ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ওমরাহ শেষে বিশেষ সেবা পেলেন দেড় লক্ষাধিক মুসল্লি

ইসলামী জীবন ডেস্ক
ইসলামী জীবন ডেস্ক
শেয়ার
ওমরাহ শেষে বিশেষ সেবা পেলেন দেড় লক্ষাধিক মুসল্লি
সংগৃহীত ছবি

পবিত্র রমজান উপলক্ষে ওমরাহ পালন করতে আসা মুসল্লিদের জন্য চুল কাটার বিশেষ পরিষেবা চালু করেছে সৌদি আরব। এরমাধ্যমে ইহরাম থেকে মুক্ত হয়ে থাকেন ওমরাহ পালনকারীরা। রমজানের ২১ দিনে প্রায় দেড় লাখ মুসল্লি এই পরিষেবা থেকে উপকৃত হয়েছেন। 

জানা যায়, প্রথম বারের মতো এ বছর পবিত্র মসজিদুল হারামের আঙিনায় ওমরাহ শেষে ইহরাম সম্পন্ন করতে চুল কাটার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

পুরুষ ও নারী ওমরাযাত্রীদের জন্য মারওয়া এলাকার বিপরীতে ১২টি স্থানে এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুরোপুরি জীবাণুমুক্ত সরঞ্জাম দিয়ে ১১২ কর্মী মোবাইল সেলুনে সেবা দিচ্ছেন।

এর আগে গত ২ মার্চ মক্কার পবিত্র মসজিদুল হারামের আঙিনায় পরীক্ষামূলক ওমরাহযাত্রীদের জন্য চুল কাটার পরিষেবা চালু করেছে পবিত্র দুই মসজিদের পরিচালনা বিভাগ। এর মাধ্যমে ওমরাহযাত্রীরা সহজেই ইহরাম থেমে মুক্ত হতে পারছেন।

 

সূত্র : সৌদি গেজেট 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

রংধনু পাহাড় নিয়ে কোরআনে যা বলা হয়েছে

আসআদ শাহীন
আসআদ শাহীন
শেয়ার
রংধনু পাহাড় নিয়ে কোরআনে যা বলা হয়েছে
ফাইল ছবি

বিশ্বজগতে বিস্তৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নানা নিদর্শনের মধ্যে এমন কিছু স্থান আছে, যা কেবল চোখে দেখার জন্য নয়, বরং অন্তরে উপলব্ধির জন্য। তেমনই এক আশ্চর্য সৃষ্টি চীনের Zhangye Danxia Landform Geological Park-এ অবস্থিত রংধনু পাহাড় বা Rainbow Mountains, যা নানা রঙের স্তরে স্তরে গঠিত এক অসামান্য সৌন্দর্য।

এই পাহাড় দেখে মনে হয় যেন মহান কোনো শিল্পী রংতুলি দিয়ে সযত্নে এঁকেছেন। তবে এই রঙিন শিলার ঢেউ শুধু সৌন্দর্য নয়, ঈমানদারদের কাছে এটি এক পরম সত্যের নিদর্শন, যাকে আমরা কোরআনের আলোকে আরো গভীরভাবে উপলব্ধি করতে পারি।

রেইনবো মাউন্টেনের ভূতাত্ত্বিক পরিচয়

চীনের গানসু প্রদেশে অবস্থিত এই পাহাড়ি অঞ্চলটি মূলত ‘Danxia Landform’ নামে পরিচিত। ভূবিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, প্রায় ২৪ মিলিয়ন বছর ধরে গঠিত এই স্তরবিন্যাস মূলত লাল বালুকা পাথর এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থের জারণ বিক্রিয়ায় গঠিত হয়েছে। তবে রঙিন রেখার সুষম বিন্যাস ও বৈচিত্র্য দেখে মনে হয় যেন এটি একটি কল্পনার জগৎ। লাল, কমলা, হলুদ, নীল, সবুজ—সব রঙের নিখুঁত ভারসাম্য যেন পাহাড়ের প্রতিটি বাঁকে এক নতুন কবিতা রচনা করে।

