<p> কখনো যুবলীগ নেতা, কখনো বা গোয়েন্দা পুলিশ সদস্য এমন সব ভুয়া পরিচয়ে চাঁদাবাজি, খুন, অপহরণ ও নারীদের উত্ত্যক্ত করে বেড়ানো নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ফরিদুল ইসলামকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রামের নগর গোয়েন্দা পুলিশ। গত সোমবার গভীর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার করা ফরিদুল বাকলিয়া থানার ডিসি রোড এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে।</p> <p> এ বিষয়ে নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অতিরিক্ত উপকমিশনার বাবুল আক্তার বলেন, 'ভাড়াটে অস্ত্রধারী, ভুয়া ডিবি পুলিশ, ভূমিদস্যু, ইট-বালু ব্যবসায়ী পরিচয়ে চাঁদাবাজি, অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, গার্মেন্টের নারী কর্মীদের উত্ত্যক্ত করাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের অভিযোগ আমরা ফরিদুলের বিরুদ্ধে পেয়েছি।'</p> <p> পুলিশ কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফরিদুল স্বীকার করেছে যে ১৯৯৬ সাল থেকে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে সে। একপর্যায়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপির) শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর ছয় বছর বিদেশে পালিয়ে ছিল। পরে দেশে এসে নাম পরিবর্তন করে জাতীয়তা সনদ পায়। এর মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে এক বছর কারাগারে ছিল। কারাগার থেকে জামিনে মুক্তির পর নিজেকে গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য পরিচয় দিয়ে আবার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে সে। একই সঙ্গে চকবাজার ডিসি রোড এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ফয়সাল, কালু, বাদশা, জানে আলমসহ ১০-১৫ জনকে নিয়ে নিজস্ব একটি 'বাহিনী' গড়ে তোলে বলেও জানায় ফরিদুল।</p> <p> পুলিশ জানিয়েছে, ১৯৯৬ সাল থেকে চলতি বছরের এ পর্যন্ত ফরিদুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৭টি মাামলা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি খুন, দুটি অস্ত্র, একটি বিস্ফোরক, একটি ডাকাতি, দুটি ছিনতাই, তিনটি চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।</p> <p>  </p> <p>  </p>