২৭তম বিসিএস

১৭ বছর পর চাকরি!

  • সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে চাকরি পাওয়ার পথ সুগম হলো ২৭তম বিসিএসের নিয়োগবঞ্চিতদের। ফলে ১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে এক হাজার ১৩৭ চাকরিপ্রত্যাশীর। তাঁদেরই একজন মোহাম্মদ আবু সালেহ সোহাগ। তিনি হিসাব ও নিরীক্ষা ক্যাডারে পঞ্চম হয়েছিলেন। তাঁর বিসিএস যাত্রা, অভিজ্ঞতা ও ক্যারিয়ারে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার গল্প শুনেছেন হাবিব তারেক
শেয়ার
১৭ বছর পর চাকরি!
মোহাম্মদ আবু সালেহ সোহাগ

২৭তম বিসিএস আপনার কততম বিসিএস ছিল? আর কয়টি বিসিএসে অংশ নিয়েছিলেন? পড়াশোনা কিসে?

২৭তম বিসিএস আমার তৃতীয় ও সর্বশেষ বিসিএস পরীক্ষা। এর আগে আরো দুটি বিসিএস (২৪তম ও ২৫তম) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। এই দুই বিসিএসে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছি, কিন্তু চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ হইনি। ২৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলে আমি পিএসসি কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত হই এবং ‘হিসাব ও নিরীক্ষা’ ক্যাডারে পঞ্চম স্থান অধিকার করে নিয়োগের জন্য মনোনীত হই।

পড়াশোনা করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজবিজ্ঞানে (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর)। পরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট (বিআইজিএম) থেকে পলিসি অ্যানালিসিস কোর্স ও স্ট্র্যাটেজিক ম্যানেজমেন্ট কোর্স সম্পন্ন করি।

 

২৭তম বিসিএসে ভাইভা দুবার হয়েছিল, দ্বিতীয়বার অংশ নিয়েছিলেন? বাদ পড়ার প্রেক্ষাপট নিয়ে কিছু বলুন।

২৭তম বিসিএসের ফলাফল বের হয় ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে।

পিএসসির দুর্নীতি, পক্ষপাতদুষ্টতা ও স্বজনপ্রীতি নিয়ে ১৯৭৩ সাল থেকে সব আমলেই কমবেশি আলোচনা-সমালোচনা আছে। সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথার জেরে গত ৫ আগস্ট ২০২৪ একটা সরকার পরিবর্তন হয়ে গেল। ২৭তম বিসিএসের ফলাফল প্রকাশের আগে-পরে গণমাধ্যমে পিএসসির নিয়োগপ্রক্রিয়া নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হয়। ফলে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে খামখেয়ালিভাবে এক নির্বাহী আদেশে পুরো ২৭তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল বাতিল করা হয়।
এর প্রতিবাদে এই বিসিএসের বঞ্চিত প্রার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১৪৩ দিন আমরণ অনশন করে। তখনকার এই বিষয়টি গণমাধ্যমে উঠে এলে দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, সমাজকর্মী ও প্রায় সব মিডিয়াব্যক্তিত্ব আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তৎকালীন পিএসসির চেয়ারম্যান ড. সা’দত হুসাইসনকে সরকার দায়িত্ব দেয়। কিন্তু তিনি বিষয়টি সুরাহা করতে ব্যর্থ হন। খোদ তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ আমাদের আন্দোলনরত ছাত্রদের পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা নেওয়ার পরও সা’দত হুসাইনকে তাঁর অবস্থান থেকে সরাতে পারেননি।
সা’দত হুসাইন আমাদের প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডারের চাকরির প্রস্তাব দেন, কিন্তু আমরা প্রত্যাখ্যান করি। এরপর পুনরায় মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দেখা গেল প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলে সুপারিশকৃতদের বেশির ভাগকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে আরেকটা ব্যাচকে তড়িঘড়ি করে সুপারিশ করে নিয়োগ দেয়। আমাদের আন্দোলনের কারণে বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে প্রতিহিংসামূলকভাবে আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে, এমনটাই ধারণা আমাদের।

 

আপিল বিভাগের রায়ের পর নিয়োগে আইনি বাধা কেটেছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে পরবর্তী করণীয় বা প্রক্রিয়া কী?

