মায়ানমারে ক্লিনিকে জান্তার বিমান হামলা, চিকিৎসকসহ নিহত ১১

এএফপি
এএফপি
শেয়ার
মায়ানমারে ক্লিনিকে জান্তার বিমান হামলা, চিকিৎসকসহ নিহত ১১
২২ মার্চ মায়ানমারের মাগওয়ে অঞ্চলের হান খার গ্রামে জান্তার বিমান হামলার পর ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে। ছবি : সংগৃহীত

মায়ানমারের একটি প্রত্যন্ত গ্রামের মেডিক্যাল ক্লিনিকে সামরিক জান্তার বিমান হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও তার স্ত্রীও রয়েছেন। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এএফপি সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার সকালে এই বিমান হামলাটি হয় মাগওয়ে অঞ্চলের হান খার গ্রামে, যা বর্তমানে অভ্যুত্থানবিরোধী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে এএফপি।

২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মায়ানমার এক বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের মধ্যে রয়েছে, যেখানে জান্তা, অভ্যুত্থানবিরোধী গেরিলা বাহিনী ও জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত চলছে। এর ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এক ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে রবিবার এক গ্রামবাসী এএফপিকে বলেন, ‘এটি (বিমান) খুব নিচ দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল এবং আমরা যখন লুকিয়ে ছিলাম, তখন আমি একটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। যখন আমি এলাকা পরিষ্কার করতে গেলাম, তখন শুধু মানবদেহের ছিন্নভিন্ন অংশ দেখতে পেলাম।

এটা দেখে ভয়ানক অনুভূতি হচ্ছিল, আর এখনো আমার মন থেকে সেই দৃশ্য মুছতে পারছি না।’

এই প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয় আরেক ব্যক্তি জানান, নিহতদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও তার স্ত্রী ছিলেন। বিস্ফোরণে তাদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। হামলায় একটি বাড়ির ভেতরে খোলা অস্থায়ী ক্লিনিকটি বিধ্বস্ত হয়।

পরিচয় না প্রকাশের শর্তে আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সোমবার বলেন, ‘সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সামরিক বাহিনী বিমান হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে, ফলে সব বেসামরিক লোকজন আতঙ্কে রয়েছে। তারা সব সময় সামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিমানের শব্দ শুনছে এবং যেকোনো সময় লুকানোর জন্য প্রস্তুত থাকছে।’

যদিও মায়ানমারের সামরিক বাহিনী ব্যাপকভাবে ভূখণ্ড হারিয়েছে, তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ার প্রযুক্তিগত সহায়তায় চালিত শক্তিশালী বিমানবাহিনীই এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষ বাহিনীকে প্রতিহত করার মূল অস্ত্র হিসেবে কাজ করছে। সশস্ত্র সংঘাত পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডাটা (এসিএলইডি) জানিয়েছে, মায়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধে প্রতিবছর বেসামরিক জনগণের ওপর সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে প্রায় ৮০০টি বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছে, যা আগের বছরের তুলনায় তিন গুণ বেশি।

 

এ ছাড়া এসিএলইডি পূর্বাভাস দিয়েছে, জান্তা ভবিষ্যতেও বিমান হামলার ওপর আরো বেশি নির্ভর করবে, কারণ তারা ভূমিতে ক্রমবর্ধমান সামরিক চাপে রয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

যে কারণে বিশ্বে ১ কোটি ৪০ লাখ শিশু অপুষ্টির মুখে

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যে কারণে বিশ্বে ১ কোটি ৪০ লাখ শিশু অপুষ্টির মুখে
ছবিসূত্র : এএফপি

চলতি বছরে কমপক্ষে ১ কোটি ৪০ লাখ শিশু ক্ষুধার্ত এবং অপুষ্টি বা মৃত্যুর ঝুঁকির সম্মুখীন হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রধান আন্তর্জাতিক দাতারা সাহায্য বাজেট কমিয়ে দেওয়ার ফলে এমন পরিস্থিতি হতে পারে বলে ইউনিসেফ গতকাল বুধবার সতর্ক করে বলেছে।

দুর্ভিক্ষের ঢেউ ঠেকাতে তাদের শিশু পুষ্টি তহবিলে অবদান রাখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশু সংস্থা সরকার এবং জনহিতকর প্রতিষ্ঠানগুলোকে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথেরিন রাসেল বলেছেন,  শিশুদের ক্ষুধা দূরীকরণে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে শতাব্দীর শুরু থেকে।

