<p>বাংলাদেশের কৃষি আজ চ্যালেঞ্জের মুখে। একদিকে যেমন জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে আবাদি জমি কমছে প্রতিনিয়ত। এ অবস্থায় ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে ক্ষয়িষ্ণু এ জমি থেকেই। বর্তমান এ চ্যালেঞ্জ থেকেই আমাদের দেশের কৃষকরা এক ফসলি জমি থেকে দুই বা ততোধিক ফসল ঘরে তুলতে জমিতে ব্যাপক হারে অনিয়ন্ত্রিতভাবে দিয়ে যাচ্ছেন রাসয়নিক সার।</p> <p>অন্যদিকে কতিপয় অত্যাবশ্যকীয় সার তারা ব্যবহার করছেন না। এতে মাটির উর্বরা শক্তি যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি অপচয় হচ্ছে মূল্যবান রাসয়নিক সার। মাটি হারাচ্ছে অনুজীবের কার্যকারীতা। মাটি হতে গাছ তার বৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য ১৭টি অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টি উপাদানের মধ্যে ১৪টি উপাদান পেয়ে থাকে। কিন্তু অসমহারে ও যথেচ্ছভাবে সার ব্যবহার ও নিবিড় চাষাবাদের কারণে মাটিতে গাছের জন্য প্রয়োজনীয় ১৪টি পুষ্টি উপাদানের উপস্থিতি আশংকাজনক হারে হ্রাস পাচ্ছে।</p> <p>ফলে ফসলের আশানুরূপ ফলন হচ্ছে না। মাটিতে পরিমানমত সার প্রয়োগ করা হলে এবং ফসলের উপযুক্ত ব্যবস্থাপনায় মাটির উর্বরতা ও উৎপাদনক্ষমতা বাড়ে। মাটিতে কি পরিমাণ পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি রয়েছে তা জানা না থাকলে ফসলের চাহিদা অনুযায়ী পরিমাণমত সার প্রয়োগ করা যায় না। এ জন্য সার প্রয়োগের আগে অবশ্যই জমির মাটি পরীক্ষা করে নিতে হবে।</p> <p>মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) 'ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কমার্সিলাইজেশন অফ মিউনিসিপাল সলিড ওয়াস্ট কমপোস্ট অ্যান্ড সয়েল টেস্টিং কিট থ্রো বাউ-এসিআই কলাবোরেশন' শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কড়্গে ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি), হায়ার ইডুকেশন কোয়ালিটি ইনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ), এসিআই ও বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ যৌথভাবে ওই সম্মেলনের আয়োজন করে।</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর।</p> <p>বিশেষ অতিথি হিসেবে হেকেপের প্রকল্প পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহনত্ম এনডিসি, বাকৃবি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মনোরঞ্জন দাস, এসিআই ফার্টিলাইজারের পরিচালক (ব্যবসা) কৃষিবিদ বশির আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।</p>