যে দিকে চোখ যায় সে দিকেই রং। এই পাহাড় আসমানি, কমলা, লাল, হলুদ, সবুজ—সব রঙে রাঙা। প্রকৃতি আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে সুবিশাল ক্যানভাসে তুলির টানে সৃষ্টি করেছে এই রংমহল।

ভূবিজ্ঞানীরা বলেন, টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে শুষ্ক পর্বতগাত্রে এমন রংধনুর সাত রং ফুটে উঠেছে।

টেকটনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে ভূগর্ভ থেকে বেরিয়ে এসেছিল শিলাস্তর। শিলাস্তরে ছিল প্রচুর খনিজ পদার্থ, রঙিন সিলিকাসহ নানা উপাদান। বহু বছর ধরে ঋতু পরিবর্তন, ঝড়-বৃষ্টি, তুষারপাত এবং নানা রকম রাসায়নিক বিক্রিয়ায় রূপ পরিবর্তন করতে করতে তৈরি হয়েছে বর্তমানের রেইনবো মাউন্টেন। কিন্তু এই নিখুঁত শৈল্পিক বিন্যাস কি কেবল প্রকৃতির সপ্তম আশ্চর্যের খেলা?

আল্লাহর নিদর্শন হিসেবে প্রকৃতি

পবিত্র কোরআন বারবার আমাদের চোখ ফেরাতে বলেন প্রকৃতির দিকে, কারণ The beauty of nature আল্লাহর নিদর্শন। কোরআনে বলা হয়েছে : ‘তুমি কি দেখো না যে আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা বিভিন্ন রঙের ফলমূল উৎপন্ন করেন? আর পাহাড়গুলোতেও আছে সাদা, লাল এবং নানা রঙের রেখাযুক্ত অংশ ও নিকষ কালো।

’ (সুরা : ফাতির, আয়াত : ২৭)

প্রখ্যাত মুফাসসির শায়খ আবদুর রহমান আস-সাদি (রহ.) বলেন, আল্লাহ তাআলা যেভাবে পৃথিবীকে স্থিতিশীল রাখার জন্য পর্বতমালা সৃষ্টি করেছেন, সেভাবেই তিনি সেই পর্বতগুলোকেও রূপ দিয়েছেন বৈচিত্র্যময় রঙের, সৌন্দর্য ও মাধুর্যের এক বিস্ময়কর আবরণে।

আয়াতে ব্যবহৃত ‘জুদাদ’ শব্দটির অর্থ পর্বতের বুকে আঁকা রেখা বা শিরা। তিনি বলেন, একটি পর্বতের মধ্যেই দেখা যায় সাদা শিরা, লালচে বা পিঙ্গল রেখা এবং গভীর কালো রেখা—যাকে বলা হয়েছে ‘গারাবিবু সুদ’, যার অর্থ অত্যন্ত গাঢ় কালো, যেন কাকের পালকের মতো নিখাদ কালো। (তাফসিরে সাদি, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা-৬৮৮)

এই আয়াতটি চীনের রংধনু পাহাড়কে স্মরণ করিয়ে দেয়। এখানে বলা হয়েছে—‘নানা রঙের রেখাযুক্ত পাহাড়’, যা সুনির্দিষ্টভাবে Danxia-এর বর্ণনা মনে করায়। প্রকৃতির এই রঙিন বিন্যাস কেবল চাক্ষুষ আনন্দের বিষয় নয়, এটি আল্লাহর কুদরতের প্রতীক।

রংধনু পাহাড় ও ‘তাফসিরুল আয়াত’

কোরআনে একটি শব্দ বারবার ব্যবহৃত হয়েছে—তাফসিরুল আয়াত অর্থাৎ নিদর্শনের বহুমাত্রিক ব্যাখ্যা ও পুনরাবৃত্তি। এটি প্রকৃতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। যখন আমরা রংধনু পাহাড়ের মতো সৌন্দর্য দেখি, তখন তা আমাদের চিন্তা-ভাবনায় নতুন মাত্রা যোগ করে। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন : ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি পৃথিবীতে নানা রঙের বস্তু সৃষ্টি করেছেন। এতে আছে নিদর্শন চিন্তাশীল জাতির জন্য।’ (সুরা : আন-নাহল, আয়াত : ১৩)

