জাতীয় নির্বাচন বিলম্ব করতে ষড়যন্ত্র চলছে : খন্দকার মোশাররফ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জাতীয় নির্বাচন বিলম্ব করতে ষড়যন্ত্র চলছে : খন্দকার মোশাররফ
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘জনগণ ১৬ বছর ধরে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু যাতে নির্বাচন বিলম্বে হয়, এ জন্য নানা রকম ষড়যন্ত্র চলছে। যেমন কেউ কেউ উছিলা দেখাচ্ছেন, সংস্কার করে তারপর নির্বাচন হবে।’

তিনি বলেন, ‘সংস্কার চলমান পদ্ধতি, কোনো সরকারের একার পক্ষে বা সীমিত সময়ের মধ্যে সংস্কার শেষ করা সম্ভব হয় না।

বর্তমানে সরকার প্রায় ৮ মাস হয়ে গেল, কিন্তু তারা সংস্কারের স্পষ্ট কোনো কিছু দিতে পারেনি।’

আজ শনিবার রাজধানীর মতিঝিলের হোটেল পূর্বাণীতে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি বিটের সাংবাদিকদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।

মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা যখন শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা ঠিক সেই সময় আমরা দেখছি, যারা পতিত স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার তারা বিদেশে গিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র করছে।

দেশে নানা রকমের অশান্তি সৃষ্টি করছে। যেটা খুব অস্বাভাবিক কিছু নয়।’

তিনি বলেন, ‘তারা পতিত সরকার এসব চেষ্টা করবে। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, এই সরকার যারা জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল হিসেবে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এই সরকার জনগণকে আশ্বস্ত করেছিল যে জনগণের অধিকার তারা প্রতিষ্ঠা করবে। জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে আমরা বুঝি।’

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে বিগত শেখ হাসিনার সরকার ১৫ বছরে সব কিছু ধ্বংস করে গেছে। সেগুলো সংস্কার মেরামতের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব জনগণকে ভোটের সুযোগ করে দেওয়া, যাতে তারা ভোটের মাধ্যমে তারা তাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

‘অতএব জনগণের জন্য আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে নির্বাচনের দিন তারিখ ঠিক করে ঘোষণা করা হোক। রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক। যখন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে, তখন জনগণ নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে। তখন পতিত সরকার কোনো ষড়যন্ত্র করলে তা জনগণই মোকাবেলা করবে। সেই সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি’, যোগ করেন তিনি।

একই অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেন, ‘সংস্কারের দীর্ঘমেয়াদি বা স্বল্পমেয়াদের কোনো বিষয় নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আজ যে সংস্কার হচ্ছে সেটি পরবর্তীতে আবার সংস্কার হতে পারে। যে জন্য সংস্কার দীর্ঘমেয়াদের কথা বলে যারা, তারা নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণ করছেন। সেটি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের এবং গণতন্ত্রকামী দলগুলোর যে সমর্থন রয়েছে সেটি সরকারকেই যথাযথভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে উপদেষ্টারা নির্বাচনের দিনক্ষণ ভিন্ন ভিন্ন রকম কথা বলছেন। যেকারণে বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে। জনমনে এ বিষয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হচ্ছে।’

রিজভী সাংবাদিকদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শামনামলে সাংবাদিকদের তৎপরতার কারণে অনেক নেতাকর্মী জীবনে বেঁচে ফিরেছেন। অনেকে গুমের হাত থেকে বেচে এসেছেন। কারণ, যখন সংবাদ প্রকাশ হয়ে যায়, তখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আর গুম করতে পানেনি। এমনও সময় গেছে, রাত ২-৩ টার সময় আমরা সাংবাদিকদের ডেকেছি, তারা এসেছেন। আমাদের সংবাদ প্রচার করেছেন।’

যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্মৎ মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি আবু আফসান মো ইয়াহিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শ্যামল মালুম, সহ সভাপতি তৌহিদুর রহমান আউয়াল প্রমুখ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিগত সরকারের সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি : তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিগত সরকারের সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি : তারেক রহমান
তারেক রহমান। ফাইল ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘বিএনপির যে রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে, তার পাশাপাশি আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে বিগত স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ও জুলাই-আগস্ট মাসে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে, হত্যার শিকার হয়েছে, তার বিচার করা।’

আজ রবিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলনে গুম ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

