সাভারে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় একটি হাউজিংয়ের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদল খান সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল শনিবার সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন। এর আগে গত ১৭ মার্চ সাভারের হেমায়েতপুর এলাকায় আল মদিনা হাউজিং প্রকল্পের অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করার অভিযোগ রয়েছে।
হামলা ও লুটপাটে অভিযুক্তরা হলেন সাভারের হেমায়েতপুর এলাকার যুবদলের কর্মী রকিব হোসেন, তাঁর ভাই রাসেল, শহিদুল, রতন শেখ, নালিয়াসুর গ্রামের সালাম, রাজধানীর মিরপুর থানার গোলারটেক এলাকার ওয়াহিদুর রহমান, অপুসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বাদল খান বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে রকিব হোসেন এবং তাঁর বাহিনীর সদস্যরা আল মদিনা হাউজিংয়ের অফিসে এসে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তাঁদের কথা অনুযায়ী চাঁদার টাকা না দেওয়ায় হাউজিংয়ের সম্পত্তি থেকে কোনো প্লট বিক্রি করতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় গত ১৭ মার্চ রকিব হোসেন, রাসেল, রতন শেখ, ওয়াহিদুর রহমান, অপু, সালামসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জন হাউজিংয়ের সম্পত্তিতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে আতিকুল আলম ও কেয়ারটেকার আব্দুল মজিদকে মারধর করে হাউজিংয়ের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন প্লটের মালিকদের নামে স্থাপিত সাইনবোর্ড, অফিস ও গেটে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে নিয়ে যান।
তিনি আরো বলেন, ‘পরে ১৮ মার্চ শহিদুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হাউজিং প্রকল্পের অফিসের ভেতরে থাকা বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর করে হাউজিংয়ের নির্মাণ খরচ বাবদ রক্ষিত আট লাখ ৫০ হাজার টাকা, কাগজপত্রসহ দুটি ল্যাপটপ, দুটি কম্পিউটার প্রিন্টারসহ ১০ লক্ষাধিক টাকার মালপত্র নিয়ে যায়। এখনো তারা মহড়া দেওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি।’