চীনের রংধনু পাহাড় যেন এই আয়াতের জীবন্ত ব্যাখ্যা। এখানে রঙের যে বৈচিত্র্য দেখা যায়, তা মানুষের দৃষ্টি ও হৃদয়—উভয়কে আকৃষ্ট করে এবং বিশ্বাসী হৃদয়ে জাগিয়ে তোলে স্রষ্টার প্রশংসা।

চিত্রশৈলী ও কোরআনের অলংকার

কোরআনের ভাষা অলংকারপূর্ণ, চিত্রাত্মক ও ভাবনাবোধক। যখন আমরা পাহাড়ের রঙিন রূপ দেখি, তখন মনে পড়ে কোরআনের সেই উপমা যেখানে মেঘ, পাহাড়, আলো-আঁধারির সমন্বয়ে সৃষ্টিশীলতা ফুটে ওঠে; কোরআনে বলা হয়েছে : ‘আল্লাহর সৃষ্টিকে দেখো! কিভাবে তিনি বিভিন্ন রঙের সৃষ্টি করেছেন!’ (সুরা : আন-নাহল, আয়াত : ১৬)

Zhangye Danxia যেন এই আয়াতের চিত্ররূপ। যেমনভাবে কোরআন একটি চিত্রকল্প সৃষ্টি করে, তেমনি এই পাহাড় তার রং ও রেখায় আমাদের সামনে একটি জীবন্ত আলোকচিত্র তুলে ধরে।

রংধনু পাহাড় ও মানুষের হৃদয়ের সংলাপ

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক দর্শনের বিষয় নয়, এটি মানুষের হৃদয়ের গভীরে স্পর্শ করে। কোরআনে বলা হয়েছে : ‘নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং রাত ও দিনের পরিবর্তনে বোধশক্তিসম্পন্নদের জন্য নিদর্শন আছে।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৯০)

যিনি রংধনু পাহাড়ের মতো নিখুঁত নকশা সৃষ্টি করতে পারেন, তিনি নিঃসন্দেহে একজন সুবিশাল পরিকল্পনাকারী। এখানে কেবল শৈল্পিকতা নয়, বরং রয়েছে গণিত, রসায়ন ও সময়ের নিখুঁত সমন্বয়। এটি কেবল সৌন্দর্য নয়, এটি একটি মহাজাগতিক সিম্ফনি।

প্রকৃতির রং ও আত্মার জাগরণ

রং মানুষের মনোজগতে বিশেষ প্রভাব ফেলে। রংধনু পাহাড়ের প্রতিটি শিলা যেন একটি বার্তা বহন করে। কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহ রং দিয়েছেন, যেমন রং তিনিই দিতে পারেন।’ (সুরা : আল-বাকারাহ, আয়াত : ১৩৮)

এই আয়াতে সিবগাতুল্লাহ বা ‘আল্লাহর রং’ কথাটি এসেছে। চীনের এই পাহাড় সেই রঙেরই এক নিদর্শন, যা শুধু চাক্ষুষ রূপ নয়, আধ্যাত্মিক উপলব্ধির একটি উৎস।

রঙিন পাহাড়, রঙিন জীবন ও ঈমানের প্রতিচ্ছবি

চীনের রংধনু পাহাড় প্রকৃতির এক বিস্ময়, কিন্তু একজন মুমিনের জন্য এটি তার ঈমানের শক্তি পুনর্জাগরণের উপলক্ষ। এটি প্রমাণ করে যে পৃথিবীতে এমন কোনো কিছুর সৃষ্টি হয়নি, যা উদ্দেশ্যহীন। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন : ‘আমি আকাশ ও পৃথিবী এবং তাদের মধ্যে যা কিছু আছে তা ক্রীড়াচ্ছলে সৃষ্টি করিনি।’ (সুরা : আদ-দুখান, আয়াত : ৩৮)

এখানে এই পাহাড় যেন চিৎকার করে বলে—‘আমার পেছনে এক মহান পরিকল্পক আছেন।’ এবং সেই পরিকল্পকের প্রতি আমাদের ঈমান আরো গভীর হয়, যখন আমরা কোরআনের আয়াত এবং পাহাড়ের রংকে মিলিয়ে দেখি।

