১৬ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানাল বাংলাদেশ প্রতিদিন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
১৬ মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানাল বাংলাদেশ প্রতিদিন
ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া হাউস প্রাঙ্গণে সম্মাননাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অতিথিরা। ছবি : কালের কণ্ঠ

১৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে আজীবন সম্মাননা জানাল দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া হাউস প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের বীর সন্তানদের এই সম্মাননা জানানো হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই বাংলাদেশ প্রতিদিন ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পথচলা। আর বাংলাদেশ সৃষ্টিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবদান তা মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ প্রতিদিনের এই প্রয়াস।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বসুন্ধরা গ্রুপ ও ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান এবং বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক ও নিউজ২৪-এর সিইও নঈম নিজাম।

সম্মাননাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন—এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার বীর-উত্তম, মেজর জেনারেল (অব.) কে এম শফিউল্লাহ বীর-উত্তম, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর-উত্তম, লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী বীর-উত্তম, কমডোর (অব.) এ ডাব্লিউ চৌধুরী বীরবিক্রম, কর্নেল (অব.) এ এইচ এম গাফফার, বীর-উত্তম, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর-উত্তম, গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) শামসুল আলম বীর-উত্তম, স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) লিয়াকত আলী খান বীর-উত্তম, মেজর (অব.) কামরুল হাসান ভূঁইয়া, মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান, কমান্ডার (অব.) খলিলুর রহমান, ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী, কামাল লোহানী, স্থপতি মোবাশ্বির হোসেন ও মামুনুর রশীদ।

এই আয়োজনে পৃষ্ঠপোষতা করে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল) এবং মিডিয়া পার্টনার নিউজ২৪। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নিউজ২৪-এর হেড অব কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স সামিয়া রহমান।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন এবং এসআইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কাজী ওসমান আলী।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানোর এই সুন্দর আয়োজনটি করার জন্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। এর আগে কোনো মিডিয়া একসঙ্গে এতজন গুণী ও শ্রদ্ধেয় মানুষকে একত্র করেনি। বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা এক ও একক অর্থে ব্যবহার করা যায়।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সত্যিকার অর্থেই একটি জনযুদ্ধ। সে সময় কিছু দেশদ্রোহী ছাড়া দেশের প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষেরই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া হাউসের যখন যাত্রা শুরু হয় তখন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম। আহমেদ আকবর সোবহান প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন, এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে মানুষের পক্ষে কাজ করব।
আজ তাঁর সেই কথারই প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি। দেখে ভালো লাগছে এই মিডিয়া সত্যিই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এগিয়ে চলছে।’

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিতে পেরে আমরা গর্বিত। আমরা এমন কিছু লোককে সম্মাননা দিতে যাচ্ছি যাদের কৃতীত্বের কথা জানিয়ে শেষ করা যাবে না। পৃথিবীর বুকে যত দিন বাংলাদেশের নাম থাকবে তত দিন

মুক্তিযোদ্ধাদের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে বাংলাদেশের মানুষ  মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমরা এখন সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।’

আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘একসময় বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে বলত তলাবিহীন ঝুড়ি, আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতি সারা দুনিয়ার কাছে ঈর্ষণীয়। আমরা গর্বিত যে আজকে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বসবাস করি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না। একই সঙ্গে এই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্ম না হলেও বাংলাদেশের সৃষ্টি হতো না। আমরা তাদের সম্মান জানিয়ে নিজেরাই গর্বিত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই আমাদের ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া পথ চলছে। এই মুক্তিযোদ্ধারা একেকজন একেকটি ইতিহাস। তাঁরা দেশের জন্য যা করেছেন তা মহাগ্রন্থ হিসেবে থাকবে। আমরা আশা করি, আপনারা দেশের জন্য আরো অবদান রাখবেন।’

বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, ‘বাংলাদেশ সৃষ্টিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবদান তা মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য আমাদের এই প্রয়াস। বাংলাদেশ প্রতিদিন এখন দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক। আমাদের এই দৈনিকটি প্রতিদিন সাড়ে পাঁচ লাখ কপি ছাপা হয়। হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করে আমরা এই কাগজটি প্রকাশ করি।’ তিনি আরো বলেন, ‘১৯৭১ সালের আদর্শকে ধারণ করেই ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া পরিচালিত হয়। বাংলাদেশ প্রতিদিন যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছতে পারে সে প্রয়াস আমাদের। এই মিডিয়ার প্রতিটি কাগজই যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত হয় সে ব্যাপারে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানও আমাদের বলেন। ব্যক্তিগতভাবে আমিও মুক্তিযুদ্ধ পরিবারেরই সন্তান।’

কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘১৯৭১ সালের মতো সুসময় আর দুঃসময় কখনো আমাদের আসেনি। সুসময় এ জন্য যে কিছু রাজাকার ছাড়া প্রতিটি মানুষ সে সময় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। আর দুঃসময় এ জন্য যে মুক্তিযুদ্ধে আমাদের ৩০ লাখ লোককে প্রাণ দিতে হয়েছে। ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়ার প্রতিটি কাগজ, টেলিভিশন, রেডিও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেই এগিয়ে চলছে। আমাদের মাথার ওপর যিনি আছেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, তিনিও সে কথাটিই আমাদের বলেন। আর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিতে পেরে আমরা নিজেরাই সম্মানিত হয়েছি।’

এসআইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও কাজী ওসমান আলী বলেন, ‘এসআইবিএল দেশের অন্যতম বৃহৎ শরিয়াভিত্তিক ইসলামী ব্যাংক। আমরা চেষ্টা করি মানুষকে সেবা দিয়ে এই প্রতিষ্ঠান এগিয়ে নিতে। মুক্তিযুদ্ধের এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে আমরা নিজেরাই গর্ববোধ করছি। আমাগীতেও এ ধরনের অনুষ্ঠানে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দুই দশক পর হামাদে সালসোলা গুল্মের সন্ধান

কালের কণ্ঠ ডেস্ক
কালের কণ্ঠ ডেস্ক
শেয়ার
দুই দশক পর হামাদে সালসোলা গুল্মের সন্ধান

সালসোলা এক ধরনের গুল্ম। এটা বৈজ্ঞানিক নাম সালসোলা টেট্রান্ডা। সালসোলা নামটি লাতিন সালসাস থেকে এসেছে, যার অর্থ নোনতা বা লবণাক্ত। আর টেট্রান্ডা নামটি তৈরি হয়েছে দুটো গ্রিক শব্দের মিলনে।

ট্রিক টেট্রা মানে চার এবং অ্যান্ড্রোস অর্থ পরাগধানী। এই গুল্মে ফুলে চার পরাগধানী থাকে। এরা সাধারণত মরু অঞ্চলে জন্মে। এই গুল্ম শুধু প্রাণীর পুষ্টিসাধনই করে না; এটা মাটিকে শক্তভাবে আঁকড়ে থাকে।
এতে মাটির ক্ষয়ের পরিমাণ কমে। গুল্মটি দুই দশক আগেই সৌদি আরব থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। হঠাত্ই গুল্মটি আবার দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় দেখা যাচ্ছে।

এটা মূলত পশুচারণভূমির গুল্ম।

এককালে সৌদি আরবের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তের হামাদ অঞ্চলে ব্যাপক পরিমাণে এই গুল্ম দেখা যেত। পরিবেশবাদীরা অভিযোগ করেছেন, অতিরিক্ত আহরণের কারণে গাছটি মরু এলাকা থেকে হারিয়ে যায়। এখন এই গুল্মটিকে পাহাড়ের দুর্গম এলাকায় দেখা যাচ্ছে। বুনো পশু ও গৃহপালিত পশুর সমান জনপ্রিয় এই গুল্মটি। সৌদি কর্তৃপক্ষ এখন পশুচারণভূমি পুনরুদ্ধারে মনোযোগ দিয়েছে।
পাশাপাশি এসব তৃণভূমির তৃণ ও গুল্ম বাছ-বিচারহীন কায়দায় আহরণের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পরিবেশ সংরক্ষণে বড় ধরনের পরিকল্পনা থাকার কারণে মরুর দেশ সৌদি আরবে এরই মধ্যে নানা প্রজাতির বিপন্ন উদ্ভিদের পাশাপাশি জীবজন্তুর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকার জীববৈচিত্র্য ধরে রাখতে নানা ধরনের জনসচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সৌদি পরিবেশ মন্ত্রণালয়। প্রতিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় উদ্যোগী হওয়ার ব্যাপারে বিশ্বে যেসব দেশ বেশ এগিয়ে রয়েছে, তাদের মধ্যে সৌদি অন্যতম। দেশটি এক হাজার কোটি গাছ ও গুল্ম রোপণের একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালে সৌদি আরব সাউদি গ্রিন ইনিশিয়েটিভ চালু করে। এরই মধ্যে দেশটি ১০ কোটি উদ্ভিদ ও গুল্মের চারা রোপণ করেছে এবং এক লাখ আট হাজার অনুর্বর জমি চাষের উপযোগী বানিয়েছে। সূত্র : এরাব নিউজ

