ঈদ উদযাপনে সুন্দোরার বিশেষ ক্যাম্পেইন

বাণিজ্য ডেস্ক
বাণিজ্য ডেস্ক
শেয়ার
ঈদ উদযাপনে সুন্দোরার বিশেষ ক্যাম্পেইন

ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রিমিয়াম মাল্টি-ক্যাটাগরি রিটেইলার সুন্দোরা তাদের বিশেষ ঈদ ক্যাম্পেইন চালু করেছে। এই ক্যাম্পেইনের মূল লক্ষ্য হলো উৎসবের আনন্দ, উপহার প্রদান এবং পারিবারিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করা। এই আয়োজনে গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার থাকছে।

সুন্দোরা বিউটিতে বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের প্রিমিয়াম স্কিনকেয়ার, মেকআপ এবং পারফিউমের বিস্তৃত কালেকশন নিয়ে এসেছে।

অন্যদিকে সুন্দোরা টয়েজে সব বয়সী গ্রাহকের জন্য সৃজনশীলতা ও আনন্দ উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন খেলনা এবং স্টেশনারি সামগ্রী পাওয়া যাবে। ঈদ উদযাপন আরো আনন্দময় করতে সুন্দোরা বিগ ঈদ সেল-এর আয়োজন করেছে, যেখানে বিউটি প্রডাক্টের ওপর ৬০ শতাংশ এবং খেলনার ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এই বিশেষ ছাড় ৭ মার্চ থেকে শুরু হয়ে রমজান মাসজুড়ে সুন্দোরার অনলাইন প্ল্যাটফরমে এবং সব স্টোরে পাওয়া যাবে। সুন্দোরার বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার থমাস ক্যাসিন বলেন, এই ঈদের আনন্দে ও হৃদ্যতায় আমরা বিশেষ মাত্রা আনতে চাই।
গ্রাহক সন্তুষ্টি, নতুনত্ব এবং গুণগত মান বজায় রাখার মাধ্যমে সুন্দোরা পরিবার ও ব্যক্তিগত ক্রেতাদের জন্য একটি বিশ্বস্ত রিটেইলার হিসেবে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ব্র্যাক ব্যাংক ২০২৭ সালের মধ্যে ২৫% নারী কর্মী নেবে

    আগামী প্রজন্মের নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চালু করেছে ‘ইলিয়া’ নারীদের সাফল্য উদ‌যাপনে ‘উইমেন ওয়ারিয়র্স’ উদ্যোগ ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনজন নারী ব্যাংকিং খাতে প্রথম নারী চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) রয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকে
বাণিজ্য ডেস্ক
বাণিজ্য ডেস্ক
শেয়ার
ব্র্যাক ব্যাংক ২০২৭ সালের মধ্যে ২৫% নারী কর্মী নেবে
ব্র্যাক ব্যাংকই সর্বপ্রথম শুধু নারীদের দ্বারা পরিচালিত ব্রাঞ্চ চালু করেছে

নারীর অপার সম্ভাবনা বিকাশের দুর্বার এক মঞ্চ ব্র্যাক ব্যাংক। এটি কেবল একটি ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানই নয়, বরং এটি এমন একটি ক্ষেত্র, যেখানে নেতৃত্ব, উদ্ভাবন এবং সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে নারীদের অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়ন করা হয়। বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংকের মোট কর্মীর মধ্যে ১৫ শতাংশ নারী এবং ২০২৭ সালের মধ্যে এই হার ২৫ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ব্যাংকটি।

জেন্ডার-ইনক্লুশন, নেতৃত্বের বিকাশ ও সহকর্মীদের সুযোগ-সুবিধাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে নারীদের জন্য অন্যতম প্রধান নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে।

সামনের দিনগুলোতেও এমন সব উদ্যোগ নিচ্ছে ব্যাংকটি। ভবিষ্যতের ব্যাংকিংকে নতুন রূপ দিতে এবং এই খাতে থাকা প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করে দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে নারীদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক।

নারীদের ক্যারিয়ার অগ্রগতিতে সহায়তার লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। নেতৃত্বের বিকাশ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং কর্মক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে ব্যাংকটি নারীদের এমনভাবে গড়ে তুলছে, যাতে নারীরা ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতে নিজেদের উচ্চপদে আসীন করার পাশাপাশি আর্থিক খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারেন।

