঘ’ ইউনিটে প্রথম হন মাদ্রাসা ছাত্র আসাদুজ্জামান। তা ছাড়া ‘খ’ ইউনিটে দ্বিতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ১৬তম, ১৭তম ও ১৮তম হন মাদ্রাসা ছাত্র। একই বছর ‘ঘ’ ইউনিটে দ্বিতীয় হন মাদ্রাসা ছাত্র।

২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আসনসংখ্যা ছিল দুই হাজার ২২১টি। এর বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৪০ হাজার ৫৬৫ জন ছাত্র। এর মধ্যে মাত্র তিন হাজার ৮৭৪ জন পাস করেন এবং প্রথম হন মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুর রহমান মজুমদার। একই বছর তিনি ‘ঘ’ ইউনিটেও প্রথম হন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও তিনি সর্বাধিক নম্বর পেয়েছিলেন। সে বছর ঢাবির মেধাতালিকার প্রথম ১০ জনের তিনজনই মাদ্রাসা ছাত্র। যেখানে ৩৫ হাজার ২৮০ জন ছাত্র ফেল করেছেন, সেখানে প্রথম ১০ জনের তিনজনই মাদ্রাসা ছাত্র হওয়ার পরও কি এঁদের অযোগ্যই বিবেচনা করা হবে? আরেকটি মজার ব্যাপার হলো, সে বছর ইংরেজিতে ১৫ নম্বর পাওয়ার শর্ত থাকলেও কলেজের মাত্র দুজন শিক্ষার্থী ১৫ পান অথচ আব্দুর রহমান মজুমদারের ইংরেজিতে প্রাপ্ত নম্বর ছিল ২৮.৫০। ‘ঘ’ ইউনিটেও বাংলা ও ইংরেজিতে আব্দুর রহমান মজুমদার ছিলেন শীর্ষে। বিজ্ঞান থেকে আসা কলেজ শিক্ষার্থীদের ইংরেজির সর্বোচ্চ নম্বর যেখানে ২২.৫০, সেখানে আব্দুর রহমানের ইংরেজির নম্বর ছিল ২৮.৫০। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের তিনজনেরই ইংরেজির নম্বর ছিল ১৫-এর ওপর। তবু তাঁরা পছন্দের বিভাগ পাননি।

দুর্বলদের জন্য কোটা চালু করা হয়। কিন্তু (২০১৪ সাল পর্যন্ত) ১০০ নম্বরের বাংলা ও ইংরেজি পড়ার কারণে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বাংলা ও ইংরেজিতে দুর্বল হিসেবে অভিহিত করে তাঁদের জন্য কোটা চালু না করে তাঁদের আরো কঠিন করে ২০১৫ সাল থেকে দাখিল (মাধ্যমিক) ও আলিমে (উচ্চমাধ্যমিক) ২০০ নম্বরের বাংলা ও ২০০ নম্বরের ইংরেজি বাধ্যতামূলক করা হলো। অনেকের ধারণা ছিল, এতে মাদ্রাসা ছাত্ররা ঢাবির ভর্তিযুদ্ধে হেরে যাবেন। তাঁদের জন্য কঠিন করে দেওয়ার পরও থেমে নেই অগ্রযাত্রা। হেরে যাওয়ার ধারণাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়ে ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায়ও (পাসের হার ৯.৯৮ হওয়া সত্ত্বেও) ‘ঘ’ ইউনিটে বিজ্ঞান শাখায় প্রথম হন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন। একই ইউনিটে মানবিক শাখা থেকেও প্রথম হন আরেক মাদ্রাসা ছাত্র আব্দুস সামাদ। ‘খ’ ইউনিটে দ্বিতীয় হন মাদ্রাসা ছাত্র মো. রিজাত হোসেন। সর্বশেষ ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষেও ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় শীর্ষস্থানটি মাদ্রাসা ছাত্রের দখলেই। তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার ছাত্র আব্দুল্লাহ মজুমদার মেধাতালিকায় প্রথম হন। পাসের হার যেখানে মাত্র ১১.৪৩ শতাংশ, সেখানে একজন মাদ্রাসা ছাত্র প্রথম হওয়ার পরও শুধু ‘মাদ্রাসা ছাত্র’ হওয়ায় তাঁকে বঞ্চিত করা মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়?

