ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

প্রশ্ন ফাঁসে অভিযুক্ত শিক্ষককে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, তদন্ত কমিটি গঠন

কুবি সংবাদদাতা
কুবি সংবাদদাতা
শেয়ার
প্রশ্ন ফাঁসে অভিযুক্ত শিক্ষককে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, তদন্ত কমিটি গঠন
সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলাম।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী এম আনিছুল ইসলামের বিরুদ্ধে উত্তরপত্রসহ প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন তাকে কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে আছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাকির ছায়াদুল্লাহ এবং সদস্যসচিব হিসেবে আছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নুরুল করিম চৌধুরী।

এ ছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন প্রকৌশল অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সাইফুর রহমান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. সোহরাব উদ্দিন এবং বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাহিদা বেগম। 

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, ‘বিকেলেই চিঠিটা পেয়েছি। ঘটনাটি আগে পুরোপুরি জানতে হবে। তারপর আগাব।

আগামী সপ্তাহে একটা মিটিং কল করব। শিগগিরই তদন্ত শেষ করার চেষ্টা করব।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, ‘তদন্ত চলাকালীন তাকে সব ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে ঘটনা সত্যি হলে তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হতে পারে।

মঙ্গলবার রাতে একটি বেনামি মেইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের চলমান তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় প্রতিটি কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দাবি করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগামীকাল (১৩ মার্চ) অনুষ্ঠাতব্য উক্ত ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

অনশন কর্মসূচি স্থগিত করে ‘মার্চ টু শিক্ষা মন্ত্রণালয়’ ঘোষণা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
অনশন কর্মসূচি স্থগিত করে ‘মার্চ টু শিক্ষা মন্ত্রণালয়’ ঘোষণা গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের
ছবি: কালের কণ্ঠ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে গত মঙ্গলবার রাত থেকে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে ‘মার্চ টু শিক্ষা মন্ত্রণালয়’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাতে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখপাত্র আশরেফা খাতুনের পাঠানো এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়।

এর আগে বুধবার রাত ৯টার দিকে অনশনরত গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাকর্মী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ। এসময় তিনি অনশনরতদের তাদের অনশন ভাঙতে অনুরোধ করেন।

তিনি অনশনরত শিক্ষার্থীদের নিজেদের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেন। 

ঢাবি প্রক্টরের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতাকর্মীরা। এর কিছু সময় পরেই জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মার্চ টু শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতি মুহূর্তে কুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ভিসি মাসুদ প্রকাশ্যে পদত্যাগ না করার ঘোষণা দেওয়ার পরেও তার বিরুদ্ধে সরকার কোনো প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

এতে বলা হয়, গত ৫২ ঘণ্টায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রমাণ করেছে শিক্ষার্থীদের জীবন তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয় বরং তাদের গদিই তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, আমরা আমাদের জীবন বিপন্ন না করে তাদের সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত গদিকে চ্যালেঞ্জ করব।

এই পরিস্থিতিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের এক দফা দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি স্থগিত করে এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার দুপুর ২ ঘটিকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর মার্চ করার ঘোষণা করছি বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য
ভিডিও

কুয়েট ভিসির অপসারণ দাবিতে শেকৃবিতে প্রতীকী অনশন

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
কুয়েট ভিসির অপসারণ দাবিতে শেকৃবিতে প্রতীকী অনশন
ছবি : কালের কণ্ঠ

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ও উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) প্রতীকী অনশন করা হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় ক্লাসসহ সব ধরনের পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য

‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে আসো, এলাকায় পড়লেই পারতে’

জবি প্রতিনিধি
জবি প্রতিনিধি
শেয়ার
‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে আসো, এলাকায় পড়লেই পারতে’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিনের কাছে চুরির ঘটনায় অভিযোগ দিতে গিয়ে দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের সভাপতি ইভান তাহসীব এ অভিযোগ করেছেন। 

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে গত তিন মাসে একাধিক সাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে যান ইভান তাহসিভসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। চুরির ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ নিয়ে যাওয়া অভিযোগকারীদের সাথে উত্তেজিত হয়ে তাদের রুম থেকে বের করে দেন তিনি।

আরো পড়ুন
পিরোজপুরে জামায়াতের সদস্য ফরম পূরণ করলেন ৪ হিন্দু ধর্মাবলম্বী

পিরোজপুরে জামায়াতের সদস্য ফরম পূরণ করলেন ৪ হিন্দু ধর্মাবলম্বী

 

শিক্ষার্থীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণে একটি অডিও ক্লিপ হাতে এসেছে প্রতিবেদকের কছে। অডিও ক্লিপে শোনা যায়, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে রেজিস্ট্রার ড. গিয়াস উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে বলেছেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের মালামালের নিরাপত্তা দিতে পারব না, মালামাল শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা কী খাবে, কোথায় থাকবে? এই দায়িত্ব প্রশাসনের না। শিক্ষার্থীদের কিছু হলে এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের না।

’ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায়ভার নিতে পারবে না। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘বের হয়ে যাও, ওকে বের করে দাও। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন পড়তে আসো এলাকায় পড়লেই তো পারতে।’ 

এ বিষয়ে ইভান তাহসীব বলেন, ‘আমার এক ছোট ভাইয়ের সাইকেল চুরি নিয়ে অভিযোগ জানাতে আমরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে যায়।

আমি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেরেজ থেকে সাইকেল চুরির ঘটনা বললে রেজিস্ট্রার উত্তেজিত হয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গ্যারেজ নেই। শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ডের মালামালের নিরাপত্তার দায়িত্ব’ উনি নিতে পারবে না বলে জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মিটিং আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

মন্তব্য

কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রামে অনশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে চট্টগ্রামে অনশন

৩৭ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ বাতিল ও ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে চট্টগ্রামে অনশন পালন করেছেন একদল শিক্ষার্থী। এসময় তাঁরা কুয়েটের ভিসি অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন পালন করে। একই দিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও অনশন পালন করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান, যুগ্ম সদস্য সচিব রিজাউর রহমান, নির্বাহী কমিটির সংগঠক ইমন মোহাম্মদ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েট শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রদল ও বহিরাগতরা দেশি অস্ত্রসস্ত্রসহ হামলা চালায়। হামলায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হলেও ১৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন সাধারণ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বক্তারা প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এ আচরণ বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী আমলের মতো। হাজারো ছাত্র-জনতা এমন ফ্যাসিবাদী আচরণ অব্যাহত রাখার জন্য প্রাণ দেয়নি। বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত বাতিল করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে হবে। পাশপাশি সব কিছুর ব্যর্থতার দায় নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ মাছুদকে পদত্যাগ করতে হবে।


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