তবে এই অর্জনগুলো দ্রুত হারিয়ে যেতে পারে।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘শিশুর বেঁচে থাকা এবং বিকাশের ভিত্তি হলো সঠিক পুষ্ঠি, যা বিনেয়োগের ফলাফল। শক্তিশালী পরিবার, সমাজ ও দেশগুলোতে এবং আরো স্থিতিশীল বিশ্বের ওপর লভ্যাংশ পরিমাপ হবে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর উপদেষ্টা ইলন মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি ইউএসএআইডি সংস্থাটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে।

একজন বিচারক এই প্রচেষ্টা বন্ধের নির্দেশও দিয়েছিলেন কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নিশ্চিত করেছেন, ইউএসএআইডি তার ৪২ বিলিয়ন ডলারের বাজেট থেকে ৮৩ শতাংশ কর্মসূচি বাতিল করছে।

ব্রিটেনের মতো অন্যান্য প্রধান দাতা দেশগুলো সম্প্রতি প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ঘাটতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সাহায্য কমিয়ে দিয়েছে বা স্থগিত করেছে। কিন্তু রাসেল সতর্ক করে দিয়েছেন, তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এমন ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন শিশু বছরের বাকি সময় ইউনিসেফের ‘ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত থেরাপিউটিক খাবার’ থেকে বঞ্চিত হবে।

ক্ষুধার্ত শিশুদের জন্য জরুরি সেবা প্রদানকারী ২ হাজার ৩০০টি কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং ইউনিসেফ-সমর্থিত ২৮ হাজারটি খাদ্য কেন্দ্রও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

রাসেল আরো সতর্ক করে বলেছেন, সব মিলিয়ে এই বছর ১ কোটি ৪০ লাখ শিশু পুষ্টি সহায়তা এবং পরিষেবায় ব্যাঘাতের সম্মুখীন হতে পারে।

রাসেল বলেছেন, ‘এই তহবিল সংকট এমন এক সময়ে এসেছে যখন শিশুদের জন্য অভূতপূর্ব চাহিদা বেড়েছে। যারা রেকর্ড পরিমাণ স্থানচ্যুতি, নতুন এবং দীর্ঘস্থায়ী সংঘাত, রোগের প্রাদুর্ভাব ও জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক পরিণতির মুখোমুখি হচ্ছে।’

সূত্র : এএফপি
 

মন্তব্য

পাকিস্তানে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল সুপারকো

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পাকিস্তানে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল সুপারকো
সংগৃহীত ছবি

আসন্ন ঈদুল ফিতর আগামী সোমবার (৩১ মার্চ) অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানিয়েছে পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো)। বুধবার (২৬ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন এবং জিও নিউজ।

পাকিস্তান স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো) বুধবার জানিয়েছে, আগামী ২৯ মার্চ পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর ৩০ মার্চ চাঁদ দেখা যাওয়ার এবং পরদিন ৩১ মার্চ (সোমবার) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সুপারকোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সুনির্দিষ্ট জ্যোতির্বিদ্যার মডেল অনুসারে শাওয়াল মাসের নতুন চাঁদ (সংযোগ) আগামী ২৯ মার্চ বিকেল ৩:৫৮ মিনিটে দেখা যাবে। চাঁদের দৃশ্যমানতা নির্ভর করে চাঁদের বয়স, সূর্য থেকে এর কৌণিক বিচ্ছেদ, সূর্যাস্তের সময় উচ্চতা এবং বায়ুমণ্ডলীয় অবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর।’

আরো পড়ুন
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়া বদলের আদেশ ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়া বদলের আদেশ ট্রাম্পের

 

আসন্ন ঈদুল ফিতরের বিষয়ে সুপারকোর এই পূর্বাভাস পাকিস্তানের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কারণ দেশটির আবহাওয়া বিভাগও আগামী ৩১ মার্চ ঈদের পূর্বাভাস দিয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়া বদলের আদেশ ট্রাম্পের

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়া বদলের আদেশ ট্রাম্পের

দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন তিনি।

তার আদেশ অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ভোটার হিসেবে নাম নথিভুক্ত করতে হলে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র দিতে হবে। আর নির্বাচনের দিনের মধ্যেই গোটা দেশ থেকে সব ব্যালট গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

