ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

১৭ বছর পর গোপালগঞ্জে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
১৭ বছর পর গোপালগঞ্জে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন
১৭ বছর পর গোপালগঞ্জে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন। ছবি : কালের কণ্ঠ

দীর্ঘ ১৭ বছর পর গোপালগঞ্জে বিএনপির কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় শহরের গেটপাড়ায় একটি টিনের ঘরে এই অফিসের উদ্বোধন করা হয়। গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যালয় উদ্বোধন করেন।

জেলা কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে কেন্দ্রীয় ওলামা দল নেতা মো. ওমর ফারুক, বিএনপি নেতা আজিজুর রহমান বেনো, আলমগীর হোসেন ও খায়রুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। পরে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বলেন, বিগত ১৭ বছরের শাসনামলে গোপালগঞ্জে বিএনপির কোনো অফিস রাখা সম্ভব হয়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়েছে।

এই অফিস উদ্বোধনের মাধ্যমে গোপালগঞ্জে বিএনপির দলীয় কর্মকাণ্ড বেগবান হবে। তিনি সুবিধাবাদিদের এড়িয়ে চলার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

পরে শত শত নেতাকর্মীকে নিয়ে বিএনপির ৩১ দফা দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

লেপের নিচ মিলল ৪ কেজি গাঁজা, স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
লেপের নিচ মিলল ৪ কেজি গাঁজা, স্বামী-স্ত্রী গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় খাটের নিচে লুকিয়ে রাখা চার কেজি গাঁজাসহ স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে আটটার দিকে কসবা পৌরসভার পশ্চিম শীতলপাড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারা হলেন—উপজেলার মধুপুর গ্রামের হৃদয় মিয়া (২৫) ও তার স্ত্রী তানিয়া (২৩)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শীতলপাড়ার গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদের দোতলা বাড়ির নিচ তলা থেকে হৃদয় ও তানিয়ার ফ্লাটে তল্লাশি চালিয়ে খাটের উপর বিছানো লেপের নিচ থেকে চার কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য

আশুগঞ্জে ধসে পড়ল সাইলোর টাওয়ার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
আশুগঞ্জে ধসে পড়ল সাইলোর টাওয়ার
সংগৃহীত ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নির্মীয়মাণ আধুনিক রাইস স্টিল সাইলোরের দুটি টাওয়ার (সিএইচ টাওয়ার) ধসে পড়েছে। রবিবার (১৬ মার্চ) ঝড়ে এই ঘটনা ঘটে।

প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের জানান, টাওয়ারগুলো নির্মীয়মাণ এবং অনেক কাজ বাকি। ঝড়ে পড়ে যাওয়া টাওয়ারের বিভিন্ন মাল সরানো হচ্ছে।

এটি নতুন করে আবার তৈরি করা হবে।

দেশের খাদ্য মজুদ পর্যাপ্ত ও মজবুত করতে দেশের কয়েকটি স্থানে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি আধুনিক স্টিল রাইস সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। অর্ন্তভুক্ত এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশুগঞ্জের পুরাতন কংক্রিট সাইলোর পাশে মেঘনা নদীর তীরে নির্মিত হচ্ছে আধুনিক স্টিল রাইস সাইলো।

মন্তব্য

‘জেল থেকে বাইরে আয়া সামনে যারে পাইবে মাইরালবে’

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
শেয়ার
‘জেল থেকে বাইরে আয়া সামনে যারে পাইবে মাইরালবে’
সংগৃহীত ছবি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা এলাকার আতঙ্কের নাম জিলানি (১৬)। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ হত্যাচেষ্টা, ছিনতাইসহ মাদকসহ তার নামে মোট ৮ টি মামলা রয়েছে থানায়। গত এক সপ্তাহ আগে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে জেলাহাজতে পাঠায়। 

সোমবার তার বাবা সিদ্দিক মিয়া কারাগারে দেখতে গিয়ে তাকে নির্দেশ দিয়ে আসেন যে, ‘তরে যারা মিথ্যা মামলায় ফাঁসাইছে, হয়রানি করছে ও ৭০ পিস ইয়াবা বড়ি দিয়া আরেকটা মামলা দিছে তারারে তুই বাইর অইয়া আয়া সামনে যারে পাইবে মাইরালবে।

এর পরে হিইর‌্যা জেলে যাইবে। অয় তরে বাইর করবাম না হইলে হেইনোই থাকবে।

আরো পড়ুন
ঈদ উপলক্ষে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা

ঈদ উপলক্ষে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে ডিএমপির নির্দেশনা

 

জানা যায়, সোমবার আইনজীবী শাহজাহার কবীর সাজুর ময়মনসিংহস্থ জেলা পরিষদ মার্কেটের চেম্বারে যান সিদ্দিক মিয়া। সেখানে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে এমন কথা বলার সময় সিদ্দিকের ওই বক্তব্যের ভিডিও ধারন করা হয়।

সন্ধার পর এ প্রতিনিধির কাছে এসে আসে ভিডিওটি। এতে দেখা যায় আইনজীবীর সামনে বসে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে কারাগারে গিয়ে ছেলেকে যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা অকপটে বলে যাচ্ছেন।

জানা যায়, জিলানীর বাড়ি ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের রাফিয়ার আলগী গ্রামে। বাবা সিদ্দিক মিয়া স্থানীয় বাজারে চা বিক্রি করেন।

