ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৪ এপ্রিল ২০২৫
১১ বৈশাখ ১৪৩২, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৬

পহেলা বৈশাখকে কেউ কেউ মোল্লা সংস্কৃতির দিকে নিয়ে যেতে চায় : প্রিন্স

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পহেলা বৈশাখকে কেউ কেউ মোল্লা সংস্কৃতির দিকে নিয়ে যেতে চায় : প্রিন্স
ছবি : কালের কণ্ঠ

পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্যগত সংস্কৃতিকে কেউ কেউ মোল্লা সংস্কৃতির দিকে নিয়ে যেতে চান বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট পৌর শহরের ধান মহালে আয়োজিত বর্ষবরণ উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আরো পড়ুন
ট্রাম্পের ২ উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন বুধবার

ট্রাম্পের ২ উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসছেন বুধবার

 

এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, ‘বাংলাদেশের সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে ৫৬ হাজার বর্গমাইলের ভেতরের মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আচার-ব্যবহার, চলন-বলন, ধর্মীয়, সামাজিক রীতি-নীতি ও বিশ্বাসের ওপর। এটাই আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি।

আমাদের এই ঐতিহ্যগত সংস্কৃতিকে কেউ কেউ বাবু সংস্কৃতি বা মোল্লা সংস্কৃতির দিকে নিয়ে যেতে চান। আবার কেউ কেউ ধর্ম ও সংস্কৃতিকে এক করে দেখতে চান।’

তিনি বলেন, ‘শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে চলবে না; দেখতে হবে ওই দেশের মাটি ও মানুষের রীতি-নীতির ওপর ভিত্তি করে। সংস্কৃতির কোনো অংশ যেন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না করে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

এর আগে বিশিষ্টজন, স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এমরান সালেহ প্রিন্স।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

সাক্ষাৎকার

খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল

    কায়সার কামাল
অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
খালেদা জিয়াকে এক কাপড়ে বের করে দেওয়া হয়েছিল

বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ৪০ বছরের ভিটা থেকে এক কাপড়ে বের হতে হতো না। আর খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে এক কাপড়ে বের করা হয়েছিল বলেই শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সংস্কার নিয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। সংস্কার সংস্কার বলতে বলতে আট মাস কাটিয়ে দিলাম।

বস্তুতপক্ষে এখনো পর্যন্ত সংস্কারের কী ঘটেছে সেটা কিন্তু মানুষ দেখেনি। গতকাল এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কসহ সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি।

প্রশ্ন : আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ কারা?

কায়সার কামাল : সুষ্ঠু নির্বাচনে জনগণ কাকে ভোট দেবে সেটা জনগণের ইচ্ছার বিষয়।

নির্বাচন যখন শুরু হবে তখনই বোঝা যাবে বিএনপির প্রতিপক্ষ কে? বিএনপির রাজনীতি মা, মাটি, মানুষের রাজনীতি। গত ১৬ বছর এই দেশের গণতন্ত্রের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তারেক রহমানসহ অসংখ্য নেতা-কর্মী ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এই ত্যাগকে যদি দেশের মানুষ মূল্যায়ন করে বিএনপি তাদেরকে স্বাগতম জানাবে।

প্রশ্ন : গণ অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের দল এনসিপির কার্যক্রমকে কীভাবে দেখছেন?

কায়সার কামাল : স্বাধীন বাংলাদেশে দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

তিনি বাংলাদেশের বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। সেই দলের একজন কর্মী হিসেবে আমরা যে কোনো দলকেই স্বাগত জানাব- যদি তাদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মানসিকতা থাকে, অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকে। আর তারা কিংস পার্টি কি না সেই সিদ্ধান্ত জনগণই নেবে।

প্রশ্ন : সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে দলগুলো ভিন্ন মত দিয়েছে। কীভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব?

