ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

ঢাকা, মঙ্গলবার ১৮ মার্চ ২০২৫
৩ চৈত্র ১৪৩১, ১৭ রমজান ১৪৪৬

ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চায় বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চায় বিএনপি
বিএনপির লোগো

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে প্রমাণিত হয়েছে, শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট। তার নির্দেশেই গণহত্যা হয়েছে। শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট হওয়ায় ভারত সরকার অবিলম্বে তাকে বাংলাদেশের কাছে ফেরত দেবে এবং তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে— এমন প্রত্যাশা করে বিএনপি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তিনি বিএনপির পক্ষ থেকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ কমিটিকে ধন্যবাদ ও প্রতিবদনকে স্বাগত জানিয়েছেন। 

মির্জা ফখরুল বলেন, তারা সঠিকভাবে বলেছেন, একজন ব্যক্তি, বিশেষ করে ফ্যাসিস্ট হাসিনার নির্দেশেই সব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। যে গণহত্যা হয়েছে তার নির্দেশে হয়েছে এবং যত মানবাধিকার লঙ্ঘন, যা কিছু হয়েছে সব তার নির্দেশে এখানে হয়েছে। তার নির্দেশেই গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেওয়া, ইনস্টিটিউশগুলোকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এটা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে হাসিনা একজন ফ্যাসিস্ট এবং তিনি এ দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার করেছেন, নির্যাতন করেছেন, হত্যা করেছেন। এখান থেকে আমরা বলছি, ভারত সরকার তাকে (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশ সরকারের হাতে ফেরত দেবে এবং তাকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ায় বিএনপি স্বস্তি প্রকাশ করছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, যখন আমরা রাজনৈতিক দলগুলো বলি তখন অনেকেই বিশ্বাস করতে চায় না।

যা-ই হোক আমি জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ যে টিম এসেছিল তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ের অনুসন্ধানী দল। বুধবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ফলকার টুর্ক ও অন্যরা।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যানের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার আজকে এখানে এসেছিলেন। এটা পূর্বনির্ধারিত ছিল। আজকে আবার কাকতালীয়ভাবে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করবেন। কিছুক্ষণ পরেই এই মিটিং হবে।

বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে বিএনপির মহাসচিব যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, গুম হওয়া, হত্যা করা— এটা শুধু পার্টিকুলার কোনো দল নয়, এখানে (আয়নাঘরে) বাংলাদেশের মানুষকে গুম করা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করা হয়েছে নির্মমভাবে। এই কথাগুলো আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি। যখন আয়নাঘরের রিপোর্টটা বেরোয় আলজাজিরায়- আপনাদের নিশ্চয়ই মনে আছে। তখন কিন্তু এটা সরকার পুরোপুরি ডিনাই করেছে। তারা বলেছে যে এ ধরনের কিছু নেই। কিন্তু প্রথম থেকেই এই কাজগুলো হচ্ছিল।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ওয়াসায় ১৫০ জনের নিয়োগ নিয়ে যা বলল ‘আমজনতার দল’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ওয়াসায় ১৫০ জনের নিয়োগ নিয়ে যা বলল ‘আমজনতার দল’
ছবি ভিডিও থেকে নেওয়া

ওয়াসায় দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫০ জনকে নিয়োগ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে আমজনতার দল।

আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান আমজনতার দলের সদস্যসচিব মো. তারেক রহমান।

তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ওপর এত বড় আঘাত এর আগে কেউ করেনি। বিধিবহির্ভূতভাবে ১৫০ জনকে নিয়োগ দিয়েছে আমাদের ছাত্র উপদেষ্টা এবং সমন্বয়করা।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার পিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে দিয়ে এই নিয়োগের সিংহভাগ সুপারিশের মাধ্যমে দিয়েছেন। আরেক উপদেষ্টা নাহিদও ওয়াসায় সুপারিশ করে নিয়োগ দিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘নাম রয়েছে নুসরাত তাবাসসুমের, তৌহিদের, নাজমুলের। স্বচ্ছ ও ন্যায়সঙ্গত পদ্ধতিতে নিয়োগ না দিয়ে স্বজনপ্রীতি, ঘুষ এবং অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে এই নিয়োগ সম্পন্ন করেছে উপদেষ্টা ও সমন্বয়করা।

কোটার বিরুদ্ধে লড়াই করে এভাবে নিয়োগ প্রত্যাশা করি না।’

