<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রূপান্তর করে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের জন্য দুই ভাসমান টার্মিনালের অন্যতম সামিটের এলএনজি টার্মিনাল শিগগিরই চালু হচ্ছে না। এ কারণে দেশে এলএনজির সরবরাহ ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট কমে যাওয়ায় চলমান গ্যাসসংকটও শিগগিরই কাটছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এলএনজিকে রূপান্তর করে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহের জন্য ভাসমান টার্মিনাল দুটি অবস্থিত কক্সবাজারের মহেশখালীতে। এর মধ্যে গত ২৭ মে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সামিটের টার্মিনালটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এটি থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে জাতীয় গ্রিডে এলএনজি সরবরাহ প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো কমে গেছে। সামিটের টার্মিনালটি চালু হতে আরো এক মাস লাগতে পারে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সামিট গ্রুপ জানিয়েছে, সমুদ্রের অবস্থা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মাসের শেষ দিকে টার্মিনালের ডিসকানেক্টেবল টারেট মুরিং (ডিটিএম) প্লাগটি পুনঃস্থাপন ও পুনঃসংযোগ করা যাবে। এরপর আগামী মাসের মাঝামাঝি আবার এলএনজি সরবরাহ শুরুর জন্য এটি তৈরি হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ নিয়ে টার্মিনাল চালুর তারিখ কয়েক দফা পেছাল। গত ১১ জুলাই এটি চালুর কথা ছিল। এরপর বলা হয়, জুলাইয়ের শেষ দিকের কথা। সর্বশেষ সরকারের জ্বালানি বিভাগ থেকে আগস্টের শুরুতে চালুর কথা বলা হয়েছিল। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টার্মিনালটি মেরামতের জন্য সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়েছিল। মেরামত শেষে দেশে ফেরার পর গ্যাস সরবরাহ চালুর আগেই আবার দুর্ঘটনায় পড়ে সেটি। এখন তা মেরামতে নতুন করে একটি দক্ষ জাহাজ ও কর্মী দল আসছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মহেশখালীতে স্থাপিত অন্য টার্মিনালটি স্থাপন করেছে মার্কিন জ্বালানি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জি। দুটি এলএনজি টার্মিনালের সক্ষমতা এক হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পেট্রোবাংলার তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা প্রায় চার হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। এখন সরবরাহ করা হচ্ছে দুই হাজার ৬৩০ মিলিয়ন ঘনফুট। ঘাটতি থাকছে এক হাজার ৩৭০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বাভাবিক সময়ে দুটি টার্মিনাল থেকে এলএনজি রূপান্তরের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে এক হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস সরবরাহ করা হতো। এখন একটি টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। একটি টার্মিনাল বন্ধ থাকায় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুেকন্দ্রেও গ্যাসের সরবরাহ কমে গেছে। ফলে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট কমেছে। বিদ্যুতের চাহিদা সামাল দিতে বাড়ানো হয়েছে তেলভিত্তিক ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার দুপুরে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় পাঁচ হাজার ২৫১ মেগাওয়াট। স্বাভাবিক সময়ে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে উৎপাদিত হতো ছয় হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ।</span></span></span></span></p>