কায়সার কামাল : সংস্কার নিয়ে মানুষের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

সংস্কার সংস্কার বলতে বলতে আট মাস কাটিয়ে দিলাম। বস্তুতপক্ষে এখনো সংস্কারে কী ঘটেছে, তা মানুষ দেখেনি। বাংলাদেশে সংস্কার প্রথা চালু করেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতার পর দেশ যখন একদলীয় দুঃশাসনে ছিল তখন সংস্কারের মাধ্যমেই জনগণ তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল সিপাহি জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে। বিএনপি এই সংস্কারের ধারাটা রক্ষা করতে চায়। বর্তমানে সংস্কারের নামে মুখে মুখে সংস্কার চলছে, কার্যত বাংলাদেশের মানুষ কোনো সংস্কার পাচ্ছে না। প্রকৃত সংস্কার তখনই হবে যখন একটা নির্বাচিত সংসদ থাকবে।

প্রশ্ন : রোডম্যাপ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি মহাসচিব বলেছেন ‘অসন্তুষ্ট’। নির্বাচনি রোডম্যাপ আদায়ে বিএনপি কোন পথে যাচ্ছে?

কায়সার কামাল : গত ১৬ বছর এদেশের সর্বস্তরের জনগণ গণতন্ত্রের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছেন। সর্বশেষ ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে প্রায় দুই হাজার ছাত্র-জনতা তাদের প্রাণের বিনিময়ে এবং হাজার হাজার মানুষের অঙ্গহানির বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের এই ত্যাগের একটাই কারণ ছিল- তারা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ দেখতে চায়। গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হচ্ছে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন। সংবিধানেও আছে, জনগণ সব ক্ষমতার মালিক। জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে তার এই ক্ষমতার প্রতিফলন ঘটায়। বিএনপি সব সময় বলে আসছে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে। আমরা মনে করছি, যৌক্তিক সময় শেষের পথে। এ কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিএনপি মহাসচিবের অসন্তুষ্ট হওয়ার যৌক্তিক কারণ আছে। আগামী সংসদ নির্বাচনকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি, মতবিনিময় করা হচ্ছে। নির্বাচনে কে ক্ষমতায় যাবে তা বিএনপির বিবেচ্য বিষয় নয়। যেই দলই ক্ষমতায় আসুক আমরা তাদের স্বাগতম জানাব।

প্রশ্ন : বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের মামলাগুলো কোন পর্যায়ে?

কায়সার কামাল : বেগম খালেদা জিয়ার নামে এখন আর কোনো মামলা নেই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলাই প্রায় খারিজ হয়ে গেছে, বাকিগুলো বাতিল হয়েছে। একটি মামলা আছে যা ওয়ান ইলেভেনের সময় দায়ের করা হয়। তথাকথিত দুর্নীতি দমন কমিশনের সময়ে। ওই মামলাটা নিম্ন আদালতে পেন্ডিং আছে।

প্রশ্ন : এই মামলাটির কারণেই তারেক রহমান দেশে ফিরছেন না?

কায়সার কামাল : তারেক রহমানের দেশে ফেরার সঙ্গে মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ উনি আইনের শাসনে বিশ্বাসী। আইন আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রচলিত সিআরপিসির প্রতি তিনি শ্রদ্ধাশীল। সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। মামলার বিষয়ে যখন যা আসে তিনি তখন সেটাকে সেভাবে মোকাবিলা করবেন। দেশের আবালবৃদ্ধবনিতা অনেক আগ্রহ নিয়ে তার অপেক্ষা করছেন। যথা সময়েই তিনি দেশে ফিরে আসবেন- ইনশা আল্লাহ।

প্রশ্ন : আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৬০ লাখ মামলা কোন পর্যায়ে?

কায়সার কামাল : দুঃখজনক। এসব মামলা প্রত্যাহারের গতি নেই বললেই চলে। মানুষ এবং রাজনৈতিক কর্মীরা এটিকে ভালোভাবে নিচ্ছে না। দিনে দিনে তারা ফুঁসে উঠছেন।

প্রশ্ন : সরকার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হলে বিএনপির অবস্থান কী হবে?

