কওমি মাদরাসার শিক্ষকরা সরকারি বেতন-ভাতা পাবেন

  • কওমি মাদরাসাকে মূল ধারায় আনার উদ্যোগ
  • সরকারি বোর্ডের মাধ্যমে সনদ দেওয়ার প্রস্তাব
  • চারটি গ্রেডে ভাগ হবে মাদরাসাগুলো
শরীফুল আলম সুমন
শরীফুল আলম সুমন
শেয়ার
কওমি মাদরাসার শিক্ষকরা সরকারি বেতন-ভাতা পাবেন
সংগৃহীত ছবি

সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা কওমি মাদরাসাগুলোকে মূলধারায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ‘বাংলাদেশের কওমি মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়ন রূপকল্প ২০২৫-২০৩৫’ নামে একটি কর্মসূচির খসড়ায় হাত দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। এই কর্মসূচির আওতায় বিদ্যমান ছয়টি বোর্ডকে এক করে একটি সরকারি বোর্ডের মাধ্যমে সনদ দেওয়া ও শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য সরকারি বেতন-ভাতা প্রদানেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রির সমমান ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু দাওরায়ে হাদিস পাস করা শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে এখনো মাস্টার্স ডিগ্রির মর্যাদা পান না। কওমি মাদরসার প্রকৃত সংখ্যা কত আর শিক্ষার্থী সংখ্যা কত, সে হিসাবও কারো কাছে নেই। কারণ দেশের গ্রামেগঞ্জে যেসব কওমি মাদরাসা গড়ে উঠেছে, সেগুলো মূলত নুরানি মক্তব, বেশি হলে হিফজ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।

বড় বড় মাদরাসার সাধারণত কিতাব বিভাগ রয়েছে। এই কিতাব বিভাগের শেষ শ্রেণি হচ্ছে দাওরায়ে হাদিস। তবে কেউ কেউ বলে থাকেন, দেশে কওমি মাদরাসার সংখ্যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার হতে পারে। এসব মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৮০ থেকে ৯০ লাখ হতে পারে।

কওমি মাদরাসার শিক্ষাব্যবস্থা উন্নয়ন রূপকল্পে এসব মাদরাসাকে মূলধারায় আনতে বেশ কিছু উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সব কওমি মাদরাসার হালনাগাদ তথ্যসহ ডাটাবেস প্রণয়ন; প্রতিষ্ঠানের জমি, অবকাঠামো, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীর তথ্য বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শনপূর্বক ডাটাবেস প্রণয়ন; প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক-কর্মচারী এবং ছাত্র-ছাত্রী বিষয়ে পৃথক পৃথক তথ্যপঞ্জি প্রণয়ন এবং হালনাগাদকরণ; প্রাতিষ্ঠানিক কোড, ইআইআইএন নম্বর ইত্যাদি প্রদান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসার শিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (মাদরাসার অনুবিভাগ) এস এম মাসুদুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘কওমি মাদরাসার উন্নয়ন রূপকল্প নিয়ে আমরা কাজ করছি। দশ বছর মেয়াদি একটি কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করতে চাই। এটা প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।

আমরা কওমি মাদরাসার উন্নয়ন চাই, শিক্ষার্থীদের উন্নয়ন চাই। সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পেলে আমরা এ ব্যাপারে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে খসড়া চূড়ান্ত করব।’

কওমি মাদরাসার জন্য চারটি গ্রেড বা শ্রেণি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

গ্রেড-১ : বর্তমানে পাঁচ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যমান এবং গত ২৫ বছর বা তার বেশি পূর্বে স্থাপিত হয়ে ধারাবাহিকভাবে চলমান কওমি মাদরাসা।  

গ্রেড-২ : বর্তমানে তিন শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যমান এবং ১৫ বছর বা তার বেশি পূর্বে স্থাপিত হয়ে ধারাবাহিকভাবে চলমান কওমি মাদরাসা।  

গ্রেড-৩ : বর্তমানে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যমান এবং পাঁচ বছর বা তার বেশি আগে স্থাপিত হতে ধারাবাহিকভাবে চলমান কওমি মাদরাসা।