সংবাদ সম্মেলন চলাকালে তিনি বলেন, ‘ছাত্র উপদেষ্টাদের এমন নিয়োগ জালিয়াতি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পাশাপাশি নৈতিকতা পরিপন্থী। এই নিয়োগ জালিয়াতিতে জড়িত থাকায় আসিফ মাহমুদ ও তার পিএসকে বহিষ্কার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। নাহিদ ইসলামের বিরুদ্ধে দুদক কর্তৃক তদন্ত করতে হবে।

তারেক বলেন, ‘সচিবালয় ও সরকারি অফিস থেকে ছাত্র প্রতিনিধি নামে কর্তৃত্ববাদী সমন্বয়কদের অপসারণ করতে হবে। সবিচদের দুই পাশে আমরা যে শিশুসচিব দেখি তাদের সরাতে হবে। মংলা বন্দর শ্রমিক সংঘের প্রধান উপদেষ্টার পদ হতে হান্নান মাসুদ ও অন্যান্য সমন্বয়কদের অপসারণ করতে হবে।’ ব্যবস্থা না নিলে আমজনতার দল দুর্বার আন্দোলনে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হলে আলেম সমাজকে নিয়ে ভাবতে হবে : এম বাহাউদ্দীন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে হলে আলেম সমাজকে নিয়ে ভাবতে হবে : এম বাহাউদ্দীন
ছবি: কালের কণ্ঠ

‘বাংলাদেশে ৯২ শতাংশ মুসলিম। বাংলাদেশের আলেম সমাজ শৃঙ্খলা মেনে চলে। যারা রাষ্ট্র ক্ষমতা যাওয়ার জন্য চিন্তা করছেন, তাদের আলেম সমাজকে নিয়ে ভাবতে হবে।’

আজ সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীর গাউসুল আজম কমপ্লেক্সে মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের পেশাজীবী অরাজনৈতিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সংগঠনের সভাপতি এ এম এম বাহাউদ্দীন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আলেমদের অভিলাষ নেই। আলেম সমাজকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ভাবতে হবে। যে নেতৃত্ব দিতে চায় তার সবার সমর্থন দরকার।’

তিনি আরো বলেন, ‘দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করতে হবে।

নাহিদ ও সারজিস সবাই মাদরাসার ছাত্র। তাদের মধ্যে জ্ঞানের ভাণ্ডার লুকিয়ে আছে। অনেকেই এই (মাদরাসার) পরিচয় দিতে চান না। তাদের এই জ্ঞানকে কাজে লাগাতে হবে।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফরম হিসাবে কাজ করবে।’

আরো পড়ুন
সাকিবের সঙ্গে নিজের তুলনা করতে চান না হামজা

সাকিবের সঙ্গে নিজের তুলনা করতে চান না হামজা

 

এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের সমাজে শৃঙ্খলা ভেঙে গেছে। এমন কোনো অপরাধ নেই, যা বর্তমান বিশ্বে সংঘটিত হচ্ছে না। বিশ্বের অনেক সম্পদশালী রাষ্ট্র কিন্তু সমাজটাকে ঠিক করতে না পারার কারণে তারা আজ অনেক পিছিয়ে। বাংলাদেশের সৌভাগ্য বাংলাদেশে আলেম সমাজ খুবই সুশৃঙ্খল।

বাংলাদেশের আলেম সমাজ অত্যন্ত সংগঠিত।’

জমিয়াতুল মোদার্রেছীন আয়োজিত ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, জামায়াতে ইসলামির সহকারী মহাসচিব মাওলানা আব্দুল হালিম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা মোশাররফ হোসেন, সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা খলীলুর রহমান মাদানী, তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা জয়নুল আবেদীন, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু জাফর খান, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের  মহাসচিব মাওলানা সাব্বির আহমদ মমতাজী, সিনিয়র সহ-সভাপতি কবি মাওলানা রুহুল আমীন, জমিয়তে হিযবুল্লাহ’র নাজেমে আ’লা ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শরাফত আলী, ছাত্রদলের সহসভাপতি ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।

ইফতার মাহফিলে দোয়া পরিচালনা করেন- ছারছীনা দরবার শরীফের পীরসাহেব মাওলানা শাহ আবু নছর নেছার উদ্দীন আহমদ হুসাইন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

জনগণ মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার আগেই নির্বাচন দিন : দুলু

