<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দেশে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় বন্যার কারণে পণ্য পরিবহনব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে প্রধান বন্দর থেকে আমদানি পণ্য সরবরাহ প্রায় বন্ধ থাকায় বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে অর্থনীতিতে। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব পণ্য সরবরাহ বাড়াতে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ব্যবসায়ীরা বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ও বন্যায় সড়ক ডুবে থাকায় পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। তিন দিন ধরেই সড়ক ও রেল উভয় পথেই একই অবস্থা। এর ফলে বাজারে শুকনা খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য বাড়তি চাহিদার পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায়। এসব পণ্য সরবরাহ দ্রুত স্বাভাবিক করতে না পারলে সব জায়গা ঘাটতিতে পড়তে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত কয়েক দিন টানা বৃষ্টি ও বন্যার কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য খালাসের হার ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় কম। তবে গতকাল শনিবার অনেকটা সাভাবিক থাকায় কনটেইনার খালাসে জটিলতা তেমন হয়নি। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃষ্টির কারণে বহির্নোঙরে পণ্য খালাস কম হয়েছিল। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ডুবে যাওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরাও পণ্য খালাস কম করেছেন। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় দ্রুত খালাসের উদ্যোগ নেওয়া হলেও সড়ক আটক থাকায় খালাস কম হচ্ছে। এফবিসিসিআইয়ের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, কাঁচামাল খালাস করে বাজারে ও কারখানায় নেওয়াই এখন চ্যালেঞ্জ। খালাস না করা গেলে পণ্যের জন্য বন্দরে বাড়তি অর্থ গুনতে হবে। আবার খালাস হলেও পণ্য পরিবহন করা না গেলে বাজারে সংকট দেখা দেবে, যা জনজীবনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। তা ছাড়া বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও সড়কে পানির স্রোত প্রবাহিত হওয়ার কারণে খানাখন্দে এই যানজট দ্রুত স্বাভাবিক হওয়া নিয়েও শঙ্কা আছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বন্দর থেকে পণ্য খালাসে সমস্যা না হলেও চট্টগ্রাম থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহনব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী, কুমিল্লা, সিলেট ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকায় বন্যার কারণে সড়কে খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ফলে পণ্য নিয়ে সড়কে আটকা পড়ে আছে পণ্যবাহী যানবাহন। এদিকে চট্টগ্রাম থেকে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে রেলপথেও পণ্য পরিবহন বন্ধ হয়েছে। এখন এক নৌপথ সচল রয়েছে। সড়ক ও রেলপথ বন্ধ থাকায় পানগাঁও টার্মিনাল দিয়ে পণ্য সরবরাহের চেষ্টা করেছেন ব্যবসায়ীরা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হওয়া কনটেইনারের ৩ শতাংশ রেলপথে, ১ শতাংশের কম নৌপথে এবং বাকি ৯৬ শতাংশ সড়কপথে আনা-নেওয়া করা হয়। চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে বেশির ভাগ পণ্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে বিভিন্ন স্থানে যাওয়া-আসা করে। মহাসড়কে বন্যার পানি উঠে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পণ্য আনা-নেওয়া থেমে যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃষ্টির কারণে বহির্নোঙরে পণ্য কম ছিল। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান ডুবে যাওয়ার কারণে বন্দর থেকে ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস করেননি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ডুবে যাওয়ায় মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সড়কেই আটকা পড়েছে পণ্যবাহী ট্রাকগুলো। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্য পরিবহন করে এসব ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে ফিরতি পথেও যাওয়া পণ্য পরিবহন আটকা পড়ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চৌদ্দগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমিতির দুটি গাড়ি উল্টে গেছে। আটকে ছিল প্রায় এক হাজারের মতো গাড়ি। ফলে পণ্য পরিবহনে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি লাগছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার জানান, বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত খুবই সীমিত পণ্য পরিবহন হয়েছে। মহাসড়কে যান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমদানি-রপ্তানি পণ্যের সরবরাহব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার পথে।</span></span></span></span></p>