করণীয় হচ্ছে—সর্বোচ্চ আদালতের রায় পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে কার্যকর করা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সরকারি কর্মকমিশন জ্যেষ্ঠতা ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। সর্বোচ্চ আদালতের সর্বশেষ ধাপের এই রায় পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে কার্যকর করা না হলে আদালত অবমাননার সম্মুখীন হবে নির্বাহী বিভাগ।

 

গত ১৭ বছরে কোথায় কোথায় চাকরি করেছেন বা অন্য কী করেছেন? এই সময়ে কী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেছেন? কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছে?

২৭তম বিসিএস পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের (২০০৭ সালে) পর অনেকেই তাদের চাকরি ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে তাদের অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আর ক্যারিয়ারের মূলধারায় ফিরতে পারেনি। কর্মজীবনের বেশির ভাগ সময় আমি কাজ করেছি বহুজাতিক টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটায়। ২০১৯ সালে আমি স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে একটি ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলি। এখান থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষতা উন্নয়ন ও পেশাজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করি। এরপর ২০২২ সালে লাইটহাউস নামে একটি গবেষণা ও পরামর্শ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করি। পাশাপাশি আমি সাহিত্য ও ইতিহাস বিষয়ে লেখালেখি করি। নিজেকে গবেষণার সঙ্গেও সম্পৃক্ত রেখেছি।

 

আপনার প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভায় প্রস্তুতি কৌশল নিয়ে বলুন। কোন বিষয়গুলোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন?

বিসিএস প্রিলিমিনারির জন্য বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে সাধারণ জ্ঞান ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস বড়। তাই পড়াশোনাও করতে হয়েছে বিস্তৃত পরিসরে। আমি নোট করে পড়তাম। তিনজন মিলে গ্রুপ স্টাডি করতাম। বিসিএস লিখিত পরীক্ষা দিয়েছি ইংরেজি মাধ্যমে।

 

বাংলাদেশের বাস্তবতায় ক্যারিয়ার নিয়ে নতুন প্রার্থীদের ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কী?

তরুণদের ক্যারিয়ার নিয়ে তিন-চারটা অপশন রাখা উচিত। কারণ প্রতিবছর যত শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে বের হয়, সরকারি চাকরিতে তার প্রায় হাজার ভাগের এক ভাগ নিয়োগের সুযোগ থাকে। সুতরাং তরুণদের শুধু সরকারি চাকরির আশায় না থেকে বেসরকারি চাকরির দিকেও ঝুঁকতে হবে। বিসিএসের প্রস্তুতি নিলে বাংলাদেশ ব্যাংক, রাষ্ট্রায়ত্ত সরকারি ব্যাংক, নন-ক্যাডার চাকরি ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষায় ভালো করার সম্ভাবনা থাকে। কাঙ্ক্ষিত চাকরির জন্য ব্যাপক পড়াশোনা করতে হবে। বেসরকারি চাকরির প্রস্তুতিটা আবার ভিন্ন রকম। সেখানে দক্ষতাকে বেশি মূল্যায়ন করা হয়। পড়াশোনার ফাঁকে চাহিদাসম্পন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আইসিটি বিভাগের হিসাব মতে, দেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে সাড়ে ছয় লাখ রেজিস্টার্ড তরুণ প্রতিবছর প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে। নিয়োগদাতা এখন বিশ্বের যেকোনো প্রতিষ্ঠানই হতে পারে, যদি যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকে। দেশেই চাকরি খুঁজতে হবে, এমন নয়।

 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীন অধিদপ্তরে চাকরি পাবেন ২৫৫ জন

শেয়ার
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অধীন অধিদপ্তরে চাকরি পাবেন ২৫৫ জন
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

১৩ ধরনের পদে ২৫৫ জন নিয়োগ দেবে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের অধীনস্থ একটি অধিদপ্তর। নবম থেকে বিশতম গ্রেডে নেওয়া হবে জনবল। আবেদন করতে হবে আগামীকালের (২০ এপ্রিল ২০২৫) মধ্যেই।

 

