ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

বিতর্কিত কাণ্ডে তদন্তে বিসিবি

  • গতকাল এক সংবাদ বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, ‘বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট ও লিগের টেকনিক্যাল কমিটি একটি তদন্ত শুরু করেছে। ম্যাচে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না তা দেখতে। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে বিসিবি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
শেয়ার
বিতর্কিত কাণ্ডে তদন্তে বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক : শুরুতে প্রায় দুই ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ, এরপর দুই অভিযুক্ত ব্যাটারকে নিয়ে মিরপুরের একাডেমি মাঠে হাজির হন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটের (আকু) প্রধান রাইয়ান আজাদ। গতকাল দুপুরে সেখানে আগে থেকে প্রস্তুত রাখা দুটি ক্যামেরার সামনে স্টাম্পিং হওয়ার অভিনয় করে দেখান মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির এবং রহিম আহমেদ, যেভাবে গত বুধবার বসুন্ধরা ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) স্টাম্পিং হয়েছিলেন শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের এই দুই ব্যাটার। সেই ঘটনা মুহূর্তে বিতর্কের ঝড় তুললে তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে বিসিবি।

গতকাল এক সংবাদ বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, ‘বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিট ও লিগের টেকনিক্যাল কমিটি একটি তদন্ত শুরু করেছে।

ম্যাচে কোনো অনিয়ম হয়েছে কি না তা দেখতে। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে বিসিবি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

এই বিবৃতির পর ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, ‘আকু এবং টেকনিক্যাল কমিটির তদন্ত থেকে যে রিপোর্ট আমাদের হাতে আসবে, আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব। এ ব্যাপারে (তদন্ত) কিন্তু আমরা অভিযোগ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করিনি।

নিজেদের উদ্যোগে কাজটা শুরু করেছি।’ টেকনিক্যাল কমিটির অন্যতম সদস্য সেলিম শাহেদ অবশ্য তদন্তের পুরো ভার আকুর কাঁধে দিলেন, ‘তদন্ত করা তো আমাদের কাজ নয়। এ জন্য তদন্ত কমিটি আছে। আকু এই কাজটা করবে।
আমাদের প্রোটোকল অনুযায়ী আমরা এখানে হস্তক্ষেপ করতে পারি না।’

আকু বিসিবির আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়ার আগে নিজেদের কাজ শুরু করেছে। এ জন্য গতকাল অভিযুক্ত দুই ক্রিকেটার মিনহাজুল ও রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটি। যদিও দীর্ঘ জেরার পরেও দুই ক্রিকেটারের কাছ থেকে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার মতো কিছু উদ্ধার করতে পারেনি বলেই জানা গেছে। এ জন্য তদন্তের স্বার্থে এই দুই ক্রিকেটার ম্যাচে যেভাবে আউট হন, সেই ঘটনা পুনরায় মঞ্চায়ন করতে বলা হয়।

গুলশানের বিপক্ষে শাইনপুকুরের বিতর্কিত ম্যাচটি টেলিভিশন এবং ইউটিউবে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে, এবং নির্দিষ্ট দুই ঘটনার ভিডিও চিত্র রয়েছে, তবু অভিযুক্তদের দিয়ে গতকাল অভিনয়ের কারণ জানালেন সেখানে উপস্থিত এক সদস্য। তিনি বললেন, ‘এই দুই ক্রিকেটারকে দিয়ে তাদের আউটের ধরন পুনরায় করানো তদন্তের একটি কৌশল। তারা যদি ম্যাচে অভিনয় না করত তাহলে পুনরাবৃতি করতে তাদের সমস্যা হবে। আকু মূলত ক্যামেরার সামনে তাদের শরীরী ভাষা দেখতে চেয়েছে।’

এদিকে গত বুধবার সংবাদমাধ্যমে নিজ দলের ক্রিকেটারদের বিপক্ষে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ করেন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের প্রধান কোচ আনোয়ারুল মোস্তাকিম। এটা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে কি না জানতে চাইলে সিসিডিএম চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন বলেন, ‘এ ব্যাপারে উনি আমাদের সঙ্গে কোনো আলাপ করেননি। আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’