অদম্য মেধার পরিচয় দিলেও বিভিন্ন শর্তারোপ করে প্রথম সারির বিষয়গুলোর দরজা মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের এখনো বন্ধ। ১০০ নম্বরের ইংরেজি পড়েও ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া সত্ত্বেও ২০১৫ সাল থেকে মাদ্রাসার দাখিল ও আলিমে ২০০ নম্বরের বাংলা ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক করা হয়। ফলে যারা এবার চান্স পেলেন, তাঁরা আলিমে (উচ্চমাধ্যমিক) ২০০ নম্বরের বাংলা ও ইংরেজি পড়লেও দাখিলে (মাধ্যমিক) ১০০ নম্বরের পড়েছেন। তাই উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ২০০ নম্বরের শর্তারোপকৃত পাঁচটি বিভাগের দুয়ার তাঁদের জন্য খুললেও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় ২০০ নম্বরের বাংলা ও ইংরেজির শর্তারোপকৃত প্রথম সারির ৯টি বিভাগ থেকে বঞ্চিত হবেন তাঁরা। এমনকি ভর্তি পরীক্ষায় সর্বাধিক নম্বর পাওয়া আব্দুল্লাহ মজুমদারও পাবেন না এ সুযোগ।

বাংলাদেশে সরকারি মাদ্রাসা মাত্র তিনটি। এর বাইরে উচ্চশিক্ষায় ২০৫টি কামিল, ৩১টি ফাজিল (অনার্স) এবং এক হাজার ৪৯টি ফাজিল (পাস) মাদ্রাসা রয়েছে। (যুগান্তর : ২৪-০৮-২০১৫)

মাদ্রাসা ছাত্রদের এতগুলো কৃতিত্বের খবরের বিপরীতে চরম দুঃখের খবর হলো, মাদ্রাসার ছাত্ররা এত সফলতার স্বাক্ষর রাখার পরও বাংলাদেশে শত শত প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করা হলেও সরকারি মাদ্রাসার সংখ্যাটি তিন থেকে ওপরে যাচ্ছে না কিছুতেই। মাদ্রাসা জাতীয়করণের কোনো নামগন্ধও নেই। এটা যেন নিয়ম হয়ে গেছে যে মাদ্রাসা জাতীয়করণ হবে না। সর্বশেষ গত জুলাই মাসে ১৯৯টি কলেজ জাতীয়করণ করা হলেও একটি মাদ্রাসাও জাতীয়করণ করা হয়নি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় একজন শিক্ষার্থীও পাস করেনি, এমন কলেজ জাতীয়করণ হওয়া সত্ত্বেও পাসের হার ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আকাশচুম্বী সাফল্যের স্বাক্ষর রাখার পরও জাতীয়করণের তালিকায় একটি মাদ্রাসার নামও না উঠায় মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ কি অস্বাভাবিক?

বাংলাদেশে শিক্ষা বোর্ড আছে ১০টি। ঢাবির ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাস্থান দখল করা প্রথম ১০ জনকে যদি বোর্ডওয়ারী ভাগ করা হয়, তাহলে দেখা যাবে প্রত্যেক বোর্ডে একজন করে পায়। ঢাবির ‘খ’ ইউনিটে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া প্রথম ১০ জনের মধ্যে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের ছাত্ররা যদি একজনও পেত, তাহলেও তাঁরা অন্যদের সমান ছিল, সেখানে তাঁরা প্রতিবছরই প্রথম ১০ জনের তিন থেকে পাঁচজন। বর্তমানে একজন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীকে যা পড়তে হয়, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকেও তা-ই পড়তে হয়; বরং এর বাইরে তাঁদের কোরআন, হাদিস ও আরবি পড়তে হয়। এর পরও তাঁরা সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখেছেন। ফলাফলের ভিত্তিতে তো জাতীয়করণে মাদ্রাসাকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা ছিল। কারণ তাঁরা যেমন বাংলা-ইংরেজিতে দক্ষ হচ্ছেন, তেমনি তাঁরা আরবির মতো আন্তর্জাতিক একটি ভাষা শিখে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন; বুকের গভীরতম যে স্থানটিতে পবিত্র কোরআনুল কারিমকে ধারণ করেছে, ঠিক এর পাশেই মজবুতভাবে ধারণ করেছে লাল-সবুজের পতাকাকে। কলেজ-মাদ্রাসার সংখ্যা অনুপাতে অথবা ফলাফলের ভিত্তিতে, যেভাবেই জাতীয়করণ করা হোক—কোনোভাবেই তো মাদ্রাসা পিছিয়ে থাকার কথা নয়। জেলাপর্যায়ে একটি কামিল মাদ্রাসা জাতীয়করণ করা হলে রাষ্ট্রের খুবই অভাব হয়ে যাবে বলে মনে হয় না। শিক্ষার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ড অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাই আমরা আশা করি, মাদ্রাসাগুলোর প্রতিও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথাযথ গুরুত্ব ও ইনসাফের সঙ্গে নজর দেবেন।