আর মা পরের বাড়িতে কাজ করেন। একমাত্র ছেলে জিলানি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়াকালে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে বিদ্যালয় থেকে বেশ কয়েকবার বের করে দেওয়া হয় তাকে।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

যমুনা রেলওয়ে সেতুর উদ্বোধন মঙ্গলবার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
যমুনা রেলওয়ে সেতুর উদ্বোধন মঙ্গলবার
সংগৃহীত ছবি

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দীর্ঘতম যমুনা রেলসেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ)। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের রেল যোগাযোগে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। এদিন মাত্র সাড়ে তিন মিনিটেই রেল সেতু অতিক্রম করবে ট্রেন। 

সেতুটি ডাবল লেনের হলেও প্রথমে সিঙ্গেল লেন চালু হওয়ায় সেতুটির পুরোপুরি সুফল পাবে না যাত্রীরা।

কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে ডাবল লেনের রেললাইন তৈরি করা হবে। এর ফলে যোগাযোগ, বাণিজ্য ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

৫০টি পিলার আর ৪৯টি স্প্যানের ওপর অত্যাধুনিক স্টিল প্রযুক্তির অবকাঠামোতে নির্মিত ডাবল লেনের সেতুটি জানান দিচ্ছে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় অগ্রযাত্রার কথা। উদ্বোধন উপলক্ষে সব প্রস্তুতি নিয়েছে রেলপথ বিভাগ।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম এটির উদ্বোধন করবেন। কর্মসূচি অনুযায়ী, সেতুর পূর্ব ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন থেকে সকাল ১১টা ২০ মিনিটে সিরাজগঞ্জ পশ্চিম প্রান্তের সয়দাবাদ রেলস্টেশন পর্যন্ত উদ্বোধনী ট্রেনে অতিথি ও সংশ্লিষ্টরা যমুনা রেল সেতু অতিক্রম করবেন। এরপর ১১টা ৪০ মিনিটে সয়দাবাদ রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করবেন এবং দুপুর ১২টায় ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশন পূর্ব প্রান্তে ফিরে যাবে ট্রেন।

সেতুর পশ্চিমপাড় ইব্রাহিমাবাদ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার শাহীন মিয়া বলেন, সেতু দিয়ে ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

তবে উদ্বোধনের দিন থেকে প্রথম পর্যায়ে সেতু নিয়ে ৯০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এতে সময় লাগবে সাড়ে ৩ মিনিট। এর আগে যমুনা সেতু দিয়ে ট্রেন পাড়ি দিতে ২০ মিনিট সময় লাগত। ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, ‘যমুনা রেল সেতু দিয়ে ট্রেন পারাপারে আগের তুলনায় কম সময় লাগবে।

এতে দুই পাড়েই সময় সাশ্রয় হবে। ডাবল লেনের সুবিধা পেতে হলে আমাদের আরো অপেক্ষা করতে হবে।’

রেলওয়ে চিফ ইঞ্জিনিয়ার তানভীরুল ইসলাম বলেন, রেল সেতুতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। যার ফলে রেল সেতুতে পরে রং করার প্রয়োজন হবে না। ৪.৮ কিলোমিটার ডাবল লাইন ডুয়েলগেজ সেতুটি দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলকে ঢাকার সঙ্গে রেলপথের মাধ্যমে সংযুক্ত করবে।

জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর যমুনা সেতু চালু হওয়ার পরই ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুটিতে ফাটল দেখা দেওয়ায় ট্রেনের গতি কমিয়ে দেওয়া হয়। এর পর থেকে সেতুর ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে থাকে। গতি কমের কারণে সময়ের অপচয়ের পাশাপাশি ঘটছে থাকে শিডিউল বিপর্যয়, বাড়তে থাকে যাত্রী ভোগান্তি। এসব সমস্যা সমাধানে সরকার যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলওয়ে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের নকশা প্রণয়নসহ সেতুর নির্মাণ ব্যয় প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা করা হয়। যার মধ্যে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় অর্থয়ান এবং ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে।  

২০২০ সালের ২৯ নভেম্বরে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে দেশের দীর্ঘতম ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের রেলওয়ে সেতুর নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। জাপানের আইএইচআই, এসএমসিসি, ওবায়শি করপোরেশন, জেএফই এবং টিওএ করপোরেশন এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তিনটি প্যাকেজে সেতুর নির্মাণকাজ করেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুটির নাম পরিবর্তন করে যমুনা সেতু নামকরণ করা হয়।  

রেল মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, এ সেতুটি চালু হলে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ ও রেলওয়ে পরিবহন ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। অভ্যন্তরীণ রেল যোগাযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ট্রান্স এশিয়ান রেলপথে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষমতা অর্জন করবে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার হবে। এতে আমদানি-রপ্তানি খরচ কমে যাওয়া পাশাপাশি যমুনা সেতু ও মহাসড়কের ওপর চাপ কমবে। একইসঙ্গে উত্তরাঞ্চল থেকে পণ্য পরিবহনব্যবস্থা সহজ হবে, কমবে পরিবহন খরচ। যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও সামাজিক জীবনযাত্রায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাবে। আগে যমুনা সেতু দিয়ে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করলেও নতুন সেতু দিয়ে ৬৮টি ট্রেন চলাচলের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ট্রেন চলাচলের আন্তঃসংযোগ সৃষ্টি হবে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