মন্তব্য
ঈদের কেনাকাটা

বসুন্ধরা সিটিতে আরামদায়ক পোশাক, আকর্ষণীয় ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বসুন্ধরা সিটিতে আরামদায়ক পোশাক, আকর্ষণীয় ছাড়
ঈদুল ফিতর সামনে রেখে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের দোকানগুলোতে ক্রেতার ভিড় বাড়ছে। ছবি : লুৎফর রহমান

দেশের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে সব বয়সের ক্রেতারা আসতে শুরু করেছে। ধানমণ্ডি, নিউমার্কেট, ফার্মগেট, পান্থপথ, গ্রিন রোডসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষ এ শপিং মলে পোশাক কিনতে আসছে।

গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বর্ণিল পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতারা। তবে এখনো অনেক ক্রেতা কেনাকাটা শুরু করেনি বলেও মনে করছেন তাঁরা।

পাঁচ-ছয় রোজা থেকে কেনাকাটা জমবে বলে আশা বিক্রয়কর্মীদের।

এবারের আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ফ্যাশন হাউসগুলো সুতি কাপড়ের ওপর জোর দিয়েছে। ছোটদের জন্য বাজারে এনেছে আরামদায়ক অনেক পোশাক। আরামের পাশাপাশি স্টাইল আর ঈদের আমেজ ফুটিয়ে তুলতেও জোর দিয়েছে তারা।

আড়ং, দেশি দশের মতো দেশীয় পণ্যের শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের বেশ আগ্রহ দেখা গেছে। কোনো কোনো পণ্যে বিশেষ ছাড়ও দিচ্ছে কিছু প্রতিষ্ঠান।

পোশাকের ব্র্যান্ড রাইসের শাখা ব্যবস্থাপক তাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন,  ঈদ উপলক্ষে নতুন পোশাক আনা হয়েছে, দামও বেশ নাগালের মধ্যে। আশা করি আগামী বৃহস্পতি বা শুক্রবার থেকে ঈদের কেনাকাটা পুরোদমে শুরু হবে।

তিনি জানান, এবারের ঈদের কেনাকাটায় রাইস বাংলালিংক অরেঞ্জ ক্লাব ও রবির এলিট সদস্যেদের ১২ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাবিব হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ঢাকার কয়েকটি শপিং মলে নীল-সাদা পাঞ্জাবি খুঁজছি। কিন্তু পছন্দমতো পাইনি। বসুন্ধরা সিটির লা রিভের বেশ কয়েকটি পাঞ্জাবি পছন্দ হয়েছে। দামও বেশ কম।

যদি পছন্দের রঙের পাঞ্জাবি পাই, তাহলে আজই কিনব।

হাসান জানান, পরিবারের সদস্যদের জন্যও পোশাক কেনার পরিকল্পনা আছে তাঁর।

বেসরকারি চাকরিজীবী তুষার কান্তি ঘোষ তাঁর মায়ের জন্য শাড়ি ও নিজের জন্য প্যান্ট কিনেছেন। এখন বাবার জন্য পাঞ্জাবি কেনার কথা ভাবছেন বলে জানান তিনি।

তবে কাঙ্ক্ষিত বিক্রি নিয়ে সংশয় জানিয়েছেন জেন্টেল পার্কের বিক্রয়কর্মী রাফি হোসেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের একটা ধাক্কা যাবে এবার। অনেক নেতাকর্মী উপহার হিসেবে দেওয়ার জন্য পোশাক কিনতেন। এবার সেই বাজার পাওয়া যাবে না বললেই চলে। এর পরও বিশেষ পাঞ্জাবিতে ৫০ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

আর্ট বি স্মার্টের ব্যবস্থাপক  মামুন  আহমেদ  বলেন, এখন স্বল্পপরিসরে বিক্রি হলেও আশা করছি রোজার মাঝামাঝি পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে। তারা কোনো পণ্যে ছাড় না দিলেও সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে পোশাক। এক হাজার ৬০০ থেকে তিন হাজার ৫০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে আকর্ষণীয় সব পাঞ্জাবি।

রিচম্যানের শাখার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বলেন, রোজা মাত্র শুরু হয়েছে।  রমজানের মাঝামাঝি বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি।

সাধারণত শুক্রবার ক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকে উল্লেখ করে একটেসি শোরুমের ব্যবস্থাপক জুবায়ের মিয়া জানিয়েছেন, ঈদ উপলক্ষে যেসব ক্রেতা আসার কথা, তারা সাধারণত রমজানের মাঝামাঝি আসতে শুরু করে। দর্জিবাড়ির জাহিদুল ইসলাম জাহিদও একই কথা বলেন।