কায়সার কামাল : বিশ্বাস করি ড. মুহাম্মদ ইউনূস অবশ্যই তার অঙ্গীকার রক্ষা করবেন এবং নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন দেবেন।

প্রশ্ন : জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কটা এখন কেমন?

কায়সার কামাল : আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো সংগঠনের সঙ্গেই বিএনপির দূরত্ব নেই। তারেক রহমান অনেক আগে থেকেই বলে আসছেন আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যেসব রাজনৈতিক দল যুদ্ধ করেছে সবদল নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ হবে। এটি থেকেই প্রমাণ হয় যে, জামায়াতের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক রয়েছে।

প্রশ্ন : ব্যবসা-বাণিজ্য কমছে। নতুন করে বিনিয়োগ আসছে না। করণীয় কী?

কায়সার কামাল : দেশে যখন গণতান্ত্রিক পরিবেশ এবং স্থিতিশীলতা থাকে তখন বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ে। মানুষের একটা আস্থার জায়গা সৃষ্টি হয়। জবাবদিহিতা তৈরি হয়। বর্তমান সরকার জনগণ দ্বারা নির্বাচিত নন। তারা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিয়ে দেশ চালাচ্ছেন। জবাবদিহিতার জায়গাটা তাদের নেই। এজন্যই বিনিয়োগ যেভাবে আশা করা হয়েছিল সেভাবে হচ্ছে না।

প্রশ্ন : সরকারের আট মাসের সফলতা-ব্যর্থতা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

কায়সার কামাল : মানুষ মূল্যায়ন করবে যথাসময়ে।

প্রশ্ন : সরকারের কাছে বিএনপির প্রত্যাশা কী?

কায়সার কামাল : ২০০৮ সালে মানুষ কম-বেশি ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছিল। তারপর কোনো নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যায়নি। মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চায়। বিএনপি জনগণের দল জনগণের প্রতিধ্বনি নিয়েই কথা বলবে।

প্রশ্ন : ৫৪ বছরেও স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হলো না। এর পেছনে অন্তরায় কী?

কায়সার কামাল : এজন্য কাউকে এককভাবে দোষারোপ করা যাবে না। যদি বিচার বিভাগ স্বাধীন থাকত তাহলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চল্লিশ বছরের ভিটা থেকে এক কাপড়ে বের হতে হতো না। আর খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে এক কাপড়ে বের করা হয়েছিল বলেই শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। বিচার বিভাগ অনেকাংশেই এগুলোর জন্য দায়ী। বিচারের নামে অবিচার হয়েছে। বিচারের নামে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ শত সহস্র মানুষকে নির্জন কারাগারে বসবাস করতে হয়েছে। সলিটারি কনফাইনমেন্টে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। এর জন্যও দায়ী বিচার বিভাগ। আমরা সব সময় বলে এসেছি, বিচার বিভাগ স্বাধীন হোক। বর্তমানে বিচার বিভাগের যে সংস্কার চলছে সেখানে আমরা বলেছি, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে বিচার বিভাগ স্বাধীন করা হোক।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

মন্তব্য

‘১৫ বছরে গোল দিতে পারেন নাই, এখন আর চেষ্টা করবেন না’

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
‘১৫ বছরে গোল দিতে পারেন নাই, এখন আর চেষ্টা করবেন না’
সংগৃহীত ছবি

জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোওয়ার তুষার বলেছেন, যারা নব্য আওয়ামী লীগ হওয়ার চেষ্টা করছেন, খুব ভাবছেন মাঠ ফাঁকা। ফাঁকা মাঠে গোল দেব। ১৫ বছরে গোল দিতে পারেন নাই। এখন আর গোল দেওয়ার চেষ্টা করবেন না।

 

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ‘আওয়ামী লীগের বিচার, রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিতে’ মশাল মিছিল আয়োজন করে এনসিপির শাহবাগ জোন। মিছিলে এনসিপির মতিঝিল, রমনা, পল্টন ও শাহবাগ এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা মশাল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আরো পড়ুন
আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রলীগ সম্পাদক আটক

আপত্তিকর অবস্থায় ছাত্রলীগ সম্পাদক আটক

 

