মেয়ে শিবানীর বিয়ের বাকি হাতে গোনা কয়েকদিন। জোর কদমে চলছিল প্রস্তুতির। বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু হয় আত্মীয়স্বজনদের। পুরো পরিবার যখন আনন্দে ভাসছে ঠিক তখন ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
মেয়ে শিবানীর বিয়ের বাকি হাতে গোনা কয়েকদিন। জোর কদমে চলছিল প্রস্তুতির। বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে আসা যাওয়া শুরু হয় আত্মীয়স্বজনদের। পুরো পরিবার যখন আনন্দে ভাসছে ঠিক তখন ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, শিবানী উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের মাদরাক থানা এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা। বিয়ের আগে তার মায়ের এমন ঘটনায় হতবাক পুরো পরিবার।
প্রতিবেদন থেকে আরো জানা গেছে, শিবানীর মায়ের নাম অনিতা।
শিবানী বলেন, ‘আগামী ১৬ এপ্রিল আমার রাহুল নামে একজনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল, আর আমার মা রোববার তার সঙ্গে পালিয়ে গেছেন। গত তিন-চার মাস ধরে রাহুল ও আমার মা ফোনে অনেক কথা বলতেন। আমাদের আলমারিতে নগদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা এবং ৫ লাখ টাকার বেশি মূল্যের গয়না ছিল।
তিনি আরো বলেন, ‘এখন তিনি যা খুশি করতে পারেন, আমাদের কিছু যায় আসে না। আমরা শুধু চাই আমাদের টাকা ও গয়না ফেরত দেওয়া হোক।
শিবানীর বাবা জিতেন্দ্র কুমার জানান, তিনি বেঙ্গালুরুতে ব্যবসা করেন এবং শুনেছিলেন অনিতা তার হবু জামাইয়ের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলতেন, কিন্তু যেহেতু বিয়ের তারিখ খুব কাছেই ছিল তাই তিনি কিছু বলেননি। তিনি এখন স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার ডায়েরি করেছেন।
জিতেন্দ্র কুমার বলেন, ‘ওই লোকটি আমার মেয়ের সঙ্গে কথা বলত না, শুধু আমার স্ত্রীর সঙ্গেই কথা বলত। আমি ব্যবসার জন্য বেঙ্গালুরুতে থাকি। শুনেছি গত তিন মাস ধরে তারা প্রতিদিন ২২ ঘণ্টা করে কথা বলত। আমার সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু, বিয়ের তারিখ কাছে আসায় কিছু বলিনি। অনিতা ৬ এপ্রিল ওই লোকের সঙ্গে পালিয়েছে এবং আমাদের সমস্ত নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে গেছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি অনিতাকে অনেকবার ফোন করেছিলাম। কিন্তু তার ফোন বন্ধ ছিল। এরপর আমি মেয়ের হবু স্বামীকেও ফোন করেছিলাম। সেও অস্বীকার করে যে-অনিতা তার সঙ্গে আছে।’
আনিতার স্বামী বলেন, যদিও কয়েক ঘণ্টা পর, অবশেষে সে বলে যে আমি নাকি ২০ বছর ধরে আমার স্ত্রীকে কষ্ট দিয়েছি এবং আমার তাকে ভুলে যাওয়া উচিত। এরপর তাদের আর ফোনে পাওয়া যায়নি।’
মাদরাক থানার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘একটি নিখোঁজ ডায়েরি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আমরা একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্পর্কিত খবর
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে। আলোচনার প্রাথমিক পর্ব ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) এএনআইয়ের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, শুল্ক বিরতির ৯০ দিনের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ব্যক্তিগত বৈঠকের কথা রয়েছে।
এদিকে বাণিজ্যসচিব সুনীল বার্তওয়াল বলেছেন, বর্তমান শুল্কের ক্ষেত্রে ভারতের জন্য উদ্বেগ এবং সুযোগ উভয়ই রয়েছে। ইতিমধ্যে ভারত একটি উপায় খুঁজে নিয়েছে।
মার্চ মাসে নয়াদিল্লিতে দুই দেশ বহু ক্ষেত্রীয় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তির (BTA) প্রথম পর্যায়ে আলোচনা শেষ করেছে।
মার্চ মাসে ভারতে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। দেশটিতে ৬ বছরে মধ্যে সর্বনিম্ন খুচরা মূল্যস্ফীতি হয়েছে গত মাসে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভারতের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৩.৩৪ শতাংশে নেমেছে, যা প্রায় ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর মধ্যে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ২.৬৯ শতাংশ।
কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, শাক-সবজি ও প্রোটিনসমৃদ্ধ খাদ্যপণ্যের দাম কমে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। আগের মাস ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৩.৬১ শতাংশ। গত বছরের মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি ৪.৮৫ শতাংশ ছিল।
পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয় বলছে, ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে সর্বনিম্ন খুচরা মূল্যস্ফীতি ছিল ৩.২৮ শতাংশ।
পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতের বাজারে মার্চ মাসে নারকেল তেলের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫৬.৮১ শতাংশ, নারকেলে ৪২.০৫ শতাংশ, সোনায় ৩৪.০৯ শতাংশ, রুপায় ৩১.৫৭ শতাংশ এবং আঙুরে ২৫.৫৫ শতাংশ।
অন্যদিকে আদায় -৩৮.১১ শতাংশ, টমেটোতে -৩৪.৯৬ শতাংশ, ফুলকপিতে -২৫.৯৯ শতাংশ, জিরায় -২৫.৮৬ শতাংশ ও রসুনে -২৫.২২ শতাংশ।
পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, গ্রামীণ মূল্যস্ফীতি মার্চ মাসে ৩.২৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা ফেব্রুয়ারিতে ৩.৭৯ শতাংশ ছিল।
পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে মঙ্গলবার এক বোমা বিস্ফোরণে তিন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন।
মাস্তুং জেলায় পুলিশ সদস্যদের বহনকারী একটি বাস পুঁতে রাখা আইইডি বোমা বিস্ফোরণের শিকার হয়। বাসে প্রায় ৪০ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা রাজা মোহাম্মদ আকরাম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং আহতদের কোয়েটার সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র শাহিদ রিন্দ জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এদিকে ঘটনার দায় এখনো কোনো গোষ্ঠী স্বীকার করেনি। তবে বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এই অঞ্চলে সবচেয়ে সক্রিয় দল হিসেবে পরিচিত।
বেলুচিস্তান প্রদেশ আফগানিস্তান ও ইরানের সীমান্তঘেঁষা খনিজসমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে পরিচিত। চলতি বছরের শুরু থেকে কেবল বেলুচিস্তান ও খাইবারপাখতুনখোয়াতেই দুই শতাধিক প্রাণহানি ঘটেছে।
বেলুচিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা লক্ষ করা যাচ্ছে। এ ছাড়া আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার সংখ্যা বেড়েছে।
এজিয়ান সাগরের গ্রিক দ্বীপ ফার্মাকোনিসির উপকূল থেকে দুই নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির উপকূলরক্ষী হেলেনিক কোস্ট গার্ড। তারা জানিয়েছে, এ সময় আরো ৩৯ জন অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ঠিক কিভাবে ওই দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে, তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
কোস্ট গার্ডের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তুরস্কের উপকূল থেকে প্রায় ৯.৭ কিলোমিটার দূরের ফার্মাকোনিসি দ্বীপে সংশ্লিষ্ট অভিবাসীরা সোমবার সকালে পৌঁছেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অভিবাসীদের মধ্যে এখনো কেউ নিখোঁজ রয়েছে কি না, তা জানতে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা অভিবাসীদের এবং দুই নারীর মরদেহ পার্শ্ববর্তী লেরোস দ্বীপে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অন্যদিকে বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, সম্ভবত অভিবাসীরা নৌকাযোগে তুরস্কের উপকূল থেকে যাত্রা করেছিল।
দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও এশিয়া থেকে ইউরোপমুখী অভিবাসীদের কাছে তুরস্ক উপকূল থেকে গ্রিসের বিভিন্ন দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত সমুদ্রপথগুলো প্রধানতম অভিবাসন রুটে পরিণত হয়েছে। আর ফার্মাকোনিসি দ্বীপটি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের একেবারে প্রান্তে অবস্থিত।
২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির উপকূলরক্ষীরা আড়াই লাখের বেশি মানুষকে উদ্ধার করেছে বলে দাবি করেছে গ্রিস কর্তৃপক্ষ।
২০২৪ সালের পুরো সময়জুড়ে ৬০ হাজারের বেশি অভিবাসী গ্রিসে গেছে। সংখ্যাটি তার আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। গত বছর গ্রিসে যাওয়া অভিবাসীদের মধ্যে ৫৪ হাজার ৪১৭ জন সমুদ্রপথে ও সাত হাজার ৭০২ জন স্থলপথে গেছে।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত গ্রিসে সমুদ্রপথে আট হাজার ও স্থলপথে ৭৫৫ জন অভিবাসীর প্রবেশ নথিভুক্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।