<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদসহ অন্যদের মানহানির অভিযোগে করা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত সহকারী কমিশনার তাপসী তাবাসসুম উর্মির আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত এই আদেশ দেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় হাজিরা দিতে আদালতে আসেন তাপসী। পরে আদালতের ভেতরে বেঞ্চে বসে তিনি ফোন ব্যবহার ও গল্প করে সময় কাটান। সকাল ১১টা ২৩ মিনিটে বিচারক আদালতের এজলাসে ওঠেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুনানিতে তাপসীর আইনজীবী পি এম মাহাদী হাসান অব্যাহতি চেয়ে বলেন, আসামি মামলার কথিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি পারিপার্শ্বিক ঘটনা সম্পর্কে ফেসবুক পোস্টে নিজস্ব অভিমত প্রকাশ করেছেন। সেই পোস্টে বাদীর সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পর্কিত নয়। মানহানির ক্ষেত্রে যেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তি নিজে এবং মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে তাঁর বাবা, মা অথবা নিকটাত্মীয় এই মামলা করতে পারেন। এই মামলার বাদী শহিদ আবু সাঈদের বা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রক্ত সম্পর্কিত কেউ নন। বাদীর দায়েরকৃত অভিযোগ করার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই বিধায় আসামি অব্যাহতি পাওয়ার হকদার বটে। এ সময় তাপসীকে অনেকটা স্বাভাবিক দেখা যায়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরে বাদীপক্ষের আইনজীবী খাদেমুল ইসলাম অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানিতে বলেন, আসামি ইচ্ছাকৃতভাবে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট দিয়েছেন। এ মামলার বাদী সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশ নেন এবং ১১ দিন জেলহাজতে ছিলেন। তাই এই মামলা দায়েরের ক্ষেত্রে আইনগত বাধা ছিল না। এ মামলায় অভিযোগ গঠনের যথেষ্ট উপাদান রয়েছে।</span></span></span></span></span></p>