ভেঙে ফেলা হলো মুজিবের ৭ মার্চ ভাষণের ভাস্কর্য

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভেঙে ফেলা হলো মুজিবের ৭ মার্চ ভাষণের ভাস্কর্য
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর কবি নজরুল সরকারি কলেজে শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের ভাস্কর্য ‘মুক্তির সোপান’ ভেঙে দিয়েছে একদল শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতৃত্বে এই প্রতিচিত্রটি ভেঙে ফেলা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইরফান আহমেদ ফাহিম, সদস্যসচিব নাজমুল হোসেন ছাড়াও কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

এ বিষয়ে কবি নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইরফান আহমেদ ফাহিম সাংবাদিকদের বলেন, এই যে মুক্তির সোপান যেখানে লেখা হয়েছে বিকৃত সব ইতিহাস।

যে প্রতিচিত্রে থাকার কথা মুক্তিযুদ্ধের গেরিলাদের কথা, ইজ্জত হারানো মা-বোনদের কথা, যেখানে থাকার কথা সকল শ্রেণী পেশার মানুষের অংশগ্রহণে অর্জিত মুক্তিযুদ্ধের কথা সেখানে রয়েছে এক ব্যক্তি কেন্দ্রিক প্রচারণা।

আরো পড়ুন
শুক্রবার সারা দেশে শিবিরের গণমিছিল

শুক্রবার সারা দেশে শিবিরের গণমিছিল

 

তিনি বলেন, এটি নির্মাণের উদ্দেশ্যই ছিল নতুন প্রজন্মকে বুঝানো যে শেখ মুজিবের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা কোথাও উল্লেখ্য নেই। যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বারবার ইতিহাসের বিকৃতি করেছে। নিজেদের মনগড়া গল্প কাহিনী নতুন প্রজন্মদের কাছে তুলে ধরেছে।

তিনি আরো বলেন, জুলাই আন্দোলনে আমাদের ক্যাম্পাসের চারজন শহীদ হয়েছেন। ২৪ এর ইতিহাস যেন কেউ ভুলে না যায় এবং চার শহীদের স্মরণে আমরা এই প্রতিচিত্রে তাদের ছবি এবং স্মৃতি কথা স্থাপন করবো।

৭১ যেমন ভোলার নয়, তেমনি শহীদ জিহাদ, শহীদ ওমর ফারুক, শহীদ কাউসারদের অবদানও ভোলার নয়। এই ক্যাম্পাস যতদিন থাকবে, ততদিন তারা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

২০১৯ সালে কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারের পাশে শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণের ভাস্কর্য ‘মুক্তির সোপান’ উদ্বোধন করা হয়েছিল।

মন্তব্য

নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
সংগৃহীত ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে গণঅভ্যুত্থানকে বিপ্লবে পরিণত করার লক্ষ্যে ‘জুলাই সংগ্রাম পরিষদ’ নামে নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। সংগঠনটির আহ্বায়ক হয়েছেন আবু বকর সিদ্দীক ও সদস্য সচিব মো. মুনতাসির রহমান। 

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংগঠনটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের আত্মপ্রকাশের তথ্য জানায়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘জুলাই সংগ্রাম পরিষদ’ জুলাই গণহত্যার বিচার, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য কাজ করবে এবং প্রজন্মান্তরে জুলাইয়ের চেতনা ছড়িয়ে দিবে।

আরো পড়ুন
অস্ত্র উঁচিয়ে মাইকে চাঁদাবাজির ঘোষণা দিলেন যুবদল নেতা

অস্ত্র উঁচিয়ে মাইকে চাঁদাবাজির ঘোষণা দিলেন যুবদল নেতা

 

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে সংগঠনের আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দীক বলেন, শুধু নিষিদ্ধ করলেই চলবে না, মুজিব ও হাসিনার আদর্শে কোনো রাজনীতি করা যাবে না—এই মর্মে আইন করতে হবে। হাসিনার পতন হলেও আওয়ামী কালচারাল ইন্ডাস্ট্রির পতন হয়নি। ফ্যাসিবাদের সাংস্কৃতিক দোসররা ওত পেতে আছে। বিগত ১৬ বছর অনবরত প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে যে দূষিত মতাদর্শ মানুষের মন মগজে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটার ডিটক্সিফিকেশন করতে হবে।

 

তিনি বলেন, এটা পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে সাহসী প্রজন্ম। ৭১ ব্যর্থ হয়েছে, ৯০ ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু আমরা ২৪ কে ব্যর্থ হতে দিবো না। আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে চব্বিশকে বিজয়ী করার জন্য লড়ে যাবো। এমনকি জুলাইয়ের চেতনাকে পুঁজি করে কেউ ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাইলে আমরা রুখে দিবো।

জুলাই শুধু আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই না, জুলাই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার চিরতরে বিলোপ চায়। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ব‍্যারিস্টার ফারাহ খানের নেতৃত্বে জাসদের ঐকের ডাক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ব‍্যারিস্টার ফারাহ খানের নেতৃত্বে জাসদের ঐকের ডাক
সৌজন্য ছবি

জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খানের ভাতিজী ব‍্যারিস্টার ফারাহ খানের ডাকে জাসদের নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে মতবিনিময়সভা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি কনফারেন্স রুমে এ সভা হয়।

এতে প্রবীন জাসদ নেতা এম এ আউয়াল সভাপতিত্ব করেন। সভার প্রধান উদ্যোগতা ব‍্যারিস্টার ফারাহ খান বক্তব্যে বলেন, ‘জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) জন্ম ১৯৭২ সালে।

জাসদই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রথম বিরোধী দল। জাসদের জন্ম হয়েছিল সকল অন‍্যায়, অবিচারের প্রতিবাদ ও গণতন্ত্র রক্ষা করার জন‍্য।’

তিনি বলেন, ‘জাসদ কোনো নেতার দল নয়, জাসদ কর্মীর দল। জন্মের পর এই ৫৩ বছরে কোনো আদর্শিক কারণ ছাড়া শুধুমাত্র ব‍্যক্তিগত কারণে এই দলটি নানা ভাগে ভাগ হয়।

কিন্তু ৫ আগস্টের পর দেশ এক অস্থির সময় পার করছে। ফ‍্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিদায়ের পর যেই সংস্কার হওয়ার কথা ছিল তা হচ্ছে না, বরং দেশ এক অনিশ্চিত ভবিষ‍্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এবং অনেক জায়গায় বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে।’

ফারাহ খান বলেন, ‘তাই আমি মনে করি সময় এসেছে জাসদের সকল গ্রুপের কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হবার। সারা দেশে বিভক্ত জাসদের কর্মীদের একটি প্লাটফর্মে আসতে হবে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা রক্ষায় জাসদের ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। বর্তমানে খণ্ডে খণ্ডে বিভক্তি এক সময়ের শক্তিশালী জাসদকে দুর্বল ও অন্যের ওপর নির্ভরশীল করে তুলেছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জাসদের হারিয়ে যাওয়া গৌরব ফিরিয়ে আনতে হবে এবং ১৯৭২ সালে জাসদের মূলনীতির সাথে এই সময়ের উপযুক্ত নতুন কিছু সংস্কার যোগ করে বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে। পাশাপাশি সিরাজুল আলম খান দাদার ১৪ দফা এবং আরো কী রাজনীতি জাসদ করবে তা জাসদের কর্মীরা সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি আরো বলেন, ‘সারা দেশে জাসদের বিভিন্ন গ্রুপের হাজার হাজার কর্মী জেএসডি (রব), জাসদ (ইনু), বাংলাদেশ জাসদের ব্যানারে রাজনীতি করছে। কিন্তু তৃণমূলসহ নিষ্ক্রীয়রা এটা দেখতে চায় না। তারা ৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত আগের মতো একটি শক্তিশালী দল গঠনে আগ্রহী। তারই অংশ হিসাবে খুলনা বিভাগে আজ মতবিনিময়সভা হলো। একে একে দেশের সকল বিভাগে এ ধরনের মতবিনিময়সভা হবে। ইতিমধ্যে সারা দেশ থেকে সাড়া পাওয়া ‍যাচ্ছে। অচিরেই জাসদের সকল নেতাকর্মীদের একটি জাগরণ সৃষ্টি হবে এবং আবারও জাসদ দেশে একটি শক্তিশালী দল হিসাবে দাঁড়াবে।’

সভায় জাসদের সকল গ্রুপের ঐক‍্যের পক্ষে জেএসডি (রব), জাসদ (ইনু), বাংলাদেশ জাসদের (শরিফ নুরুল আম্বিয়া) নেতাকর্মীরা অংশ নেন। জাসদের ঐক‍্যের পক্ষে এক সময়ের জাসদ নেতা আ ফ ম মহসীন, বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সমস‍্য এ টি এম মহব্বত আলী, ইনু জাসদের গোলাম মোর্তজা, বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস‍্য রফিকুল হক খোকন, ইনু জাসদের আশেক ই এলাহী, জেএসডির যশোরের সভাপতি ফকির শওকত, দিদারুল আলম, জেএসডি খুলনার নেতা স ম রেজাউল, ইদ্রিস আলী, আব্দুল্লাহ বিশ্বাস, এম নিজামউদ্দিন, মোস্তাকুজ্জামান, মো. হাসান, মিরাজ হোসেন, ইমরান হোসেন, আরেফিন সুজন, মেহেদী ইনসান, রিয়াদ আরেফিন সুজন বক্তব্য দেন।

এ ছাড়াও ইউসুফ আলী ভুইয়া, সাংবাদিক আবু হাসান, আবু কাজী, মুনসুর আহমেদ, এম এ সবুর, আব্দুর রাজ্জাক, মন্টুসহ খুলনা বিভাগ থেকে প্রায় দুই শতাধিক জাসদ নেতাকর্মী এ সভায় যোগ দেন।