বিগত সময়ে হওয়া গুম-খুনের বিচারে বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল বিএনপির সঙ্গে একমত পোষণ করবে বলেও এ সময় আশা প্রকাশ করেন তারেক রহমান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেন, দেশে আগামী দিনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, ‘ওই নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের পছন্দের সরকার গঠন করবে। বিএনপি যদি সরকার গঠন করে তাহলে বিগত সরকারের সময়ে হওয়া সব হত্যার বিচার করা হবে।’

তারেক রহমান বলেন, ‘বিগত সময়ে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের ত্যাগে আজকের মুক্ত বাংলাদেশ। আমরা যাদের হারিয়েছি, তাদের হারানোর মূল কারণ এ দেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা, অর্থনৈতিক অধিকারকেও প্রতিষ্ঠিত করা।

এককথায় মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।’

তিনি আরো বলেন, ‘একটি কথা আমি এত দিন বলিনি, আজকে বলছি, আজকে এখানে যারা রয়েছেন, আমি এবং আমার ছোট ভাই, যাকে আমরা হারিয়েছি আমরা তাদেরই সদস্য। আমি ও আমার ভাই গুমের শিকার হওয়াদের অংশ।’

তারেক রহমান বলেন, ‘হুম্মাম (হুম্মাম কাদের চৌধুরী) কিছুদিন আগে আমাকে বলেছেন, আমাকে যে রুমে রাখা হয়েছে, তাকেও একই রুমে রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বিচার না হলে দেশে আবারও অন্যায় প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, বিচারের মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ শহীদ পরিবারগুলোকে হতাশ না হয়ে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘আমি সরকারকে অনুরোধ করব, বিগত ১৫-১৬ বছরে যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, আর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুটি পক্ষ তৈরি করবেন না।’

আরো পড়ুন
বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

 

অনুষ্ঠানে বিগত সরকারের সময় গুম-খুনের শিকার এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য দেন। এ সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর পক্ষ থেকে তাঁদের ঈদ উপহার এবং কয়েকটি পরিবারের সদস্যদের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ‘আমরা বিএনপি পরিবারের কোষাধ্যক্ষ এ কে এম হাবিবুর রহমান মিল্লাতসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

মন্তব্য

‘দ্রুত নির্বাচন দিন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার’

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
শেয়ার
‘দ্রুত নির্বাচন দিন, প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার’
ছবি : কালের কণ্ঠ

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিন। প্রয়োজনীয় সব সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। দেশে আইনের শাসন বাস্তবায়ন না হলে স্থিতিশীলতা আসবে না। নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনোভাবেই স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।

রবিবার বিকেলে নাটোর সদর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়ায় আয়োজিত আলোচনাসভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।

দুলু বলেন, ‘দেশের মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, রাষ্ট্র সংস্কার হবে, সরকারি অফিস-আদালতে ঘুষ-দুর্নীতি কমবে, কিন্তু হয়েছে তার উলটো। দেশে ঘুষ-দুর্নীতি কমেনি বরং বেড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এখানো রাষ্ট্রের দৃশ্যমান কোনো সংস্কার করতে পারেনি।

তাই দেশের প্রয়োজনীয় সব সংস্কার দ্রুত করার জন্যই দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মকভাবে অবনতি হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কারের কথা বলে অযথা সময় নষ্ট করছে, দেশের মানুষের জীবনমান রক্ষার জন্য দ্রুত নির্বাচন দেওয়া জরুরি।’ 

দুলু আরো বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারানোর পর থেকে তাদের নেতাকর্মীদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে। যেকোনোভাবেই হোক তারা বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে নানা ষড়যন্ত্র অব্যহত রেখেছে। তারা যেকোনো মূল্যে দেশে কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করে এ সরকারকে ব্যর্থ প্রমাণ করে সুবিধা নিতে চায়। আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের সব ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। তাদের ১৬ বছরের জুলুম-দুঃশাসন ভুলে গেলে চলবে না।

আরো পড়ুন
বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

 

দিঘাপাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে মাহফিলে আরো বক্তব্য দেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, জেলা যুবদল সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন তুষার।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিএনপি সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : মির্জা ফখরুল
ছবি : কালের কণ্ঠ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা যেটা লক্ষ করেছি, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে; নির্বাচন যত দেরি হবে, তত বেশি আবার বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করার জন্য বিরুদ্ধ শক্তি, ফ্যাসিস্ট শক্তি আবার মাথাচাড়া দিতে শুরু করে দেবে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু তারা নয়, একই সঙ্গে যারা জঙ্গি ও উগ্র মনোভাব পোষণ করে থাকে, তারাও এই সুযোগগুলো নেওয়ার চেষ্টা করবে।’

