<p>বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও তাদের লেজ রেখে গেছে এবং তারা ষড়যন্ত্র করছে, তারা কিন্তু বসে নেই।’ মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা নিরাপদ এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের গণতন্ত্রের পক্ষে থাকতে হবে, গণতন্ত্রকে চালু রাখতে হবে। যেখানে যে নির্বাচনই হোক সেটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হতে হবে।’</p> <p>গতকাল মঙ্গলবার সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমির অডিটরিয়ামে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ ও জনসম্পৃক্তি সাংগঠনিক বিভাগীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট বিভাগের নেতাদের জন্য বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণবিষয়ক কমিটি এ কর্মশালার আয়োজন করে।</p> <p>বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউসের সভাপতিত্বে ও প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনের সঞ্চালনায় দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রশিক্ষণ প্রদানকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন নেতার ৩১ দফা কর্মসূচির ওপর বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।</p> <p>প্রশিক্ষণে প্যানেল আলোচক ছিলেন ডা. মওদুদ আলমগীর, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মহিউদ্দিন আলমগীর পাবেল, কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবা হাবিবা, সহ-ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নেওয়াজ হালিমা আর্লিসহ প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু।</p> <p>কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচারের সময়ে যারা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করেছে তারা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। আপনাদেরকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’</p> <p>বিএনপিকে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। মানুষ মনে করে বিএনপির কাছে গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতা নিরাপদ। এজন্য মানুষ বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আজকে দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি। দল কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ ও দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই আসুন আমরা মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদেরকে গড়ে তোলার চেষ্টা করি।’ এসময় তিনি বলেন, ‘পলাতক স্বৈরাচারের অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য করে যারা টিকে আছেন তারা আগামীতেও টিকে থাকবেন বলে আমি মনে করি।’</p> <p>বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করা সকল দলের পক্ষ থেকে ৩১ দফা ঘোষণা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটির মধ্যে রাষ্ট্রকাঠামোর অধিকাংশই আছে। আরো যত প্রস্তাব আসবে তা যুক্তি সংগত হলে যুক্ত করা হবে।’</p> <p>তারেক রহমান আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র চলার পথে বিভিন্ন ভাবে বাঁধাগ্রস্ত হয়েছে। বিগত ১৬ বছরে বহু মানুষ গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জুলাই-আগস্টে দেড় হাজারেরও বেশী মানুষ শহীদ হয়েছেন। জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এই প্রস্তাবনা বাস্তবায়ন সম্ভব। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখলে জবাবদিহিতা তৈরি হবে।’</p>