যেসব ব্যক্তি বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করবেন তাঁদের ভোটার তালিকা থেকে তাৎক্ষণিক বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্রও (এনআইডি) বাতিল করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশি নাগরিকত্ব কেউ ত্যাগ করেছেন কি না, সেটা কেউ না জানালে বোঝার কোনো উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে এখন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ে যোগাযোগের মাধ্যমে তথ্য গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এভাবে কোনো তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করা হবে। একই সঙ্গে বাতিল করা হবে এনআইডিও।
এরই মধ্যে ইসি সচিব আখতার আহমেদ এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য এনআইডি অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশনস) ও নির্বাচন সহায়তা শাখার উপসচিবকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
নির্দেশনায় ইসি সচিব উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগকারী ব্যক্তিদের ভোটার তালিকা ও এনআইডি থেকে তাৎক্ষণিক বাদ দিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে তথ্যের কোনো ঘাটতি থাকলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রায় দেড় কোটির মতো প্রবাসী বসবাস করেন তাঁদের অনেকে সংশ্লিষ্ট রেসিডেন্সি নেওয়ার জন্য বা সিনিজেনশিপ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে থাকেন তাঁদের নামও ভোটার তালিকা থেকে কর্তন হতে পারে, একই সঙ্গে বাতিল হতে পারে এনআইডি। এ ছাড়া এমন ব্যক্তিদের ভোটার না করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত এর আগে নিয়েছে সংস্থাটি।
বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পরিত্যাগ করার শর্তে অন্য কোনো দেশের নাগরিক হলে সেই ব্যক্তির ভোটাধিকারও থাকবে না।
প্রবাসীদের ভোটার করার ক্ষেত্রে এসব বিষয় খেয়াল করার জন্য মাঠ কর্মকর্তাদের সম্প্রতি বার্তা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংস্থাটির এনআইডি অনুবিভাগের সহকারী পরিচালক সরওয়ার হোসেন এসংক্রান্ত নির্দেশনা সব মাঠ কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।