বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে তার সাবেক ক্লাব পিএসজির বিরুদ্ধে বেতন সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। বিশ্বকাপজয়ী এই ফরওয়ার্ড দাবি করছেন, পিএসজি তার ৫৫ মিলিয়ন ইউরো (৬১ মিলিয়ন ডলার) বকেয়া বেতন পরিশোধ করেনি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তার আইনজীবীরা প্যারিসের আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
আইন বিশেষজ্ঞ থমাস ক্লে জানান, এমবাপে ইতিমধ্যে পিএসজির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বকেয়া অর্থ জব্দের প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ক্লাবের একাধিক ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এ নিয়ে ২৬ মে আদালতে শুনানি হবে।
ফরাসি তারকা এমবাপ্পের আইনজীবী দেলফিন ভারেহেডেন বলেন, ‘এই ঘটনা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলেছে। শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসার চেষ্টা করতে আমরা এক বছরের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলাম।
কিন্তু এখনো বকেয়া ৫৫ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধ করা হয়নি। তাই এবার আমরা আক্রমণাত্মক পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ভারেহেডেন আরো জানান, ফরাসি ক্রীড়ামন্ত্রীকে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি, ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের আপিল কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হবে, যেখানে এমবাপের আবেদন খারিজ করা হয়েছিল।
এছাড়াও, উয়েফাকেও এই বিষয়টি তদন্তের অনুরোধ করা হবে।
আরো পড়ুন
হলিউডের চলচ্চিত্রে রোনালদো
তাদের দাবি, পিএসজি যদি বেতন দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে ক্লাবটির চ্যাম্পিয়নস লিগে অংশগ্রহণের লাইসেন্স বাতিল হতে পারে।
পিএসজি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এখনও ‘বন্ধুত্বপূর্ণ সমাধান’ চায়। তবে ক্লাবটি এমবাপ্পের আইনি পদক্ষেপকে ‘অযৌক্তিক’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, ‘তবে এমবাপ্পে কেন সরাসরি শ্রম আদালতে যাচ্ছেন না, তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা আদালতে সব প্রমাণ উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত।
’
০২৩ সালের অক্টোবরেফ্রেঞ্চ লিগ আপিল কমিশন পিএসজিকে এমবাপের বকেয়া বেতন দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। এমবাপ্পের দাবি, তার তিন মাসের বেতন ও একটি আনুগত্য বোনাসের শেষ কিস্তি দেওয়া হয়নি।
উল্লেখ্য, গত গ্রীষ্মে ফ্রি ট্রান্সফারে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন এমবাপ্পে। তার আগেই পিএসজির সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে দলের বাইরে রাখা হয় এবং সেসময় তাকে জাপান সফরেও নেয়া হয়নি। পরে দলে ফিরলেও, সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকেই যায়। পিএসজির দাবি, এমবাপ্পে মৌখিকভাবে বোনাস ত্যাগ করতে রাজি হয়েছিলেন, যা তিনি অস্বীকার করছেন।
এদিকে, এমবাপের আইনজীবীরা পিএসজির বিরুদ্ধে ‘হয়রানি’র মামলা প্রস্তুত করছেন। এছাড়াও এমবাপে ও তার মা অনলাইনে পাওয়া হুমকি ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা দায়ের করেছেন।