মন্তব্য

‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সিএনজিচালকদের যৌক্তিক দাবি পূরণ করা হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সিএনজিচালকদের যৌক্তিক দাবি পূরণ করা হবে’
সংগৃহীত ছবি

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে যত্রতত্র সিএনজিচালিত আটোরিকশা পার্কিং না করার অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে চালকদের দেওয়া ১২টি দাবির মধ্যে ১০টি নিয়ে কাজ করবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই নেতা।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটরিয়ামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক দল আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এসব কথা বলেন।

আটোরিকশা চালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের এখানে এসেছি একজন গাড়িচালক হিসেবে।

গত ৬০ বছর ধরে গাড়ি চালাই। এতো বছর ধরে কেউ গাড়ি চালায় কিনা আমার জানা নেই। বিদেশেও গাড়ি চালিয়েছি। এই দেশের গাড়ি চালকদের সুখ-দুঃখ আমার চেয়ে কারও বেশি জানা আছে, আমি বলতে পারবো না।
যদি সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে এ দেশের মানুষ রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দেয়, তাহলে আপনাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ করা হবে। আমি গাড়ি চালকদের গুরুত্ব বুঝতে পারি। গাড়িচালক না থাকলে গাড়ি চলবে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি খুবই কঠিন মানুষ।

আপনারা ভালো কাজ করলে প্রশংসা করি, অযৌক্তিক কাজ করলে সেটা কিন্তু সমর্থন করবো না। আপনাদের ১২টি দাবির মধ্যে ১০টিকেই সমর্থন। আমরা যদি ক্ষমতায় আসি তাহলে, আপনাদের এই দাবি পূরণে কাজ করব।

ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে যত্রতত্র সিএনজি অটোরিকশা পার্কিং করতে পারবেন না। এটা যৌক্তিক নয়।

এতে সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এটা না করার অনুরোধ। আপনাদের ট্রাফিক নিয়ম মানতে হবে। রাস্তায় আপনারা শৃঙ্খলভাবে গাড়ি চালাবেন, মানুষকে সেবা করবেন, বলেন তিনি।

সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের ১২টি দাবির মধ্যে রয়েছে, সিএনজি চালকদের দৈনিক জমা ৯০০ টাকা বাস্তবায়ন, ঢাকায় ৫ হাজার ও চট্টগ্রাম শহরে ৪ হাজারসহ আরও ২০ হাজার গাড়ির অনুমোদন, সিএনজি অটো অটোরিকশার জন্য সারা দেশের হাইওয়ে খুলে দেওয়া, সিএনজি অটোরিকশার জন্য নীতিমালা তৈরি, রিকুইজিশনে খাটানো সিএনজি চালকদের পারিশ্রমিক দেওয়া ও ফ্রি চিকিৎসা, দৈনিক জমা ও ভাড়া পুনঃনির্ধারণ কমিটি থেকে দালাল শ্রমিক নেতাদের বাদ দিয়ে কমিটি করা, গণতান্ত্রিক শ্রমআইন করা, ঢাকা মহানগরীতে অবৈধ সিএনজি অটোরিকশা উচ্ছেদ, কথায়-কথায় সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে মামলা না দেওয়া, ঢাকায় চালকদের আবাসনের ব্যবস্থা, সারা দেশের সকল বিআরটিএ থেকে চালকদের সহজ শর্তে ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে হবে ও পুলিশ ভেরিফিকেশন বাদ দেওয়া।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাড. মজিবুর রহমান সরোয়ার, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, জাতীয়তাবাদী সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিক দলের সভাপতি রুহুল আমীন মুন্সি, সিনিয়র সহ সভাপতি আলতাফ হোসেন সরদার প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘সরকার অকার্যকর হলে জাতীয় নির্বাচন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘সরকার অকার্যকর হলে জাতীয় নির্বাচন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে’
সংগৃহীত ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার অকার্যকর হলে জাতীয় নির্বাচন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, আমরা সরকারকে ব্যর্থ ও অকার্যকর দেখতে চাই না। রাজনৈতিক দল ও জনগণের নজিরবিহীন সমর্থনের পরও সরকার ব্যর্থ হলে জনগণ তাদেরকেও ক্ষমা করবে না।

আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমাবনতিতে জনগণের মধ্যে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি  হয়েছে। জানমালের নিরাপত্তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বড় দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।

রাজনৈতিক ঐকমত্য বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ঘোষণা করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলে, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে দ্রুত সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। তবে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের চিন্তা হটকারী ও ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেওয়ার সামিল।

তিনি আরো বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্ট চলাকালে অপরাধ ও খুন রাহাজানির বিস্তার কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।

টাঙ্গাইল জেলার নেতা সাইফুর রেজা মামুনের সভাপতিত্বে প্রতিনিধি সভায় আরো বক্তৃতা করেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান ও আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য শহীদুজ্জামান লাল মিয়া, পার্টির জেলা সংগঠক মাহমুদুল হাসান পিপলু, সুমন খান মাহবুব, আওয়াল মাহমুদ, কেশব চন্দ্র সুকুমারসহ প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