আল্লাহর নিপুণ শিল্পকর্মের বহিঃপ্রকাশ  

রেইনবো মাউন্টেন—এ এক চিত্রকরের তুলির ছোঁয়া নয়, বরং আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় গঠিত প্রাকৃতিক শিল্পকর্ম। যুগে যুগে এই বৈচিত্র্য নজরে এসেছে ভূবিজ্ঞানীদের, পর্যটকদের, এমনকি সাধারণ পথিকেরও। কিন্তু আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এই বৈশিষ্ট্যের ইঙ্গিত দিয়েছেন হাজার বছর আগেই, যখন মানুষের জ্ঞান এই প্রাকৃতিক রহস্যের কেবল প্রান্ত স্পর্শ করত।

উপরোক্ত আয়াত আমাদের দৃষ্টি দেয় প্রকৃতির গভীরে এবং নির্দেশ করে এক মহান শিল্পীর দিকে, যিনি তাঁর সৃষ্টিকে শুধু প্রয়োজনের জন্যই গড়েননি, বরং দিয়েছেন সৌন্দর্য, শৈল্পিকতা ও ভাবগম্ভীরতা। প্রতিটি পাহাড় যেন এক একটি মৌন কবিতা—সাদা রেখা তার পবিত্রতা, লাল তার আবেগ, আর গাঢ় কালো তার গভীরতা ও গাম্ভীর্য প্রকাশ করে।

এই রঙিন পর্বতগুলো শুধু প্রাকৃতিক দৃশ্য নয়, বরং তারা আল্লাহর কুদরত ও জ্ঞানের সাক্ষ্য বহন করে। তারা নীরবে ঘোষণা করে : ‘তোমাদের স্রষ্টা কেবল ক্ষমতাবানই নন, তিনি অপার সৌন্দর্যেরও অধিকারী।’

অতএব, উপরোক্ত আয়াত কেবল ভৌগোলিক সত্যের বর্ণনা নয়, এটি এক আত্মিক আহবান—মানুষ যেন প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে আল্লাহর অস্তিত্ব, জ্ঞান, শক্তি ও সৌন্দর্য অনুধাবন করে। সত্যিই সৃষ্টির মধ্যে ছড়িয়ে আছে স্রষ্টার নিপুণতা। চোখের সামনে দৃশ্যমান প্রতিটি পাহাড়ের বুকে আঁকা রঙিন রেখাগুলো যেন তাঁর মহানত্বের মৌন সাক্ষী।

তথ্যঋণ

The Holy Qur’an, translated by Sahih International.

Geological studies on Zhangye Danxia Landform– Chinese Academy of Sciences.

NASA Earth Observatory reports on multicolored landforms.

Signs in the Universe–Dr. Zaghloul El-Naggar.

Tafsir al-Jalalayn, Tafsir ibn Kathir- interpretations on Surah Fatir and Surah Nahl.

Colours in the Qur’an : Szmbolism and Science – Islamic Research Institute.

মন্তব্য

প্রথমবার হজে গেলে যেসব বিষয়ে সতর্কতা জরুরি

আজিজ আল কাউসার
আজিজ আল কাউসার
শেয়ার
প্রথমবার হজে গেলে যেসব বিষয়ে সতর্কতা জরুরি
ফাইল ছবি

আর কয়েক দিন পরই শুরু হচ্ছে হজের ফ্লাইট। গোটা বিশ্ব থেকে কাবার মেহমানরা ছুটে চলবেন ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে। হজ একটি আর্থিক ও শারীরিক ইবাদত। লম্বা এই সফরে ইবাদতের নিয়ম-কানুন জেনে নেওয়া প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য আবশ্যকীয়।