লেখক : খতিব, বাইতুশ শফিক মসজিদ

বোর্ড বাজার (আ. গনি রোড), গাজীপুর

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কোরআন থেকে শিক্ষা

    পর্ব, ৭১৯
শেয়ার
কোরআন থেকে শিক্ষা

আয়াতের অর্থ : ‘এবং যারা নিজেদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অথচ নিজের ছাড়া তাদের কোনো সাক্ষী নেই, তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য এই হবে যে, সে আল্লাহর নামে চারবার শপথ করে বলবে যে সে অবশ্যই সত্যবাদী। পঞ্চমবারে বলবে যে সে মিথ্যাবাদী হলে তার ওপর নেমে আসবে আল্লাহর অভিশাপ।...তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে তোমাদের কেউ অব্যাহিত পেত না। আল্লাহ তাওবা গ্রহণকারী ও প্রজ্ঞাময়।

(সুরা : নুর, আয়াত : ৬-১০)

আয়াতগুলোতে লিআনের বিধান বর্ণনা করা হয়েছে।

শিক্ষা ও বিধান

১. লিআন অর্থ অভিশাপ করা। পরিভাষায় লিআন হলো ব্যভিচারের অভিযোগ প্রমাণের জন্য আল্লাহর নামে কসম করা এবং মিথ্যাবাদী হলে নিজের প্রতি অভিশাপ করা।

২. লিআনের ক্ষেত্রে স্বামী কসম করতে অস্বীকার করলে সে অপবাদ দেওয়ার শাস্তি ভোগ করবে।

৩. আর স্ত্রী কসম করতে অস্বীকার করলে তাকে ব্যভিচারের স্বীকারোক্তি বা কসম না করা পর্যন্ত আটকে রাখা হবে।

৪. স্বামী-স্ত্রী উভয়ে কসম করলে দুজনই পার্থিব শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে। তবে মিথ্যাবাদীকে পরকালে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

৫. লিআন সম্পন্ন হয়ে গেলে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের জন্য চিরতরে হারাম হয়ে যাবে।

তখন হয়তো স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেবে অথবা আদালত তাদের বিচ্ছেদের রায় দেবেন।

(মাআরেফুল কোরআন : ৬/৩৫৩)

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

তারাবিতে কোরআনের বার্তা

    পর্ব : ১২
শেয়ার
তারাবিতে কোরআনের বার্তা

সুরা বনি ইসরাঈল
আলোচ্য সুরার শুরুতে মহানবী (সা.)-এর ঐতিহাসিক মিরাজের বর্ণনা এসেছে। এই সুরায় বনি ইসরাঈলের ঔদ্ধত্য ও পাপাচার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ইসলামের সামাজিক শিষ্টাচার সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। মাতা-পিতার আনুগত্য করতে বলা হয়েছে।

তাঁদের জন্য দোয়া করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের উফ বলতেও নিষেধ করা হয়েছে। এতে হত্যা ও ব্যভিচার থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। এই সুরায় মানব মর্যাদা উন্নীত করে তাকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি মানব চরিত্রের কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে। মহানবী (সা.)-কে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুসা (আ.)-এর শরিয়তের সারমর্ম তুলে ধরা হয়েছে এবং কোরআনকে অল্প অল্প করে নাজিল করার তাৎপর্য বর্ণনা করা হয়েছে। 

 

আদেশ-নিষেধ-হিদায়াত

১. ইসরা ও মিরাজ উভয়টি অকাট্য দলিল দ্বারা প্রমাণিত।

তাই কোনো প্রকার ব্যাখ্যা ছাড়া তা বিশ্বাস করা আবশ্যক। (আয়াত : ১)

২. ইসরা ও মিরাজ উভয়টি নবীজি (সা.)-এর সশরীরে হয়েছিল। (আয়াত : ১)

৩. আল্লাহ সেই বান্দার প্রতি সন্তুষ্ট হন যে পানাহারের পর তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করবে। (আয়াত : ৩)