জেন্ডার-ইক্লুশনের বেঞ্চমার্ক হিসেবে দেশে ব্র্যাক ব্যাংকই সর্বপ্রথম কেবল নারীদের দ্বারা পরিচালিত ব্রাঞ্চ চালু করেছে। এখানে নারী ব্যাংককর্মীরা গ্রাহকসেবা থেকে শুরু করে নিরাপত্তার দায়িত্ব পর্যন্ত প্রতিটি স্তরের কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ ছাড়া ব্যাংকটি শুধু নারীদের নিয়ে একটি সেলস টিম গঠন করেছে, যারা নারী এসএমই উদ্যোক্তাদের ব্যাংকিং সেবা দিয়ে থাকে। এই টিমে বর্তমানে ২৬ জন নারী রয়েছেন এবং ব্যাংকটির লক্ষ্য হলো এই সংখ্যাটি পাঁচ শতে নিয়ে যাওয়া।
এমন উদ্যোগ  প্রচলিত ধারা ভেঙে দিয়ে সেলস ফোর্সে নারীদের সামনের কাতারে নিয়ে এসেছে।

প্রতিষ্ঠানের নারী সহকর্মীদের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক ২০১৬ সালে চালু করে তারা ফোরাম, যা বর্তমানে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতে নারী ব্যাংকারদের সবচেয়ে বড় নেটওয়ার্ক। তারা ফোরাম নারীদের বিভিন্ন পরামর্শ, ক্যারিয়ার নির্দেশনা এবং কর্মক্ষেত্রে মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার দিকনির্দেশনা দিয়ে সহায়তার পাশাপাশি পেশাদার জীবনে এগিয়ে যেতেও সহায়তা করে থাকে।

আগামী প্রজন্মের নেতৃত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক চালু করেছে ইলিয়া। এটি একটি কাঠামোগত নেতৃত্ব সৃষ্টিকারী কর্মসূচি, যা আগামীর ব্যাংকিং খাতে আরো বেশি নারীদের উচ্চপদে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে বলে ব্যাংকটি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।

সিনিয়র ম্যানেজমেন্টে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা, ব্যাংকিং খাত সম্পর্কিত জ্ঞান এবং কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি অর্জনে নারীদের সহায়তা করার লক্ষ্য নিয়েই এটি চালু করা হয়েছে।

নারীদের সাফল্য উদযাপনের লক্ষ্য নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক উইমেন ওয়ারিয়র্স উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগের আওতায় তিন মাস পর পর অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ফ্রন্টলাইন নারী সহকর্মীদের সম্মাননা দেওয়া হয়। একটি ভারসাম্যপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্র্যাক ব্যাংক বিভিন্ন ওয়েলনেস প্রগ্রাম পরিচালনা করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণের সুবিধাসহ ইয়োগা সেশন, নারী সহকর্মীদের জন্য পৃথক সময়সূচিসহ একটি সুসজ্জিত জিম এবং আলাদা নামাজঘর। এ ছাড়া ব্যাংকটিতে রয়েছে রিডিং ক্যাফে, মিউজিক ক্লাব, ক্রীড়া টুর্নামেন্ট এবং দৌড়ের মতো মিনিম্যারাথন।

ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনজন নারী। এ ছাড়া বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে প্রথম নারী চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) রয়েছেন ব্র্যাক ব্যাংকে, যা নিয়ে ব্যাংকটি গর্বিত।

মন্তব্য
শুল্কযুদ্ধের মূল্য দিতে হবে সব দেশকে

মহামন্দার ঝুঁকিতে বিশ্ব অর্থনীতি!

মুহাম্মদ শরীফ হোসেন
মুহাম্মদ শরীফ হোসেন
শেয়ার
মহামন্দার ঝুঁকিতে বিশ্ব অর্থনীতি!