রাজ্যগুলো আর নির্বাচনের পরের দিন পোস্টাল ব্যালট গ্রহণ করতে পারবে না।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে ১৮টি রাজ্যে নির্বাচনের দিনের পরও পোস্টাল ব্যালট গ্রহণ করার নিয়ম আছে, যে ব্যালটগুলো নির্বাচনের আগের দিন অথবা নির্বাচনের দিনে ডাকযোগে পাঠানো হয়। ট্রাম্পের আদেশে এই নিয়ম আর থাকবে না।

এছাড়া নাগরিকত্বের প্রমাণের নতুন নিয়ম চালু হলে অ-মার্কিনিরা আর ভোট দিতে পারবেন না।

যদিও অ-মার্কিনিদের ভোটদান এমনিতেই বেআইনি। তা হলেও নতুন নিয়মে মার্কিন নাগরিকত্বের বৈধ লিখিত প্রমাণপত্র দেখাতে হবে ভোটারদেরকে।

মঙ্গলবার হোয়াইট হাউজে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের সময় ট্রাম্প বলেন, নির্বাচনি জালিয়াতি নামে শব্দটি নিশ্চয়ই আপনারা শুনেছেন। আমরা এটি বন্ধ করতে চাই।

অন্তত এ পদক্ষেপ সেই লক্ষ্য অনেকটা এগিয়ে নেবে।

তবে ট্রাম্পের আদেশে প্রমাণ হিসাবে নথি জমা দেওয়ার যে নিয়মের কথা বলা হচ্ছে তাতে অনেকেরই ভোটাধিকার হারানোর আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ ভোটারের মার্কিন নাগরিকত্বের যথাযথ প্রমাণপত্র নেই।

আরো পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টাকে তারেক রহমানের ঈদের শুভেচ্ছা

প্রধান উপদেষ্টাকে তারেক রহমানের ঈদের শুভেচ্ছা

 

এমনকি যোগ্য বহু মার্কিন নাগরিকের কাছে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্রও সহজলভ্য নয়। তাছাড়া, বর্তমানে যাদের পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট নেই তারা ভোট দিতে পারবেন না।

মন্তব্য

উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সড়ক সেতু নির্মাণ করবে রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সড়ক সেতু নির্মাণ করবে রাশিয়া
চীনের সীমান্তবর্তী শহর ডানডং থেকে উত্তর কোরিয়ার সিনুইজুতে ট্রাকগুলো ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ পার হচ্ছে। ছবি : এএফপি

রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে তুমেন নদীর ওপর একটি সড়ক সেতু নির্মাণ শুরু করবে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে। ২০২৪ সালে রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফরের সময় এই সেতুটি নির্মাণে সম্মত হয়েছিল। তখন দুই দেশ একটি বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

এই সড়ক সেতুটি সেখানে আবস্থিত ‘ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ’ রেল সেতুর কাছে নির্মিত হবে। ‘ফ্রেন্ডশিপ ব্রিজ’ রেল সেতুটি ১৯৫৯ সালে কোরিয়ান যুদ্ধের পর চালু হয়েছিল। রাশিয়ান মিডিয়া অনুসারে, বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য একটি প্রাচীন কাঠের সেতু ব্যবহার করা হতো কিন্তু এটি ধ্বংস যায়।

আরো পড়ুন
ভিয়েতনামে সবচেয়ে বড় মাদক তৈরির কারখানায় অভিযান, ৬ মাস পর সফল পুলিশ

ভিয়েতনামে সবচেয়ে বড় মাদক তৈরির কারখানায় অভিযান, ৬ মাস পর সফল পুলিশ

 

উত্তর কোরিয়ায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মাতসেগোর আরআইএ-কে বলেন, ‘সেতুটির নির্মাণকাজ এখনও শুরু হয়নি।

’তিনি বলেন, ‘দুই পক্ষ প্রস্তুতিমূলক কাজ করছে, নকশা চূড়ান্ত করছে, নির্মাণ কর্মী এবং সরঞ্জামের বিষয়ে তালিকা তৈরি করছে।’

বছরের পর বছর ধরে আলোচনাধীন এই সড়ক সেতুটি ৮৫০ মিটার (২ হাজার ৭৮৯ ফুট) লম্বা হবে এবং রাশিয়ান হাইওয়ে সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ সংস্থা এসআই অ্যানালিটিক্স ৫ মার্চের এক প্রতিবেদনে বলেছে, সেতুর ভিত্তি এবং সড়ক সংযোগের কাজ শুরু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে একমাত্র রেল সংযোগ স্থাপনের পর এই সেতুটির দ্রুত নির্মাণের ফলে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সামরিক বিনিময় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর ফলে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতা ধীরে ধীরে হ্রাস পেতে পারে।

সূত্র : রয়টার্স

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