সবজি-মুরগির বাজারে স্বস্তি, চড়া আলুর দর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সবজি-মুরগির বাজারে স্বস্তি, চড়া আলুর দর

শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ায় বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। মাছের বাজার স্থিতিশীল থাকলেও দাম কমেছে মুরগির। এদিকে সবজির মধ্যে আলু চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলু না আসা পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।

 

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, আলুর দাম গত সপ্তাহের চেয়ে পাঁচ টাকা এবং দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ কেজি টাকা দরে। আলুর এ দাম চলতি বছরের সর্বোচ্চ।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

তার আগের সপ্তাহে আরো পাঁচ টাকা কম ছিল। অর্থাৎ দুই সপ্তাহ আগে আলুর দাম ছিল ৬০ টাকার মধ্যে।

পাইকারি বিক্রেতারা জানান, এখন পাইকারিতেই প্রতি কেজি আলু ৬২-৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা এক সপ্তাহ আগে ৫৮-৬০ টাকা ছিল।

এদিকে গত সপ্তাহের তুলনায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। তবে সিম ও কাঁচা মরিচ কেজিতে ৪০ টাকা কমে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন সবজি কচুরমুখি প্রতি কেজি ৭০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কচুর লতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৮০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ফুলকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি ছোট সাইজের ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা ও জলপাই ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

বাজার ঘুরে আরো দেখা যায়, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনেপাতা কেজিতে ১০০ টাকা কমে ২০০ টাকা, কাঁচা কলা হালি ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা পিস ও মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া লালশাক ১৫ টাকা আঁটি, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৪০ টাকা ও ডাঁটাশাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।  

বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ১২০ টাকা, কাঁচা আদা ১২০ টাকা, পুরান আদা ২৮০ টাকা, রসুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ২৪০ টাকা, নতুন আলু ১২০ টাকা, বগুড়ার আলু ১০০ টাকা ও পুরান আলু ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া এক ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, হাঁসের ডিম ২৩০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে বাজারে কমেছে সব ধরনের মুরগির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ১০ টাকা কমে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি কক মুরগি কেজিতে ৪০ টাকা কমে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫২০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা ও সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এসব বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, গরুর মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, গরুর বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা ও খাসির মাংস এক হাজার ১৫০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৫০০ গ্রামের ইলিশ এক হাজার টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের এক হাজার ৫০০ টাকা, এক কেজি ওজনের এক হাজার ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে প্রতি কেজি শিং মাছ (চাষের) (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৮০ থেকে ৫০০ টাকা, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, মৃগেল ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি, টেংরা এক হাজার ৩০০ টাকা, টেংরা মাছ ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা, পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা, বাইম মাছ এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৪০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা ও কোরাল মাছ ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য

ভরিতে ১০৩৮ টাকা কমল সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ভরিতে ১০৩৮ টাকা কমল সোনার দাম
সংগৃহীত ছবি

দেশের বাজারে কিছুটা কমেছে সোনার দাম। নতুন করে প্রতি ভরিতে ভালো মানের সোনা (২২ ক্যারেট) দাম এক হাজার ৩৮ টাকা কমে এক লাখ ৫০ হাজার ৮৬২ টাকা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার থেকে সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।

শনিবার (৮ মার্চ) রাতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ মূল্য হ্রাসের তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

আরো পড়ুন
এক দিন ‘ম্যানেজ’ করলেই ঈদে ছুটি মিলবে ৯ দিন

এক দিন ‘ম্যানেজ’ করলেই ঈদে ছুটি মিলবে ৯ দিন

 

নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে এক লাখ ৪৪ হাজার ৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ২৩ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ১ হাজার ৬৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৫৭৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ৪৪৯ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি দুই হাজার ১১১ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পোশাক ও বস্ত্র খাতের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় চান মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পোশাক ও বস্ত্র খাতের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় চান মালিকরা
সংগৃহীত ছবি

টেকসই পোশাক ও বস্ত্র খাতের জন্য একটি আলাদা মন্ত্রণালয় চান শিল্প মালিকরা। তারা বলছেন, একক খাত হিসেবে রপ্তানি আয়ের বড় উৎস পোশাক খাত। তবে বৈশ্বিক ও স্থানীয় নানামুখী নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এসব মোকাবেলা করতে দীর্ঘমেয়াদি নীতি দরকার, এ জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় গঠন করা জরুরি।

শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর একটি একটি হোটেলে পোশাক মালিকরা এসব কথা বলেন। বিজিএমইএ নির্বাচনী জোট-ফোরাম সাধারণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা ও ইফতারের আয়োজন করে।

এ সময় ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, বিগত দিনে বিজিএমইএ দলীয় কার্যালয়ে পরিণত হয়, যা দুঃখজনক। হারানো ভাবমূর্তি ফেরাতে হবে।

