বার্ষিক পরীক্ষা ঘনিয়ে আসতেই টনক নড়ে ধ্রুবর। সারা বছর বলতে গেলে কোনো পড়াশোনাই হয়নি। এখন চোখে সরষে ফুল ঝিলিক দিচ্ছে। এই মুহূর্তে কোনো জাদুমন্ত্র ছাড়া আর রক্ষা নেই।
এই যখন অবস্থা, কপালগুণে পেয়েও যায় পাড়ার ফটকাবাজ বাকী ভাইকে।
পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ধ্রুবর পকেট খসায়। তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওস্তাদ ম্যাজিশিয়ানের কাছ থেকে একটি মন্ত্র নিয়ে হাজির বাকী ভাই। তা এমনই এক মন্ত্র—উচ্চারণ করতে গেলে দাঁত পড়ার জোগাড়।
গুঁড়া দুধের এক খালি কৌটা দিয়ে বলে, এই কৌটা কোথাও রেখে মন্ত্রটি বারবার আওড়ে পরীক্ষা করতে হবে। ঢাকনা খোলা যাবে না। কৌটার ভেতর থেকে শব্দ ভেসে এলে বুঝতে হবে, মন্ত্র কাজে লেগেছে। আর তখন কৌটা খুললে মন্ত্রপূত জাদু সোজা তোর মাথায় ঢুকে যাবে। তারপর যা পড়বি মুখস্থ হয়ে যাবে। তবে মন্ত্র ভুল পড়লে কোনো কাজ
হবে না।
ব্যস, পরামর্শমতো কাজ শুরু। কৌটা সামনে নিয়ে মন্ত্র আওড়াতে থাকে ধ্রুব। তখনই ঘটল আরেক ঘটনা।
কী? জানতে হলে পড়তে হবে শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়ার ‘পরীক্ষার মন্ত্র’ বইটি। কৃপণের ধন, কবরেজি তেল, রাজহাঁসের ডিম, ডাকাত, গুড়খাদকের পুত, অমির কাণ্ড, গোয়েন্দা, সফর চাচার ঝাড়ফুঁক, চোর আসে শেষ রাতেসহ মোট ১০টি মজার গল্প নিয়ে লেখা এই বই।
♦ কামাল হোসাইন