<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) কর্মরত আট কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সনদ জাল পাওয়ায় দণ্ড হিসেবে চাকরি থেকে ছয়জনকে বরখাস্ত ও দুজনকে বাধ্যতামূলক অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন-শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে যবিপ্রবির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডের ৯০তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে সনদ যাচাই সংক্রান্ত তিনটি আলাদা কমিটি ৮২তম রিজেন্ট বোর্ডে তাঁদের প্রতিবেদন পেশ করে। পরবর্তী সময়ে রিজেন্ট বোর্ড ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় জাল সনদধারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রিজেন্ট বোর্ডের সভায় অভিযুক্ত টেকনিক্যাল অফিসার জাহিদ হাসান (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) জাহাঙ্গীর আলম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) সাকিব ইসলাম (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সেকশন অফিসার (গ্রেড-২) হাসনা হেনা (স্নাতক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়), সিনিয়র ক্লিনার দিলীপ হরিজন (অষ্টম শ্রেণি) ও ক্লিনার বাসুদেব দাসকে (অষ্টম শ্রেণি) দণ্ডের শাস্তিস্বরূপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একই সঙ্গে সেকশন অফিসার (গ্রেড-১) মহিদুল ইসলাম (স্নাতকোত্তর, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়) ও মেকানিক জাকির হোসেনকে (স্নাতকোত্তর, সোনারগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়) বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাধ্যতামূলক অবসরের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রিজেন্ট বোর্ডের সভায় জানানো হয়, যবিপ্রবির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. হায়াতুজ্জামানের বিরুদ্ধে নিয়োগসংক্রান্ত অনিয়মে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এ প্রতিবেদন গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে যবিপ্রবির পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি (এনএফটি) বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে মারধরের ঘটনায় গভীরতা বিবেচনায় যবিপ্রবির নিরাপত্তা সুপারভাইজার বদিউজ্জামান বাদলের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বহাল রাখা হয়। এই ঘটনা তদন্তে চার সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রিজেন্ট বোর্ডের সভায় গত শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নবম তলায় অগ্নিনির্বাপণে সাহসী ভূমিকা রাখায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রো প্রডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল নোমান ও ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ সাদী ভূঁইয়াকে ধন্যবাদ দেওয়া হয়। </span></span></span></span></p>