ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার জীবনের একটি অংশ : কায়কোবাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার জীবনের একটি অংশ : কায়কোবাদ
ছবি : কালের কণ্ঠ

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার জীবনের একটি অংশ’ মন্তব্য করে বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন (কায়কোবাদ) বলেন, ‘১৯৮৬ সালে যখন প্রথমবার সংসদ নির্বাচন করি এই পবিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমার বন্ধুকে নিয়ে মিটিং করেছিলাম। এখান থেকে শুরু হয়েছিল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রস্তুতি। আমাকে সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভাইয়েরা যেভাবে সাহায্য করেছিল আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’ 

শনিবার বিকেলে ঢাকায় অবস্থানরত মুরাদনগর উপজেলার সব ছাত্র/ছাত্রীদের সংগঠন ঢাকাস্থ মুরাদনগর ছাত্র কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে যখন দেশ থেকে বেরিয়ে গেলাম স্বৈরাচার সরকারের মামলা মাথায় নিয়ে সেদিন এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রদ্ধেয় শিক্ষকমণ্ডলী সংবাদ সম্মেলন করে সেই স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চস্বরে আমার জন্য কত কথাই না বলেছিলেন, আমার মুক্তির জন্য।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিগত সরকারের সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি : তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিগত সরকারের সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি : তারেক রহমান
তারেক রহমান। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বিএনপির যে রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে, তার পাশাপাশি আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে বিগত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ও জুলাই-আগস্ট মাসে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে, হত্যার শিকার হয়েছে, তার বিচার করা।’

আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

বিগত সময়ে হওয়া গুম-খুনের বিচারে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করবে বলেও এ সময় আশা প্রকাশ করেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেন, দেশে আগামী দিনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের পছন্দের সরকার গঠন করবে। বিএনপি যদি সরকার গঠন করে তাহলে বিগত সরকারের সময়ে হওয়া সব হত্যার বিচার করা হবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত সময়ে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের ত্যাগে আজকের মুক্ত বাংলাদেশ। আমরা যাদের হারিয়েছি, তাদের হারানোর মূল কারণ এ দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, অর্থনৈতিক অধিকারকেও প্রতিষ্ঠিত করা।

এককথায় মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’

তিনি আরো বলেন, ‘একটি কথা আমি এত দিন বলিনি, আজকে বলছি, আজকে এখানে যারা রয়েছেন, আমি এবং আমার ছোট ভাই, যাকে আমরা হারিয়েছি আমরা তাদেরই সদস্য। আমি ও আমার ভাই গুমের শিকার হওয়াদের অংশ।’

তারেক রহমান বলেন, ‘হুম্মাম (হুম্মাম কাদের চৌধুরী) কিছুদিন আগে আমাকে বলেছেন, আমাকে যে রুমে রাখা হয়েছে, তাকেও একই রুমে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিচার না হলে দেশে আবারও অন্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ শহীদ পরিবারগুলোকে হতাশ না হয়ে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘আমি সরকারকে অনুরোধ করব, বিগত ১৫-১৬ বছরে যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, আর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুটি পক্ষ তৈরি করবেন না।’

আরো পড়ুন
বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

 

অনুষ্ঠানে বিগত সরকারের সময় গুম-খুনের শিকার এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। এ সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষ থেকে তাঁদের ঈদ উপহার এবং কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবারের কোষাধ্যক্ষ এ কে এম হাবিবুর রহমান মিল্লাতসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য

‘দ্রুত নির্বাচন দিন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার’

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
শেয়ার
‘দ্রুত নির্বাচন দিন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার’
ছবি: কালের কণ্ঠ

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিন। প্রয়োজনীয় সকল সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। দেশে আইনের শাসন বাস্তবায়ন না হলে স্থিতিশীলতা আসবে না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনোভাবেই স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।

রবিবার বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়ায় আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।

দুলু বলেন, ‘দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, রাষ্ট্র সংস্কার হবে, সরকারি অফিস আদালতে ঘুষ দূর্নীতি কমবে কিন্তু হয়েছে তার উলটো। দেশে ঘুষ দূর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে। অন্তবর্তী সরকার এখানো রাষ্ট্রের দৃশ্যমান কোনো সংস্কার করতে পারেনি।

তাই দেশের প্রয়োজনীয় সকল সংস্কার দ্রুত করার জন্যই দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরী।’

তিনি বলেন, ‘দেশের আইনশৃংখলা পরিস্থিতি মারাত্বকভাবে অবনতি হয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকার সংস্কারের কথা বলে অযথা সময় নষ্ট করছে, দেশের মানুষের জীবন মান রক্ষার জন্য দ্রুত নির্বাচন দেওয়া জরুরী।’ 

