গফরগাঁও ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতার চাঞ্চল্যকর চ্যাট ফাঁস

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ
শেয়ার
গফরগাঁও ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতার চাঞ্চল্যকর চ্যাট ফাঁস
বিএনপি নেতা মুশফিকুর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

স্থানীয় বিএনপির এক নেতাকে হত্যার হুমকি দেওয়া ‘গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ’ নামক ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের চ্যাটের স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। এতে বিএনপি নেতাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের চিত্র উন্মোচিত হওয়ায় গফরগাঁওজুড়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে। 

ওই স্ক্রিনশটগুলোতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা গফরগাঁওয়ের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি প্রয়াত ফজলুর রহমান সুলতানের ছেলে, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমানকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন বলে দেখা যায়। 

বিএনপির ওই নেতাকে হত্যার পর বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে গুপ্ত হামলা চালিয়ে আরো ৭-৮টি খুন করার নীলনকশার কথা প্রকাশ পায়।

এ ঘটনায় গফরগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

সূত্র জানায় ‘গফরগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগ’ গফরগাঁওয়ের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক এমপি ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল ও তার অনুসারীদের একটি টপ সিক্রেট ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি, উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীরা এই ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপের সদস্য। এই গ্রুপের সদস্যরা সবাই গত ৫ আগস্টের পর গফরগাঁও থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন।

কিন্তু ওই মেসেঞ্জার গ্রুপে সরব রয়েছেন। 

স্ক্রিনশটে দেখা যায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান সানিল ও পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান সজিবের কথোপকথন। তারা সেখানে লেখেন, ‘বিএনপির জনপ্রিয় নেতা মুশফিককে খেয়ে দিতে হবে। এর দায়ভার চাপাতে হবে উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমানের চাচা এ বি সিদ্দিকুর রহমানের ওপর।

এভাবে রহমান পরিবারকে শেষ করে দিতে হবে। রহমান পরিবার শেষ হলেই গফরগাঁওয়ে বিএনপির রাজনীতি ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।’

চ্যাটিংয়ে আরো বলা হয়, ‘সবাই তো পলাতক, কারা দায়িত্ব পালন করবে? মুশফিক যখন গণসংযোগ, মিটিং-মিছিল করবে, তখন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা এই দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

চ্যাটিংয়ে দুই নেতার এমন পরিকল্পনা ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা হিসেবে জানানো হয়, ‘মোটরসাইকেল থেকে মুশফিককে শ্যুট করা হবে।

মুশফিক নিহত হলে বিস্ফোরণমুখ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে তখন গুপ্ত হামলা চালিয়ে আরো ৭-৮ জনকে খুন করতে হবে।’ 

এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই চ্যাটিংয়ের স্ক্রিনশট ফাঁস হওয়ায় গফরগাঁও উত্তাল হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই সদরসহ উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ হচ্ছে। এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করে উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিএনপি দলীয় নেতাকর্মী-সর্মথকরা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পৌর বিএনপি নেতা সেলিম আহম্মেদ গফরগাঁও থানায় একটি জিডি করেছেন। 

পাগলা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম আনসার উদ্দিন বলেন, ‘পলাতক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে আমরা উদ্বিগ্ন। আগেও বেশ কয়েকবার এই ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে।’ 

উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘আগেও এ ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছে। সব দিক বিবেচনা করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অমিই প্রধান প্রতিপক্ষ, এই বলে আমাকে বিভিন্ন মহল থেকে সতর্ক করা হতো। এগুলো মোকাবেলা করেই গফরগাঁওয়ের রাজনীতি করতে হয়। আমার পূর্বপুরুষরা তাই করেছেন।’ 

এ ব্যাপারে গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে। তা ছাড়া জিডির সূত্র ধরে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বকশীগঞ্জে পাখি ধরে দেওয়ার কথা বলে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
বকশীগঞ্জে পাখি ধরে দেওয়ার কথা বলে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টা
প্রতীকী ছবি

জামালপুরের বকশীগঞ্জে পাখি ধরে দেওয়ার কথা বলে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে এক শিশুকে (৯) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রিপন মিয়া (২৩) নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।

আটক রিপন মিয়া একই এলাকার মিষ্টার আলীর ছেলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় বকশীগঞ্জ পৌর শহরের কাগমারীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রলি চালক রিপন মিয়া একই এলাকার (৯) বছর বয়সী এক শিশুকে পাখি ধরে দেওয়ার কথা বলে ফুঁসলিয়ে বাড়ির পাশে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে যায়। ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে শিশুটি ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। একপর্যায়ে শিশুটি ডাক চিৎকার দিলে এলাকাবাসী রিপনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

এই ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহম্মেদ জানান, ধর্ষণচেষ্টায় তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মন্তব্য

কক্সবাজারে মৃত ব্যক্তির নামে মামলা

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার
শেয়ার
কক্সবাজারে মৃত ব্যক্তির নামে মামলা

কক্সবাজারে জাফর আলম নামে এক মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, প্রায় আট মাস আগে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মামলার আসামির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে।

গত বছরের ৪ আগস্ট কক্সবাজার শহরের লালদিঘীর পাড় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে হামলা ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ৭৭০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় ৫২০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি ২৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