মিছিলের পর সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক সরওয়ার তুষার, মাহবুব আলম, যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নুল আবেদীন শিশির, নিজাম উদ্দিন নিজাম, ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক দ্যুতি অরণ্য চৌধুরীসহ, যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ভীম্পালী ডেভিড রাজু প্রমুখ।

নির্বাচনের আগেই আওয়ামী লীগ প্রশ্নের সমাধান করার আহ্বান জানিয়ে সারোয়ার তুষার বলেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করা ছাড়া বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব না। বিচার এবং সংস্কার প্রশ্নে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, নির্বাচনে আগে আওয়ামী লীগের বিচার, শেখ হাসিনার বিচার এগুলোর প্রশ্নে এবং সংস্কার প্রশ্নে আমরা সকল পক্ষকে আন্তরিক দেখতে চাই।

এগুলো হলে আমরা নির্বাচনের পক্ষে খুব ইতিবাচক আছি এবং থাকব। তবে বিচার এবং সংস্কার প্রশ্নে কোনো রকম ছাড় দেওয়া হবে না।

পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কারণে যে গণহত্যার অংশ নিতে বাধ্য হয়েছেন। এটা পাপ মোচনের একটাই রাস্তা, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করুন। সারা দেশ থেকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ঢাকা শহরে এসে জড়ো হচ্ছে, আর যেখানে সেখানে মিছিল করছে - তাদেরকে গ্রেপ্তার করুন।

তাহলে ছাত্রজনতা আপনাদের বুকে টেনে নেবে।

তিনি বলেন, আমরা জাতীয় নাগরিক পার্টি থেকে আমরা রাজপথ দখলে রাখব। ঢাকা মহানগরের প্রত্যেকটা জায়গায় জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে আমরা সবসময় রাজপথে সক্রিয় থাকব। কোন আওয়ামী লীগ আসে আমরা দেখব।

সারোয়ার তুষার আরো বলেন, যারা নব্য আওয়ামী লীগ হওয়ার চেষ্টা করছেন, খুব ভাবছেন মাঠ ফাঁকা। ফাঁকা মাঠে গোল দেব। ১৫ বছরে গোল দিতে পারেন নাই। এখন আর গোল দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। জনগণ কিন্তু খুব শক্ত ডিফেন্স তৈরি করেছে কারচুপি, দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। সুতরাং যারা সন্ত্রাস করতে চাইবেন, মাদক কারবার করবেন, এলাকায় চাঁদাবাজি করতে চাইবেন, ঢাকায় সুশীল হয়ে সভা সেমিনারে মাঠ গরম করবেন আর কর্মীরা নরসিংদী, ঝালকাঠি, শরীয়তপুরে সমস্ত কিছু লুটপাট করে ফাঁকা বানিয়ে দেবে- এটা আর হতে যাচ্ছে না। জনগণ সচেতন হয়েছে।

যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে কোনো আইনের প্রয়োজন নেই। কারণ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শেখ হাসিনার পতন আইন মেনে হয়নি। সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকায় ফ্যাসিস্ট এ দলটিকে নিষিদ্ধ করা সম্ভব।

যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির বলেন, আওয়ামী লীগ নিয়ে সরকার নতজানু আচরণ করছে। আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে। একটি বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কুসুম কুসুম বিরোধিতা করছে। তারেক রহমানকে স্পষ্ট করতে হবে— আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে চান কি না। এ ব্যাপারে কোনো টালবাহানা চলবে না।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
মহিলা জামায়াতের বিবৃতি

নারী কমিশনের প্রতিবেদন সমাজের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
নারী কমিশনের প্রতিবেদন সমাজের প্রত্যাশার সঙ্গে সাংঘর্ষিক
ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়া নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগ। 

বুধবার এক বিবৃতিতে জামায়াতের মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি নূরুন্নিসা সিদ্দিকা বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলিমের দেশে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তার সুপারিশমালায় এমন কিছু গর্হিত বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে, যার মাধ্যমে সামাজিক মূল্যবোধে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে। অপরদিকে এই প্রতিবেদন কুরআন ও হাদীসের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আরো পড়ুন
ইস্তাম্বুলে ৫১টি আফটারশক অনুভূত, আহত ১৫১