হজযাত্রীরা বাংলাদেশ ত্যাগ করার আগেই এই প্রস্তুতি সম্পন্ন করে নেবেন। প্রথমবারের মতো যাঁরা হজে যাচ্ছেন তাঁদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং সফর হতে যাচ্ছে। তাই যার যার মুয়াল্লিমের মাধ্যমে বা ভালো কোনো আলেমের তত্ত্বাবধানে হজের প্রশিক্ষণ নেবেন। হজের সময় বিশেষ করে ৮, ৯, ১০, ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ এই পাঁচ দিন কোথায় কিভাবে কোন কাজ করতে হবে—তা ভালোভাবে জেনে নেবেন।

কোথায় কোন দোয়া পড়তে হবে তা মুখস্থ করা কিংবা ছোট কোনো দোয়ার বই সঙ্গে রাখবেন। সফরে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ল্যাগেজে করে অবশ্যই নিয়ে যাবেন। যেমন—পুরুষদের জন্য এহরামের কাপড় দুই সেট, দুই ফিতার জুতা বা স্যান্ডেল, সুগন্ধিমুক্ত সাবান, কেননা হজের সময় কোনো সুগন্ধি ব্যবহার করা যাবে না। ওষুধসহ প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে নেবেন।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আপনার পাসপোর্ট, হজের নুসুক কার্ড, মুয়াল্লিম নাম্বার ও টাকা-পয়সা স্বযত্নে আপনার সঙ্গেই রাখবেন। তা অন্য কাউকে দিয়ে বহন করাবেন না। তা রাখার জন্য বেল্টের ব্যাগ বা গলায় ঝোলানো ব্যাগ ব্যবহার করবেন। সফরে প্রতিটি ব্যাগে হাজির নাম ও পাসপোর্ট, এজেন্সি ও ফোন নাম্বার দিয়ে ট্যাগ ব্যবহার করবেন। হজের মাসলা-মাসায়েলগুলো ঠিকমতো আদায়ের জন্য সঙ্গে একটি হজ গাইড বই রাখবেন অথবা আগে হজ করেছেন অভিজ্ঞ আলিমের সঙ্গেই থাকার চেষ্টা করবেন।

সর্বোপরি আল্লাহর কাছে সুষ্ঠুভাবে হজ আদায় এবং নিরাপদ সফরের জন্য দোয়া করা।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হজে যাওয়ার আগে যা করণীয়

মুহাম্মাদ হেদায়াতুল্লাহ
মুহাম্মাদ হেদায়াতুল্লাহ
শেয়ার
হজে যাওয়ার আগে যা করণীয়

মহান রবের প্রতি বান্দার প্রেমের সর্বোত্তম বহিঃপ্রকাশ ঘটে হজের মাধ্যমে। হজভ্রমণের প্রতিক্ষণে আছে আল্লাহর অপূর্ব নিদর্শন। প্রতিদানে আল্লাহর পক্ষ থেকে আছে ক্ষমার ঘোষণা। তাই প্রতিবছর লাখ লাখ মুসলমানের ‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় মক্কা ও মদিনা।

ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনি মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা দিন, তারা তোমার কাছে আসবে পদব্রজে ও সব ধরনের দুর্বল উটে করে দূর-দূরান্তের পথ অতিক্রম করে।’ (সুরা হজ, আয়াত : ২৭)

হজের মানসিক প্রস্তুতি যেভাবে নেবেন

হজযাত্রার আগেই অন্তরে এই সৌভাগ্য লাভের উপলব্ধি থাকা উচিত। আর এ কথা মনে রাখতে হবে, এটি সাধারণ কোনো ভ্রমণ নয়; বরং তা মহান রবের প্রেমে ভরপুর অন্তরের মিলনমেলা। তাই এই ভ্রমণের সব দুঃখ ও কষ্টকে সৌভাগ্যের পাথেয় হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।

এর মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের বারবার কাবাঘরের অতিথি করবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করো তাহলে আমি আরো বাড়িয়ে দেব।’ (সুরা ইবরাহিম, আয়াত : ৭)

পাপমুক্তির ঘোষণা : কেউ রাসুল (সা.)-এর সুন্নত অনুসরণ করে হজ পালন করলে মহান আল্লাহ তার অতীত জীবনের সব গুনাহ মাফ করবেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ করেছে, অতঃপর অশ্লীল কাজ ও পাপকাজ থেকে বিরত থেকেছে, সে এমন শিশুর মতো ফিরে আসবে, যেন তার মা এই মুহূর্তে প্রসব করেছে।

