<p style="text-align:justify">২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের গণজমায়েতে আলেম হত্যাসহ বিভিন্ন সময় আলেম, মাদরাসা ছাত্র ও নিরীহ জনগণের ওপর যারা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম।</p> <p style="text-align:justify">বুধবার (১৪ আগস্ট) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান।</p> <p style="text-align:justify">বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবি, স্বৈরাচার হাসিনার শাসনামলে আলেমদের ওপর যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল এবং যারা প্রতিবাদী আলেমদের মিথ্যা মামলা দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করেছে, তাদের প্রত্যেককে অতিসত্বর গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার হত্যাকাণ্ড ও জুলুম-নির্যাতনকে যেসব বুদ্ধিজীবী ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সমর্থন জুগিয়েছিল, তাদেরকেও প্রমাণ সাপেক্ষে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’ </p> <p style="text-align:justify">তারা বলেন, ‘আমরা ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের গণজমায়েতের ওপর নৃশংস গণহত্যা, ২০২১ সালে মোদিবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশি হত্যাযজ্ঞ এবং এ বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। শিগগিরই আমরা চিহ্নিত খুনি ও খুনের নির্দেশদাতাদের বিরুদ্ধে মামলা সম্পন্ন করব ইনশাআল্লাহ।’ </p> <p style="text-align:justify">হেফাজত নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ‘এতটা বছর আমাদের ওপর খুনি হাসিনার সরকার ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় নির্যাতন ও দমন-পীড়ন জারি রেখেছিল। আলেমদের মধ্যে ষড়যন্ত্রমূলক বিভক্তি তৈরি করে, বলপূর্বক মাদরাসা বন্ধের হুমকি দিয়ে এবং নানাভাবে আলেমদের সম্মানহানি করে তাদের দমিয়ে রাখার সব রকম চেষ্টাই তারা করেছিল। কিন্তু খুনি ফ্যাসিস্ট জালিমদের শেষ রক্ষা হয়নি৷ নজিরবিহীন গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাদের পতন ঘটল। আমরা আল্লাহ পাকের শোকর আদায় করছি যে তিনি আমাদের নতুন স্বাধীনতা দান করেছেন এবং খুনিদের বিচারের সুযোগ করে দিয়েছেন। আমরা সব শহীদকে স্মরণপূর্বক তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।’</p>