<p style="text-align:justify">খারাপ শেয়ারে বিনিয়োগ করে শাঁখের করাতে আটকে আছে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যেখানে বিনিয়োগ করা হয়েছে তার দাম গিয়ে ঠেকেছে তলানিতে। একদিকে শেয়ারের দরপতন, অন্যদিকে ব্যাংকঋণ ও ক্রমবর্ধমান সুদের বোঝা। এসব শেয়ার থেকে লাভ করা দূরের কথা, লোকসান ঠেকানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।</p> <p style="text-align:justify">নীতিগত জটিলতায় চাইলেও এখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না শেয়ারবাজারকে চাঙ্গা করার জন্য তৈরি এই প্রতিষ্ঠানটি। এসব বিষয়ে কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে কথা বলেছেন আইসিবির নতুন চেয়ারম্যান <strong>অধ্যাপক আবু আহমেদ</strong>। তিনি দেশের একজন পুঁঁজিবাজার বিশেষজ্ঞ। পুঁঁজিবাজারের উন্নয়নে একক ব্যক্তি হিসেবে তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য।</p> <p style="text-align:justify">সম্প্রতি তিনি আইসিবির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. <strong>জয়নাল আবেদীন</strong></p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="এখনো গ্রামে বাল্যবিবাহের শিকার ৯% কিশোরী" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/30/1727665166-e7b32c76ea63a66e2116398d282e6e4c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>এখনো গ্রামে বাল্যবিবাহের শিকার ৯% কিশোরী</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/30/1430409" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>কালের কণ্ঠ</strong> : ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে কালের কণ্ঠ’র পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন। এই অল্পদিনে আইসিবিকে কেমন অবস্থায় দেখছেন?</p> <p style="text-align:justify"><strong>আবু আহমেদ</strong> : আমি এটিকে এনজয় করি। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গায়।</p> <p style="text-align:justify">প্রথমত, তারা প্রায় এক হাজার কোটি টাকা আগেই হারিয়ে ফেলেছে। বিভিন্ন লিজিং কম্পানিতে টাকাগুলো এফডিআর করেছে আইসিবি। সেই টাকা এখন আর ফেরত দিচ্ছে না ওরা। আভিভা, ফাস, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংসহ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকাগুলো এখন আটকে আছে। আরো একটি সমস্যা হলো মার্কেটকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার উৎসাহ বা অনুরোধে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">সরকারি ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণ যোগ করলে মোট ঋণ আরো বেশি। তবে শুধু বেসরকারি ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের সুদের হার এখন প্রায় ১২ শতাংশ। এগুলো এখন বোঝায় পরিণত হয়েছে। কারণ ঋণগুলো ফেরত দিতে হলে শেয়ার থেকে মুনাফা করতে হবে। কিন্তু আইসিবির পোর্টফোলিওতে এখন প্রচুর জাংক শেয়ার চলে এসেছে। এগুলো বিক্রি করে ব্যাংকের ঋণের টাকা ফেরত দেওয়া খুব কঠিন। কারণ ওই সব জাংক শেয়ারের মার্কেট ভ্যালু একেবারেই কমে গেছে। এখানে আরো একটি সমস্যা আছে। ক্রয়মূল্যের চেয়ে কম মূল্যে শেয়ার বিক্রি করলে নাকি অডিট অবজেকশন দেয়। তাই আইসিবি লোকসানে শেয়ার বিক্রি করে না। কিন্তু এসব জাংক শেয়ার কত দিন ধরে রাখবে? আমার মতে, এসব পচা শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে নতুন করে ভালো শেয়ার কেনা উচিত। লোকসানে শেয়ার বিক্রি করাও পোর্টফোলিও ম্যানেজমেন্টের একটি অংশ। সব কিছু মিলিয়ে এখন চলমান আয় থেকে চলমান ব্যয় নির্বাহ করাটাই কঠিন।</p> <p style="text-align:justify">এখন প্রতিষ্ঠানটিকে নতুন করে দাঁড় করাতে হলে নতুনভাবে বিনিয়োগ করতে হবে। ভালো শেয়ার কিনে সেখান থেকে মুনাফা করতে হবে। কিন্তু আইসিবিতে বিনিয়োগ করার মতো উদ্বৃত্ত ফান্ডও নেই। এমনকি কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান আইসিবি থেকে টাকা তুলে নিতে চায়। এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একটি। কয়েক বছর আগে বাজার গতিশীল করার জন্য তারা একটি ফান্ড দিয়েছিল। এখন মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সেটি ফেরত চাচ্ছে।   </p> <p style="text-align:justify">অন্তর্বর্তী সরকার আসার আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ফান্ড আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু সেই আবেদন না করে দেওয়া হয়েছে। তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টি চায়, কিন্তু সে সময় গ্যারান্টি পাওয়া যায়নি। এখন পুঁজিবাজারে গতি ফেরানোর জন্য এবং আইসিবিকে কার্যকর ভূমিকায় নিয়ে আসার জন্য নতুন করে সরকারের কাছে ফান্ডের আবেদন করা যেতে পারে।</p> <p style="text-align:justify">আইসিবির আরো একটি নীতিমালা আছে, যেটি মোটেও ব্যবসা উপযোগী নয়। সেটি হলো কোনো কম্পানির মূলধনের ৫ শতাংশের বেশি শেয়ার কেনা যাবে না। এতে পচা শেয়ার ডুবে যেতে পারে। আমি ভালো শেয়ার বেশি করে কিনে খারাপ শেয়ারের দাম সমন্বয় করতে না পারলে লোকসান সুনিশ্চিত। এখন ৫ শতাংশের শর্ত দিয়ে তারা কেন আইসিবির হাত-পা বেঁধে দিতে গেল, সেটি আমার বুঝে আসে না। আমি এখনো সব কিছু যাচাই-বাছাই করে দেখছি। আমার মতে, এখন অর্থনৈতিক ক্ষতি থেকে এই মুহূর্তে আইসিবির বেরিয়ে আসা খুবই কঠিন। কারণ আমাদের পুঁজিবাজারের অবস্থাও খুব একটা ভালো না। এটি ভালো থাকলে হয়তো বেরিয়ে আসা যেত।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শেয়ারবাজারে লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার ঘরে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/30/1727665124-c22febb739158ebfd895fcb43d8f3d03.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শেয়ারবাজারে লেনদেন ৪০০ কোটি টাকার ঘরে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/stock-market/2024/09/30/1430408" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>কালের কণ্ঠ</strong> : স্টক মার্কেটকে অনেকে ফটকা বাজার বলে, কারবারি বা ডে-ট্রেডারস দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার কারণে বাজারে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিঘ্নিত হয়। এই ফটকা কারবারিদের হাত থেকে বাজার মুক্ত করার ক্ষেত্রে আইসিবি বিশেষ কোনো বিনিয়োগ কার্যক্রম হাতে নেবে কি না?</p> <p style="text-align:justify"><strong>আবু আহমেদ</strong> : ফটকা বাজার—এটি একটি ভুয়া কথা। যারা বোঝে না, তারা বলে। যারা শেয়ারবাজার থেকে সব সময় দূরে থাকে, তারা শেয়ারবাজারকে ফটকা বাজার বলে। ব্যাংকপন্থী কিছু লোক আছে, তারা এসব কথা বলে থাকে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হুন্ডি বন্ধ হলে বছরে রেমিট্যান্স ৫০ বিলিয়ন করা সম্ভব!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/30/1727664343-b977dbf7236550b78fb8c241bf896ed4.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হুন্ডি বন্ধ হলে বছরে রেমিট্যান্স ৫০ বিলিয়ন করা সম্ভব!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/09/30/1430405" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>কালের কণ্ঠ</strong> : দেশের পুঁজিবাজার, বিশেষ করে স্টক মার্কেট কয়েক বছর ধরে স্থবির হয়ে আছে। এই মার্কেটকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে আইসিবির কি বিশেষ কোনো কর্মসূচি আছে? যদি থাকে, তাহলে সেগুলো কী?</p> <p style="text-align:justify"><strong>আবু আহমেদ </strong>: পুঁজিবাজারকে গতিশীল করতে হলে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন। ভালো শেয়ার অন্তর্ভুক্ত করা তার মধ্যে একটি। যেসব মাল্টিন্যাশনাল কম্পানি মার্কেটে আসেনি, তাদের আনতে হবে। দেশে বেশ কিছু মাল্টিন্যাশনাল কম্পানি আছে, যারা বিদেশি শেয়ারবাজারগুলোতে অন্তর্ভুক্ত, কিন্তু আমাদের দেশে লিস্টেড না। পাশাপাশি দেশীয় ভালো কম্পানিগুলোকেও উদ্বুদ্ধ করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">বিদেশি কম্পানিগুলোর মধ্যে নেসলে, মেটলাইফ, ইউনিলিভার—এগুলো এখনো শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, কিন্তু অন্যান্য দেশে তালিকাভুক্ত। বাংলাদেশে তো মাত্র ১০ শতাংশ আপলোড করারও সুযোগ আছে। তার পরও কেন তারা পুঁজিবাজারে আসছে না? এর পাশাপাশি আমি মনে করি, সরকারি শেয়ারগুলো বিক্রি করা উচিত। এগুলো আরো আগেই বিক্রি করা উচিত ছিল। তাহলে তাদের অ্যাসেট ভ্যালু অ্যাক্টিভেটেড হতো। সরকারও লোকসানি ফিন্যান্সের দায় থেকে মুক্তি পেত।