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশেষে মেক্সিকো ও কানাডার সব পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে দিলেন। জবাবে কানাডাও পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছে। ট্রাম্পের শুল্কের কবলে পড়েছে চীন-ভারতও। তীর তাক করা আছে ইউরোপের দিকেও।

ফলে বিশ্ব অর্থনীতি যে আরেকটি বাণিজ্যযুদ্ধে প্রবেশ করেছে তাতে সন্দেহ নেই।

ট্রাম্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে এই বহুমুখী শুল্কযুদ্ধের সূচনা বিশ্বকে আরেকটি মহামন্দার দিকে নিয়ে যাবে বলে সতর্ক করছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)। প্রতিষ্ঠানটির উপসাধারণ সম্পাদক অ্যান্ড্রু উইলসন সতর্ক করে বলেন, আমাদের গভীর উদ্বেগ হচ্ছে এই শুল্কযুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্র যদি ফিরে না আসে, তাহলে বিশ্ব অর্থনীতিকে ১৯৩০ সালের মতো আরেকটি মহামন্দার মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, এই যুদ্ধের ফলে শুধু বিশ্ব অর্থনীতিই মন্দায় পড়বে না, মার্কিন অর্থনীতিকেও চড়া মূল্য দিতে হবে।

ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের এই শুল্কযুদ্ধে বিশ্বের প্রতিটি দেশের জন্যই শুধু হুমকি নয়, স্বয়ং আমেরিকাও বিপদে পড়বে। যার নিদর্শন এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে। ওয়ালস্ট্রিটের শেয়ারমূল্য কমে যাচ্ছে। ট্রাম্প গত নভেম্বরে বিজয়ী হওয়ার পর থেকে শুল্ক আতঙ্কে বাজার মূলধন এরই মধ্যে ৩.৪ ট্রিলিয়ন ডলার হারিয়ে গেছে।

ফলে শুল্কযুদ্ধের বিপদ সব দেশকেই ভোগাবে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে বিশ্বজুড়ে যে বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তার বীজ বপন হয়ে গিয়েছিল ৪ ফেব্রুয়ারি চীনের ওপর বর্ধিত হারে শুল্ক আরোপের মধ্য দিয়ে। মেক্সিকো ও কানাডার ওপর শুল্ক আরোপের মধ্য দিয়ে সেই চক্র যেন পূর্ণ হলো।

ইটের বদলে পাটকেল ছুড়তে তাঁরা যে পিছপা হবেন না, তা বুঝিয়ে দিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়ে দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে তাঁদের দেশে আসা ৩০ বিলিয়ন কানাডীয় ডলারের পণ্যে ২৫ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপ হচ্ছে সেদিন থেকেই। বাকি যে ১২৫ বিলিয়ন বা ১২ হাজার ৫০০ কোটি কানাডীয় ডলারের পণ্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে কানাডা আমদানি করে, তার ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে ২৫
মার্চ থেকে।

চুপ করে বসে নেই মেক্সিকোও। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়ে, তাদের রপ্তানির ৮০ শতাংশই যায় যুক্তরাষ্ট্রে। শিগগিরই ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তের পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শিনবাম সংবাদ সম্মেলন করে জানান, সেদিন থেকেই মার্কিন পণ্যের ওপর সমহারে পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। তবে ট্রাম্পের প্রথম ধাক্কায়ই মেক্সিকোর মুদ্রা পেসোর মান এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, কানাডা ও মেক্সিকোর তুলনায় বিশ্ব অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়বে চীনের পাল্টা ব্যবস্থায়। চীনের পণ্যেও ট্রাম্প আরোপিত শুল্ক দ্বিগুণ হয়ে ২০ শতাংশ হয়েছে। দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গত সপ্তাহে বলেছেন, ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পাল্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা মুরগির মাংস, গরুর মাংস, ভুট্টা, সামুদ্রিক খাবারসহ একাধিক পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক কার্যকর করা হবে অবিলম্বে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নকেও ছেড়ে কথা বলছেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েক দিন আগেই ২৭ দেশের ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জোটকে ট্রাম্প এই বলে একহাত নিয়েছেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠিতই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে ফেলার জন্য। তাদের ওপরও ২৫ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে। সরকারি ঘোষণা হবে শিগগিরই, যার পাল্টা হিসেবে কড়া ভাষায় ট্রাম্পকে সতর্কবাণী শুনিয়েছে ইইউ। বলেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ধরনের অন্যায্য কোনো পদক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্রাম্পের ঘোষণা অনুসারে, এই বাণিজ্যযুদ্ধ রোধের কফিনে সম্ভবত শেষ পেরেক পোঁতা হবে আগামী ২ এপ্রিল। কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, সেদিন থেকে গাড়ি-সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ওষুধসহ সব ক্ষেত্রে পাল্টা শুল্ক আরোপ করা হবে। অর্থাৎ যে দেশ মার্কিন পণ্যে যতটা শুল্ক আরোপ করে, সেই দেশের পণ্যে ততটাই শুল্ক আরোপ করা হবে।