৪. মানুষ যখন আল্লাহ ও তাঁর বান্দাদের অধিকার নষ্ট করে, তখন আল্লাহ তাদের ওপর অত্যাচারী শাসক ও বাহিনী চাপিয়ে দেন। (আয়াত : ৫)

৫. অধিক জনসংখ্যা অভিশাপ নয়, বরং তা আল্লাহর অনুগ্রহ।

(আয়াত : ৬)

৬. দিনের প্রকৃতি ও পরিবেশ কাজের উপযোগী। তাই দিনের কর্মঘণ্টার যত্নবান হওয়া আবশ্যক। (আয়াত : ১২)

৭. একজনের অপরাধে অন্যকে শাস্তি দেওয়া শরিয়তে অনুমোদিত নয়। (আয়াত : ১৫)

৮. তিন জিনিস বিশুদ্ধ না হলে আমল কবুল হয় না : ক. আকিদা-বিশ্বাস, খ. নিয়ত, গ. কাজ। (আয়াত : ১৮-১৯)

৯. আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়ার মতো

মা-বাবার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া ওয়াজিব।

(আয়াত : ২৩)

১০. পিতা-মাতার হক নষ্ট করা এবং তাদের অবাধ্যতার শাস্তি আল্লাহ দুনিয়ায়ও দেন। (আয়াত : ২৩)

১১. মা-বাবার পাশাপাশি আত্মীয়-স্বজনের অধিকার আদায় করাও গুরুত্বপূর্ণ।

(আয়াত : ২৬)

১২. প্রয়োজন পূরণ ও নেক কাজে মানুষ ব্যয় করবে। তবে ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজনীয় সম্পদ অবশিষ্ট রাখবে। (আয়াত : ২৯)

১৩. ইসলামে কন্যাশিশুর প্রতি বিদ্বেষ নিন্দনীয় ও নিষিদ্ধ। (আয়াত : ৩১)

১৪. শরিয়তের ভ্রূণহত্যা নিষিদ্ধ।

(আয়াত : ৩১)

১৫. ব্যভিচার যেমন হারাম, ব্যভিচারের প্রতি প্রলুব্ধ করে এমন সব কিছু হারাম। যেমনঅসংযত দৃষ্টি, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ইত্যাদি। (আয়াত : ৩২)

১৬. এতিমের সম্পদ আত্মসাত্ করা আরো গুরুতর পাপ। (আয়াত : ৩৪)

১৭. পাপ ও ধৃষ্টতার কারণে মানুষের চিন্তা-ভাবনায় অসারতা দেখা দেয়। (আয়াত : ৪৫)

১৮. রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ব্যাপারে মন্দ বিশেষণ ব্যবহার করা এবং তাঁকে মন্দ কিছুর সঙ্গে তুলনা করা অপরাধ। (আয়াত : ৪৮)

১৯. মুমিন ক্রোধের সময়ও সংযম প্রদর্শন করে। (আয়াত : ৫৩)

২০. তিনটি বিশেষ গুণের মাধ্যমে রাসুল (সা.)-কে সব নবী-রাসুলের ওপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। তাহলো : ক. শেষ নবী হওয়া, খ. শেষ্ঠ ও চূড়ান্ত কিতাব কোরআন লাভ, গ. মিরাজে গমন। (আয়াত : ৫৫)

২১. ইবাদত ও আনুগত্যের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভই আল্লাহকে পাওয়ার মাধ্যম। (আয়াত : ৫৭)

২২. ছোট ছোট বিপদের মাধ্যমে আল্লাহ প্রথমে মানুষকে সতর্ক করেন। অতঃপর তাদেরকে ধ্বংস করেন। (আয়াত : ৫৮)

২৩. মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের মূল ভিত্তি ঈমান, আল্লাহভীতি ও তাঁর নৈকট্য। (আয়াত : ৭০)

২৪. মানুষকে মাতৃভূমি থেকে বের করে দেওয়া পাপ। (আয়াত : ৭৬)

২৫. তাহাজ্জুদ সবচেয়ে মর্যাদাশীল নফল নামাজ। (আয়াত : ৭৯)

২৬. কোরআন শারীরিক ব্যাধির জন্যও আরোগ্যস্বরূপ। (আয়াত : ৮২)

২৭. রুহ সরাসরি আল্লাহর আদেশে সৃষ্টি। (আয়াত : ৮৫)

 

গ্রন্থনা : মুফতি আতাউর রহমান

 