নিয়োগ পরীক্ষার ধরন

নিয়োগ পরীক্ষার ধরন ও বিষয়াবলি উল্লেখ না থাকলেও সরকারি বিভিন্ন অধিদপ্তরের নিয়োগ পরীক্ষার মতোই এই অধিদপ্তরের পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগবিধি অনুসারে সবগুলো পদের ক্ষেত্রেই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। টেকনিক্যাল পদ ও কম্পিউটার ব্যবহার রয়েছে এমন পদের ক্ষেত্রে ব্যাবহারিক পরীক্ষাও নেওয়া হতে পারে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা ও পদভেদে ব্যাবহারিক পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে প্রার্থী বাছাই করা হবে।

 

নিয়োগ পরীক্ষার পদ্ধতি ও প্রস্তুতি

পদভেদে পরীক্ষার প্রস্তুতিতে নবম ও দশম গ্রেডের পদগুলোর জন্য অন্যান্য অধিদপ্তরের ১ম শ্রেণির চাকরির পরীক্ষার মতোই প্রস্তুতি নিতে হবে।

এ ক্ষেত্রে ব্যাংক বা বিসিএস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার পরীক্ষার সিলেবাস অনুসারে করা যেতে পারে। ১৩তম থেকে ১৬তম গ্রেডের পদগুলোর জন্য তৃতীয় শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষার ধরন অনুসারে প্রস্তুতি নিতে হবে। এতে নবম-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবই চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোর ক্ষেত্রে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই অনুসারে প্রস্তুতি রাখতে হবে। এ ছাড়া সব পদের ক্ষেত্রেই সমসাময়িক প্রকাশিত সাধারণ জ্ঞানের বই, সংবাদপত্র ও বিগত পরীক্ষার গ্রেডভিত্তিক প্রশ্নপত্রসহ নিয়োগ সহায়ক বই পড়া যেতে পারে।

 

পদের সংখ্যা ও যোগ্যতা

সহকারী পরিচালক পদ ২৬টি; প্রথম শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতকোত্তর অথবা কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা। টেলিফোন ইঞ্জিনিয়ার—১টি; টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি। ফিল্ড অফিসার—১৭টি; দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক বা সমমান ডিগ্রি। উচ্চতা পুরুষ প্রার্থী ন্যূনতম ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলা প্রার্থী কমপক্ষে ৫ ফুট। বুকের মাপ পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রে ৩০-৩২ (সম্প্রসারিত)।

সাঁটলিপিকার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর—৫টি; কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি এবং কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতাসহ প্রয়োজনীয় সাঁটলিপি ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি। সাঁটমুদ্রাক্ষরিক-কাম-কম্পিউটার অপারেটর—১৪টি; কমপক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএতে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি এবং কম্পিউটার ব্যবহারে দক্ষতাসহ প্রয়োজনীয় সাঁটলিপি ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষর গতি। ওয়্যারলেস অপারেটর—২০টি; এইচএসসি বা সমমানের পাস এবং সংশ্লিষ্ট কারিগরি কাজে দক্ষ। অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট ২টি—এইচএসসি বা সমমান পাস এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষ। অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ২০টি—২য় বিভাগ বা সমমানের জিপিএতে এইচএসসি বা সমমান পাস এবং প্রয়োজনীয় টাইপিং স্পিড। গাড়িচালক—১০টি; জেএসসি বা সমমান পাস এবং হালকা গাড়ি চালনার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স। গাড়ি চালনায় অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার। রিসিপশনিস্ট—১টি; এইচএসসি পাস এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষ। উচ্চতা পুরুষ প্রার্থী ন্যূনতম ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং মহিলা প্রার্থী কমপক্ষে ৫ ফুট ২ ইঞ্চি। বুকের মাপ পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রে ৩০-৩২ (সম্প্রসারিত)। ফিল্ড স্টাফ—১০৯টি; এসএসসি পাস। উচ্চতা পুরুষ প্রার্থী ন্যূনতম ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি এবং মহিলা প্রার্থী কমপক্ষে ৫ ফুট। বুকের মাপ পুরুষ ও মহিলা উভয় ক্ষেত্রে ৩০-৩২ (সম্প্রসারিত)। টেলিফোন লাইনম্যান—৩টি; এসএসসি পাস এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ট্রেড কোর্স উত্তীর্ণ। অফিস সহায়ক—২৪টি; এসএসসি বা সমমান পাস। ১ মার্চ ২০২৫ অনুযায়ী প্রার্থীদের বয়স হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর।

 

বেতন-ভাতা

নিয়োগপ্রাপ্তদের জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুসারে ও পদভিত্তিক নির্ধারিত স্কেলে গ্রেড অনুসারে মাসিক বেতন এবং অন্যান্য আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে।

 

আবেদনের লিংক

http://ndr.teletalk.com.bd

 

♦ মো. সাজিদ

মন্তব্য
ভাইভা অভিজ্ঞতা

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তোমার জেলার অবদান কী?