সে হিসাবে ২ এপ্রিল থেকে ট্রাম্পের পারস্পরিক শুল্ক নীতি কার্যকর হচ্ছে ভারতের ওপরও। এ বিষয়ে দেশটির অর্থনীতিবিদ অজিতাভ রায় চৌধুরী বলেন, ট্রাম্প যদি ভারতের ওপর শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্তে অটল থাকেন, তাহলে এর বিরূপ প্রভাব দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে পড়বে। বর্ধিত শুল্ক দীর্ঘদিন চললে রপ্তানিভিত্তিক সংস্থার শেয়ারের দাম পড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুল্কযুদ্ধ শুরু হলো। এরই মধ্যে বিশ্বের আর্থিক বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আবার মূল্যস্ফীতির হার বাড়তে পারে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের যেমন ক্ষতি হবে, তেমনি দুর্বল হবে বিশ্ব অর্থনীতির ভিত। কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশ আবারও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কবলে পড়তে পারে। বন্ধ হতে পারে নীতি সুদ কমানোর পথ। ধাক্কা খেতে পারে আর্থিক প্রবৃদ্ধি।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এ ধরনের নীতির ফলে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে, যা দীর্ঘ মেয়াদে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাঁর এই নীতি বাস্তবায়িত হলে বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হবে এবং বিনিয়োগ কমে যাবে, যা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত বাংলাদেশ। শুল্কযুদ্ধের প্রভাব নিয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জানান, বিশ্বব্যাপী একজন আরেকজনের প্রতিপক্ষ হিসেবে পণ্যের শুল্ক বৃদ্ধি করলে সংশ্লিষ্ট দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে অস্থিরতা দেখা দেবে। পণ্যের মূল্য বেড়ে যাবে। এতে জনগণ ও ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাবে। শ্লথ হয়ে পড়বে অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি। এর প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতেও মন্থর গতি চলে আসবে, যা বাংলাদেশের মতো দেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, মূল্যস্ফীতি হলে সংশ্লিষ্ট দেশের ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা কমবে। তাদের আমদানি করা পণ্য ব্যবহারের সুযোগ কমে যাবে। এতে আমাদের মতো রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল দেশ তাদের কাছে পণ্য ও সেবা বিক্রি করতে পারবে না। আবার তাদের কাছ থেকে বেশি মূল্যে পণ্য আমদানি করতে গিয়ে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতি ঘটবে দেশের ভেতর।

এই গবেষক মনে করেন, স্বল্প মেয়াদে হয়তো বাংলাদেশের কিছু সুবিধা আসতে পারে। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছে, তা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের কৌশল নির্ধারণের দিকে নজর দেওয়া দরকার। নিজেদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ করে পণ্য বিক্রি যেন অব্যাহত থাকে, রপ্তানি বাধাগ্রস্ত না হয়, এসব বিষয়ে অভ্যন্তরীণ প্রস্তুতি রাখা দরকার।

সূত্র : বিবিসি ও সিএনএন

মন্তব্য
নারীদের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ধনী অ্যালিস ওয়ালটন

সফলতা চাইলে ঝুঁকি নিতে হবে

বাণিজ্য ডেস্ক
বাণিজ্য ডেস্ক
শেয়ার
সফলতা চাইলে ঝুঁকি নিতে হবে
ফোর্বসের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় অ্যালিস ওয়ালটনের অবস্থান ১৫তম

সাফল্যের নানা ক্ষেত্র থাকে। শিক্ষাগত, পেশাগত ও ব্যাবসায়িক ক্ষেত্রে কে কতখানি সফল, মোটা দাগে তা পরিমাপ করা হয় সম্পদের পরিমাণ দিয়ে। সেই অর্থে বিশ্বের সবচেয়ে সফল নারী অ্যালিস ওয়ালটন। ফোর্বসের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তাঁর অবস্থান ১৫তম।