মন্তব্য
রমজান ঐতিহ্য

রমজানে ফিলিস্তিনিদের প্রিয় খাবার মুসাখখান

আবরার আবদুল্লাহ
আবরার আবদুল্লাহ
শেয়ার
রমজানে ফিলিস্তিনিদের প্রিয় খাবার মুসাখখান

রমজানে ঐতিহ্যবাহী ও মুখরোচক খাবার খেতে পছন্দ করে মুসলিমরা। প্রত্যেক অঞ্চলের মুসলমান রমজান মাসে সাহরি ও ইফতারে নিজেদের পছন্দের খাবার খায়। মুসাখখান তেমনই একটি জনপ্রিয় খাবার। ফিলিস্তিনের মুসলিমরা রমজান মাসে মুসাখখান খেতে পছন্দ করে।

মুসাখখানের প্রচলন ঘটেছিল ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর তুলকার্ম ও জেনিন অঞ্চলে। তবে এখন এই জনপ্রিয় খাবারকে ফিলিস্তিনের জাতীয় খাবার মনে করা হয়। ফিলিস্তিনের পাশাপাশি ইসরায়েলের আরব জনগোষ্ঠী ও জর্দানের মুসলিমদের মধ্যেও তা সমান জনপ্রিয়। সিরিয়া ও লেবাননের মানুষও এই খাবারের সঙ্গে পরিচিত।

আরবি মুসাখখানের অর্থ গরম। এর প্রতিশব্দ মুহাম্মার। মুসাখখান মূলত মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি বিশেষ খাবার, যা ভাজা মুরগির সঙ্গে পেঁয়াজ, সুমাক, জাফরান, ভাজা পাইন বাদমসহ অন্যান্য মসলার যোগে তৈরি হয়। এটি তন্দুরি রুটির সঙ্গে পেশ করা হয়।

মুসাখখানের নামকরণ হয়েছে ফিলিস্তিন অঞ্চলের প্রাচীন একটি ঐতিহ্য অনুসারে। তাহলো এই অঞ্চলের কৃষকরা তাবুন (তন্দুরি) রুটি ঠাণ্ডা হলে গেলে তা আবার গরম করে খেত এবং রুটির স্বাদ বৃদ্ধির জন্য সঙ্গে মাংস যোগ করত।

ফিলিস্তিনে মুসাখখান জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হলো এর উপাদানগুলো সহজলভ্য হওয়া। মুসাখখানে ব্যবহৃত মুরগি, অলিভ অয়েল, সুমাক ও পাইন বাদাম ফিলিস্তিনিদের প্রতিদিনের খাবার তালিকার অংশ। মুসাখখান পুরোপুরি হাতে প্রস্তুত করা হয় এবং তা সাধারণত তন্দুরি রুটি ও স্যুপের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।

২০ এপ্রিল ২০১০ রামাল্লায় মুসাখখান তৈরির একটি বৃহত্ আয়োজন করা হয়, যা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে। এই আয়োজনে প্রস্তুত মুসাখখান রুটির ব্যাস ছিল চার মিটার এবং ওজন ছিল এক হাজার ৩৫০ কেজি। এতে ৪০ জন ফিলিস্তিনি রাধুনি অংশগ্রহণ করেছিল। বৃহত্ এই মুসাখখান তৈরিতে ১৭০ কেজি জলপাই তেল, ২৫০ কেজি ময়দা, ৫০০ কেজি পেঁয়াজ এবং ৭০ কেজি বাদাম ব্যবহার করা হয়েছিল।

সূত্র : প্যালেস্টাইনিয়ান ডিস ডটকম, হ্যান্ডমেইড প্যালেস্টাইন ডটকম ও উইকিপিডিয়া

 

 

 

মন্তব্য

রমজানে দান-সদকা

ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
ড. আবু সালেহ মুহাম্মদ তোহা
শেয়ার
রমজানে দান-সদকা

রমজান হলো সবর ও মুয়াসাতের মাস। সবর মানে ধৈর্য আর মুয়াসাত মানে সহানুভূতি। গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষেরা বিভিন্ন সময় ক্ষুধা ও তৃষ্ণার কষ্ট সহ্য করে থাকে। রোজার মাধ্যমে রোজাদারের সে উপলব্ধির সুযোগ হয়।