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগে পড়াশোনা করেছেন তৌহিদ হোসেন। ৪১তম বিসিএসে আনসার ক্যাডারে মেধাক্রমে চতুর্থ হয়েছেন। বর্তমানে তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা কমান্ড্যান্টের কার্যালয়ে সহকারী জেলা কমান্ড্যান্ট। ভাইভা হয়েছিল ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর। তাঁর ভাইভা অভিজ্ঞতা শুনেছেন আব্দুন নুর নাহিদ
শেয়ার
আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তোমার জেলার অবদান কী?
তৌহিদ হোসেন

অনুমতি নিয়ে ভাইভা রুমে ঢুকে সালাম দিলাম। আমাকে বসতে বললেন। ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম।

 

চেয়ারম্যান : আচ্ছা তুমি তো ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে পড়ালেখা করেছ।

তার মানে তুমি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিষয়ে এক্সপার্ট!

(কিছু না বলে মুচকি হাসি দিলাম।)

আচ্ছা বলো তো, ওভার ইনভয়েস ও আন্ডার ইনভয়েস কী? 

—স্যার, ওভার ইনভয়েস হলো আমদানীকৃত পণ্যের পরিমাণ এবং মূল্য বেশি দেখিয়ে অতিরিক্ত অর্থ বিদেশে পাচারের একটা অবৈধ পন্থা। আর আন্ডার ইনভয়েস হলো রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্যের পরিমাণ এবং মূল্য কম দেখিয়ে দেশে কম অর্থ নিয়ে আসা এবং অতিরিক্ত অর্থ বিদেশে জমা রাখার অবৈধ পন্থা।

 

এখন বলো, ট্যাক্স বা কর কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণ দাও।

—স্যার, ট্যাক্স বা কর মূলত দুই প্রকার। প্রত্যক্ষ কর ও পরোক্ষ কর। আয়কর, জমির খাজনা—এগুলো হলো প্রত্যক্ষ কর। আর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট হলো পরোক্ষ কর।

 

এক্সটার্নাল-১ : আচ্ছা, এটা তোমার কততম বিসিএস?

—স্যার, এটা আমার দ্বিতীয় বিসিএস।

প্রথম বিসিএসের কী অবস্থা?

—স্যার, প্রথম বিসিএসে (৪০তম) প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হইনি।

তাহলে দ্বিতীয় বিসিএসে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় পাস করে ভাইভা দিচ্ছ? বাহ! আচ্ছা বলো, স্মার্ট বাংলাদেশের স্তম্ভ কয়টি ও কী কী?

—স্যার, স্মার্ট বাংলাদেশের স্তম্ভ ৪টি। যেমন—স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট।

স্মার্ট সিটিজেন বলতে তুমি কী বুঝো?

—স্যার, স্মার্ট সিটিজেন হলো প্রযুক্তিতে দক্ষতাসম্পন্ন জনগণ, যারা দক্ষতার মাধ্যমে নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে শহর ও গ্রামের ব্যবধান দূর করবে।

দৈনন্দিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা তাদের কাজকে সহজ করে তুলবে।

ঠিক আছে, ভাষা আন্দোলন তো আমাদের জাতীয় জীবনের একটি গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। বলো তো, ভাষা আন্দোলনের ফলে বাঙালিদের মধ্যে কী জাগ্রত হয়েছিল।

—স্যার, ভাষা আন্দোলনের ফলে বাঙালি জাতীয়তাবাদ জাগ্রত হয়েছিল। বাঙালির মুক্তির আকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হয়েছিল। আর এর মাধ্যমে ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ’৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ সালের ছয় দফা, ’৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান, ’৭০ সালের নির্বাচন হয়। সবশেষে ’৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি শোষণ থেকে মুক্তি পেয়েছে।

 

এক্সটার্নাল-২ : স্মার্ট বাংলাদেশ পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এর ইতিবাচক প্রভাব কী হবে?