নারীদের মধ্যে তিনিই শীর্ষ ধনী। অ্যালিস ওয়ালটনের সম্পদের পরিমাণ ১০১ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ১২০ কোটি ডলার। তাঁর বাবা স্যাম ওয়ালটন ছিলেন ওয়ালমার্টের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৬২ সালে তিনি ওয়ালমার্ট প্রতিষ্ঠা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডিপার্টমেন্টাল স্টোর চেইন ওয়ালমার্ট বিশ্বের সবচেয়ে বড় খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ওয়ালমার্টের বাজার মূলধন ৭৩ হাজার ২৯৩ কোটি ডলার। ১৯৯২ সালে স্যাম ওয়ালটনের মৃত্যুর পর পারিবারিক এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হন পরিবারের ছোট মেয়ে অ্যালিস।

চাকরি দিয়ে ক্যারিয়ারের শুরু : আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের বেন্টনভিলে ১৯৪৯ সালে অ্যালিসের জন্ম হয়।

চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। তবে অ্যালিস ক্যারিয়ার শুরুর জন্য চাকরিই বেছে নেন। টেক্সাসের ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি অর্থনীতি ও ফিন্যান্সে ডিগ্রি নেওয়া অ্যালিস ফার্স্ট কমার্স করপোরেশনে কাজ শুরু করেন। সেখানে তিনি শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ ও  বিনিয়োগ পরিচালনা করতেন। ১৯৮৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক লামা।
পরে তিনি সিইও, চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এক দশক পর ব্যাংকটি বন্ধ হয়ে যায়। আর্থিক খাতে সাফল্য লাভের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার এই অভিজ্ঞতা পরবর্তী সময়ে তাঁকে সহায়তা করে। ওয়ালমার্টের ব্যবসা পরিচালনায় সরাসরি তিনি জড়িত থাকেন না। তাঁর ভাইয়েরা ওয়ালমার্টের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তবে ওয়ালমার্টের বিনিয়োগবিষয়ক সিদ্ধান্তে ভূমিকা রাখেন অ্যালিস।

উদ্যোক্তাদের জন্য পরামর্শ : নতুন উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ব্যবসার পরিবেশ প্রতিনিয়ত বদলায়। দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকতে হলে এই বদলের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো জরুরি। ব্যবসা করতে হলে শুধু ঝুঁকি নিলেই হবে না, হিসাব-নিকাশ করে ঝুঁকি নেওয়া শিখতে হবে। ব্যর্থতাই শেষ কথা নয়। ব্যর্থতা থেকে জানার পরিধি বাড়ে। সম্পদও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিচালনা করতে শেখায়। ব্যাবসায়িক সাফল্য পেতে হলে গ্রাহকদের সঙ্গে আন্তরিক ব্যবহার করা জরুরি বলেও মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, মুখে হাসি না থাকলে ক্রেতাও থাকবে না। তার প্রয়োজন আগে বুঝতে হবে। এরপর পণ্য দিতে হবে। প্রত্যাশা পূরণ করতে পারলে ক্রেতা বারবার ফিরে আসবে। ব্যবসার নেতৃত্বদানকারীকে অবশ্যই অধীন কর্মীদের আগলে রাখতে হবে। এই কাজটি করতে পারলে ব্যবসা চালানো
সহজ হবে।

নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সাহায্যের হাত : ব্যবসায় মনোনিবেশ না করে সমাজের কল্যাণে শিল্প-সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলেন তিনি। ২০১১ সালে বেন্টনভিলের বাসিন্দাদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন দ্য ক্রিস্টাল ব্রিজেস মিউজিয়াম অব আমেরিকান আর্ট। বর্তমানে মিউজিয়ামটি শিল্প-সংস্কৃতির কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। সেখানে নারী শিল্পীদের তৈরি করা চিত্রকর্ম গুরুত্ব দিয়ে প্রদর্শন করা হয়। ২০১৭ সালে অলাভজনক সংস্থা আর্ট ব্রিজেস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এই ফাউন্ডেশন থেকে পুরো যুক্তরাষ্ট্রের ২৩০টি মিউজিয়ামে শিল্পকর্ম ধার হিসেবে দেওয়া হয়। ফলে মিউজিয়ামের বাজেট কম থাকলেও বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম তারা প্রদর্শনীর জন্য রাখতে পারে। এ খাতে এখন পর্যন্ত ৩৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার ব্যয় করেছে অ্যালিসের ফাউন্ডেশন। ২০২২ সালে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে তিনি অ্যালিস এল ওয়ালটন স্কুল অব মেডিসিন নামের একটি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করেন। এ ছাড়া ওয়ালটন ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন থেকে নারী শিক্ষার্থীদের স্টেম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথমেটিকস) বিষয়ে পড়াশোনার খরচ দেওয়া হয়।

