<p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">বলিউড তথা মুম্বাইয়ের বিখ্যাত একটি ছায়াছবির নাম </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">মুন্না ভাই এমবিবিএস</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi">। কেবল মারপিট আর হৈ-হুল্লোড় মার্কা নয়, নিতান্তই নিটোল তাৎপর্যপূর্ণ, নিটোল এবং শিক্ষণীয় একটি ছায়াছবি। ছবিতে দেখা যায় নায়ক পেশাগত ডাক্তার নন; ডাক্তার হওয়ার শখ আছে, কিন্তু সাধ্যি নেই। তিনি ভয়ভীতি দেখিয়ে নকল করে, পরীক্ষা দিয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। আশ্চর্যের ব্যাপার, ডাক্তার না হয়েও শিশুসুলভ গান, হাসি-তামাশা ও সংবেদনশীল মনের জন্য হাসপাতালের রোগীরা মুন্না ভাইয়ের ভক্ত হয়ে ওঠে। কথায় আছে, ইলেম না থাকলে কী হবে, হেলেম বা কাণ্ডজ্ঞান তো আছে। বিখ্যাত ডাক্তারদের প্রেসক্রিপশন যা করতে পারে না, মুন্না ভাইয়ের </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">ডেসক্রিপশন</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi"> তা-ই করে দেয়। অর্থাৎ তার মানবিক আচরণে রোগী সুস্থ হয়ে ওঠে। কলেজের প্রিন্সিপাল এই </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">অপদার্থটাকে</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi"> অপবাদ দিতে ও অপমান করতে যত ব্যস্ত, তার আদরের কন্যা প্রেমে পড়তে ততই শশব্যস্ত। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুই. </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">একই অর্থে প্রতিটি শিশুই এক ধরনের ডাক্তার। </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">পটলকুমার গানওয়ালা</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi"> সিরিয়ালে দেখি হাসপাতালে ভর্তি করা শিশু পটলের গান শোনার জন্য অন্যান্য রোগী বিছানা ছেড়ে পটলের কাছে ছুটে আসে। ক্ষণিকের জন্য হলেও ব্যথা-বেদনা ভুলে যায়। শিশু নাতি-নাতনি দেখলে খুব অসুস্থ দাদিমারও ঠোঁটের কোণে হাসি ফোটে আর চোখের কোণে আনন্দাশ্রু জমা হয়। আন্তর্জাতিক খেলাগুলোতে প্লেয়ারদের সঙ্গে হাত ধরে শিশু মাঠে যাওয়ার তাৎপর্য অনেকটা এ রকমই। এসবই শিশুদের ঐশ্বরিক ক্ষমতার <img alt="শিশু যেন থাকে দুধে-ভাতে" height="290" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/11.November/22-11-2024/0.jpg" style="float:left" width="321" />নির্দেশক। আমরা হয়তো খেয়াল করি না যে আমাদের প্রত্যেকের বাসায় প্রতিটি শিশু </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">মুন্না ভাই এমবিবিএস</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi"> বা পটল কুমারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। ওদের গায়ের স্বর্গীয় গন্ধ, </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">চোটপাট</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi"> ও চটপটে স্বভাব, গলা জাপটে ধরে দুগালে চুমু খাওয়া, বুদ্ধিমত্তা, চৌকস চাহনি ইত্যাদি ক্ষণিকের জন্য হলেও আমাদের সব দুঃখ-বেদনা ভুলিয়ে দেয়; ভুল-বোঝাবুঝি দূর করে। কথায় বলে, যে গান শুনতে ভালোবাসে না, সে মানুষ খুন করতে পারে। কথাটি অন্যভাবেও বলা যেতে পারে, যে শিশুকে ভালোবাসে না, সে মানুষ মারতেও পারে। তাই বুঝি বলা হয়ে থাকে, </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi">; </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">শিশু ফেরেশতার মতো</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi">, </span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">আজকের শিশু কালকের নেতা</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi"> ইত্যাদি ইত্যাদি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, শিশুর জন্ম মানে বিধাতা মানুষের প্রতি বিরাগভাজন নন। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিন.</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">কবি বলেছেন, সব শিশুর অন্তরে শিশুর পিতা ঘুমিয়ে থাকে। আজকের শিশু কালকের নেতা এসবই সত্যি কথা। তবে শর্ত থাকে যে শিশু যাতে সুস্থ দেহে ও মনে বেড়ে ওঠার সব সুযোগ পায় তার ব্যবস্থা করতে হবে। এই দায়িত্বটা পুরোপুরি রাষ্ট্রের, বাজারের নয়। যেসব দেশে শিশু তথা ভবিষ্যৎ নাগরিকের ওপর বেশি বিনিয়োগ করা হয়েছে, সেসব দেশ বেশি উন্নতি করেছে। আবার বৈষম্যমূলক বিনিয়োগ উন্নয়ন বৈরী হতে পারে; যেমন</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে। এই দেশে কিছু শিশুর পেছনে যেমন প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে, তেমনি কয়েক টাকার জন্য শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বিপুলসংখ্যক শিশু। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে শিশুদের আগামী দিনে নেতা কিংবা শিশুর পিতা হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু, তা নানা কারণে হুট করে বলা সম্ভব নয়। কেননা এই সমাজ শিশুর ওপর বিনিয়োগ তো করেই না, বরং শিশুর খেলার মাঠ কিংবা পার্ক, চিড়িয়াখানা দখল করে বাণিজ্যিক ভবন তৈরি করে। সদ্যঃপ্রসূত শিশু থেকে ১৪ বছর বয়সী জনগোষ্ঠী হচ্ছে শিশু। পত্রিকায় যখন পড়ি যে মানব অঙ্গ বিক্রির জন্য দেশের আইনের ফাঁকফোকরে শিশু পাচার হচ্ছে, তখন ভাবি এই পৃথিবী কি বাসযোগ্য? বাংলাদেশে ওই বয়সী শিশুদের প্রায় ২০ শতাংশ (৪৭ লাখ) শ্রমবাজারে অর্থাৎ কৃষি ও কলকারখানায় হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে মানবেতর জীবন যাপন করে; স্কুলে ভর্তি হলেও অভাব-অনটনে খুব তাড়াতাড়ি ঝরে পড়ে। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">চার. </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিশুশ্রমের কথা না হয় আপাতত থাক। অনুমান করা বোধ হয় অসংগত হবে না যে বাংলাদেশে হিসাবকৃত ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। অর্থাৎ এরা মোট জনসংখ্যার ১০ থেকে ১২ শতাংশ। অন্য কথায় ধনী-গরিব, গ্রাম-শহর কিংবা ছেলে-মেয়ে-নির্বিশেষে শিশুর সংখ্যা দেড় কোটি। অবশ্য ঠিক দুই বছর বয়সী শিশু ৭০ লাখের মতো হতে পারে। মজার কথা, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের নানা-নানি (যাদের বয়স ৬০ বছর+) ও তাদের সংখ্যা কাছাকাছি। অর্থাৎ বাংলাদেশে যত নাতি-নাতনি আছে, প্রায় তত নানা-নানি আছে! অবশ্য মনে রাখতে হবে যে ৬০ বছরের অনেক নিচেও অনেকে নানা-নানি হয়ে গেছেন। এইতো আমার দুই বছরের বড় বোন ৬৮ বছরেই পুতির সঙ্গে খেলা করছেন।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিছু শিশু এক অর্থে খুবই ভাগ্যবান। তাদের মা-বাবা উচ্চশিক্ষিত এবং সচ্ছল পরিবার থেকে আসা। ধানমণ্ডি কিংবা গুলশানের মতো অভিজাত এলাকার ফ্ল্যাটে যেমন শিশু থাকে আলোর মধ্যে, তেমনি শিশু থাকে বস্তিতে অন্ধকারে। বয়স অনুযায়ী সচ্ছল পরিবার থেকে আসা শিশুদের ওজন, উচ্চতা, কগনিটিভ স্কিল, আইকিউ ও বুদ্ধিমত্তা ঠিক মাত্রায় আছে বলে ধারণা করি। কিন্তু পৃথিবীতে সব শিশুর অবস্থা এমন নয়। সারা পৃথিবীতে প্রতিদিন পাঁচ বছরের কম বয়সী ১৬ হাজার শিশু মৃত্যুবরণ করে। এর মধ্যে আবার বৈষম্য আছে; যেমন</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span><span style="font-family:SolaimanLipi">স্বল্প আয়ের দেশে প্রতি হাজারে ৭৫ জন এবং উচ্চ আয়ের দেশে প্রতি হাজারে সাতজন শিশু মারা যায়। একসময় ছিল, যখন বাংলাদেশের শিশুমৃত্যুর হার ছিল অনেক বেশি। ১৯৬০ সালে প্রতি এক হাজার  শিশুর মধ্যে প্রায় ৩০০ জন মারা যেত। এমনকি ১৯৯০ সালে মরত প্রতি হাজারে ১৪৪ জন। ২০১৪ সালে সেটি কমে এসে দাঁড়িয়েছে প্রতি হাজারে ৩৮ জন। তারপর তা বোধ করি অন্যতম সর্বোচ্চ। পাঁচ বছর বয়সী শিশুর মৃত্যুর মোট সংখ্যা এখন ৬০ লাখ, যা ১৯৯০ সালের এক কোটি ২৭ লাখের তীক্ষ বিপরীতে। কিন্তু এখনো যে পঞ্চম জন্মদিনের আগেই শিশু মারা যায়, তা নেহাত কম নয়। পাঁচ বছর বয়সী শিশুদের মোট মৃত্যুর প্রায় অর্ধেক ঘটে থাকে প্রথম ২৮ দিনের মধ্যে এবং বলা বাহুল্য শিশুমৃত্যু অবধারিতভাবে সম্পর্কিত অপুষ্টির সঙ্গে। এটি সত্যি যে গেল ৪০ বছরে খাদ্য উৎপাদন তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, দারিদ্র্যের ব্যাপক হ্রাস ঘটেছে এবং বুভুক্ষের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। কিন্তু পুষ্টিতে কিছুটা উন্নতি হলেও বর্তমান অবস্থা সুখদায়ক নয়। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুষ্টিসংক্রান্ত কিছু দুঃখজনক পরিসংখ্যানের দিকে দৃষ্টি দেওয়া যেতে পারে। জাতীয়ভাবে পাঁচ বছরের কম শিশুর মধ্যে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে উচ্চতার তুলনায় কম ওজন নিয়ে রয়েছে ১৭ জন শিশু। আবার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৪১ জন হালকা থেকে ব্যাপকভাবে খর্বকায় অর্থাৎ বয়স অনুযায়ী উচ্চতা কম। ছয় থেকে ২৩ মাস বয়সী শিশুদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত। এটি অবশ্য স্বীকার করতে হবে যে বিগত দশকগুলোতে শিশুর স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগত অবস্থার ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে। এর জন্য বিশেষ কৃতিত্ব দাবি করতে পারে ব্র্যাকের মতো এনজিও, যেটি ওরাল স্যালাইন বিপ্লবের মাধ্যমে বিশেষত শিশুমৃত্যুর হার রোধে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। তা ছাড়া সরকারের ইতিবাচক নীতিমালা শিশুমৃত্যুর হার রোধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। </span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাঠক হয়তো ভাবছেন, যেসব শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে, তাদের মা-বাবার আয় কম। অথচ এর বিপরীতে অভিজাত এলাকার মা-বাবার আয় বেশি বলে তাদের শিশুরা পুষ্টির দিক থেকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে আছে। কথাটি আংশিক সত্যি। আয় বেশি হলে পুষ্টিসংক্রান্ত উন্নতির সম্ভাবনা বেশি থাকে, তবে উন্নতির নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। আন্তর্জাতিক খাদ্য ও নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান (ইফরি) এক গবেষণায় দেখিয়েছে যে বাংলাদেশের সিলেট ও চট্টগ্রামে শিশু অপুষ্টির হার অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে বেশি। অথচ এ দুটি জায়গায় মাথাপিছু আয় অন্যদের চেয়ে বেশি। সাউথ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিখ্যাত বাঙালি অধ্যাপক ড. মাহমুদ খান বলছেন, আয়ের নিরিখে ওপরের ২০ শতাংশ এবং নিচের ২০ শতাংশে অপুষ্টিজনিত প্রকট সমস্যা আছে। তবে ওপরের ২০ শতাংশের সমস্যা বেশি খেয়ে (ওবেসিটি) আর নিচের ২০ শতাংশের সমস্যা কম খেয়ে! অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেমন অর্থনৈতিক উন্নয়নে দরকারি শর্ত (যথেষ্ট শর্ত নয়), তেমনি আয়বৃদ্ধি পুষ্টি উন্নয়নে দরকারি, কিন্তু যথেষ্ট শর্ত নয়। পুষ্টি উন্নয়নে আয়বৃদ্ধির সঙ্গে শিক্ষা, সচেতনতা, উৎপাদন ও ভোগ বহুমুখীকরণ ইত্যাদি জোরালোভাবে জড়িত। অর্থনীতিবিদরা দেখিয়েছেন যে পুষ্টি উন্নয়নের জন্য এক টাকা বিনিয়োগ করলে তা থেকে লাভ হয় ১৮-১৯ টাকা। আর এই লাভটুকু আসে পুষ্টিতাড়িত উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কারণে।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">পাঁচ.</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুখ বা দুঃখ সব সময়ই সাময়িক। সুখের পর দুঃখ আসে, দুঃখের পর সুখ</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span><span style="font-family:SolaimanLipi">যেমন করে আলোর পরে অন্ধকার আর অন্ধকারের পর আলো। আমরা সবাই খুব আনন্দে আছি আমাদের নাতি আহিয়াদকে নিয়ে, যদিও মাসে এক কিংবা দুইবার তার দেখা পাই। যখনই সে আসে, তাকে নিয়ে ব্যস্ততায় দিন কাটে। মুন্না ভাই এমবিবিএস কিংবা পটলকুমার গানওয়ালার মতো আমাদের মাতিয়ে রাখে</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span><span style="font-family:SolaimanLipi">কখনো হাসিতে, কখনো কান্নায়। বাংলাদেশ তথা পৃথিবীর আহিয়াদরা যাতে থাকে দুধে-ভাতে সে কামনাই করি।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">অবশেষে সব কাজ সেরে</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার দেহের রক্তে নতুন শিশুকে</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">করে যাব আশীর্বাদ,</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">তারপর হবো ইতিহাস।</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">           (</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span><span style="font-family:SolaimanLipi">ছাড়পত্র</span><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span><span style="font-family:SolaimanLipi"> সুকান্ত ভট্টাচার্য)</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">লেখক : অর্থনীতিবিদ, সাবেক উপাচার্য</span></span></span></p> <p><span style="font-size:14pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="font-family:SolaimanLipi">জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়</span></span></span></p>