দুলু আরো বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দেশে বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর পর থেকে তাদের নেতাকর্মীদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। যে কোনো ভাবেই হোক তারা বাংলাদেশের বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে নানা ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। তারা যে কোনো মূল্যে দেশে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করে এ সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করে সুবিধা নিতে চায়। আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের সকল ষড়যন্ত্র সর্ম্পকে দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। তাদের ১৬বছরের জুলুম দুঃশাসন ভুলে গেলে চলবে না।

আরো পড়ুন
বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

 

দিঘাপাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে মাহফিলে আরো বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন তুষার। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল
ছবি : কালের কণ্ঠ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যেটা লক্ষ করেছি, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে; নির্বাচন যত দেরি হবে, তত বেশি আবার বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করার জন্য বিরুদ্ধ শক্তি, ফ্যাসিস্ট শক্তি আবার মাথাচাড়া দিতে শুরু করে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু তারা নয়, একই সঙ্গে যারা জঙ্গি ও উগ্র মনোভাব পোষণ করে থাকে, তারাও এই সুযোগগুলো নেওয়ার চেষ্টা করবে।’

আজ রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটরিয়ামে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ইফতার অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন যেটা চাইছি, অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চাইছি যে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমরা সবাই মিলে দায়িত্ব দিয়েছি; তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যেসব সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারগুলো করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিকে যাবেন।’

সংস্কার নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এটুকু বলতে পারি, আমরা সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ৩১ দফা অনেক আগে দিয়েছি, যখন এই সংস্কারের কথা কেউ ভাবেইনি। সেই সংস্কারগুলোর সঙ্গে আজকের যে প্রস্তাব উঠে আসছে, সেখানে খুব বেশি পার্থক্য দেখছি না।

সে জন্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত। নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে, দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ভয়াবহ দানবীয় পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজকে সেখানে আমাদের একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

কিন্তু আমরা পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা বিচলিত হয়ে পড়ি যে আবার সেই হত্যা, খুন, জখম, ধর্ষণ। এগুলো এমন একটা জায়গায় চলে যাচ্ছে যা আমাদের সব পীড়িত করছে। অন্যদিকে আমরা দেখছি যে ইয়াং জেনারেশন, আমাদের ছাত্ররা অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। আবার দেখছি যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে, অর্গানাইজেশনগুলো আছে, তাদের কর্মীরা দাবিদাওয়া নিয়ে মাঠে নেমে আসছে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সাংবাদিক নেতা কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খান প্রমুখ।

মন্তব্য

ইসলাম নিপীড়িত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে : আতাউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ইসলাম নিপীড়িত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে : আতাউর রহমান
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দিচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ‘ইসলাম এই জাতীর রক্ষাকবজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্ল মার্ক্স, লেনিনবাদ চর্চা হলে ইসলাম কেন চর্চা হতে পারবে না? ইসলাম নিয়ে ভুল আতঙ্ক তৈরি করা হয়। বরং ইসলামই নিপীড়িত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে।’ 

রবিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাজী আতাউর রহমান বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এতটাই নির্মম ছিল, যে তাদের দেশ ছাড়তে হয়েছে। বাংলাদেশের অতীতের সব সরকারই বৈষম্য ও নিপীড়ন চালিয়েছে। পদ্ধতিগতভাবে স্বৈরতন্ত্র লালন করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর পরিবর্তন চায়।

আরো পড়ুন
নন্দ গোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডারকে জরিমানা

নন্দ গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে জরিমানা

 

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এই নেতা বলেন, ‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষার মান যত উন্নত, দেশ তত উন্নত হয়। মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রাখার কথা। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও জিডিপির বৃহৎ অংশ শিক্ষা খাতে খরচ করে মানবসম্পদ উন্নয়ন করছে।

কিন্তু আমাদের বিগত সরকারগুলো গড়ে ২ শতাংশের মতো বরাদ্দ রাখে। এর মধ্যে শিক্ষা খাতের অবকাঠামো উন্নয়নও অন্তর্ভুক্ত থাকে। ফলে গবেষণা ও জ্ঞান তৈরিতে তেমন কোনো বিনিয়োগ থাকে না বললেই চলে। যার ফলে আন্তর্জাতিক দক্ষতাভিত্তিক কর্মবাজারে আমরা পিছিয়ে পড়ছি।’ 

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সামগ্রিক শিক্ষার মান ক্রমান্বয়ে অবনতি হচ্ছে।

দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসন ও খাবারের মান নিয়ে কথা বলতে গেলে আক্ষেপ করতে হয়। এই রাষ্ট্র কত কিছু করে কিন্তু দেশের সেরা মেধাবী সন্তানদের জন্য উন্নত আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই দক্ষতা ও নৈতিকতাকে ভিত্তি ধরে অবকাঠামো, গবেষণা ও শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে সামগ্রিক সংস্কার প্রয়োজন।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ ইয়াসিন আরাফাতের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুব নাহিয়ান ও বিশ্ববিদ্যালয় উইংয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমীন মুহাম্মাদ বাবুল প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