<p>আয়াতের অর্থ : ‘আমার ফেরেশতারা সুসংবাদ নিয়ে ইবরাহিমের কাছে এলো। তারা বলল, সালাম। সেও বলল, সালাম। সে অবিলম্বে এক কাবাবকৃত গো-বত্স নিয়ে এলো। সে যখন দেখল তাদের হাত তার দিকে প্রসারিত হচ্ছে না, তখন তাদেরকে অবাঞ্ছিত মনে করল এবং তাদের সম্পর্কে মনে ভয় হলো। তারা বলল, ভয় কোরো না, আমরা লুতের সম্প্রদায়ের প্রতি প্রেরিত হয়েছি।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ৬৯-৭০)</p> <p>আয়াতদ্বয়ে আতিথেয়তার শিষ্টাচার শেখানো হয়েছে।</p> <p> </p> <p> </p> <p>শিক্ষা ও বিধান</p> <p>১. মুমিনের উচিত উদার মনে আপ্যায়ন করা। কেননা তা নবী-রাসুলদের বৈশিষ্ট্য এবং মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর উত্তরাধিকার।</p> <p>২. আয়াত থেকে বোঝা যায়, সুপ্রাচীনকালেও পৃথিবীতে সালাম বিনিময়ের প্রচলন ছিল।</p> <p>৩. আতিথেয়তার ইসলামী রীতি হলো মেহমানকে সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করা, সহজসাধ্য খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা এবং মেহমানের রুচি-পছন্দের প্রতি যথাসম্ভব লক্ষ রাখা।</p> <p>৪. তিন দিন ও তিন রাত আপ্যায়ন মুসলমানের অধিকার। কিন্তু সামর্থ্য কম থাকলে তা এক দিন ও এক রাতে শেষ করা জায়েজ। সাধারণভাবে আপ্যায়ন করা ওয়াজিব নয়, তবে যেখানে খাদ্য, পানীয় ও নিরাপদ আশ্রয় সহজলভ্য নয় সেখানে তা আবশ্যক।</p> <p>৫. অতিথির দায়িত্ব হলো মেজবানের অতিথেয়তাকে খুশি মনে গ্রহণ করা এবং অসন্তোষ প্রকাশ না করা।</p> <p>(তাফসিরে কুরতুবি : ১১/১৫৭)</p> <p> </p> <p> </p>