শনিবার (২২ মার্চ) এনামুল হক নামের এক ছাত্র প্রতিনিধি বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। বাদী এনামুল হকের স্থায়ী ঠিকানা চট্টগ্রামের বাঁশখালী হলেও তিনি বর্তমানে কক্সবাজারে বসবাস করছেন।

মৃত জাফর আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার বাবা জাফর আলম ঈদগাঁও উপজেলার ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

তিনি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন এবং ২০২৩ সালের ৬ জুন তার অপারেশন হয়। এরপর গত বছরের ৫ আগস্ট বিকেলে তিনি মারা যান। অথচ তার নাম মামলার আসামির তালিকায় দেখে আমরা হতবাক।’

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস খান বলেন, ‘এমন কিছু হয়ে থাকলে তদন্ত করে মৃত ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া হবে।

এদিকে মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফাকে প্রধান আসামি করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের আরো ৫২০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্তব্য

ভোটার তালিকা যত নির্ভুল হবে, নির্বাচন তত সুষ্ঠু হবে : ইসি মাছউদ

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
শেয়ার
ভোটার তালিকা যত নির্ভুল হবে, নির্বাচন তত সুষ্ঠু হবে : ইসি মাছউদ
ছবি: কালের কণ্ঠ

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আবদুর রহমানেল মাছউদ বলেছেন, একটি নির্ভুল ভোটার তালিকা সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত। ভোটার তালিকা যত নির্ভুল হবে, নির্বাচন তত সুষ্ঠু হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যেসব প্রস্তুতি দরকার, কমিশন সেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। ভোটকেন্দ্র বা ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন সেই প্রস্তুতিরই অংশ।

সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে সবার সহযোগিতা দরকার।

শনিবার (২২ মার্চ) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

ইসি মাছউদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত সময়েই চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার কমিশন তা করছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ মির্জাপুরে পৌঁছালে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহাবুব হাসান, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম আরিফুল ইসলাম, মির্জাপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম রেজওয়ান মাহাবুব সিদ্দিকী, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহিনুর ইসলাম প্রামানিক, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ূর রহমান, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহানাজ আক্তার, মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন, বানাইল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন সিদ্দিকী প্রমুখ তাকে স্বাগত জানান।

নির্বাচন কমিশনার বানাইল ইউপি কার্যালয়ে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরে সেখানে তিনি ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রমে নিয়োজিতদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

মন্তব্য

রোহিঙ্গা নৌকাডুবি : গুজব ও অপপ্রচারের ব্যাখ্যা দিল বিজিবি

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
রোহিঙ্গা নৌকাডুবি : গুজব ও অপপ্রচারের ব্যাখ্যা দিল বিজিবি
সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। বিজিবির ভাষ্যমতে, শনিবার (২২ মার্চ) ভোরে নৌকাডুবির সময় পার্শ্ববর্তী স্থানে অবস্থান করা বিজিবির সদস্যরা স্থানীয় একটি নৌকা নিয়ে উদ্ধার অভিযানে গেলে বিজিবির এক সদস্যও নিখোঁজ হন। রোহিঙ্গা নৌকা ডুবির ঘটনায় ২৫ জন রোহিঙ্গা জীবিত উদ্ধার এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত চারজনের মৃতদেহ ভেসে আসে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রোহিঙ্গাদের সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।

এদিকে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকাডুবির ঘটনায় এক বিজিবি সদস্য নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপপ্রচার ও গুজব ছড়িয়েছে একটি চক্র। বলা হচ্ছে ৩৩ জন বিজিবি সদস্য নাফ নদীতে মিশনে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজিবির দৃষ্টি আকর্ষণ হলে বিজিবির পক্ষ থেকে প্রেরিত এক বার্তায় এ ধরনের গুজব ও অপপ্রচারের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

বিজিবি প্রচারিত বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত তথ্যটি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

প্রকৃত ঘটনা হলো- ২২ মার্চ শনিবার ভোর রাতে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম পাড়া ঘাটের নিকট দিয়ে রোহিঙ্গা বোঝাই একটি নৌকা অবৈধ উপায়ে সাগরপথে বাংলাদেশে আসার সময় প্রবল স্রোতের কারণে নৌকাটি উল্টে যায়। খবর পেয়ে সৈকতের পার্শ্ববর্তী স্থানে কর্তব্যরত বিজিবি সদস্যরা তৎক্ষণাৎ স্থানীয় জেলেদেরকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের উদ্ধারের জন্য ছুটে যায় এবং ২৪ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকার্য চলাকালে সমুদ্র উত্তাল থাকায় এবং অন্ধকার রাতের কারণে একজন বিজিবি সদস্য সম্ভবত পা পিছলে পড়ে সমুদ্রে নিখোঁজ হয়।’

বিজিবি আরো জানায়, ‘পরবর্তীতে ডুবে যাওয়া নৌকাসহ ২৪ জন রোহিঙ্গাকে জীবিত উদ্ধার করেছে বিজিবি।

সম্পূর্ণ দুর্ঘটনাটি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক এবং বর্তমানে নিখোঁজ একজন বিজিবি সদস্যসহ অন্যান্য রোহিঙ্গাদেরকে উদ্ধার/সার্চ কার্যক্রম সর্বান্তকরণে অব্যাহত রয়েছে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