—স্যার, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এর প্রভাব অনেক। যেমন—রপ্তানি সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, বিদেশি বিনিয়োগকে আকর্ষণ করবে,

বাণিজ্য কার্যক্রম সহজ হবে। অর্থাৎ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বাণিজ্য প্রক্রিয়া দ্রুত ও স্বচ্ছ হবে।

তোমার জেলা কোনটি? আর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে তোমার জেলার অবদান কী?

—স্যার, আমার জেলা সাতক্ষীরা। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমার জেলার অবদান অনেক। আমার জেলায় প্রচুর চিংড়ি উৎপাদিত হয়, যা বিদেশেও রপ্তানি হয়। প্রতিবছর সুস্বাদু আম্রপালি আম এবং টালি বিদেশে রপ্তানি হয়। এর ফলে উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হচ্ছে।

 

চেয়ারম্যান : ঠিক আছে, তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। তোমার ভাইভা শেষ।

 

 

মন্তব্য

দারিদ্র্য জয় করে ছোটন এখন ম্যাজিস্ট্রেট

    জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে পড়াশোনা করেছেন ছোটন মিয়া। আর্থিক সংকটের মধ্যে বড় হলেও লক্ষ্য পূরণে ছিলেন অটল। তার ফলও পেলেন। ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় সহকারী জজ বা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। তাঁর জীবনসংগ্রাম ও ক্যারিয়ারে সফল হওয়ার গল্প শুনেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন
শেয়ার
দারিদ্র্য জয় করে ছোটন এখন ম্যাজিস্ট্রেট
ছোটন মিয়া

জন্ম কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হোসনাবাদে। শৈশব থেকেই তীব্র আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছি। আমার বাবা ছিলেন একজন দিনমজুর, অন্যের জমিতে কাজ করতেন। সংসার চালাতেই তিনি হিমশিম খেতেন।

তাই পড়াশোনার খরচ জোগাতে আমিও বাবার সঙ্গে অন্যের জমিতে কাজ করতাম। পড়াশোনা, চাকরির প্রস্তুতি—সবই করেছি নিজের আগ্রহে।

নবম শ্রেণিতে ওঠার পর স্কুল শিক্ষকরা পরামর্শ দেন বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে। কিন্তু বিজ্ঞানে ভালো করতে প্রাইভেট পড়তে হয়! চিন্তায় পড়ে গেলাম।

চাপ কমাতে অতিরিক্ত বিষয় হিসেবে উচ্চতর গণিত না নিয়ে কৃষি নিই। বাড়িতে বিদ্যুৎ ছিল না। রাতে হারিকেন জ্বালিয়ে পড়লে খরচ হয় বলে দিনে পড়তে হতো। এসএসসিতে গোল্ডেন এ-প্লাস পেলাম।
ভর্তি হই কুমিল্লা সরকারি কলেজে। দূরে থেকে পড়াশোনার খরচের সামর্থ্য না থাকায় দুই মাস পর ভর্তি বাতিল করে গ্রামে চলে আসি।

গ্রামের একটি কলেজে ভর্তি হই। ২০১৬ সালে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিই। কোচিং করতে পারিনি।

এক কলেজবন্ধু আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তুতির জন্য ৩টি সহায়ক বই উপহার দেয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিই। ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিষয়ে ১০২তম হই। পরে মাইগ্রেশন করে আইন বিভাগে ভর্তি হই। খরচ জোগাতাম টিউশনি করে। টিউশনি করলে বেসিক অনেক বিষয় চর্চায় থাকে, যা চাকরির প্রস্তুতিতেও কাজে আসে।

২০২০ সালে হঠাৎ বাবা মারা যান। মনে মনে ভাবলাম, পরিবারের জন্য হলেও ক্যারিয়ারে সফল হতে হবে। আমি যখন ৪র্থ বর্ষে পড়ি তখন থেকেই মূলত চাকরির প্রস্তুতি শুরু করি। লক্ষ্য নির্ধারণ করলাম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্য হব! করোনার সময় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করতাম। আমার মেন্টর হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র এক ভাই। শুরুটা কিভাবে করতে হবে, কোন কোন বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে, সেই বিষয়গুলোতে তিনি আমাকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন।