</p> <p style="text-align:justify">এখানে আইসিবি ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে পারে, কিন্তু সিদ্ধান্তটি নিতে হবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। কারণ আইসিবি তো নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে শেয়ার বিক্রি করতে পারবে না।</p> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করতে সিস্টেমেটিক প্রণোদনা চালু করা উচিত। আগে যা-ও ছিল, এখন সেগুলো তুলে নেওয়া হয়েছে। আগে যেসব কম্পানি শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ছিল, তাদের ১০ শতাংশ করপোরেট ট্যাক্স কম দিতে হতো। এখন সেটি উঠে গেছে। পুঁজিবাজার থেকে অর্জিত মুনাফার এক লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়সীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। আবার যেসব কম্পানি ২০ শতাংশের বেশি লভ্যাংশ দেয়, সেসব কম্পানি ট্যাক্স রিবেট পেত। সেটিও উঠে গেছে। এগুলো ফেরত দিলে কম্পানিগুলো উৎসাহ পেত।</p> <p style="text-align:justify">আমাদের দেশের ব্যাংকগুলো সব ধরনের বিনিয়োগ করে থাকে, কিন্তু এটি ঠিক না। স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগের জন্য ঠিক থাকলেও দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করাটা মোটেও উচিত নয়। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হওয়া উচিত পুঁজিবাজার থেকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে সেটিই হয়। আজ থেকে ১৫ বছর আগে পুঁজিবাজার যেখানে ছিল, এখন তার থেকে অনেক বেশি দুর্বল হয়েছে। তাই দেশের স্বার্থেই পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করা উচিত।  </p> <p style="text-align:justify">১৫ বছর আগে পুঁজিবাজারের বেশির ভাগ ব্যাংকই ভালো ছিল, যদিও সংখ্যা কম ছিল। তবে ভালো শেয়ার ছিল সেগুলো। এখন ৬০ শতাংশ ব্যাংকের শেয়ারে বিনিয়োগ করার মতো অবস্থা নেই। ৭০ শতাংশ ইনস্যুরেন্স কম্পানিতে বিনিয়োগ করার কোনো মানেই হয় না। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ৯০ শতাংশই খারাপ। মানুষ বিনিয়োগ করবে কোথায়? সুতরাং পুঁজিবাজার গত ১৫ বছরে আরো ছোট হয়েছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রেনু হত্যা মামলার রায় আজ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/30/1727663909-c22febb739158ebfd895fcb43d8f3d03.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রেনু হত্যা মামলার রায় আজ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/09/30/1430403" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>কালের কণ্ঠ</strong> : ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার্থে মিউচুয়াল ফান্ড ভালো ভূমিকা রাখে, যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের ন্যূনতম মুনাফা যেমন লাভ করা যায়, তেমনি ঝুঁকির মাত্রাও যথেষ্ট লাঘব করা সম্ভব হয়। অথচ আমাদের দেশে এই মিউচুয়াল ফান্ডের অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। এর কারণ কী? মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করার মতো প্রডাক্ট আইসিবির আছে কি না এবং থাকলে ভবিষ্যতে আরো বেশি পরিমাণে চালু করার সম্ভাবনা আছে কি না?</p> <p style="text-align:justify"><strong>আবু আহমেদ</strong> : এখানে অনেক মিউচুয়াল ফান্ড আছে, যারা অন্যদের চেয়ে বেশি মুনাফা দেয়। আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাধীনে বর্তমানে ১৫টি বেমেয়াদি এবং ১০টি মেয়াদিসহ মোট ২৫টি মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালিত হচ্ছে। এর মধ্যে আইসিবি এএমসিএল ইউনিট ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল পেনশন হোল্ডারস ইউনিট ফান্ড, বাংলাদেশ ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল কনভার্টেড ফার্স্ট ইউনিট ফান্ড, আইসিবি এএমসিএল ইসলামিক ইউনিট ফান্ড অন্যতম।  </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পলকের যত অনিয়ম-দুর্নীতি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/30/1727663920-8f97a6e8c823ba448e182e0146cbcddf.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পলকের যত অনিয়ম-দুর্নীতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/09/30/1430404" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>কালের কণ্ঠ</strong> : মানুষের আর্থিক সম্পদের সুরক্ষা এবং লাভজনক বিনিয়োগ সুবিধা প্রদানের জন্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা বা ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট খুবই জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি, যেখানে মানুষের বিনিয়োগযোগ্য অর্থের পরিমাণ, তাদের ঝুঁকি গ্রহণের সক্ষমতা, সে অনুযায়ী বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ, সময়মতো মুনাফা ঘরে তোলার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অথচ আমাদের দেশে সম্পদ ব্যবস্থাপনা ধারণাটাই গড়ে ওঠেনি। আইসিবির এ ব্যাপারে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা আছে কি না?</p> <p style="text-align:justify"><strong>আবু আহমেদ </strong>: ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট সাধারণত মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো করে থাকে। এখানে শুধু শেয়ারবাজারের কয়েকটি শেয়ার নিয়ে ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট হবে না। ফরওয়ার্ড সেল, সোনা, রিয়েল স্টেট (আবাসন), ডলার, ক্রিপ্টো কারেন্সি, ওয়েলথ ম্যানেজমেন্টের অংশ। এমন বৈচিত্র্যময় ওয়েলথ ম্যানেজার আমাদের দেশে নেই। তা ছাড়া এখানে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন বাংলাদেশের সোনার বাজার নিয়ন্ত্রিত, ক্রিপ্টো কারেন্সি নিষিদ্ধসহ আরো নানা কারণে ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট সমৃদ্ধ হতে পারেনি।</p> <p style="text-align:justify"><strong>কালের কণ্ঠ :</strong> পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে। সংকট থেকে উত্তরণে আইসিবি কী ভূমিকা রাখতে পারে?</p> <p style="text-align:justify"><strong>আবু আহমেদ</strong> : একসময় পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে আইসিবির যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। সরকারও প্রতিষ্ঠানটিকে অনেক সহায়তা দিয়েছে, কিন্তু এখন আইিসিবির হাত-পা বাঁধা। পুনরায় ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য আইসিবিকে ফান্ড সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানাব। তাহলে প্রতিষ্ঠানটি অত্যধিক সুদের দায় থেকে মুক্তি পাবে এবং নতুন করে ভালো কোনো শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবে। আবার এর মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগও বাড়বে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="উচিতপুরে যাওয়া উচিত" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/30/1727664721-18e2999891374a475d0687ca9f989d83.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>উচিতপুরে যাওয়া উচিত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/miscellaneous/2024/09/30/1430406" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><strong>কালের কণ্ঠ</strong> : আইসিবির বিনিয়োগ সক্ষমতা বাড়াতে আপনার কি কোনো পরিকল্পনা আছে? আইসিবিকে এগিয়ে নিতে আর কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে চাচ্ছেন আপনি?</p> <p style="text-align:justify"><strong>আবু আহমেদ</strong> : আইসিবির সক্ষমতা বাড়াতে নীতিগত সীমাবদ্ধতাগুলো তুলে দেওয়া উচিত। পাশাপাশি ভালো শেয়ার কিনে মুনাফা করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন উদ্বৃত্ত ফান্ড। তাই এখন আমরা চাই সরকার যেন এখানে ফান্ড সহায়তা দেয়। তাহলে আইসিবি আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।</p> <p style="text-align:justify"><strong>কালের কণ্ঠ</strong> : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।</p> <p style="text-align:justify"><strong>আবু আহমেদ</strong> : আপনাকেও ধন্যবাদ।</p>