ব্যবসায়ীরা বলেন, আগামী দিনে যারা বিজিএমইএর নেতৃত্বে দেবেন, তারা যাতে কেবল কার্ড বহনকারী পরিচালক হিসেবে পরিচিতি না পান। তাদের দৃঢ প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। সরকারের সঙ্গে আঁতাত নয়, দেশের স্বার্থে, পোশাক খাতের জন্য নির্দেশনা দিতে হবে। অন্যথায় শিল্প টিকবে না।

এ সময় ফোরাম প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নীতি সহায়তা দরকার পোশাক খাতের জন্য। এই খাত নিয়ে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র চলে সব সময়। শ্রমিক অসন্তোষের নামে নৈরাজ্য তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন সময়। এর পেছনে রাজনীতি জড়িত কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ শ্রমিকরা তাদের রুটি রুজি নষ্ট করতে পারে না।

একই সঙ্গে কাস্টমসের নিরীক্ষা হয়রানি থেকে উদ্যোক্তাদের রেহাই দিতে হবে। আর টেকসই নীতির জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় দরকার।

ফোরাম মহাসচিব রশিদ আহমেদ হোসাইনী বলেন, সংবাদ মাধ্যমে খবর বেরিয়েছে, এরই মধ্যে প্রায় ৭০০ ভুয়া ভোটার শনাক্ত হয়েছে। তাদের ভোটাধিকার বাতিল করা হয়েছে। এটি খুব লজ্জার। আমরা চাইবো, আগামী নির্বাচন, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য হবে। মনে রাখতে হবে, এই খাত ছাড়া বাংলাদেশের অর্থনীতি টিকিয়ে রাখা যাবে না। আর বিজিএমইএ কোন দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করা যাবে না।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা বলেন, ব্যবসা সরকার বোঝে না, সরকারকে বোঝানোর দায়িত্ব আমাদের। যে কোন সমস্যা সমাধানের জন্য সংগঠন হিসেবে বিজিএমইএকে ভূমিকা নিতে হবে। আন্তর্জাতিক ব্যবসার জন্য যেসব সমস্যা তৈরি হচ্ছে, সেগুলো ঠিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না। মালিকরা খুব হতাশাভাবেই কাজ করছে। সমস্যাটা সবার।

আরেক সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী (পারভেজ) বলেন, সংকট পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বিজিএমইএ তে দক্ষ নেতৃত্ব দরকার।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি. ড. রুবানা হক বলেন, বহু বছরের জঞ্জাল থেকে মালিকরা রেহাই চান। নানা কারণে বিজিএমইএ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বিগত দিনে। এবার একটি স্বচ্ছ ভোট হতে হবে ভারমূর্তি ফেরাতে। তাছাড়া নিয়ন্ত্রণ বহিভূর্ত কারণে কোন কারখানা রুগ্ন হতে পারে। কিন্তু কোন মালিক বিপদে পড়লে তার এক্সিট নাই। একটি বিশদ এক্সিট পলিসিটি করতে হবে পোশাক খাতের জন্য। বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে ন্যায্য দর নিয়ে দর কষাকষি বাড়াতে হবে মালিকদের।

ফোরাম সভাপতি আব্দুস সালামসহ মালিকরা পোশাক খাতের চিত্র তুলে ধরেন।

এদিকে, আগামী ২৮ মে বিজিএমইএ নির্বাচন। নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড তফসিল ঘোষণা করেছে। ২৪ এপ্রিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। আর সাধারণ সদস্যদের চাঁদা পরিশোধের শেষ দিন ২৯ মার্চ।

মন্তব্য

ট্রেজারি বন্ড রি-ইস্যুর তারিখ কবে? যা জানা গেল

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ট্রেজারি বন্ড রি-ইস্যুর তারিখ কবে? যা জানা গেল
সংগৃহীত ছবি

পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ট্রেজারি বন্ড বিক্রির জন্য নিলাম (রি-ইস্যু) অনুষ্ঠিত হবে আগামী মঙ্গলবার (১১ মার্চ)। বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ (ডিসিপি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকে মঙ্গলবার পাঁচ বছর মেয়াদি ৪ হাজার কোটি টাকা অভিহিত (লিখিত) মূল্যের বন্ড রি-ইস্যু করা হবে। এ নিলামে ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ১০ দশমিক ৪৭ শতাংশ কুপন হারে ইস্যু করা ৫ বছর মেয়াদি (আইএসআইএন নং বিডি ০৯৩০৩২১০৫৬) ট্রেজারি বন্ড রি-ইস্যু করা হবে।

 

আরো পড়ুন

ঈদগাহ কমিটি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

ঈদগাহ কমিটি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ও গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

 