গ্রেড-৪ : অন্য সব মাদরাসা বা নতুন চলমান কওমি মাদরাসা।

কওমি মাদরাসাগুলোর জন্য সরকারিভাবে গ্রেডভিত্তিক মাসিক সম্মানি চালুকরণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। গ্রেড-১ ভুক্ত কওমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা এবং অন্যান্য শিক্ষক চারজন ও কর্মচারি একজনের জন্য প্রতি মাসে জনপ্রতি সাত হাজার টাকা সম্মানির প্রস্তাব করা হয়েছে। গ্রেড-২ ভুক্ত কওমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য প্রতি মাসে আট হাজার টাকা এবং অন্যান্য শিক্ষক চারজন ও কর্মচারী একজনের জন্য প্রতি মাসে জনপ্রতি পাঁচ হাজার টাকা সম্মানির প্রস্তাব করা হয়েছে। গ্রেড-৩ ভুক্ত কওমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠান প্রধানের জন্য প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা এবং অন্যান্য শিক্ষক চারজন ও কর্মচারী একজনের জন্য প্রতি মাসে জনপ্রতি তিন হাজার টাকা সম্মানির প্রস্তাব করা হয়েছে।

রূপকল্পে কওমি মাদরাসার একাডেমিক ডিগ্রি (সনদ) প্রদানের জন্য বিদ্যমান ছয়টি বোর্ডের বদলে একটি সরকারি বোর্ড প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এ জন্য কওমি মাদরাসার সমন্বিত বোর্ডের অর্গানোগ্রাম চূড়ান্তকরণ, নিয়োগ ও কার্যকর করা; কওমি মাদরাসা বোর্ডের অবকাঠামো নির্মাণ ও চালু করা; কওমি মাদরাসার বোর্ড কর্তৃক প্রদানযোগ্য সনদ এবং সমমান নির্ধারণ ও কার্যকর করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। কওমি মাদরাসার জন্য কারিকুলাম, সিলেবাস-পাঠ্যক্রম ইত্যাদি পুনর্নির্ধারণ; ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করা; শিক্ষার্থীদের জন্য মিড-ডে মিল বা টিফিন চালু করা; কওমি মাদরাসার প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো উন্নয়ন; কওমি মাদরাসার শিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও চালু করা; কওমি মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং কর্মসংস্থান প্রকল্প চালু করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কুমিল্লায় শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ সম্পন্ন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কুমিল্লায় শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ সম্পন্ন

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম সারা দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম কুমিল্লা জেলায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিন দিনের এ কার্যক্রমের শেষ দিনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন, চৌদ্দগ্রাম, লাঙ্গলকোর্ট, বরুড়া, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলায় শহীদ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার তুলে দেওয়া হয়।

কুমিল্লা বিভাগীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পরিবারের একমাত্র উপার্জনাক্ষম সদস্যকে হারিয়ে অনেক পরিবার এখন নিঃস্ব। এ বাস্তবতায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ঈদ আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে এসব শহীদ পরিবারের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়ে দেশকে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন এসব শহীদদের পরিবারের হাতে সামান্য ঈদ উপহার পৌঁছে দিতে পেরে আমরা গৌরবান্বিত।’

জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কুমিল্লা বিভাগীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী উমাশা উমায়ন মনি চৌধুরী বলেন, ডা. মজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সারাদেশের মধ্যে কুমিল্লা জেলায় সর্বপ্রথম নির্ধারিত সময়ের আগেই ঈদ উপহার বিতরণ কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের যাত্রাপথের অবর্ণনীয় কষ্ট হাসিমুখে মেনে তিনি নিজ হাতে শহীদদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। দুর্দিনে শহীদ পরিবারের পাশে থাকার জন্য ডা. মজিবুর রহমানের অঙ্গীকার কুমিল্লাবাসীকে উদ্বেলিত করেছে।

মন্তব্য

নিনমাসের নতুন পরিচালক অধ্যাপক একে এম ফজলুল বারী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
নিনমাসের নতুন পরিচালক অধ্যাপক একে এম ফজলুল বারী
নিনমাসের নতুন পরিচালক অধ্যাপক একে এম ফজলুল বারী

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (নিনমাস) ঢাকার নতুন পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন থাইরয়েড বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল বারী। গত মঙ্গলবার পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান কামরুল হুদা তাকে পরিচালক হিসেবে অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল বারীকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এ সময় নিনমাসের সকল চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী  উপস্থিত ছিলেন। 

দায়িত্ব গ্রহণের পর এ কে এম ফজলুল বারী নিনমাসসহ পরমাণু শক্তি কমিশনের গবেষণাসেবা আরও উন্নততর করে নিনমাসকে ‘ওয়ার্ল্ড এক্সিলেন্স সেন্টার’ হিসেবে গড়ে তুলতে সব বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকের সহযোগিতা চান।