 

 

 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

টিভিতে

শেয়ার
টিভিতে

টি স্পোর্টস টিভি ও অ্যাপ

ক্রিকেট

ডিপিএল, পারটেক্স-ব্রাদার্স

সরাসরি, সকাল ৯টা

আইপিএল, বেঙ্গালুরু-রাজস্থান

সরাসরি, রাত ৮টা

পিএসএল, লাহোর-পেশোয়ার

সরাসরি, রাত ৯টা

 

অন্যান্য চ্যানেল

ফুটবল

লেগানেস-জিরোনা

সরাসরি, রাত ১১টা, জিও সিনেমা

অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ-রায়ো ভায়েকানো

সরাসরি, রাত ১-৩০ মিনিট, জিও সিনেমা

রিয়াল বেতিস-রিয়াল ভায়াদোলিদ

সরাসরি, রাত ১-৩০ মিনিট, জিও সিনেমা

টেনিস

মাদ্রিদ ওপেন

সরাসরি, বিকেল ৩টা, ইউরোস্পোর্ট

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জেল হয়েছে স্ল্যাটারের

শেয়ার
জেল হয়েছে স্ল্যাটারের

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ওপেনারদের একজন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে ধারাভাষ্যকার হিসেবে ক্রিকেটের সঙ্গেই জড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু সেই মাইকেল স্ল্যাটারের জীবনের চিত্র কিছুটা বদলে গেছে। নারীঘটিত অপরাধের অভিযোগে চার বছরের জেল হয়েছে তাঁর।

তবে কপাল ভালো স্ল্যাটারের এই শাস্তি আপাতত স্থগিত থাকছে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধে অভিযুক্ত হলে জেলে যেতে হবে তাঁকে। গত পরশু অস্ট্রেলিয়ার মারুচিডোর আদালতে দাঁড়িয়ে দোষ স্বীকার করেন স্ল্যাটার। তাঁর বিরুদ্ধে একজন নারীর সঙ্গে খারাপ আচরণের অভিযোগ ছিল।

যেখানে ওই নারীকে দুবার গলা চেপে ধরার মতো অভিযোগও রয়েছে। একই সঙ্গে ওই নারীকে বারবার বিরক্ত করাসহ মারধর করেন স্ল্যাটার। একবার জোর করে তাঁর বাসায় ঢুকে পড়ার মতো কাজও করেন সাবেক এই অজি ওপেনার। ঘটনাগুলো ঘটে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে।
সেই সময় পুলিশ তাঁকে আটক করার পর এক বছর জেলে ছিলেন স্ল্যাটার। বারবার জামিন চাওয়া হলেও তা মেলেনি। শাস্তি ঘোষণার পর স্ল্যাটারের জন্য খারাপ খবর হচ্ছে, চার বছরের শাস্তির মধ্যে পুলিশ হেফাজতের অংশটুকু অন্তর্ভুক্ত থাকছে না। সিডনি মর্নিং হেরাল্ড

মন্তব্য

মাঠ থেকে ইকরামের শেষযাত্রা

ক্রীড়া প্রতিবেদক
ক্রীড়া প্রতিবেদক
শেয়ার
মাঠ থেকে ইকরামের শেষযাত্রা

মাঠে দায়িত্ব পালন করার সময় অসুস্থ হয়ে প্রাণ হারালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নিরাপত্তা সমন্বয়ক ইকরাম চৌধুরী।

অন্যান্য দিনের মতো গতকাল সিলেটে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্টের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ম্যাচ চলাকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে দ্রুত সিলেটের একটি হাসপাতালে পাঠায় বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগ। সেখানে দুপুর ১২টার দিকে ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

৫০ বছর বয়সী ইকরামের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে ক্রিকেট বোর্ড।