 

 

মন্তব্য
প্রাণ-আরএফএলের টেলি মার্কেটিংয়ে নারীদের সাফল্য

দেশে বসেই বিশ্ববাজারে পণ্য বিপণন

    বিশ্ববাজারে পণ্য বিপণনে নিয়জিত ৭৫০ নারী কর্মী ২০২৭ সালে ৫ হাজার নারী কর্মী নিয়োগের লক্ষ্য কম্পানির টেলি মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ১৬ দেশে বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ টেলি মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে এক বছরে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ এনেছে বিশ্ববাজার থেকে
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
দেশে বসেই বিশ্ববাজারে পণ্য বিপণন
প্রাণ-আরএফএলের টেলি মার্কেটিংয়ে কাজ করছেন নারীরা

নারীর কর্মসংস্থান ও বিশ্ববাজারে পণ্যের উপস্থিতি বাড়াতে ব্যবসায় টেলি মার্কেটিং নামে নতুন একটি শাখা চালু করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ প্রাণ-আরএফএল। এ খাতে সুযোগ পাওয়া নারীরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাণ-আরএফএলের পণ্য বিপণনে কাজ করছেন।

টেলি মার্কেটিং খাতে নাটোর ও রাজশাহী অঞ্চলে তিনটি সেন্টারে প্রায় ৭৫০ নারী কর্মী কাজ করছেন, যাঁরা প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পণ্য বিশ্ববাজারে ক্রেতার সামনে তুলে ধরছেন। নিয়োগ পাওয়া নারী কর্মীরা ভালো করায় এ খাত নিয়ে আরো বড় স্বপ্ন দেখছে শিল্প গ্রুপটি।

এ জন্য টেলি মার্কেটিং খাতে ২০২৭ সালের মধ্যে পাঁচ হাজার নারী কর্মী নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।

নারীদের সম্পৃক্ত করে টেলিফোনের মাধ্যমে বিশ্ববাজারে বিপণন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২০২৪ সালে টেলি মাকেটিং ধারণা নিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। এরপর সফলতা আসতে শুরু করলে ক্রমেই পরিধি বাড়াতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

টেলি মার্কেটিংয়ের যাত্রা নিয়ে গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল বলেন, সারা দেশে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন কার্যক্রমে লক্ষাধিক কর্মী কাজ করছেন।

কিন্তু আমরা দেখলাম, আন্তর্জাতিক বাজারে সরাসরি বিপণনকর্মী নিয়োগ দিতে না পারায় প্রাণ পণ্যের প্রসার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা চিন্তা করলাম যেসব জায়গায় সশরীরে যাওয়া যাচ্ছে না সেখানে কিভাবে বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়। এ ছাড়া সশরীরে গিয়ে বিপণন কার্যক্রম পরিচালনায় অনেক প্রতিবন্ধকতার পাশাপাশি অনেক ব্যয়বহুল। তখন আমাদের মাথায় এলো টেলিফোন কিংবা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি জায়গায় বসে বিদেশে যোগাযোগ সম্ভব।
এ ক্ষেত্রে নারীদের যদি প্রশিক্ষণ দিয়ে নিজ এলাকায় কাজের সুযোগ দেওয়া যায়, তবে তারা অনেক বেশি মোটিভেশনাল থাকবে। সেই চিন্তা থেকেই মূলত নারী কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করে টেলি মার্কেটিং খাতের চিন্তা আসে।

কামরুজ্জামান কামাল বলেন, শুরুতে আমরা বিভিন্ন দেশের পরিবেশক ও খুচরা বিক্রেতার তথ্যসংবলিত একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করি। এরপর ২০২৪ সালের শুরুতে মাত্র চারজন নারী কর্মী নিয়োগ দিয়ে নাটোরে একটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করলাম। আমরা তাদের ভাষার দক্ষতার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত কিছু বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের স্বল্প পরিসরে বিদেশি কয়েকটি আউটলেটে পণ্যের ক্রয়াদেশ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে নির্দেশ দিলাম।