আরো পড়ুন
আওয়ামী লীগ মিছিল বের করে আমাদের দোষে : টুকু

আওয়ামী লীগ মিছিল বের করে আমাদের দোষে : টুকু

 

অধ্যাপক এ কে এম ফজলুল বারী বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে পেশাজীবন শুরু করেন। ২০০৫ সালে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পরমাণু শক্তি কমিশনের অধীন নিনমাসে যোগ দেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের একজন আজীবন সদস্য এবং ডব্লিউএমআইম ভারতের সম্মানিত ফেলো।

অধ্যাপক বারী ২০১৭ সালে বঙ্গবীর ওসমানী পদক, ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক গোল্ড মেডেল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

গবেষণার জন্য দেশে-বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।

মন্তব্য

জনগণের নিকট দায়বদ্ধতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অর্থহীন : তথ্য উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জনগণের নিকট দায়বদ্ধতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অর্থহীন : তথ্য উপদেষ্টা

 

জনগণের নিকট দায়বদ্ধতা না থাকলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অর্থহীন বলে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্য সম্পর্কে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হতে হবে। 

শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর তথ্য ভবনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

গত ১৬ বছরে গণমাধ্যমের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, ওই সময় সাংবাদিক সংগঠনগুলো ব্যবসায়িক সিন্ডিকেট ও রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে সমঝোতা করে পরিচালিত হয়েছে। এটি আমাদের জাতির জন্য দুর্ভাগ্য।

 

মাহফুজ আলম বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা যৌক্তিক পর্যায়ে বৃদ্ধি করতে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে মালিক ও সম্পাদকদের প্রভাব থেকেও সাংবাদিকদের মুক্ত করা প্রয়োজন। তিনি গণমাধ্যম সংস্কারের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম মালিক, সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

ইফতার মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহের প্রধান এবং সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

চাঁদাবাজি প্রতিরোধে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ তৎপর : সড়ক সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চাঁদাবাজি প্রতিরোধে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ তৎপর : সড়ক সচিব
সংগৃহীত ছবি

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক বলেছেন, সামনের ঈদে প্রচুর মানুষ ঢাকা ছেড়ে ঈদ উদযাপন করতে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দিবেন। মানুষের এই ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়ক বিভাগ থেকে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো মেরামত ও সংস্কারের কাজ চলমান, অতিরিক্ত বাস ভাড়া নিয়ন্ত্রণে বাস মালিক সমিতির সাথে কার্যকর আলোচনা হয়েছে। চাঁদাবাজি ও সড়কে ডাকাতি প্রতিরোধে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ তৎপর রয়েছে।

এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় সড়কে আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হবে বলেও আশ্বাস দেন সড়ক সচিব। 

শনিবার (২২ মার্চ) গাজীপুরের জয়দেবপুরে অবস্থিত বিআরটি বাস ডিপোতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ও তথ্য অধিকার সংক্রান্ত অংশীজন সভায় সভাপতির বক্তব্যে সড়ক সচিব এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় দেশসেরা ইরশাদুল

আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় দেশসেরা ইরশাদুল

 

সড়কে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফেরাতে অংশীজন সভায় আগত অতিথিদের পরামর্শ ও মতামত সাদরে গ্রহণ করা হবে বলে সড়ক সচিব আরো জানান, সড়ক বিভাগের ব্যাপারে অনেকের অভিযোগ আছে, তবে আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি রাস্তায় শান্তি এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য যাতে করে মানুষ নির্বিঘ্নে এবারের ঈদ পালন করতে পারে। এ সময় সভায় আগত অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সড়ক সচিব প্রয়োজনীয় ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দেন এবং সকলকে ধন্যবাদ ও ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।

আরো পড়ুন
নির্বাচনের দিনক্ষণ পরিষ্কারভাবে সামনে আনতে হবে : আমীর খসরু

নির্বাচনের দিনক্ষণ পরিষ্কারভাবে সামনে আনতে হবে : আমীর খসরু

 

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) নীলিমা আখতার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) মো. ইয়াসীন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. অনুপম সাহা, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসান ও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ। 

এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত আজকের এই অংশীজন সভায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার প্রতিনিধিরা, বাস মালিক সমিতির সদস্যরা, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