আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় আচরণবিধি মেনে চলার প্রতি আরো কঠোর হবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিষয়টি জানিয়ে ইসি কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রয়োজনে জরিমানা বাড়ানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এক বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী প্রচারে পোস্টার না রাখার কথা ভাবছে ইসি।
প্রচারের ক্ষেত্রে গুজব যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে সে বিষয়গুলোতেও নজর দেওয়া হচ্ছে। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারের বিষয়টিও থাকছে।
ইসি কমিশনার বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ কঠোরতার জন্য যে টুলসগুলো আছে, সেগুলোকে শক্তিশালী করব। আচরণবিধি লঙ্ঘনে দুই শ টাকা-পাঁচ শ টাকা জরিমানার বিষয়গুলো আরো বাড়ানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে।
আচরণবিধির বাইরেও পেনাল কোড আছে। নির্বাচনী ব্যয় ন্যূনতম রাখা, যেন শৃঙ্খলা বিঘ্নিত না হয় সে লক্ষ্যে কাজ চলছে। গ্রামীণ পর্যায়ে একেবারে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে যেন প্রচার করা যায়, সেই মনোভাব নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার খসড়া সংশোধন করা হবে।
নির্বাচন নিয়ে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রায় চূড়ান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, আচরণ বিধিমালার খসড়া করার জন্য বসেছিলাম। দ্রুতই তা চূড়ান্ত করে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হবে। এরপর কমিশন তা চূড়ান্ত করবে। খসড়ায় আমরা যে প্রস্তাব দিয়েছি, তাতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ও নতুন নতুন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করব। আশা করি চমৎকার আচরণবিধি হবে।
ইসি কমিশনার আরো বলেন, দল নিবন্ধনের তারিখ ২০ এপ্রিল থেকে বাড়ানো হবে কি না, তা নির্ভর করবে আবেদনের সংখ্যা বিবেচনায়। বর্তমানে দুয়েকটি দল আবেদন করেছে। যদি এই সময়ের মধ্যে অনেক দল আবেদন করে তবে বিষয়টি এক রকম হবে।