’ (বুখারি, হাদিস : ১৫২১)

পরকালে জান্নাত লাভ : কোরআন ও হাদিসে হজের বর্ণনায় সব ধরনের পাপাচার ও অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। আর পরকালে এর প্রতিদান শুধু জান্নাত। নবীজি (সা.) বলেন, ‘এক ওমরাহ পরবর্তী ওমরাহ পর্যন্ত সব পাপ মুছে দেয়। আর কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া কিছু নয়।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৭৭৩)

সদাচারের নির্দেশনা : হজযাত্রায় নানা দেশের মানুষের সঙ্গে মিশতে হয়।

মুখের ভাষা, সামাজিক অবস্থান ও গায়ের রং ভিন্ন হলেও সবার পরনে শুভ্র সেলাইহীন কাপড়। অনেক মতপার্থক্য থাকলেও সবাই এখন আল্লাহর ঘরের অতিথি। তাই সবার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করা হজযাত্রীদের প্রধান কর্তব্য। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হজ নির্দিষ্ট কয়েক মাসে, কেউ তাতে হজের ইচ্ছা করলে সে স্ত্রী সম্ভোগ, অন্যায় আচরণ ও কলহ-বিবাদ করতে পারবে না, তোমরা যেসব ভালো কাজ করো আল্লাহ তা জানেন...।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৭)

কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির প্রত্যাশা : আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রাসুল (সা.)-এর সুন্নত অনুসরণ করে সব আমল করা কর্তব্য। হজ পার্থিব খ্যাতি, সামাজিক মর্যাদা লাভের জন্য করা অনুচিত। আনাস বিন মালিক (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবী করিম (সা.) (উটের) পুরনো জিনে বসে হজ করেছেন। আর এর ওপরে ছিল চার দিরহাম বা তারও কম দামের একটি কাপড়। অতঃপর রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে আল্লাহ, আপনি এই হজ কবুল করুন। এতে লৌকিকতা ও প্রচারণার কিছু নেই।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯০)

হজবিষয়ক জ্ঞানচর্চা : হজের অনেক বিধি-নিষেধ আছে। সাধারণত এসব বিষয় আলোচিত হয় না। তাই সফরের আগেই হজবিষয়ক সব বিষয় জানা থাকা উচিত। হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। বিদায় হজের সময় মহানবী (সা.) সাহাবিদের হজ বিষয়ে সব কিছু জানতে বলেছেন। জাবির বিন আবদুল্লাহ (রা.) বর্ণনা করেছেন, আমি রাসুল (সা.)-কে কোরবানির দিন তার বাহনে চড়ে প্রস্তর নিক্ষেপ করতে দেখেছি। তখন রাসুল (সা.) বলছিলেন, ‘তোমরা হজের বিধান সম্পর্কে জেনে নাও। কেননা আমি জানি না, এই হজের পর আমি আর হজ করতে পারব কি না।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১২৯৭)

তাই হজের বিষয়গুলো অভিজ্ঞ আলেমদের থেকে জানা প্রয়োজন। বিশেষত যেসব কারণে হজের বিধান ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং জরিমানা দিতে হয় সেসব বিষয়ে বিস্তারিত জানা উচিত। পাশাপাশি নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হজের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। যেন সুস্থভাবে হজের পুরো কার্যক্রম পালন করা যায়। তা ছাড়া হজভ্রমণের আগে অসিয়ত লিখে যাওয়া ও সঙ্গী নির্বাচনে সচেতন হওয়া উচিত।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হজের আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি

মাওলানা মুহাম্মদ আনসারুল্লাহ হাসান
মাওলানা মুহাম্মদ আনসারুল্লাহ হাসান
শেয়ার
হজের আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি

অল্প কিছুদিন পরই শুরু হচ্ছে হাজিদের হজযাত্রা। যাঁরা হজে যাওয়ার ইচ্ছা করেছেন, তাঁদের এখন থেকেই হজের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। কারণ হজের সফর হচ্ছে একটি ঈমানি সফর, একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের সফর। অন্য যেকোনো সফরের চেয়ে এই সফর ভিন্ন ও স্বতন্ত্র বলে এর প্রস্তুতির ধরনও ভিন্ন হয়।

