<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পেটে গুলিবিদ্ধ হন কলেজছাত্র ইমন আলী। গতকাল রবিবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইমন টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন এলাকার মৃত জুলহাস শেখের ছেলে। স্থানীয় মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করেন তিনি। গত ৪ আগস্ট মির্জাপুরের গোড়াই এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় ছাত্র-জনতার। এ সময় একটি বুলেট ইমনের বুক দিয়ে ঢুকে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই সামনের সারিতে ছিলেন কলেজছাত্র ইমন। ১০ বছর বয়সে বাবাকে হারান তিনি। চারজনের পরিবারে ইমনই ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ফলে ছেলের চিকিৎসার ব্যয় বহনে এরই মধ্যে সহায়-সম্পদ বিক্রি করেন মা রিনা বেগম। পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনি করে পরিবারের হাল ধরেছিলেন ইমন। তাঁর ছোট দুই ভাই ও এক বোন রয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে পরিবারের সদস্যরা অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গোপালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইমনের পরিবার অত্যন্ত গরিব। তিনি নিজে টিউশনি করে চলতেন এবং পরিবার চালাতেন। তাঁর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। আমরা খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে ইমনের বাড়িতে গিয়েছি। আমাদের জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এই অসহায় পরিবারের পাশে সব সময় থাকবে এবং আমরা তাদের ব্যয়ভার বহন করব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>