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
শেয়ার
জনগণ মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার আগেই নির্বাচন দিন : দুলু
ছবি : কালের কণ্ঠ

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘জনগণ মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার আগেই নির্বাচন দিন। সংস্কারের মুলা ঝুলিয়ে নির্বাচন বিলম্বিত করার কোনো সুযোগ নেই।’

সোমবার বিকেলে নাটোরের খাজুরা ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘দেশ চরম সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

কেউ কারো কথা শুনছে না, মানছে না। দেশকে একটা নিয়মের মধ্যে আনতে সবার আগে দরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দেশের মানুষকে বোকা ভাবলে চলবে না। দেশের মানুষ সব বোঝে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার মধ্যেই রাষ্ট্রের সব সংস্কারের উল্লেখ রয়েছে। আলাদা করে আর কোনো সংস্কার প্রয়োজন নেই।’  

আরো পড়ুন
চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল-ছাত্রদলের ৪ নেতাকে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ

চাঁদাবাজির অভিযোগে যুবদল-ছাত্রদলের ৪ নেতাকে গণপিটুনির পর পুলিশে সোপর্দ

 

দুলু বলেন, ‘দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, রাষ্ট্র সংস্কার হবে, সরকারি অফিস-আদালতে ঘুষ দূর্নীতি কমবে। কিন্তু হয়েছে তার উল্টো, দেশে ঘুষ-দুর্নীতি কমেনি।

বরং বেড়েছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতি হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের কথা বলে অযথা সময় নষ্ট করছে, দেশের মানুষের জীবন মান রক্ষার জন্য দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে।’

দুলু আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ তাদের দোসরদের সব ষড়যন্ত্র সর্ম্পকে দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ তাদের দোসররা যে জুলুম-দুঃশাসন চালিয়েছে তা ভুলে গেলে চলবে না।

খাজুরা ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে আরো বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, জিল্লুর রহমান খান চৌধুরী ওরফে বাবুল চৌধুরী, সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু ও সদর থানা বিএনপির সভাপতি অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন তুষার।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ষড়যন্ত্র রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : নজরুল ইসলাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ষড়যন্ত্র রুখতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে : নজরুল ইসলাম খান
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও শ্রমিক নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। এক দফা দাবি ছিল ফ্যাসিবাদের পতন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। একটা অর্জন হয়েছে, ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।

এ ব্যাপারে যেকোনো ষড়যন্ত্র, প্রচেষ্টা রুখে দেওয়ার জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’ 

সোমবার (১৭ মার্চ) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলের সামনে খোলা মাঠে আয়োজিত ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা একটা পরিবর্তন অর্জন করেছি। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মালিকানা নিয়ে একটি বিশেষ দলের অপচেষ্টা ছিল।

যা আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আজকেও একটা অপচেষ্টা দেখছি আমরা। বছরের পর বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করতে করতে, একটা পর্যায়ে এসে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা একটা পরিবর্তন অর্জন করেছি। লড়াইয়ের শেষ পর্যায়ে এসে এ দেশের ছাত্র-জনতা যে অবদান রেখেছে, তা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে আমরা স্মরণ করি।
এই অর্জন সারা দেশের মানুষের। এই অর্জন সারা দেশের ছাত্র, জনতা, শ্রমিক সবার।’

একই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ১৭ বছর ধরে লড়াই করেছি গণতন্ত্রের জন্য। যে দেশে ভোটাধিকার নেই, সে দেশে গণতন্ত্র আছে, তা বলা যায় না। আমাদের মূল লড়াই ছিল ভোটাধিকারের লড়াই।

আমরা ১৭ বছর ধরে ভোট দিতে পারিনি। এখন আমাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চাই। আমাদের আন্দোলনের ফসল আপনারা (সরকার)। যদি আপনারা মানুষের গণতান্ত্রিক ভোটাধিকার হরণ করতে চান, বাংলাদেশের মানুষ ঘরে বসে থাকবে না। স্বাধীনতার পরের সরকারকে এ দেশের মানুষ সর্বোচ্চ সাপোর্ট দিয়েছিল, কিন্তু আবার ইন্না লিল্লাহিও পড়েনি। সেই শিক্ষাটা আপনারা গ্রহণ করবেন।’

আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারসহ ড্যাবের নেতা ও সারা দেশ থেকে আসা সংগঠনের সদস্যরা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