<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ (ফেড) সুদহার কমাবে এমন আভাস থেকেই বিশ্ববাজারে দুর্বল হতে থাকে ডলার, বিপরীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে সোনার দাম। অবশেষে গত বুধবার বহুল প্রত্যাশিত সুদহার হ্রাসের ঘোষণাটি কার্যকর করে ফেড। এক লাফেই নীতি সুদহার কমানো হয় ০.৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট। এতে ডলারের দাম আরো কমে, বিপরীতে সোনার দাম প্রতি আউন্স দুই হাজার ৬০০ ডলার ছাড়িয়ে যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, পশ্চিমা বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকায় সোনার দাম আবারও রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। গত শুক্রবার মূল্যবান এ ধাতুর দাম বেড়ে হয়েছে প্রতি আউন্স ২৬২১.৫৯ ডলার। এক দিনে মূল্যবান এ ধাতুর দাম বেড়েছে ১.৩৩ শতাংশ, এক সপ্তাহে বেড়েছে ১.৬৭ শতাংশ, আর এক মাসে বেড়েছে ৪.৩৩ শতাংশ। এ বছর সোনার দাম বেড়েছে ২৪ শতাংশ, যা ২০২০ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক বৃদ্ধি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্লেষকরা বলছেন, এই মুহূর্তে দুটি কারণে সোনার বাজারে উল্লম্ফন দেখা যাচ্ছে। ফেডারেল রিজার্ভের পর অন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সুদহার কমানোর সম্ভাবনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচন। এতে ডলার যেমন দুর্বল হচ্ছে, এর বিপরীতে বাড়ছে সোনার দাম। এর পাশাপাশি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে চাহিদা বৃদ্ধি, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী ক্রয়ের কারণেও এ বাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়ছে। ফলে খুব দ্রুতই সোনার দাম প্রতি আউন্স তিন হাজার ডলার ছাড়াবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিটি রিসার্চের উত্তর আমেরিকার পণ্যবিষয়ক প্রধান আকাশ দোসি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২৫ সালের মাঝামাঝিতে এই হলুদ ধাতুর দাম প্রতি আউন্স তিন হাজার ডলারের মাইলফলক অর্জন করতে পারে। সুদহার কমানো, ইটিএফ থেকে শক্তিশালী চাহিদা ও ফিজিক্যাল চাহিদা বৃদ্ধির কারণেই সোনার দাম বাড়ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে নীতি সুদহার কমছে এ খবরে গত বুধবারই বিশ্বের প্রধান মুদ্রাগুলোর বিপরীতে মার্কিন ডলারের দর এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। ফিন্যানশিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রধান ছয়টি মুদ্রার সাপেক্ষে যে ইউএস ডলার ইনডেক্স প্রণয়ন করা হয়, সেই সূচকের মান গত আগস্ট মাসের প্রথম দিকের তুলনায় ৩ শতাংশ কমেছে। পরিণামে এই মুদ্রার মান এখন এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মুদ্রাগুলোর বিপরীতে ডলারের সূচক কমে হয় ১০০.৮৯। এদিন ডলারের দর পড়েছে ০.১১ শতাংশ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববাজারে মার্কিন ডলারের দর মূলত দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। প্রথমত, ফেডারেল রিজার্ভের নীতি সুদহার এবং দ্বিতীয়ত, মার্কিন অর্থনীতির স্বাস্থ্য। একই সময় বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার বিনিময় মূল্যবৃদ্ধির কারণেও ডলারের বিনিময় হার কমেছে বলে ফিন্যানশিয়াল টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে। গত বছরের জুলাই মাসের পর জাপানি মুদ্রা ইয়েনের দর এখন সর্বোচ্চ। জাপানি মুদ্রা ইয়েনের মূল্যবৃদ্ধির কারণ হলো, দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিপরীতমুখী অবস্থান। ফেডারেল রিজার্ভ যেখানে নীতিসুদ কমাতে যাচ্ছে, সেখানে ব্যাংক অব জাপান এরই মধ্যে নীতিসুদ বাড়াতে শুরু করেছে। সূত্র : রয়টার্স, ট্রেডিং ইকোনমিকস, ফিন্যানশিয়াল টাইমস</span></span></span></span></p>