অন্যের দুঃখ-কষ্ট বোঝার অনুভূতি সৃষ্টি হয়। সহানুভূতি প্রকাশের পথ উন্মুক্ত হয়। তার আলোকে রমজানে অপরিহার্য ও সাধারণ; সব ধরনের দান-সদকার ক্ষেত্রে উদার হতে হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) এমনিতেও সব মানুষের চেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন।
রমজান মাসে তাঁর দানের হাত আরো বেশি সুপ্রসারিত হতো। ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) সব মানুষের চেয়ে বেশি দানশীল ছিলেন। রমজান মাসে তাঁর দানের হাত আরো বেশি সুপ্রসারিত হতো, যখন জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতেন। রমজানের প্রতি রাতে জিবরাইল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতেন।
রাসুল (সা.) জিবরাইল (আ.)-এর সঙ্গে কোরআন মাজিদ পুনরাবৃত্তি করতেন। আর রাসুল (সা.) প্রবলবেগে প্রবাহিত বাতাসের চেয়েও বেশি দানশীল ছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ৬; মুসলিম, হাদিস : ৬১৪৯)

জাকাত : জাকাত এক বছরে একবার আদায়যোগ্য ইবাদত হলেও তা আদায়ের জন্য রমজানকে বেছে নেওয়া উচিত। কারণ এতে একদিকে সহানুভূতি প্রকাশের মাসে সহানুভূতি প্রকাশ করা যায়। অন্যদিকে রমজানের কারণে বেশি মাত্রায় নেকি পাওয়া যায়।

সাদাকাতুল ফিতর : সাদাকাতুল ফিতর তো এক মাস রোজা রাখার পর রোজার ভুলত্রুটির কাফফারা হিসেবে আদায়কৃত সদকা। ইবন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাদাকাতুল ফিতর আত্মশুদ্ধি ও আমলের পূর্ণতার জন্য। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৬১১; ইবন মাজাহ, হাদিস : ১৮২৭)

রাসুল (সা.) ঈদগাহে যাওয়ার আগেই সাদাকাতুল ফিতর আদায় করতেন। তা ছাড়া রোজার মাধ্যমে গরিবদের জীবনযাত্রার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নিয়েই রোজাদার ঈদের মুখোমুখি হয়। ঈদের আনন্দে সবাইকে শরিক করতে জাকাত ও সাদাকাতুল ফিতর অন্যতম ভূমিকা পালন করে।

অন্যকে ইফতার করানো : রমজানে অন্যকে ইফতার করানো রমজানের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। রমজানের বাইরে এর কোনো সুযোগ নেই। অন্যকে ইফতার করানোর দ্বারা রোজার সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। যায়দ ইবন খালিদ আল-জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে ইফতার করায় সে রোজাদারের মতোই সওয়াব লাভ করে এবং রোজাদারের সওয়াবও কমে না। (তিরমিজি, হাদিস : ৮০৭)

সালমান (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে কোনো রোজাদারকে ইফতার করায় তার পাপ মাফ করে দেওয়া হয়, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং তাকে রোজাদারের সওয়াব কমানো ছাড়াই রোজাদারের সমান সওয়াব দেওয়া হয়। আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমাদের অনেকেরই অন্যকে ইফতার করানোর সামর্থ্য নেই। নবী (সা.) বলেন, যদি কেউ দুধ, খেজুর অথবা এক ঢোক পানি দিয়েও ইফতার করায় আল্লাহ তাকেও এ সওয়াব দান করবেন। আর যে ব্যক্তি কোনো রোজাদারকে পরিতৃপ্ত করে খাওয়ায় আল্লাহ তাকে আমার হাউজ থেকে এমনভাবে পান করাবেন যে সে জান্নাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মোটেই পিপাসার্ত হবে না। (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস : ১৯৬৫)

অধীনদের কাজের চাপ কমিয়ে দেওয়া : রমজানে নিজের অধীন সবার কাজের চাপ কমিয়ে দেওয়া উচিত। মজুরি না কমিয়ে কাজের চাপ কমিয়ে দিলে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করে দেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। 

সালমান ফারসি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি এ মাসে নিজের অধীনস্থদের কাজের চাপ কমিয়ে দেয়, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। (ইবন খুজাইমা, হাদিস : ১৮৮৭)

সাধারণ দান-সদকা : রমজানে সাধারণ ও নফল দান-সদকার পরিধি বৃদ্ধি করা একান্ত জরুরি। আল্লাহ বলেন,

তারা তোমার কাছে জিজ্ঞাসা করে, কী ব্যয় করবে? বলে দাও, নিজেদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর যা বাঁচে তা-ই ব্যয় করবে। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্দেশ সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যেন তোমরা চিন্তা করতে পারো।

(সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২১৯)

লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