তবে আগের বছরের চেয়ে এ বছর আরো ভালো বিক্রি হবে বলে আশা করেন হস্তশিল্প ও তাঁত পণ্যের খুচরা বিক্রেতা কে ক্রাফটের বিক্রয়কর্মী প্রবাল চৌধুরী। তিনি বলেন, এখনো ঈদের বেতন-বোনাস হয়নি। আগামী দিনগুলোতে আশানুরূপ বিক্রি বাড়বে।

 

 

মন্তব্য
ফেসবুকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন আবরার ফাহাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন আবরার ফাহাদ
আবরার ফাহাদ

স্বাধীনতা পদক ২০২৫ পাচ্ছেন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

পোস্টে সজীব ভূঁইয়া বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসিকতার প্রতীক, মুক্তচিন্তার এক প্রতিচ্ছবি আবরার ফাহাদ। মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক ২০২৫-এ ভূষিত হওয়া তার আত্মত্যাগের স্বীকৃতি।

তিনি আরো বলেন, আবরার ফাহাদের আদর্শ আমাদের আলোকিত করে, ন্যায়বিচারের পথে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়। জাতি তোমাকে ভুলবে না, আবরার!

ক্যাটাগরি হওয়া উচিত মুক্তিযুদ্ধ : সংস্কৃতি উপদেষ্টা

এদিকে আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাঁকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে লোকজন। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

তিনি গতকাল ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে বলেন, স্বাধীনতা পদকে আবরার ফাহাদের ক্যাটাগরি হওয়া উচিত মুক্তিযুদ্ধ

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী লিখেছেন, আবরার ফাহাদের কথাটা যেকোনোভাবেই হোক সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক সাংবাদিক ভাই-বোন এর সত্যতা জানতে চেয়েছেন। আবরার ফাহাদের নাম সামনে আসায় একটা নির্দিষ্ট দলের লোকদের অবুঝ প্রশ্ন দেখতে পাচ্ছি, আবরার ফাহাদকে স্বাধীনতা পদক কী বিবেচনায় দেওয়া হবে? তিনি বলেন, কী বিবেচনায় দেওয়া উচিত, সেটা ব্যাখ্যা না করে আমি বলতে চাই কোন ক্যাটাগরিতে দেওয়া উচিত। আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিবেচনা আবরার ফাহাদের ক্যাটাগরি হওয়া উচিত মুক্তিযুদ্ধ! মুক্তিযুদ্ধের ফল স্বাধীনতা।

স্বাধীনতার প্রধান শর্ত সার্বভৌমত্ব। আর সার্বভৌমত্বের ভ্যানগার্ড আবরার ফাহাদ।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর রাতে বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী পিটিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর বুয়েটের ২০ শিক্ষার্থীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

মন্তব্য

কুমিল্লার সাবেক মেয়র সূচনার ৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ফ্ল্যাট জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
কুমিল্লার সাবেক মেয়র সূচনার ৯ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ফ্ল্যাট জব্দ
তাহসীন বাহার সূচনা

সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার সূচনার ৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে তিন কোটি তিন লাখ ২৫ হাজার ৬৩৫ টাকা রয়েছে।

গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহীম মিয়া দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে ৩২ লাখ টাকা মূল্যের জমিসহ এক হাজার ৪৭৪ বর্গফুটের ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক ফেরদৌস রহমান এই আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাহসীন বাহার মেয়রের দায়িত্ব পালনকালে দুর্নীতির মাধ্যমে তাঁর জ্ঞাত আয়ের উৎসর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ তিন কোটি চার লাখ ৫০ হাজার ৭৭০ টাকা মূল্যর সম্পদের মালিকানা অর্জনপূর্বক দখলে রেখেছেন। তাঁর নামে থাকা ১৬টি ব্যাংক হিসাবে জ্ঞাত আয়ের উৎসর সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৯৩ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে।

এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে।

আবেদনে বলা হয়, তদন্তকালে আসামি তাহসীন বাহার সূচনা কর্তৃক অর্জিত সব সম্পদ সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা যায়নি। তবে এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত সম্পদ যাতে তিনি অন্যত্র হস্তান্তর ও স্থানান্তর করতে না পারেন তার জন্য স্থাবর সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে গত ১১ নভেম্বর আদালত সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, তাঁর স্ত্রী মেহেরুন্নেছা, মেয়ে তাহসীন বাহার সূচনা এবং ছেলে আয়মান বাহারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।

 

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