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সফলতা আসতে শুরু করায় এখন সেই চার নারী কর্মী থেকে প্রায় ৭৫০ নারী কর্মী প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের টেলি মার্কেটিং পরিবারের অংশ। নিজ এলাকায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত টেলি মার্কেটিং সেন্টারে বসেই তাঁরা এখন বিদেশে বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।

টেলি মার্কেটিং খাতের হেড অব অপারেশন মোহাম্মদ তানবীর হোসেন বলেন, সফলতা পাওয়ায় টেলি মার্কেটিং কার্যক্রমের পরিধি দ্রুত বাড়ছে। যেহেতু টেলি মার্কেটিং শুরু করার সময় আমাদের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য ছিল নারীদের নিজ এলাকায় কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। তাই আমরা নাটোরে কাজ শুরু করি যেন এ অঞ্চলের মেয়েরা কাজের সুযোগ পায়। এরপর আমরা রাজশাহী অঞ্চলে নারীদের কাজের সুযোগ দিতে রাজশাহী সদর ও গোদাগাড়ীতে আরো দুটি সেন্টার স্থাপন করেছি। নানা কারণে দেশের যেসব জায়গায় বিপণনকর্মী যেতে পারছে না সেখানে টেলি মার্কেটিং সেন্টারের সহায়তা নিচ্ছি এবং সফলতা পাচ্ছি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নারীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে সিলেট, চট্ট্রগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলে টেলি মার্কেটিং সেন্টার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই এসব জায়গায় কাজ শুরু হলে পাঁচ হাজারের অধিক নারী কর্মী কাজের সুযোগ পাবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের টেলি মার্কেটিং খাতে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেই ভাষাগত দক্ষতা দিয়ে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। অনেকেই আছেন যাঁরা স্নাতক শেষ করেও ঢুকছেন। এখানে আয়ের খুব ভালো সুযোগ রয়েছে। আমরা তাঁদের যোগদানের সময় একটি নির্দিষ্ট বেতন নির্ধারণ করছি। এরপর তাঁদের কাজের পারফরম্যান্স অনুযায়ী বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে একজন কর্মী মাসে সর্বনিম্ন ২০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা পর্যন্তও আয় করতে পারছেন।    

যাত্রা শুরুর পর থেকে ২০২৪ সালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ টেলি মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে এক বছরে প্রায় ৩৫ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ বিশ্ববাজার থেকে আনতে সক্ষম হয়েছে। দেশে বসেই প্রযুক্তি ও ফোনের সহায়তা নিয়ে এসব ক্রয়াদেশ এনেছেন নারী বিপণনকর্মীরা।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ তানবীর হোসেন বলেন, নাটোরের একডালা কিংবা রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বসেই আমাদের নারী কর্মীরা বিদেশি দোকানগুলোতে যোগাযোগ করে পণ্যের অর্ডার নিচ্ছেন। পরে সেখানে প্রাণের পরিবেশকদের মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। বর্তমানে টেলি মার্কেটিংয়ে যে ক্রয়াদেশ আসছে তার প্রায় ৮০ শতাংশই আসছে বাংলাদেশের বাইরে থেকে। এ জন্য আমরা নারী কর্মীদের প্রয়োজন অনুযায়ী ভাষাগত প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ বর্তমানে টেলি মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ১৬টি দেশে বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ইতালি, কুয়েত, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, সৌদি আরব, নেপাল, মালদ্বীপ, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। 

টেলি মার্কেটিংয়ের সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে কামরুজ্জামান কামাল বলেন, বিদেশে একজন বিক্রয় প্রতিনিধির পেছনে ব্যয় অনেক। এ ছাড়া বিক্রয় প্রতিনিধিরা সশরীরে প্রতিদিন যে পরিমাণ দোকানে গিয়ে ক্রয়াদেশ আনতে পারেন একজন টেলি মার্কেটিংযের কর্মী সেখানে তার চেয়ে তিন গুণ দোকান কেন্দ্রে বসেই যোগাযোগের আওতায় আনতে পারেন। এ জায়গা থেকে টেলি মার্কেটিং বেশ সম্ভাবনাময়। বর্তমানে টেলি মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে বিপণন কার্যক্রমের প্রবৃদ্ধি হার ২০ থেকে ২৫ শতাংশ।

 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