শুরু থেকেই প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার জন্য একসঙ্গে প্রস্তুতি নিয়েছি। আমার কোনো নোট করার অভ্যাস ছিল না। তাই প্রতিটি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা বই সংগ্রহ করে বিস্তারিত বুঝে পড়তাম। বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো দাগিয়ে টুকে রাখতাম।

যে বিষয়গুলোতে নম্বর তোলা সহজ, সেগুলোর ওপরই আমি বাড়তি জোর দিয়েছি। গণিত ও বিজ্ঞানে উত্তর ঠিকঠাক হলে বেশি নম্বর তোলা যায়। তাই বিষয়গুলোকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এ ছাড়া বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হওয়ায় এই দুই বিষয়ের ওপর ভালোই দখল ছিল। তা ছাড়া প্রস্তুতির সময় মুসলিম আইন ও বিশেষ আইনের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। কারণ এই বিষয়গুলোতে ‘সমস্যা’সংক্রান্ত প্রশ্ন বেশি থাকে। কিন্তু সঠিক উত্তর দিতে পারলে গণিতের মতো পুরো নম্বর তোলা যায়।

২০২০ সালে অনার্স চূড়ান্ত পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে শেষ হয় এক বছর পর। অনার্স শেষে প্রথমবারের মতো ১৫তম বিজেএস পরীক্ষায় অংশ নিই। সেই পরীক্ষায় আমি প্রিলিমিনারি থেকেই বাদ পড়ে যাই। ভালো প্রস্তুতি থাকার পরও প্রিলিমিনারিতে না টিকে কিছুটা হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু হাল না ছেড়ে ১৬তম বিজেএস পরীক্ষায় অংশ নিই। এই বিজেএসে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ভাইভায় পাস করতে পারিনি। তারপর মানসিকভাবে তৈরি হয়েও আবারও প্রস্তুতি নিই। অবশেষে ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় অংশ নিই। সব ধাপে ভালো করে সহকারী জজ/জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হই।

 

মন্তব্য

৫৪০ কর্মী নেবে জীবন বীমা করপোরেশন

    তিন ধরনের পদে মোট ৫৪০ জন নিয়োগ দেবে সরকারি প্রতিষ্ঠান জীবন বীমা করপোরেশন। পদগুলো হলো—উচ্চমান সহকারী (১৭৬), অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক (১৬৫) ও অফিস সহায়ক (১৯৯)। আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ মে ২০২৫। নিয়োগ পরীক্ষার ধরন ও প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন সাজিদ মাহমুদ
শেয়ার
৫৪০ কর্মী নেবে জীবন বীমা করপোরেশন
ছবি : এআই দিয়ে তৈরি

কেমন হবে নিয়োগ পরীক্ষা

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্ধারিত নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা (লিখিত, মৌখিক ও ব্যাবহারিক) নেওয়া হবে। সব পদের ক্ষেত্রেই এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। তবে উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে কম্পিউটারের ওপর ব্যাবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। অফিস সহায়ক পদের ক্ষেত্রে শুধু সংক্ষিপ্ত পদ্ধতির লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে।

বিগত নিয়োগ পরীক্ষা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির পদগুলোতে এমসিকিউ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এবারও একই পদ্ধতিতে পরীক্ষা হতে পারে।

 

বিগত পরীক্ষা কেমন ছিল

২০২১ সালের উচ্চমান সহকারী পদের লিখিত (এমসিকিউ) পরীক্ষায় দেখা গেছে, মোট ৮০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্রে বাংলায় ২০, গণিতে ২০, ইংরেজিতে ২০ এবং সাধারণ জ্ঞানে ২০ নম্বর বরাদ্দ ছিল।

একই বছরের অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের নিয়োগ পরীক্ষায় (এমসিকিউ) ৮০ নম্বরের প্রশ্ন ছিল। এই পদের প্রশ্নেও বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন একই ছিল। তবে অফিস সহায়ক পদের লিখিত পরীক্ষা (২০২১) হয়েছিল সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে ৪০ নম্বরে। এখানে নম্বর বণ্টন ছিল—বাংলায় ১০, গণিতে ১০, ইংরেজিতে ১০ এবং সাধারণ জ্ঞানে ১০।
প্রার্থীরা এই প্রশ্ন কাঠামো বা পদ্ধতি অনুসরণ করেই প্রস্তুতি নিতে পারেন। 

