<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনেক আশা ছিল ছেলে সাব্বির হোসেন লেখাপড়া শেষ করে শিক্ষিত হয়ে ভালো একটা চাকরি করবে। সুখের হাসি ফোটাবে অভাবেব সংসারে। ছোট ভাইদের দায়িত্ব নিয়ে তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করবে। কিন্তু তা আর হলো না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে গুলিতে একটি চোখ হারিয়ে ফেলেছে আমার ছেলে। চোখের ভেতর এখনো গুলি রয়ে গেছে। চিকিৎসকরা শত চেষ্টা করেও তার চোখের গুলিটি ভেতর থেকে বের করতে পারেননি। চোখে কিছু দেখে না সে। ডান চোখ ড্যামেজ হয়ে গেছে। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে গুলির ক্ষত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গেছি। কী করে খাবে সে। ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে অনেক টাকা ধারদেনা করা হয়েছে। জানি না ধারের টাকা কিভাবে শোধ করব। তা ছাড়া সামনে তো আরো চিকিৎসা করাতে হবে। সেখানেও টাকা লাগবে। অভারের সংসারে ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি ছেলের সুচিকিৎসা এবং সুস্থ হওয়ার পর একটা সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করে দিত তা হলে হয়তো সে ভবিষ্যতে চলে-ফিরে খেতে পারত।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে কালিয়াকৈরের সফিপুর আনসার একাডেমির সামনে আনসার সদস্যদের ছররা গুলিতে সাব্বির হোসেনের চোখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুলি লাগে। এ সময় তার ডান চোখের ভেতর গুলি ঢুকে যায়। এরপর থেকে সে চোখে দেখে না। ধারদেনা করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করালেও এখনো চোখের গুলি বের করতে পারেননি চিকিৎসকরা। দীর্ঘদিন ধরে চোখের ভেতর গুলি নিয়ে যন্ত্রণায় বেঁচে আছে সাব্বির। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আহত সাব্বির হোসেন কায়িলাকৈর উপজেলার বলিয়াদী রাজপাড়া এলাকার হেলাল উদ্দিন উরফে খালেকের ছেলে। সে কালিয়াকৈর ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আগামী ১৫ অক্টোবর পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা যায়, ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাব্বির হোসেনের চোখসহ শরীরের বিভন্ন জায়গায় গুলি লেগে আহত হয়। চোখের অপারেশন করা হলেও চোখের ভেতর থেকে তার গুলি বের করতে পারেনি। চিকিৎসকরা বলছেন, আপাতত চোখের ভেতর গুলি থাকবেই। ভবিষ্যতে আরো উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে এটি বের করতে হবে। সাব্বিরের চিকিৎসা করাতে লক্ষাধিক টাকা লেগেছে। আহত সাব্বির হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার ডান চোখ দিয়ে কিছুই দেখতে পারি না। আমার চোখ মনে হয় আর ভালো হবে না। সরকারের পক্ষ থেকে আমি সহযোগিতা চাচ্ছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউছার আহাম্মেদ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাব্বিরের বিষয়টি আমরা জানার পর তার খোঁজখবর নিয়েছি। আমাদের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে তাকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে। এ ছাড়া তার উন্নত চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>