আজ রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটরিয়ামে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। ইফতার অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখন যেটা চাইছি, অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চাইছি যে এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমরা সবাই মিলে দায়িত্ব দিয়েছি; তিনি অতি অল্প সময়ের মধ্যে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যেসব সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারগুলো করে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিকে যাবেন।’

সংস্কার নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে এটুকু বলতে পারি, আমরা সংস্কারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ৩১ দফা অনেক আগে দিয়েছি, যখন এই সংস্কারের কথা কেউ ভাবেইনি। সেই সংস্কারগুলোর সঙ্গে আজকের যে প্রস্তাব উঠে আসছে, সেখানে খুব বেশি পার্থক্য দেখছি না।

সে জন্য যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত। নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে, দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ভয়াবহ দানবীয় পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজকে সেখানে আমাদের একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

কিন্তু আমরা পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা বিচলিত হয়ে পড়ি যে আবার সেই হত্যা, খুন, জখম, ধর্ষণ। এগুলো এমন একটা জায়গায় চলে যাচ্ছে যা আমাদের সব পীড়িত করছে। অন্যদিকে আমরা দেখছি যে ইয়াং জেনারেশন, আমাদের ছাত্ররা অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। আবার দেখছি যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আছে, অর্গানাইজেশনগুলো আছে, তাদের কর্মীরা দাবিদাওয়া নিয়ে মাঠে নেমে আসছে। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এবি পার্টির সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম, সাংবাদিক নেতা কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খান প্রমুখ।

মন্তব্য

ইসলাম নিপীড়িত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে : আতাউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ইসলাম নিপীড়িত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে : আতাউর রহমান
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজিত ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দিচ্ছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও দলীয় মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেছেন, ‘ইসলাম এই জাতীর রক্ষাকবজ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্ল মার্ক্স, লেনিনবাদ চর্চা হলে ইসলাম কেন চর্চা হতে পারবে না? ইসলাম নিয়ে ভুল আতঙ্ক তৈরি করা হয়। বরং ইসলামই নিপীড়িত মানুষের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করে।’ 

রবিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাজী আতাউর রহমান বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এতটাই নির্মম ছিল, যে তাদের দেশ ছাড়তে হয়েছে। বাংলাদেশের অতীতের সব সরকারই বৈষম্য ও নিপীড়ন চালিয়েছে। পদ্ধতিগতভাবে স্বৈরতন্ত্র লালন করেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর পরিবর্তন চায়।

আরো পড়ুন
নন্দ গোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডারকে জরিমানা

নন্দ গোপাল মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে জরিমানা

 

দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এই নেতা বলেন, ‘শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। শিক্ষার মান যত উন্নত, দেশ তত উন্নত হয়। মানবসম্পদ উন্নয়ন ও দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড হিসেবে জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ রাখার কথা। এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও জিডিপির বৃহৎ অংশ শিক্ষা খাতে খরচ করে মানবসম্পদ উন্নয়ন করছে।

কিন্তু আমাদের বিগত সরকারগুলো গড়ে ২ শতাংশের মতো বরাদ্দ রাখে। এর মধ্যে শিক্ষা খাতের অবকাঠামো উন্নয়নও অন্তর্ভুক্ত থাকে। ফলে গবেষণা ও জ্ঞান তৈরিতে তেমন কোনো বিনিয়োগ থাকে না বললেই চলে। যার ফলে আন্তর্জাতিক দক্ষতাভিত্তিক কর্মবাজারে আমরা পিছিয়ে পড়ছি।’ 

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সামগ্রিক শিক্ষার মান ক্রমান্বয়ে অবনতি হচ্ছে।

দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসন ও খাবারের মান নিয়ে কথা বলতে গেলে আক্ষেপ করতে হয়। এই রাষ্ট্র কত কিছু করে কিন্তু দেশের সেরা মেধাবী সন্তানদের জন্য উন্নত আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই দক্ষতা ও নৈতিকতাকে ভিত্তি ধরে অবকাঠামো, গবেষণা ও শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে সামগ্রিক সংস্কার প্রয়োজন।

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ ইয়াসিন আরাফাতের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ মুহাম্মাদ আলাউদ্দিনের সঞ্চালনায় মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুর রহমান, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুব নাহিয়ান ও বিশ্ববিদ্যালয় উইংয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমীন মুহাম্মাদ বাবুল প্রমুখ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