তাই এখানে হাজিদের শারীরিক প্রস্তুতির পাশাপাশি রুহানি ও ইলমি তথা আত্মিক ও জ্ঞানের প্রস্তুতিও গ্রহণ করতে হবে। হজ যেন সঠিক ও সুন্দর হয়, শরিয়তের বিধানমতো সহিহ ও বিশুদ্ধ হয়, তার জন্য এখন থেকে অবশ্যই সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

বায়তুল্লাহ অভিমুখে হজের এই সফর হলো ইবাদত ও আমলের সফর। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্যলাভের সফর।

এই সফরে বিভিন্ন করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় যেমন আছে, তেমনি বিশেষ স্থানে বিশেষ আমলের অপরিহার্যতাও রয়েছে। উপরন্তু আছে গভীর রুহানিয়ত ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্যের বিষয়। তাই আল্লাহ তাআলা তাঁর যে বান্দাকে তাঁর ঘরে যাওয়ার তাওফিক দান করেছেন, তার অবশ্যকর্তব্য হলো এই ইবাদতের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। এ ক্ষেত্রে জাগতিক ও দুনিয়াবি প্রস্তুতির চেয়ে বেশি প্রয়োজন রুহানি ও ইলমি প্রস্তুতি।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সুনাম-সুখ্যাতিমুক্ত ইখলাস ও তাকওয়ার সঙ্গে এবং সুন্নাহসম্মত পন্থায় হজ আদায়ের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়া। কারণ এটাই হজ কবুল হওয়ার অধিক নিকটবর্তী বিষয়। সব ইবাদতের মতো এই ইবাদতেরও প্রাণ হচ্ছে ইখলাস হচ্ছে। অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি ও নৈকট্যলাভের উদ্দেশ্যে হজ করা। লৌকিকতা, সুনাম-সুখ্যাতি, মানুষ আলহাজ বা হাজি বলবে ইত্যাদি যেকোনো দুনিয়াবি স্বার্থ ও উদ্দেশ্য থেকে এই আমলকে মুক্ত রাখা জরুরি।

ইখলাস ছাড়া কোনো আমলই আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘তারা তো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর ইবাদত করতে তার আনুগত্যে বিশুদ্ধচিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে।’ (সুরা বায়্যিনাহ, আয়াত : ৫)

হজ ও ওমরাহ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ ও উমরা পরিপূর্ণরূপে পালন করো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৬)

জুনদুব আল-আলাকি (রা.) থেকে বর্ণিত, এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রচারের উদ্দেশ্যে নেক আমল করে, আল্লাহ তাআলা তার কর্মের প্রকৃত উদ্দেশ্যের কথা লোকদের শুনিয়ে দেবেন। আর যে ব্যক্তি লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে কোনো সৎকাজ করে, আল্লাহ তাআলা তার প্রকৃত উদ্দেশ্যের কথা লোকদের মধ্যে প্রকাশ করে দেবেন।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৪৯৯)

একটি সহিহ হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমলের ক্ষেত্রে আমার সঙ্গে অন্যকে অংশীদার সাব্যস্ত করে, আমি তাকে ও তার অংশীদারকে পরিত্যাগ করি।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৯৮৫)

এ জন্য হজের সৌভাগ্য লাভকারীদের উচিত, আল্লাহ তাআলার কাছে রিয়ামুক্ত হজের জন্য দোয়া করতে থাকা। এটা তো স্বয়ং আল্লাহর প্রিয় হাবিব (সা.)-এর আদর্শ ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা। এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) একটি পুরনো বাহন ও চার দিরহাম বা তার চেয়ে কম মূল্যের একটি পশমি বস্ত্রে হজ করলেন, তখন তিনি এই দোয়া করলেন—হে আল্লাহ, আমার হজকে রিয়া ও খ্যাতির আকাঙ্ক্ষামুক্ত হজরূপে কবুল করেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৮৯০)

দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, হজ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করা। যে ব্যক্তির ওপর হজ হয়েছে, তার জন্য হজ করা যেমন জরুরি, অনুরূপভাবে তার জন্য হজের আহকাম ও মাসআলা-মাসায়েল শিক্ষা করাও ফরজ ও জরুরি। হজের বিভিন্ন প্রকার যেমন আছে, তেমনি বিভিন্ন হুকুম-আহকামও আছে। হজের কিছু বিধান ফরজ, কিছু বিধান ওয়াজিব ও সুন্নত। হজ যেন কোরআন-সুন্নাহ মোতাবেক হয়, তার জন্য এসব বিষয় জানা ও যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করাও অপরিহার্য। অন্যথায় হজ কবুল হওয়ার আশা করা কঠিন। তাই যারা হজে যাবেন, তাদের উচিত, হজ বিষয়ক নির্ভরযোগ্য বই পড়ে এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞ আলেমদের থেকে এ বিষয়ে বিধি-বিধান জানা ও এ সম্পর্কিত জ্ঞান অর্জন করা।

তৃতীয় বিষয় হলো, হজের বিভিন্ন স্থানে পঠিতব্য দোয়া ও জিকির শেখা ও মুখস্থ করার চেষ্টা করা। হজের সিংহভাগেই বিভিন্ন দোয়া ও জিকির আছে। তাওয়াফের সময়, সাফা-মারওয়া সাঈ করার সময়, আরাফা ইত্যাদিসহ কোন স্থানে কোন দোয়া পড়তে হবে, তা জেনে শেখার চেষ্টা করা। হজে রওনা হওয়ার আগে তা মুখস্থ করা। সময় নিয়ে সচেতনতার সঙ্গে প্রস্তুতি গ্রহণ করলে এ জাতীয় ভুল-ভ্রান্তি হতে বেঁচে থাকা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ।

চতুর্থ বিষয় হলো,  হজের আগে ও হজ থেকে প্রত্যাবর্তন করার পর সর্বপ্রকার গুনাহ থেকে বিরত থাকার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করা। কারণ হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ করল এবং অশ্লীল কথাবার্তা ও গুনাহ থেকে বিরত থাকল, সে ওই দিনের মতো নিষ্পাপ হয়ে হজ থেকে ফিরে আসবে, যেদিন মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছিল।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১৫২১)

সাধারণত হজের সফরে অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক বিষয়ের সম্মুখীন হতে হয়। সফরের সঙ্গী-সাথিদের পক্ষ থেকে কিংবা এজেন্সি বা কাফেলার লোকদের পক্ষ থেকে তাদের প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম কিছু দেখলে সফরের সময় মানুষের মধ্যে ক্রোধের সৃষ্টি হয়। তখনই ঝগড়া-বিবাদ, গালাগাল-অশ্লীল কথাবার্তা ও অন্যায় আচার-আচরণগুলো পরিলক্ষিত হয়। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও সহনশীলতার সঙ্গে এগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে। আল্লাহ তাআলা তো ভালোভাবে জানেন, হজের সফরে এ রকম কিছু সংঘটিত হবে। তাই তিনি পবিত্র কোরআনে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, ‘হজের নির্দিষ্ট কয়েকটি মাস আছে। যে ব্যক্তি সেসব মাসে (ইহরাম বেঁধে) নিজের ওপর হজ অবধারিত করে নেয়, সে হজের সময় কোনো অশ্লীল কথা বলবে না, কোনো গুনাহ করবে না এবং ঝগড়াও নয়। তোমরা যা কিছু সৎকর্ম করবে আল্লাহ তা জানেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৯৭)

হজ মানুষের জীবনকে গুনাহমুক্ত করে একটি পবিত্র জীবন দান করে। তাই হজের পরে আগের সব মন্দ অভ্যাস, পাপকর্ম ও অন্যায়-অনাচার বর্জন করে নতুন জীবন গড়তে ও আলোকিত সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। যদি এই মানসিকতা সৃষ্টি হয়, তবে বুঝতে হবে হজের এই সফর আল্লাহর কাছে গৃহীত হয়েছে।

মহান আল্লাহ আমাদের মকবুল হজ নসিব করুন।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