 

পরীক্ষার প্রস্তুতি

লিখিত পরীক্ষায় প্রশ্ন আসবে বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর। উচ্চমান সহকারী এবং অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের প্রস্তুতি নিতে হবে মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবই থেকে। অষ্টম শ্রেণির পাটিগণিত এবং নবম-দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত পাঠ্যবইয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু ও অধ্যায় ভালো ভালোভাবে অনুশীলন করতে হবে। অফিস সহায়ক পদে সাধারণত পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই থেকে প্রশ্ন করা হয়।

প্রস্তুতি নেওয়ার মতো পর্যাপ্ত সময় কম থাকলে এসব পদের জন্য নির্ধারিত সহায়ক বই সংগ্রহ করতে পারেন। পরীক্ষার সহজ প্রস্তুতির জন্য খুব ভালো উৎস হতে পারে বইগুলো। এ ছাড়া ইউটিউব ও বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিগত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। বিগত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও নমুনা প্রশ্ন দেখে বাসায় নিজে নিজে মডেল টেস্ট দিতে পারেন। সাধারণ জ্ঞানের সমসাময়িক বিষয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোতেও খোঁজখবর রাখতে হবে।

 

বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিক

বাংলা : বাক্য রচনা, সমাস, কারক, ভাষা, সন্ধি বিচ্ছেদ, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচন। গদ্য ও পদ্য থেকে প্রশ্ন কম থাকে।

ইংরেজি : Transformation of verbs, Phrases and idioms, Translation, Fill in the blanks, Sentence making, Correction, Narration, Voice & Sprats of speech|

গণিত : পাটিগণিত, বীজগণিত এই দুটো অংশ থেকে প্রশ্ন আসে। প্রশ্ন আসে জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি থেকেও। অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যবই (পাটিগণিত) থেকে—লসাগু, গসাগু, শতাংশ, গড় নির্ণয়, শতকরা, সুদকষা, অনুপাত ও সমানুপাত। নবম-দশম শ্রেণির পাঠ্যবই (বীজগণিত) থেকে—উৎপাদক, মাননির্ণয় ও জ্যামিতি, ত্রিকোণমিতি ও পরিমিতি।

সাধারণ জ্ঞান : সাম্প্রতিক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বা তথ্যের (বাংলাদেশ প্রসঙ্গ ও বিশ্ব) পাশাপাশি বিজ্ঞান, অর্থনীতি, কম্পিউটার, ইতিহাস, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ের ওপর প্রস্তুতি রাখতে হবে। এ ছাড়া জীবন বীমা সম্পর্কিত সাধারণ তথ্য থেকেও প্রশ্ন থাকে।

 

পদভিত্তিক যোগ্যতা

উচ্চমান সহকারী—স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস হতে হবে। অফিস সহকারী-কাম- কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক—এইচএসসি বা সমমানের পাসসহ কম্পিউটারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় ২০ শব্দ এবং ইংরেজিতে ২৮ শব্দের গতি থাকতে হবে।

অফিস সহায়ক—অষ্টম বা সমমানের যোগ্যতা থাকলেই আবেদন করা যাবে। অফিস সহায়ক পদে আবেদনের ক্ষেত্রে করপোরেশনে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কর্মরতদের বয়সসীমা শিথিলযোগ্য। সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, প্রার্থীর বয়সসীমা হতে হবে ১৮ থেকে ৩২ বছর (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে)। চাকরিরত প্রার্থীদের যথাযথ মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

 

বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা

প্রার্থীরা জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন। উচ্চমান সহকারী পদে ১৩তম গ্রেডে ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা, অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ১৬তম গ্রেডে ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা এবং অফিস সহায়ক পদে ২০তম গ্রেডে ৮,২৫০-২০০১০ টাকা স্কেলে মাসিক বেতন। এ ছাড়া অন্যান্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা তো থাকছেই।

 

আবেদন যেভাবে

আবেদন করতে হবে অনলাইনে (http://jbc.teletalk.com.bd)। যাঁরা ২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ইতোপূর্বে আবেদন করেছেন, তাঁদের পুনরায় আবেদন করতে হবে না।

 

 

 

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