শিবলী রুবাইয়াতকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
শিবলী রুবাইয়াতকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
ছবি: কালের কণ্ঠ

 

 

দুদকের করা মামলায় বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত রিমান্ড ও জামিন উভয় নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, কারাগারে থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার উপস্থিতিতে ১২ টা ১৯ মিনিটে শুনানি শুরু হয়।

এসময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তথ্য-উপাত্ত উদঘাটন করা প্রয়োজন। এজন্য তার ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করছি।
 

তখন ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আসামি শেয়ার খেকো হিসেবে পরিচিত। তিনি হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। অন্যদের পাচারে সহযোগিতা করেছেন। তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

 

অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানিতে তার আইনজীবী বলেন, বৈধভাবে তার কাছে টাকা এসেছে। এখানে মানিলন্ডারিং এর কিছুই নাই। এ মামলায় রিমান্ড আবেদন বাতিল করে জামিন প্রত্যাশা করছি। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।

 

এর আগে, গতকাল বুধবার দুদকের উপপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে শিবলী রুবাইয়াতসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। তবে আদালত এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার শুনানি হবে বলে জানান। একইসঙ্গে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মোনার্ক হোল্ডিং ইনকর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ. মতিন, ঝিন বাংলা ফেব্রিক্সের প্রোপাইটর আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির দিলকুশা শাখার ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের সাবেক ইনচার্জ ইসরাত জাহান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল হোসেন, এসইভিপি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ভুয়া বাড়ী ভাড়া চুক্তিনামা দেখিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আসামি শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এক কোটি ৯২ লাখ টাকা বা প্রায় দুই লাখ ২৬ হাজার ৩০৮ ইউএস ডলার ঘুষ গ্রহণ করেন। এছাড়া ভুয়া বিক্রয় চুক্তি দেখিয়ে পণ্য রপ্তানি না করে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করেন।  

ব্যাংক কর্মকর্তারা কাস্টমার ডিউ ডিলিজেন্স অনুসরণ না করে, পণ্য রপ্তানির বিপরীতে কোনরূপ রেকর্ডপত্র না পেয়েও কর্তব্যে অবহেলা ও পরস্পর যোগসাজশে 'নিজের বা অন্য কারো অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে তিন লাখ ৬১ হাজার ইউএস ডলার টাকা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে তিনি এক কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা নিজে গ্রহণ করেন। 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘শক্তি দই’ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টে বাতিল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ‘শক্তি দই’ সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টে বাতিল
সংগৃহীত ছবি

গ্রামীণ শক্তি দইয়ে ভেজালের অভিযোগে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

মামলা বাতিলে জারি করা রুল মঞ্জুর করে সোমবার (১৭ মার্চ) বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ।

২০১০ সালে বংশালের একটি দোকান থেকে ১০০ গ্রামের একটি দইয়ে ভেজাল পাওয়ার অভিযোগ আনে তৎকালীন অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন। পরে ২০১১ সালের ১০ জানুয়ারি দোকানের মালিক মো. আবুল কাশেম, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মো. তুষার এবং গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ঢাকা সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোহা. কামরুল হাসান মামলা করেন।

এ মামলায় ২০১১ সালের ২৭ জানুয়ারি জামিন পান ড. ইউনূস। এরপর মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি।

হাইকোর্ট মামলা বাতিলে রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের শুনানি শেষে সোমবার রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

ড. ইউনূসের আইনজীবী তানিম হোসেইন শাওন জানান, মামলায় কিছু ভুল ছিল। এ ছাড়া ড. ইউনূস ছিলেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান।

উনার নির্বাহী ক্ষমতা ছিল না। তার পরও উনাকে হয়রানির জন্য মামলাটি করা হয়েছিল। ২০১১ সালে তিনি মামলা বাতিলে হাইকোর্টে আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একই সঙ্গে স্থগিতাদেশ দেন।
সেই রুলের শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে রুল যথাযথ ঘোষণা করে মামলাটি বাতিল করেছেন আদালত।

মন্তব্য
কুমিল্লা

আদালতে সাবেক বার সেক্রেটারির ওপর আইনজীবীদের হামলা

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা প্রতিনিধি
শেয়ার
আদালতে সাবেক বার সেক্রেটারির ওপর আইনজীবীদের হামলা
ছবি : কালের কণ্ঠ

অর্থ আত্মসাতের মামলায় কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহাবুবুর রহমানের আদালতে হাজিরা দিতে এলে সাবেক বার সেক্রেটারি মো. আবু তাহেরের ওপর হামলার খবর পাওয়া গেছে।

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) দুপুরে কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক মো. মাহাবুবুর রহমান। মো. আবু তাহের কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

আরো পড়ুন

ঘুষ লেনদেনের সময় টাকাসহ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অডিটর আটক

ঘুষ লেনদেনের সময় টাকাসহ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও অডিটর আটক

 

আদালত সূত্র জানায়, প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কুমিল্লার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের ও হিসাবরক্ষক কাজী সুমনের বিরুদ্ধে কুমিল্লার আদালতে মামলা করেন আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম ভূইয়া। অভিযোগ ছিল তারা দুজন মিলে ৪ কোটি ২৪ লক্ষ ৭২০ টাকা আত্মসাৎ করেন।