মন্তব্য
মুখোমুখি

টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করার ব্যাটারই নেই

    মাঠের ক্রিকেটে সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ দলের। তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও। দুই টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে গতকাল সিলেটে সফরকারীদের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ। হারের ময়নাতদন্তে কালের কণ্ঠ স্পোর্টসের মুখোমুখি হয়ে নিজের ভাবনা জানিয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার রাজিন সালেহ—
শেয়ার
টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করার ব্যাটারই নেই

প্রশ্ন : মাঠের ক্রিকেটে খারাপ সময়টা আরেকটু দীর্ঘায়িত হলো বাংলাদেশ দলের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও টেস্ট জিততে না পারাকে কিভাবে দেখছেন?

রাজিন সালেহ : এমন ফল নিশ্চয়ই আমরা আশা করি না। জিম্বাবুয়ের যখন সেরা দল ছিল, তখন হলে এমন হার মেনে নেওয়া যেত। কিন্তু এখন, ২০২৫ সালে এসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট হার খুবই দুঃখজনক।

প্রশ্ন : ঘাটতির জায়গাটা কোথায় তাহলে?

রাজিন : দেখুন, আমরা কি সত্যিকার অর্থে টেস্ট ক্রিকেট খেলছি? আমি যতটুকু খেলা দেখেছি, আমার তা মনে হয়নি। আমার কাছে মনে হয়েছে যে টেস্ট ক্রিকেট যেভাবে খেলা উচিত, সেভাবে আমরা খেলতে পারিনি। আউটগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। এখানে কাউকে তরুণ বলার সুযোগ নেই।

সবাই নিয়মিত টেস্ট ক্রিকেট খেলছেন। সবাই যথেষ্টসংখ্যক টেস্ট খেলেছেন। কেউ যদি তাঁদের অনভিজ্ঞ বলে, সেটা ভুল। সবাই যথেষ্ট অভিজ্ঞ।
দুই ইনিংসেই ব্যাটারদের ইনিংস বড় করতে না পারা এবং ব্যাটিং অর্ডারের ভেঙে পড়তে দেখা হতাশাজনক। হয়তো বাংলাদেশ পরের টেস্টে ঘুরে দাঁড়াবে। এর পরও প্রশ্নটা থেকে যাবে। ঘরের মাঠে খেলা, সিলেটের পরিচিত উইকেটসেখানে জিম্বাবুয়েকে হারাতে না পারার কারণ দেখি না।

প্রশ্ন : ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণটা কি মানসিক?

রাজিন : সত্যি কথা বলতে, টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করার ব্যাটারই নেই এই দলে।

এটা বুঝতে হবে সবাইকে। টেস্ট একটা ভিন্ন ধাঁচের খেলা। আপনি এখন অস্ট্রেলিয়ার মতো খেলতে চাইলে তো হবে না! আপনাকে আপনার শক্তির ওপর চলতে হবে। আমাদের ব্যাটারদের মাথা খাটিয়ে খেলা উচিত। এখন তাঁরা যদি অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের ব্যাটারদের মতো মেরে খেলাকে টেস্ট ক্রিকেট মনে করেন, তাহলে সমস্যা। একজন ধৈর্যশীল ব্যাটার আমি দেখলাম না, যিনি আসলে দলের জন্য উইকেটে পড়ে থাকার চেষ্টা করেছেন।

প্রশ্ন : তাহলে কী করা উচিত বলে মনে হয়?

রাজিন : আমার জানতে চাওয়া, ব্যাটাররা কি তাঁদের প্রতি বার্তাটা বুঝতে পারছেন? এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁরা হয়তো পরিপূর্ণভাবে কোচের বার্তা গ্রহণ করছেন না। কোচ হয়তো চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোচের প্রক্রিয়া মাঠে বাস্তবায়নের দায়িত্ব ক্রিকেটারদের। সবচেয়ে বড় কথা, টেস্ট ক্রিকেটে ধৈর্যের বিকল্প নেই। আমার মনে হয়, আমরা এই জায়গাটায় অনেক বেশি পিছিয়ে যাচ্ছি।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