<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নারায়ণগঞ্জের বন্দরের দেওয়ানবাগ দরবার শরিফে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার ফজরের নামাজের পর স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেওয়ানবাগবিরোধী লোকজন ও স্থানীয় এলাকাবাসী এ হামলা চালায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দেওয়ানবাগী পীরের এক সন্তান ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শুক্রবার দরবারে আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিল করার ঘোষণা দেয়। দেওয়ানবাগী পীরের বিরোধীপক্ষে বিষয়টি জানাজানি হলে অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনুষ্ঠানের বিরোধিতা করে নানা ধরনের পোস্ট দেয়। পরে শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আশপাশের মসজিদে ঘোষণা দিয়ে দরবার শরিফে হামলা চালানো হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন দরবারের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় দুটি টিনের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, দেওয়ানবাগী পীরের সঙ্গে স্থানীয়দের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। সেই বিরোধের জের ধরেই ফজরের নামাজের পর মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয় লোকজন দেওয়ানবাগ দরবার শরিফে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি। </span></span></span></span></p>