ওই মামলায় আবু তাহের হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসেন।

তিনি মাস্ক পরে এজলাসে যাওয়ার পথে আইনজীবীরা তাকে দেখে ধাওয়া দেন। এ সময় তিনি দৌড়ে এজলাসে ঢুকতে যাওয়ার আগেই তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মারা হয়। এক পর্যায়ে তিনি এজলাসে ঢুকে পড়েন। এ সময় আইনজীবীরা তাকে হামলার চেষ্টা করলেও বিচারক চলে আসেন।
পরে আইনজীবীরা এজলাসের বাইরে অবস্থান করেন। পরে আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।

আরো পড়ুন

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক ড্রোনের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ

দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক ড্রোনের সঙ্গে হেলিকপ্টারের সংঘর্ষ

 

এদিকে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের সময় আবার আইনজীবীরা জড়ো হতে থাকেন। বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্য দিয়ে তাকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এ সময় তাকে মাথায় হেলমেট ও শরীরে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়।

আইনজীবী রফিকুল ইসলাম হোসাইনী বলেন, ‘তিনি আইনজীবীদের টাকা মেরে খেয়েছেন। আজ ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে আদালতে। তিনি এখন কারাগারে আছেন।’

কুমিল্লা জেলা পিপি কাইমুল হক রিংকু বলেন, ‘বারের টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আইনজীবীরা তাকে পাকড়াও করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তাকে বিচারক কারাগারে প্রেরণ করেছেন।’

মন্তব্য
পিলখানা হত্যাকাণ্ড

২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিনের বিষয়ে আদেশ ১০ এপ্রিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিনের বিষয়ে আদেশ ১০ এপ্রিল
সংগৃহীত ছবি

পিলখানা বিদ্রোহের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় কারাগারে আটক ২৩৯ বিডিআর জওয়ানের জামিনের বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত। 

সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়ার আদালত এ দিন ধার্য করেন। 

এর আগে বৃহস্পতিবার জামিনের বিষয়ে শুনানি হয়েছিল। ওই দিন শুনানি শেষে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।

তবে রবিবার আদেশ না দিয়ে ফের সোমবার দিন ধার্য করা হয়। এভাবে আদেশ ছাড়াই তিনবার সময় পেছানো হয়েছে।

আরো পড়ুন
দাঁতের ক্ষয়রোধে যা খেতে পারেন

দাঁতের ক্ষয়রোধে যা খেতে পারেন

 

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সে ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়।

হত্যা মামলায় ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর। তাতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন। 

২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর সেই মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের রায়ও হয়ে যায় হাইকোর্টে।

তাতে ১৩৯ আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। যাবজ্জীবন সাজা দেওয়া হয় ১৮৫ জনকে। আরো ২২৮ জনকে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা। খালাস পান ২৮৩ জন। হাইকোর্টের রায়ের আগে ১৫ জনসহ সব মিলিয়ে ৫৪ জন আসামি মারা গেছেন।
হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে ২২৬ জন আসামি আপিল ও লিভ টু আপিল করেছেন।

আরো পড়ুন
শাহজালাল বিমানবন্দরে আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

শাহজালাল বিমানবন্দরে আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

 

অন্যদিকে হাইকোর্টে ৮৩ জন আসামির খালাস এবং সাজা কমানোর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব আপিল ও লিভ টু আপিল এখন শুনানির অপেক্ষায়। ২০১০ সালে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৩৪ আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজও শুরু হয়েছিল। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত ফের শুরুর দাবি উঠছে। গত ১৯ ডিসেম্বর অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহীদ পরিবারের সদস্যরা।

এই হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তের জন্য গত ২৪ ডিসেম্বর আ ল ম ফজলুর রহমানকে প্রধান করে কমিশন গঠন করে ৯০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছে সরকার।

মন্তব্য

ওয়েজ আর্নার্সের সহকারী প্রকৌশলী শরীফের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ওয়েজ আর্নার্সের সহকারী প্রকৌশলী শরীফের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী আবু শাহাদাৎ মো. শরীফের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার তিনটি ব্যাংক হিসাব ও ছয়টি বিও হিসাব এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের একটি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। 

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আরো পড়ুন
দোহারে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি

দোহারে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি

 

জব্দ হওয়া স্থাবর সম্পদের মধ্যে কুমিল্লায় সাড়ে ৫১ শতক জমির উপর নির্মিত ভবনের একটি বেইসমেন্ট, একটি সেমি বেইসমেন্ট ও ১৩ তলার বাণিজ্যিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় ১২২ বর্গফুটের দোকান রয়েছে।

 

আদালত সূত্র জানায়, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মাইনউদ্দিন এ আবেদন করেন। তিনি আবেদনে উল্লেখ করেছেন, আবু শাহাদাৎ মো. শরীফ তার পদ-পদবী ব্যবহার করে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ নিজ নামে ও তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার মজুমদারের ব্যাংক হিসাবে নিয়ে বৈধ করার চেষ্টা করছেন। 

আরো পড়ুন
পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

পুলিশ কর্মকর্তাদের দিকনির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

 

এ ছাড়া শরীফ একটি বেসরকারি ব্যাংকের কুমিল্লা শাখার ব্যবস্থাপকের হিসাবে স্থানান্তরসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে তার অপরাধের বিষয়টি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। আবু শাহাদৎ মো. শরীফ তার স্থাবর সম্পদ, ব্যাংক হিসাব ও বিও হিসাবগুলো এবং তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তার মজুমদারের ব্যাংক হিসাব থেকে অর্থ অন্যত্র স্থানান্তর/হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন।

অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে সম্পদ স্থানান্তর, হস্তান্তর বা বেহাত হলে পরে টাকা উদ্ধার করা যাবে না।  


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