<p style="text-align:justify">বিধবা মাজেদা বেগম (৬০) নিজের এক আত্মীয়ের কাছ থেকে ৭০ শতক (সাত কাঠা) জমি ক্রয়বাবদ কয়েক দফায় ৩৭ লাখ টাকা পরিশোধ করেছেন। কিন্তু জমি না দিয়ে এখন টাকার কথা বেমালুম অস্বীকার করছেন জমিবিক্রেতা স্থানীয় যুবলীগ নেতা মিলন মিয়া। </p> <p style="text-align:justify">এ ঘটনায় শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিধবার নিজ এলাকা ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বনগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে সংবাদ সম্মেলন করে যুবলীগ নেতার বিচার দাবি করেছেন তিনি। এ সময় পাশের হালিউরা গ্রামের শতাধিক ভুক্তভোগী বাসিন্দা ওই অভিযুক্ত নেতা মিলন মিয়া ও তার ভাই মুসলেমের বিচার দাবি করে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছেন।</p> <p style="text-align:justify">ওই যুবলীগ নেতা মিলন মিয়া (৪৮) ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ছাড়াও চিহ্নিত সুদের কারবারি। এ ছাড়া তার ভাই মুসলেম ফকিরের বিরুদ্ধেও জমি দখল, ভূমি দস্যুতাসহ সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।</p> <p style="text-align:justify">সংবাদ সম্মেলনে হালিউরা গ্রামের মৃত হাজিজ উদ্দিনের স্ত্রী মাজেদা আক্তার (৬০) জানান, তিনি ৭০ শতক জমি কেনার জন্য মিলন ও তাঁর ভাই মুসলেম ফকিরকে ৩৭ লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তারা তাকে জমি রেজিস্ট্রি করে দিচ্ছেন না। </p> <p style="text-align:justify">মাজেদা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘টাকাও গেল, জমিও পাচ্ছি না।’ এ অবস্থায় এখন তার পরিবারের সবাই পথে বসেছে। টাকা চাইতে গেলে মিলন প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।</p> <p style="text-align:justify">বনগ্রামের মো. মোশাররফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তিনি প্রবাস থেকে ফিরে নিজ গ্রামে বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেন। কিন্তু মিলন মিয়া তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় বাড়ি তৈরির উপকরণ ছিনিয়ে নেন। পরে তিনি গ্রামের মানুষের কাছে বিচার চাইলেও যুবলীগ নেতার ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। তিনি এখন গ্রাম ছাড়া।</p> <p style="text-align:justify">স্ত্রীকে নিয়ে অন্যত্র বসবাস করছেন। সরকার পরিবর্তন হলেও চাঁদাবাজির বিচার হচ্ছে না। মিলন মিয়া এখন বিএনপির সঙ্গে মিশে ভূমি দস্যুতা চালিয়ে যাচ্ছেন।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে মিলন মিয়া বলেন, ‘আমি খারুয়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য। আমি সুদের ব্যবসা করি এটা ঠিক। টাকা দিতে না পারলে অনেকেই জমি লিখে দেয়। অনেকে টাকা পরিশোধ করতে না পেরে অনেকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।’ </p> <p style="text-align:justify">মিলনের ভাই মুসলেম ফকির বলেন, ‘মাজেদার কাছ থেকে তিনি কোনো টাকা নেননি। মাজেদাকে নিজের ফুপাতো বোন দাবি করে তিনি বলেন, ‘৩৭ লাখ টাকার ওজন সম্পর্কে তাঁর (মাজেদা) কোনো ধারণা আছে?’</p>