এ বন্ডের মেয়াদোত্তীর্ণ হবে ২০৩০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। এ ছাড়া ট্রেজারি বন্ডের রি-ইস্যু নিলাম প্রাইসভিত্তিক হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
 
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরো জানায়, নিলামে শুধু সরকারি সিকিউরিটিজের প্রাইমারি ডিলারের ভূমিকায় নিয়োগ পাওয়া ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিড দাখিল করতে পারবে। তবে অন্যান্য ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানও নিজস্ব খাতে তাদের ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী গ্রাহকদের জন্য প্রাইমারি ডিলারের মাধ্যমে নিলামে বিড দাখিল করতে পারবে।

আরো পড়ুন

এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন ৩ নেতা!

এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন ৩ নেতা!

 


 
অভিহিত (লিখিত) মূল্যে প্রতি ১০০ টাকা মূল্যের বন্ড ক্রয়ের জন্য কাঙ্ক্ষিত ইয়েল্ড হার ও বন্ড ক্রয়ের পরিমাণ উল্লেখ করে নিলামে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকে স্থাপিত এফএমআইর মাধ্যমে বিড দাখিল করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

তবে বিশেষ কোনো পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি নিয়ে ম্যানুয়াল বিডস ইন সিলড কভারস পদ্ধতিতে বিড দাখিল করা যাবে।
 
এদিকে নিলামে অংশগ্রহণের বিস্তারিত নির্দেশনা এরই মধ্যে প্রাইমারি ডিলারসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

মন্তব্য

দাম বেড়েছে সবজির, কমেছে পেঁয়াজ-মুরগির

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দাম বেড়েছে সবজির, কমেছে পেঁয়াজ-মুরগির

সরবরাহ কমে যাওয়ায় সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে সবজির দাম। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর দর। কমেছে পেয়াজ ও মুরগির দাম। 

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে নিত্যপণ্যের দামের এ চিত্র দেখা গেছে।

 

আরো পড়ুন
বিশ্বখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

বিশ্বখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

 

বাজার ঘুরে দেখা যায়, শিম কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বড় আকারের ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, বাঁধাকপি বড় সাইজের ৪০ থেকে ৫০ টাকা পিস, প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, পাকা টমেটো প্রতি কেজি ২৫ থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মুলা ২০ টাকা, মটরশুটি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, খিরাই ৬০ টাকা ও শশা ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া বেগুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১২০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা কেজি, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুরমুখি ১২০ টাকা, কচুর লতি ১২০ টাকা, ঝিঙ্গা এবং কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এক ডজন লাল ডিম। হাঁসের ডিম ২২০ টাকা ডজন, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

আরো পড়ুন
এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন ৩ নেতা!

এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছেন ৩ নেতা!

 

বাজার ঘুরে আরো দেখা যায়, লেবুর হালি ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ধনে পাতা ১৪০ টাকা কেজি, কাঁচা কলা হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, চাল কুমড়া ৮০ টাকা পিস, ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শাকের মধ্যে লালশাক ১০ টাকা আঁটি, লাউশাক ৪০ টাকা, মুলাশাক ১০ টাকা, পালংশাক ১০ টাকা, কলমিশাক তিন আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৫০ টাকা এবং ডাটাশাক ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হচ্ছে। আগের দামেই নতুন আলু ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বগুড়ার লাল আলু ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

কেজিতে ১০ টাকা কমে দেশি পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে কমেছে মুরগির দাম। এ সপ্তাহে কেজিতে ৪০ টাকা কমে সোনালি কক মুরগি ২৭০ টাকায় এবং সোনালি হাইব্রিড ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা,  ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৯০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরো পড়ুন
মুখ থুবড়ে পড়েছিল ‘জিগরা’, ব্যর্থতা স্বীকার করলেন আলিয়া

মুখ থুবড়ে পড়েছিল ‘জিগরা’, ব্যর্থতা স্বীকার করলেন আলিয়া

 

এ ছাড়া মাছের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

বাজারে ৫০০ গ্রামের ইলিশ ১১০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রামের ইলিশ ১৭০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে এক কেজি শিং মাছ চাষের (আকার ভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকার ভেদে) ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি মাগুর মাছ ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ১২০০ টাকায়, বোয়াল মাছ প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়, বড় কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১৩০০ টাকায়, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকায়, পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকায়, রূপচাঁদা ১২০০ টাকা, বড় বাইম মাছ ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা, দেশি কই ১২০০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে মাছ ৮০০ টাকা, কোরাল মাছ ৭০০ টাকা, কাজলি মাছ ৮০০ টাকা এবং কাইকলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৬৫০ থেকে ৭৮০ টাকা ও খাসির মাংস কেজি প্রতি ১১৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