ইস্তাম্বুলে ৫১টি আফটারশক অনুভূত, আহত ১৫১

 

তিনি বলেন, এই প্রতিবেদনে নারীর জন্য সবচেয়ে অবমাননাকর বিষয় হলো যৌনকর্মকে পেশা হিসেবে সামাজিক স্বীকৃতি দিতে বলা, একই সাথে অভিন্ন পারিবারিক আইনের মাধ্যমে সব ধর্মের নারীদের জন্য বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণ-পোষণে সমান অধিকার নিশ্চিত করার জন্য অধ্যাদেশ জারি করার জন্য সুপারিশ করা।

এই সুপারিশ সব ধর্মের মতামত ও মূল্যবোধকে উপেক্ষা করেছে, যা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন।

তিনি আরো বলেন, ইসলাম সমঅধিকার নয়, ন্যায্য অধিকারের ঘোষণা দেয়। এই চেতনাই সর্বস্তরের মুসলমানরা ধারণ করে। আল্লাহর আইন কেউ ব্যক্তিগতভাবে না মানতে পারেন, কিন্তু তার কোনো অধিকার নেই এই আইনে হাত দেওয়ার।

বাংলাদেশের ৯ কোটি নারী এই কমিশনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করছি। 

নূরুন্নিসা সিদ্দিকা বলেন, একই সাথে জানাচ্ছি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এই কমিশনে যাদের সদস্য করা হয়েছে তারা সমাজের সকল শ্রেণির নারীদের প্রতিনিধিত্ব করেন না। বিশেষ করে এই কমিশনে প্রকৃত ইসলামের জ্ঞান সম্পন্ন কোনো নারী প্রতিনিধি আমরা দেখতে পাই না।

সুতরাং নারী কমিশনের প্রতিবেদনকে পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানাচ্ছি। সেইসাথে ইসলামের পূর্ণ জ্ঞান সম্পন্ন নারীদের এই কমিশনে অন্তর্ভুক্ত করে প্রতিবেদনটি পুনঃলিখনের আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘একটি দল নির্বাচন নির্বাচন করে আ. লীগকে পুনর্বাসন করে যাচ্ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
‘একটি দল নির্বাচন নির্বাচন করে আ. লীগকে পুনর্বাসন করে যাচ্ছে’
সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে মশাল মিছিল ও সমাবেশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামন থেকে এই মশাল মিছিল করে দলটি। তার আগে সেখানে সমাবেশ করে তারা। মিছিলপূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করার চেষ্টা চলছে।

একটি দল নির্বাচন নির্বাচন করে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে যাচ্ছে।’

আরো পড়ুন
শাজাহান খানের রহস্যময় হাসির কারণ কী

শাজাহান খানের রহস্যময় হাসির কারণ কী

 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভীর সরকারের বৈধতা নিয়ে মন্তব্যের বিষয়ে এনসিপি নেতারা বলেন, ‘সরকারের বৈধতা জুলাইয়ের রক্ত। যেই আইনের মাধ্যমে আপনাদের শত শত মামলা প্রত্যাহার হয়েছে, আপনারা ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন, রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন—সেই আইন এই সরকারের বৈধতা। শুধু একটি নির্বাচনের জন্য মানুষ রক্ত দেয়নি।

তাই আওয়ামী লীগের গণহত্যার বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার যত দিন না হবে, তত দিন জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না।’ এ সময় সরকারকে দ্রুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, শেখ হাসিনার বিচার করার দাবি জানান বক্তারা। 

আরো পড়ুন
শাসকের জুলুম থেকে বাঁচতে যে দোয়া পড়া সুন্নত

শাসকের জুলুম থেকে বাঁচতে যে দোয়া পড়া সুন্নত

 

সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, যুগ্ম সদস্যসচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, নিজাম উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন শিশির, দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক মো. রাকিব হোসেন রাজ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ প্রমুখ।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